আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বান্দরবানে কেএনএফের আরও তিন সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গড গলরী বম (৩১), সাং খুম বম (৩৮), জেফানিয়া বম (১৯)।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার। এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) তাদের গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমায় শাখায় হামলা, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট এবং পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রুমা থানায় ১৪টি, থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় আসামিদের ধরতে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসারের সঙ্গে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত কেএনএফের ১০৮ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।


আরও খবর



রোববার ভোরে পর্দা উঠছে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দিনের আলো ফুটতেই আগামীকাল (রোববার) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হবে। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় মুখোমুখি হবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম মুখোমুখি দেখায় সিরিজ জয়ের মাধ্যমে আমেরিকানরা বেশ আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেছে। ১৮৪৪ সালে তিনদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি, যেখানে কানাডা জিতে ২৩ রানে। এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও তারা নেপালকে হারিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রকানাডা দুই দলই এবার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামছে। আয়োজক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো বাছাই খেলতে হয়নি, আর আমেরিকান বাছাই জিতে টিকিট পেয়েছে কানাডা। ডালাসে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হতে চললেও, সেখানে সেভাবে কোনো উত্তেজনা নেই। বাংলাদেশসহ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচই এখানে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। ফলে ৭ হাজার ধারণক্ষমতার ডালাসের গ্যালারি পুরোপুরি ভরা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আইসিসি।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিন গায়ানায় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে আরেক আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাপুয়া নিউগিনি। ওই ম্যাচের আগে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানিয়েছে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে সেভাবে কিছু দৃষ্টি আকৃষ্ট না হলেও, ক্যারিবীয় দ্বীপটি ব্যতিক্রম। যেখানে পা রাখা দেশগুলোর অধিনায়কদের তারা বরণ করে নিয়েছে।

প্রথমবারের মতো ২০ দলের অংশগ্রহণে হবে মেগা ইভেন্টটি। রিজার্ভ ডে থাকছে প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালে। আয়োজক দেশ দুটির টাইম জোনের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের সময়ের বেশ বড় পার্থক্য রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠলেও, বাংলাদেশে সেটি হয়ে যাচ্ছে ২ জুন। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে ১১ ঘণ্টার ব্যবধান। একইভাবে ক্যারিবীয় দ্বীপের সঙ্গেও ১০ ঘণ্টার ব্যবধান রয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের কিছু কিছু ম্যাচ বাংলাদেশ সময় রাত এমনকি মধ্যরাতেও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যাবে।

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথখ্যাত ডি-তে পড়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। এ ছাড়া দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত পাকিস্তান পড়েছে একই গ্রুপ । গ্রুপটিতে তাদের বাকি তিন সঙ্গী আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বি গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর সি গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি। সবমিলিয়ে ৯টি (যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং উইন্ডিজ মাটিতে ছয়টি) ভেন্যুতে হবে এবারের বিশ্বকাপ আসর। ২৯ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ২৯ জুন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে।

টুর্নামেন্টের ফরম্যাট : এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে প্রথমে হবে গ্রুপপর্বের খেলা। প্রতি গ্রুপে ৫টি করে দল থাকছে। গ্রুপপর্বে প্রত্যেক দল খেলবে ৪টি করে ম্যাচ। সেখান থেকে গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার এইট পর্বে। এই পর্ব থেকে বিশ্বকাপ পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে। সুপার এইটেও চারটি করে দল নিয়ে দুটো আলাদা গ্রুপ করা হবে।

পুরো টুর্নামেন্টে ম্যাচ জয়ের জন্য থাকছে ২ পয়েন্ট করে, ফলাফল না হলে ১ পয়েন্ট এবং হেরে গেলে কোনো পয়েন্ট যোগ হবে না। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ টাইয়ের কোনো সুযোগ নেই, এরকম হলে সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হবে ম্যাচ। সুপার ওভারেও ড্র হলে, খেলার ফল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার চলবে।

রিজার্ভ ডে : এবারের বিশ্বকাপে প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, শুধুমাত্র প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য একদিন করে রিজার্ভ ডে বরাদ্দ আছে। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালের (২৭ জুন) জন্য অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও যদি রিজার্ভ ডে রাখা হতো, তাহলে সেটি গড়াবে ২৮ জুন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। রিজার্ভ ডে-তে গড়ালে এই ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের ২৯ তারিখ ব্রিজটাউনে পৌঁছেই ফাইনালে মাঠে নেমে পড়তে হবে। কিন্তু আইসিসি চাচ্ছে ২৮ জুন ট্রাভেল ডে হিসেবে চিহ্নিত হোক এবং ২৯ জুন ফাইনাল আয়োজিত হোক।


