আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সক্রিয় মৌসুমি বায়ু, দেশজুড়ে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দেশের ৮ বিভাগেই শনিবার (২৯ জুন) থেকে রোববার (৩০ জুন) পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে দেওয়া এক আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় দিনের তাপমাত্রা (১ থেকে ২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এ ছাড়া রোববার (৩০ জুন) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।


আরও খবর



ইসলাম প্রচারের পর কীভাবে কোরবানির প্রচলন শুরু হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মক্কায় প্রতি বছরই কোরবানি দেওয়া হতো। কিন্তু তখন মক্কার বাসিন্দার বিভিন্ন দেবদেবীর নামে সেগুলো কোরবানি দিতেন। ফলে ইসলামের নবী সেই সময় মক্কায় থাকলেও তিনি এই রীতি অনুসরণ করতেন না।

নবুয়ত প্রাপ্তির প্রায় তের বছর পরে মদিনায় হিজরত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানি দেয়ার রীতি চালু হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হালাল সনদ বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন,ইসলামের অনেক বিধিবিধান রাসুল (সাঃ) মদিনায় আসার পর কার্যকর হয়েছে। কারণ তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করার পর মক্কার মানুষের মধ্যে একাত্মবাদ প্রতিষ্ঠা ছিল প্রাথমিক কাজ। আর মদিনায় হিজরত করে আসার পর ইসলামের বিধিবিধান জারি হয়।

হিজরি দ্বিতীয় সনে রোজা এবং ঈদুল ফিতরের প্রবর্তন হয়েছিল। অবশ্য তার আগে থেকেই মদিনার মানুষজন অনেকটা একই আদলে উৎসব এবং রোজা পালন করতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী বলেছেন, হিজরি দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন করা হয়েছিল।

আনাস নামে নবী মুহাম্মদের একজন সাহাবী বা সাথীর বর্ণনা করা একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া বলছে, মদিনায় যাওয়ার পর নবী দেখলেন যে সেখানকার মানুষ বছরে দুইটি বড় উৎসব পালন করে।

তিনি তখন জানতে চান, সেগুলো কী উৎসব?

এগুলো ছিল নওরোজ এবং মিহিরজান নামে দুটি উৎসব - যেগুলো সেখানকার বাসিন্দাদের ধর্ম এবং গোত্রের রীতি অনুযায়ী একটি শরতে এবং আরেকটি বসন্তকালে উদযাপিত হত।

অধ্যাপক মিয়াজী বলেছেন, তখন ওই দুইটি উৎসবের আদলে মুসলমানদের জন্য বছরে দুইটি ধর্মীয়, সামাজিক এবং জাতীয় উৎসব পালনের রীতি প্রবর্তন করা হয়।

সেই দুই ঈদের একটি হজের সময় পালন করা হতো, যা ঈদুল আজহা নামে পরিচিত। তবে ইসলাম প্রচারের পর ঠিক কবে আর কীভাবে প্রথম কোরবানি দেয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায় না।

কোন কোন ইতিহাসবিদ বলেন, মদিনায় আসার পর ইসলামের নবী প্রথম দুইটা দুম্বা নিজ হাতে কোরবানি দিয়েছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, একটা আমার নিজের পক্ষ থেকে আরেকটা আমরা উম্মতের পক্ষ থেকে।

মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন, ইসলামের অনেক কিছুই আগের পয়গম্বরদের রীতি মেনে করা হয়েছে। যেমন প্রথম দিকে বায়তুল মোকাদ্দেসের দিকে সিজদা করা হলেও পরবর্তীতে ইব্রাহিম (আঃ) এর আদর্শ অনুযায়ী কাবার দিকে সিজদা করা হয়। কোরবানির ব্যাপারটিও তেমনি এসেছে।

তিনি বলছেন, ইসলামের কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, আদম (আঃ) থেকে কোরবানি শুরু হয়েছে। তবে সুরা কাওসার ও সুরা হজে কোরবানি করার নির্দেশনা পাওয়া যায়। এই সুরা কাওসার নাজিল হয়েছিল হিজরতের আগেই, রাসুল (সাঃ) মক্কায় থাকার সময়। আর সুরা হজ মক্কা ও মদিনায় মিলিয়ে নাজিল হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

এই দুইটি সুরাতেই কোরবানি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাটোয়ারি বলছেন, এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাসুল (সাঃ) মক্কায় থাকার সময় থেকেই কোরবানির বিষয়টা এসেছে।

তবে তিনি প্রথম কবে কোরবানি দিয়েছেন, সেই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী জানাচ্ছেন, তিরমিজি হাদিসে উল্লেখ আছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বলেছেন, হিজরতের পরে রাসুল (সাঃ) ১০ বছর মদিনায় ছিলেন, ১০ বছরেই কোরবানি করেছেন। আর আনাস ইবনে মালিক বলেছেন, রাসুল (সাঃ) দুইটা শিং ওয়ালা নাদুস-নুদুস দুম্বা জবাই করেছেন আর বলেছেন একটি আমার উম্মতের পক্ষ থেকে একটা আমার পক্ষ থেকে।

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, তিনি সবসময়ে দুটা দুম্বা কোরবানি দিতেন, বলেন পাটোয়ারি।

