আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আজ থেকে পুনরায় চলবে মৈত্রী এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ রবিবার (২৩ জুন) থেকে পুনরায় চলাচল শুরু করবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৪ জুন থেকে ট্রেনটির চলাচল বন্ধ ছিল।

এবার ঈদ উপলক্ষে দেশের অভ্যন্তরের যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলাচলকারী তিনটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন পাঁচ দিন পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহের মধ্যে ১৪ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেসের চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আর ১২ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মিতালী এক্সপ্রেস এবং ১৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধন এক্সপ্রেসের চলাচল বন্ধ ছিল। গত ২১ জুন থেকে চলাচল শুরু হয় এই ট্রেন দুটির।

আজ রবিবার থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হলে আবারও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পুরোদমে রেল যোগাযোগ শুরু হবে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে কলকাতা, মিতালী এক্সপ্রেস শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা এবং বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনা শহরের মধ্যে যাতায়াত করে।


আরও খবর



দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা, আর প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। এর আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।

এদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী র আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাস হলে এটি হবে দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

বড় অঙ্কের এ বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের যোগান দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্গেট, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।

বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার। আর চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে অনুদান ছাড়া সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে করা এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪.৬ শতাংশ; আগের দুবছর অবশ্য বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ করে। সংকোচনমুখী এ বাজেট উত্থাপনে ঘোষণা আসতে পারে আগামী এক বছর আরও বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। কারণ এবার সরকারি লক্ষ্যমাত্রাই ৬ থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে সাড়ে ৬ শতাংশ। যদিও বর্তমানে মূল্যস্ফীতি চড়ে আছে প্রায় ১০ শতাংশে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ থেকে কমিয়ে আনা হতে পারে ৬.৭৫ শতাংশে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে দেশের সরাসরি উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণসহ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় সংকোচনের নামে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩২৬টি প্রকল্প কমানো হলেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে ফের সুযোগ দেয়া হতে পারে কালো টাকা সাদা করার। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগ দেয়া হতে পারে এক বছরের জন্য।

জনগণের উন্নয়নে এ ব্যয় বরাদ্দের বিপরীতে সুদ পরিশোধ বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি, ভর্তুকি প্রণোদনায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার মতো অনুন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হতে পারে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ উন্নয়নের চেয়ে অনুন্নয়ন খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে যাচ্ছে সরকার।

এদিকে, রাজস্ব আদায় বাড়াতে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়িয়ে ব্যক্তির শ্রেণির করকাঠামোত পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে এনবিআর। এতে কর আদায়ের স্তর বাড়ানো হতে পারে বেশি আয় করাদের কাছে। বাড়তে পারে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্কের পরিমাণ।

ধনী-গরিবের আয় বৈষম্যে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থায় যেন ভেসে না যায় নিম্ন আয়ের মানুষ, সেজন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মা ও শিশু সহায়তা ভাতা ২০০ টাকা, ৮০ বছরের বেশি বয়ষ্ক নাগরিকের ভাতা ৩০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে উত্থাপিত বাজেটে।

এবারের বাজেটে নতুন করে যোগ হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নানা রকমের পরামর্শ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, গতবছর বাজেট প্রণয়নের সময় সরকার আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেনি; এজন্য সরকারের ওপর তেমন চাপও ছিল না। সরকার তার ইচ্ছেমতোই বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে এবার কিন্তু আইএমএফের পরামর্শ ও বিভিন্ন শর্ত মেনেই বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।

সরকারের আগের বছরগুলোতে নেয়া ঋণের প্রভাব আসন্ন বাজেটে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারকে ১ লাখ কোটি টাকার ওপর শুধু সুদই পরিশোধ করতে হবে এ বছর। ঋণ পরিশোধ করে নানাভাবে সরকার রাজস্ব আদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করবে বলে মত তাদের।


আরও খবর



সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ায় যাবে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠাতে শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমানের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে বিমানের ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে একটি বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

ওই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। ফ্লাইটটির যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিলে প্রদান করবে।

বায়রা প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বায়রা প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিল থেকে নগদ অর্থে উক্ত ফ্লাইটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

ওই ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। ফ্লাইটটির যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) প্রতিনিধি  বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিলে প্রদান করবে।

বায়রা প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বায়রা প্রতিনিধি বিমান জেলা বিক্রয় অফিস মতিঝিল থেকে নগদ অর্থে উক্ত ফ্লাইটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবারের পর বাংলা‌দেশসহ ১৫‌টি দেশ থে‌কে কোনো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। গত জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে বাংলাদেশসহ  ১৫টি দেশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি পুনরায় করার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কর্মী যায় মালয়েশিয়ায়।