আরও খবর



ফের ডিপফেকের শিকার রাশ্মিকা মান্দানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আবারও ডিপফেকের শিকার অভিনেত্রী রাশ্মিকা মান্দানা। লিফট গার্লের পর এবার ঝরনার নিচে লাল বিকিনি পরে দাঁড়িয়ে পোজ দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার সঙ্গে রাশ্মিকার ছবির মিল নিয়েও দাবি করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি সত্যি নয়, ভিডিওতে অন্য মহিলার মুখের উপর তার ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে এই ভিডিও নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি রাশ্মিকা। সম্প্রতি কলম্বিয়ার মডেল ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটার ড্যানিয়েলা ভিলারিয়াল একটি ভিডিও শেয়ার করেন ইনস্টাগ্রামে। যেখানে তাকে এক ঝরনার সামনে বিকিনি পরে নানা রকমের পোজ দিতে দেখা যায় । সেই ভিডিওতে রাশ্মিকা মান্দানার ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

গত বছর অভিনেত্রী রাশ্মিকার একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। পরবর্তীতে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে সেই ভিডিও সত্যিই অভিনেত্রী রাশ্মিকার। কিন্তু ভিডিওটি ছিল ব্রিটেনের এক প্রভাবশালী নারী জরা প্যাটেলের।

কিছুদিন ধরেই রাশ্মিকা ও বিজয় ডেটিং করছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের মাঝে গুঞ্জন উঠেছে। যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের গুজব রয়েছে, তবে তারা কখনোই প্রকাশ্যে তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার বা অস্বীকার করেন নি।

চলতি বছরের এপ্রিলে আবুধাবিতে রাশ্মিকা মান্দানার জন্মদিন তারা একসঙ্গে উদযাপন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে নেটিজেনরা এমনটাও লক্ষ্য করেছে যে বিজয় তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিও রশ্মিকা নিজেও শেয়ার করেছেন।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রীকে বর্তমানে পুষ্পা ২’-এ দেখা যাবে। ইতোমধ্যে এই সিনেমায় তার লুকও প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে আল্লু অর্জুন ও ফাহাদ ফাসিলকে। অমিতাভ বচ্চন-অভিনীত গুডবাই’-এর হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন রাশ্মিকা এবং তারপর মিশন মজনু’তে দেখা গিয়েছিল তাকে। তেলুগু এবং কন্নড়েও প্রচুর ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।


আরও খবর



ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাওয়া কীসের লক্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে একটু ঘুমাতে গেলেন, কিন্তু দম আটকে যাওয়ার কারণে আচমকাই জেগে উঠতে হয়। এই সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। কিংবা রাতে লম্বা ঘুম দেয়ার পর বিকেল নামতেই ঝিমুনি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে হেলাফেলা করা যাবে না। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্বাসনালি যতক্ষণ বন্ধ থাকে, রোগী নিশ্বাস নিতে পারেন না। এতে বাইরে থেকে বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক, হার্ট বা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিনের পর দিন কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার প্রভাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে অক্সিজেন খাদ্যের মতো কাজ করে। যখন অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্ক সিগন্যাল দিয়ে রোগীকে জাগিয়ে তোলে, যেন তিনি নিশ্বাস নেন এবং তখন সংকুচিত শ্বাসনালি খুলে যায়। এভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগী বার বার জেগে ওঠেন। বার বার ঘুম ভাঙার কারণে তারা ক্লান্ত থাকেন, ফলে দিনের বেলায় ঝিমুতে থাকেন।

লক্ষণ: জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক নাক ডাকেন। দেখা যায়, তারা কখনো খুব জোড়ে ডাকছেন, আবার থেমে যাচ্ছে, তারপর আবার ভিন্ন স্বরে নাক ডাকছেন।

প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। বিশেষ করে চিত হয়ে ঘুমানোর সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে জেগে ওঠেন এবং কিছু সময়ের জন্য হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।

অনেক সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্ত লাগে, কাজ করতে গিয়ে বা গাড়ি চালাতে গিয়ে হুট করে ঘুমিয়ে পড়েন।

মেজাজ খিটখিটে থাকে। কারও সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না, অবসাদগ্রস্ত লাগে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না।

ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

করণীয়: প্রাথমিক পর্যায়ের স্লিপ অ্যাপনিয়া ধরা পড়লে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চিকিৎসা না করলে সমস্যা জটিল আকার নিতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে; যার প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসক রোগীকে কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা সি প্যাপ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্য নিতে বলেন। এই যন্ত্রটি অনেকটা বক্সের মতো এবং এর সঙ্গে মোটা পাইপের সংযোগ দিয়ে একটি মাস্ক বসানো থাকে। রোগীকে প্রতিবার ঘুমের সময় এই মাস্কটি পরতে হয়। এই যন্ত্রটি মূলত ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলোকে আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগতে হয় না। এতে অনেক জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব হয়।

তবে যারা সি-প্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদেরকে বিকল্প চিকিৎসা নিতে হয়। যেমন, গলার টনসিল বা নাকের পেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করা। ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস-ম্যাড ব্যবহার। এটি মুখের নীচের চোয়ালকে সামনে এগিয়ে রাখতে দাঁতের চারপাশে বসানো এক ধরনের যন্ত্র, যা শ্বাসনালি খোলা রাখতে সাহায্য করে।

