আজঃ শনিবার ২২ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আনারকে হত্যার পর ছবি পাঠানো হয় আ.লীগ নেতার হোয়াটসঅ্যাপে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ভারতের কলকাতার ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর তাঁর পোশাক খুলে ছবি তোলেন খুনিরা। আর সেই ছবি পাঠানো হয় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুর হোয়াটসঅ্যাপে।

এমনকি আনারের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তার খুনি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখাও করেছেন বাবু।

গতকাল ঢাকার একটি আদালতে পুলিশের দাখিল করা তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, খুনের পর সংসদ সদস্যের ছবি আওয়ামী লীগ নেতা কামালের কাছে পাঠিয়েছেন চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া। খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে যুক্ত ছিলেন শিমুল। তিনি অপরাধ স্বীকার করে ঢাকার আদালতে গত সপ্তাহে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য খুন হয়েছেন এই বার্তা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতাকে পৌঁছে দিতেই মূলত ওই ছবি কামালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে এ-ও বলা হয়েছিল, ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ওই নেতার মনোনয়ন পাওয়া এখন নিশ্চিত।

ডিবি সূত্র বলছে, শিমুল ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাজী কামালের বাইরেও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আরও এক নেতার নাম জানা গেছে।

সূত্রগুলো আরও বলছে, গত ১৫ মে ভারতের কলকাতা থেকে দেশে ফেরেন শিমুল। এরপর ১৭ মে ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে একটি গাড়ির মধ্যে শিমুলের সাথে দেখা করেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল বাবু। সে সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের ছবি দেখেন ও এ কাজে কত টাকা হাতবদল হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন।

শনিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ নিয়ে এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাবু এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামানের মামাতো ভাই।

গত ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিবি। এর মধ্যে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত মো. আক্তারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানতে পেরেছে।

অন্য আসামিদের মধ্যে মো. সিয়াম হোসেন নেপালে আটক হন। এখন তিনি কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আরেক আসামি কসাই নামে পরিচিত জিহাদ হাওলাদারও ভারতের কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।


আরও খবর



সোমালি জলদস্যুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা নেই আইএমওর

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জাহাজ ছিনতাই বন্ধে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আইএমও সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, লোহিত সাগরে বিভিন্ন সময়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আক্রমণের মুখে পড়েছে জাহাজ। সম্প্রতি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের জিম্মি করা হয়েছে। লোহিত সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের প্রতিরোধে রাষ্ট্রগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। সে কারণে সমুদ্রে কার্বন নিঃসরণ কমালে বাংলাদেশেও প্রভাব পড়বে। আইএমও নৌখাতে টেকনোলজি উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে ধাপে ধাপে সমুদ্রে জিরো কার্বন নিঃসরণেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

চারদিনের সফরে গত বুধবার ঢাকায় আসেন আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আর্সেনিওকে স্বাগত জানান লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডিজি কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক শিপিং বিশ্বের অর্থনীতিকে সচল রাখে। পুরো বিশ্ববাণিজ্যের ৮০ শতাংশ বন্দর থেকে বন্দরে হয়ে থাকে। এ কারণে এ পথ ধরে যথেষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়। আশা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সামুদ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ তিনগুণ হবে। এর ফলে এ শিল্পটি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে নির্গমনও বাড়বে।

তিনি বলেন, শিল্পনেতারা এরই মধ্যে জলবায়ুবান্ধব বিকল্প জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমি বিশ্বাস করি নেট জিরো ভিশন অর্জনে আইএমও সব সদস্য রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করবে। গত বছরের জুনে বাংলাদেশ জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে সঠিক পুনর্ব্যবহার করার জন্য হংকং কনভেনশন অনুমোদন করেছে। আমরা এ কনভেনশনের বিধি ও আমাদের রিসাইক্লিং শিল্প অর্জনে আইএমওর অব্যাহত সমর্থন আশা করি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইমস অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম।


আরও খবর



ঈদে এলো ১৯ হাজার ৪৩২ কো‌টি টাকার প্রবাসী আয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছর ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের সময় ১৪ দিনে ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদে‌শিরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১৯  হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ঈদের সময় দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯১ কোটি টাকার বেশি সমপরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা।

আলোচিত সময় অর্থাৎ জুনের প্রথম ১৪ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে গত মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দে‌শে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার। গত ৪৬ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলার।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার। মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিলে আসে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর



বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৬.৭৫ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য তুলে ধরেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে কিছুটা চাপের সম্মুখীন হলেও প্রাজ্ঞ ও সঠিক নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও গতিধারা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মধ্যমেয়াদে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে পৌঁছাবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট। দেশের ইতিহাসে বিশাল এ প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।


আরও খবর



বাংলাদেশ উপকূলের ২০০ কিমির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের উপকূলের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এটি সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে মোংলার কাছ দিয়ে ভারতের সাগর আইল্যান্ড-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ৫ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১২) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত বহাল রয়েছে। রেমালর অগ্রভাগের প্রভাবে ইতিমধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাস বইছে, সঙ্গে আছে বৃষ্টি। বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়ও।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র অতিক্রমের পর এর নিম্নভাগ অতিক্রম অব্যাহত থাকবে।

এতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (৮৯ মি.মি.র বেশি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ওমর ফারুক।

তিনি আরও জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় রেমারের ঝুঁকি এড়াতে খুলনার কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলা করার জন্য উপজেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে কর্মস্থল ত্যাগ না করতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। ৩২ হাজার ৫শ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে এসব কেন্দ্রগুলোতে।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আরও খবর
নয় অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24




শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ মঙ্গলবার (১১ জুন)। ২০০৮ সালের এই দিনে সংসদ ভবন চত্বরে তৎকালীন ১/১১ সরকারের স্থাপিত বিশেষ কারাগারে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তিলাভ করেন তিনি। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরপরই চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে।

আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেওয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়। ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার মতো আপসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় রাজনীতিতে যাত্রা শুরু হয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। তাকে অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় উজ্জ্বল এ দেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরও খবর