গত ২৯ মে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হাসনা মোহাম্মদ হাসিম সাংবাদিকদের জানান, বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ছুটিতে বাংলাদেশে আসা প্রবাসী কর্মীরা। অন্যদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটগুলোর টিকিটের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। লাখ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না একটি টিকিট।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, যারা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সাথে জড়িত, তারা ১ মাস আগেই জানত যে ৩১ মে শ্রমিক পাঠানোর শেষ তারিখ। কিন্তু, এটা নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি বা অন্য সাপ্লাইয়াররা ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বিমান প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় তিন থেকে ৪টা করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর, গতকাল মালয়েশিয়ার কিছু লোক ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় এয়ার কম্বোডিয়ার একটা এয়ারক্রাফট দিয়ে একটি চার্টাড ফ্লাইট পরিচালনার পারমিশন চেয়েছে, গতকালকেই আমরা তাদের পারমিশন দিয়ে দিয়েছি। বিমান যদি আরও আগে জানত, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারত। বর্তমানে বিমানের হজ ফ্লাইট চলছে, তবুও আমরা চেষ্টা করেছি সুযোগ দিতে।


আরও খবর



জাতিসংঘের দ্বিতীয় কমিটির সভাপতি হলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন ৭৯তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত গুরুত্বপূর্ণ এ পদে তার নির্বাচিত হওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানাবিধ উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অভাবনীয় অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি তথা বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন হিসেবে অভিহিত করেন। জাতিসংঘের দ্বিতীয় কমিটিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বৈশ্বিক নানাবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণে অবদান রাখতে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে সাহায্য করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

দ্বিতীয় কমিটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটি। জাতিসংঘের আর্থিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম তদারকি করে দ্বিতীয় কমিটি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু পরিবর্তন, সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন, কিছু দেশের বিশেষ পরিস্থিতি, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মতো বিষয় এই কমিটির আওতাধীন।

পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন।

বর্তমানে তিনি ইউএনডিপি ইউএনএফপিএ ইউএন অপসের নির্বাহী বোর্ডের ২০২৪ সালের সভাপতি হিসেবে জাতিসংঘের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নীতিনির্ধারণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে তিনি জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের ২০২২ সালের সভাপতি এবং ২০২৩ সালের সহসভাপতি, ইউএনউইমেনের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি ইউএনএফপিএ ইউএন অপসের নির্বাহী বোর্ডের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর



ধর্মপাশায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, অবশেষে রোদের দেখা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সেই সাথে রোদের দেখা মিলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদী ও হাওরের পানি। যদিও সকালে আকাশ মেঘলা ছিল, কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের দেখা পাওয়ায় মানুষের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস।

আজ শুক্রবার (২১ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক ও ঘর বাড়ির উঠোন থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। তবে এখনও প্লাবিত আছে গ্রামের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে তিনটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। এখন পর্যন্ত তারা আশ্রয়কেন্দ্রেই অবস্থান করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে পানি কমতে শুরু করেছে। সেই সাথে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ধর্মপাশা

আরও খবর



তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাইলেই মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানের বিষয়ে আরও রক্ষণশীল মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে চীন। দেশটি ভূখণ্ডের চারিপাশে একের পর এক নৌমহড়া চালানোর পর এবার কট্টর আইন পাস করেছে। ভূখণ্ডের স্বাধীনতা চাইলেই মৃত্যুদণ্ডের আইন করেছে চীন। শনিবার (২২ জুন) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষকে সমর্থনকারীদের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিষয়টি বিচারিক নির্দেশিকায় যুক্ত করেছে চীন। ফৌজদারি অপরাধের বিশেষ গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে চীন। ফলে এ ভূখণ্ডকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করতে শক্তিপ্রয়োগের কথাও জানিয়ে আসছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ভূখণ্ডের ওপর চাপ বাড়িয়েছে তারা। এমনকি তাইওয়ানের আশপাশে বেশ কয়েকটি সামরিক মহড়াও দিয়েছে চীন। গত মাসে তাওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বশেষ মহড়া চালায় তারা।

চিনহুয়া জানিয়েছে, শুক্রবার বেইজিংয়ের জারি করা নির্দেশনায় দেশকে বিভক্ত ও বিচ্ছিন্নতা উসকে দেওয়ার জন্য তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থিদের শাস্তির কথা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভূখণ্ডের স্বাধীনতার প্রচেষ্টায় মূল ভূমিকা পালনকারী এবং রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, যারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষ নেবেন তাদের ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

চীনের এমন আদেশ জারির পর তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাইওয়ান। তারা জানিয়েছে, বেইজিং পুরো তাইওয়ানে কোনো আইনি এখতিয়ার রাখে না। এ ছাড়া বেইজিং নিয়ম মানতে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা তাইওয়ানের জনগণের জন্য মানা বাধ্যতামূলক নয়।

তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনের এমন পদক্ষেপ তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে জনগণের মধ্যে সংঘাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য উসকানি হিসেবে কাজ করবে। এ পদক্ষেপ বেইজিং ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক উন্নয়নে সহায়ক নয়।

চিনহুয়া জানিয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এবং রাষ্ট্রকে বিভক্ত করে এমন কর্মকাণ্ড চালাতে নির্দেশ দেওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে বেইজিং এমন নির্দেশনা দিয়েছে। শুক্রবার থেকেই এটি কার্যকর করা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সান পিং এ নির্দেশিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ নির্দেশনা অনুসারে অভিযুক্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর আইনি পদক্ষেপের ধারালো খড়্গ সব সময় উঁচুতে ঝুলবে। তাইওয়ানের সব জনগণকে লক্ষ করে এটি জারি করা হয়নি। কেবল তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে ওকালতি করা কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে এটি জারি করা হয়েছে।


আরও খবর