লেজার অপারেশনের মাধ্যমে শ্বাসনালীর পরিধি বড় করাও একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেমন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও মদপান পরিহার, কাত হয়ে ঘুমানো।

নিউজ ট্যাগ: স্লিপ অ্যাপনিয়া

আরও খবর



নোবেল পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা আমার কখনো ছিল না, এখনও নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাস্তির পেছনে সরকারের কোনো হাত নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার দোষটা কোথায়? তার (মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই।

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কখনও ছিল না, এখনও নেই। আমি জানি এসব পুরস্কার যারা পান, তার পেছনে একটি রাজনীতি থাকে। আমি এগুলো চাই না। অথচ পার্বত্য অঞ্চলে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা। শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে জেলাসি (হিংসা) করে না।

প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দুদিনের ভারত সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যর্থ হলেন কেন? তখন আমার নামে খুনের মামলাও হয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে দারিদ্র বিমোচনে প্রকল্প নিলেন, অথচ যারা ঋণ নিয়েছিল তাদের অনেকে সুদের চাপে আত্মহত্যাও করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, তিনি (ইউনূস) দারিদ্র বিমোচন করতে পারলেন না কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র বিমোচন করছি আমি। অথচ সবাই ক্রেডিট দেয় তাকে (ইউনূস)। সে তো একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার পক্ষে সাংবাদিকরা লিখে কীভাবে? এটাও আমার প্রশ্ন।

ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত রেল যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চুক্তির সমালোচনা হবে কেন? এ চুক্তির ফলে আমি দেশটাকে কীভাবে বিক্রি করে দিলাম? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেই আমরা দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো করেছি। আমরা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করিনি। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২২ জুন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।


আরও খবর



হাত-পা বেঁধে মাদরাসাছাত্রকে শিক্ষকের নির্যাতন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহে চুরির অভিযোগে মাদরাসার এক ছাত্রকে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে হাত-পা বেঁধে ২ ঘণ্টা ধরে চলে এ অত্যাচার। এতেও ক্ষ্যান্ত হননি শিক্ষকদ্বয়, এরপরের দুই দিন তাকে আটকে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে ওই ছাত্র পালিয়ে যায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে।

সরেজমিন দেখা যায়, ছাত্রটির বয়স মাত্র ৯ বছর, নাম তাওহীদ। ঝিনাইদহরে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় কাতরাচ্ছে সে। না পারছে শুতে, না পারছে বসতে। সারা শরীরে চরম অমানবিকভাবে পেটানোর ছাপ। শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে নেই দগদগে ক্ষত চিহ্ন।

জানা গেছে, গত ২৭ মে হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। হুজুরের ঘড়ি চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে রাত ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এ নির্যাতন। এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসান। তাকে পরের দুই দিন আটকে রাখা হয় ওই রুমেই।

তাওহীদ জানায়, সে চুরি করেনি। অত্যাচারের সময় অনেক কাকুতি মিনতি করলেও তাকে ছাড়েনি হুজুররা। পরে কৌশলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায় সে। প্রথমে যায় ফুফু বাড়ী। এরপর বাবা-মাকে খবর দিলে তারা তাওহীদকে বুধবার (২৯ মে) শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কারে।

ঘটনার পরে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০মে) দুই শিক্ষকের নামে শৈলকূপা থানায় মামলা করে নির্যাতিত ওই ছাত্রের বাবা। পরে পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে।

তাওহীদের বাবা মান্নান বিশ্বাস জানান, বিচার ছাড়া কিছু চাই না। আমার ছেলে ওই মাদরাসায় পড়ে ৩ বছর ধরে। কখনই তারা আমাকে এ ধরনের কিছু জানায়নি। আমার ৪ ছেলে-মেয়ে, তাদেরও এমন ঘটনার কোনো রেকর্ড নেই। সবসময় শিক্ষকরা বলেছে ভালো ছেলে। ভালো করে পড়াশুনা করছে। কিন্তু এখন তারা যে অভিযোগ এনেছে সেটা বিশ্বাসযোগ্য না, তা মিথ্যা।

এলাকাবাসী জানান, তাওহীদের বাড়ী একই উপজেলার রঘুনন্দনপুর গ্রামে। তার বাবা একজন কৃষক। এমন নির্যাতনের সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তারা।

শৈলকুপা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ শোহেলি ইসলাম জানান, আগের চেয়ে রোগীর অবস্থা এখন অনেকটা উন্নতির দিকে। ঝিনাইদহ শৈলকূপা ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় আমরা দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি।

মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে পিতা-মাতা ঝিনাইদহের শৈলকুপার হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে তাওহীদকে। মাদরাসার বর্তমান ছাত্রের সংখ্যা আড়াইশর বেশী। তবে বোডিং-এ থাকে একশর মতো ছাত্র। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর