![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/1890558147fa96e956b0e0e019361889.jpeg)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লো-স্কোরিং ম্যাচে মার্কো জানসেন আর তাবরাইজ শামসিদের বোলিং তোপে আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে মোটে ৫৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ রানের মাথায় কুইন্টন ডি কক আউট হলেও তাতে বিপদ বাড়েনি প্রোটিয়াদের। হেসে খেলেই নির্ধারিত লক্ষ্যে গিয়েছে তারা। ৯ উইকেটের এক জয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে গেল প্রোটিয়ারা।
ত্রিনিদাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানেই অলআউট হয় রশিদ খানের দল। প্রোটিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফগান ব্যাটিং। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজেকে ফেরান মার্কো জানসেন। রিজা হেনড্রিকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হার্ডহিটার এই ওপেনার। তিন নম্বরে নামা গুলবাদিন নাইবও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। সেই জানসেনের বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এরপরেই রাবাদার এক ওভারে ২ উইকেট। প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরান, চতুর্থ বলে নবিকে বোল্ড করেন। পরের ওভারে আবার জানসেনের শিকার। কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন নানগায়াল খারোতি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর সর্বোচ্চ ১০ রান করা আজমতউল্লাহকে আউট করেন নরখিয়া।
সপ্তম উইকেটে করিম জানাতকে নিয়ে ১৮ বলে ২২ রানের জুটি গড়েন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ৮ রান করা করিমকে ১০ম ওভারে তাব্রিজ শামসি তুলে নেন। তার দুই বল পর অধিনায়ক রশিদ খানকেও হারায় আফগানরা শেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করে আফগানিস্তান। ৩ উইকেট করে নেন মার্কো জানসেন ও তাব্রিজ শামসি। ২টি করে শিকার করেন রাবাদা ও নরকিয়া।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ডি কককে হারালেও বিপদ বাড়তে দেয়নি রিজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক মার্করাম। ১ উইকেট হারিয়ে ৬৭ বল হাতে রেখে জয় তোলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ রান করেন হেনড্রিকস ও ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মার্করাম।
ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও প্রতিবারই যন্ত্রণায় পুড়তে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ফাইনালে উঠতে না পারায় চোকার্স তকমাও জুটেছে তাদের। এবার সব চাপা দিলেন মার্করামরা। ৫৭ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে কুইন্টেন ডি কক ফিরেছিলেন বটে তবে তাতে ম্যাচের প্রভাব ছিলো না। এবার বিশ্বকাপে রান না পাওয়া দুই ব্যাটার রেজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক মার্করাম মিলে কাজটা সারেন অনায়াসে।