যারা হজ বা ওমরাহ করতে যেতেন, তারা কোরবানির জন্য উট বা দুম্বার মতো পশু সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। এসব পশুকে বলা হতো হাদি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, ষষ্ঠ হিজরিতে বা ৬২৮ খৃষ্টাব্দে যখন রাসুল (সাঃ) ওমরাহের উদ্দেশ্যে রওনা হন, তখন হুদাইবিয়ায় বাধা দেয়া হলে তিনি তাবুতে অবস্থান করেন। হুদাইবিয়ার সন্ধি হলে তিনি সেই সময় নিজের ও পরিবারের জন্য উট কোরবানি দেন।

এ সময় তিনি ৬৩টি উট কোরবানি দেন বলে জানা যায়। সেই সময় ইসলামের বিধিবিধানে উট, মহিষ, গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেছেন, ষষ্ঠ হিজরিতে ওমরাহ করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় পশুগুলোকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম ছিল। তখন কোরবানি ছাড়া আরেকটা রীতি ছিল। পশুগুলোর সিনায় কেটে দাগ লাগিয়ে মক্কার দিকে ছেড়ে দেয়া হতো, যাতে বোঝা যেতো যে এগুলো কোরবানির পশু। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর কিছু পশু কোরবানি দেয়া হয়, আর কিছু পশুকে সিনায় দাগ লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

পাটোয়ারি বলছেন, দশম হিজরিতে রাসুল (সাঃ) মক্কা বিজয়ের পর সেই বছর তিনি নিজে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ করেন এবং কোরবানি দেন।

এর আগের বছর সাহাবী আবুবকরের নেতৃত্বে একটি দলকে হজের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই দলের সঙ্গেও কোরবানির জন্য হাদি বা পশু ছিল।


আরও খবর



ছাগলকাণ্ডে আলোচিত পদহারা মতিউর আত্মগোপনে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বহুল আলোচিত মতিউর রহমানকে। সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিগগিরই মতিউর ও তার পরিবারের অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল বিত্তবৈভবের অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইতোমধ্যেই আত্মগোপনে চলে গেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এই সদস্য। এদিকে যে সন্তানের কারণে সংবাদের খোরাক হয়েছেন মতিউর, সেই সন্তানও তার মা (মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী) ও ভাইকে নিয়ে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। গতকাল মতিউরের অফিসে খোঁজ নিয়ে এবং বিভিন্ন সূত্রে এসব খবর পাওয়া গেছে।

মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক গত ঈদুল আজহার আগে কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর ভাইরাল হয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় নানারকম সমালোচনা। প্রশ্ন ওঠে, কে এই ইফাত? তার পরিচয় খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে তার বাবা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর। পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে ইফাত তার ছেলে নন বলে জানান মতিউর। এতে করে আরও বেশি বেকায়দায় পড়েন তিনি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যসূত্রের বরাতে উল্লেখ করা হয়, মতিউরই ইফাতের বাবা। শুধু তাই নয়, তার সম্পদের খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক কেউটে সাপ। উঠে আসতে থাকে তার নানারকম অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যও। সর্বশেষ, পরিস্থিতি বেসামাল দেখে আত্মগোপনে চলে গেছেন মতিউর; গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে না; গণমাধ্যমকর্মীদের ফোনে সাড়াও দিচ্ছেন না।

গতকাল রবিবার সকালে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে গিয়ে দেখা যায়, মতিউর সেখানে যাননি। ট্রাইব্যুনালের গতকালের কার্যতালিকায় বেশ কিছু মামলা থাকলেও প্রেসিডেন্ট মতিউরের অনুপস্থিতির কারণে কোনো শুনানি হয়নি।

এর মধ্যেই দুপুরে জানা যায়, মতিউর রহমানকে ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার বর্তমান পদ থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। কেন এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি।

গতকালই খবর আসে যে, মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোদ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। তিনি এ দিন সাংবাদিকদের জানান, মতিউর রহমান আর কখনো সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় আসবেন না। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার মতিউরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দুদক। কমিশনের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়েছে। এর অন্য দুজন সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ও উপ-সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার।

সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত ৪ জুন কমিশন একটি টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। টিমের সদস্যরা তাদের কাজও শুরু করেছেন।

এর আগেও মতিউরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে চারবার অভিযোগ উঠেছিল বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা। ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে সেগুলোর পরিসমাপ্তি টানা হয় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণের অভাবে। এ বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, এর আগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে চারবার করা অনুসন্ধানগুলো এখন আবার পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

মতিউর রহমান দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লায়লা কানিজ লাকি। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এই সংসারে তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও ফারজানা রহমান ইপসিতা নামে দুই সন্তান রয়েছে। লাকি সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। কথিত আছে, তিনি স্বামীর পদ-পদবির প্রভাব খাটিয়ে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। লাকির নামে নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে বিশাল এলাকাজুড়ে ওয়ান্ডার পার্ক নামে একটি রিসোর্ট রয়েছে। এ ছাড়াও নরসিংদীর নাগরিয়াকান্দির গোল্ডেন স্টার পার্কে রয়েছে অংশীদারত্ব। তার নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বহুতল ভবন রয়েছে।

এই পরিবারের সদস্যদের নামে টঙ্গীতে এসকে ড্রিম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডসহ অন্তত এক ডজন কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়। পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউসের অংশীদারত্ব রয়েছে এই পরিবারের। রয়েছে রিসোর্ট, আলিশান বাড়ি, বহুমূল্য গাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ। এ ছাড়াও গাজীপুরের পূবাইলে রিসোর্ট, শুটিংস্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পদ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও গ্রামের বাড়ি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মতিউর। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ি রয়েছে তার। তার ছেলের রয়েছে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ির কালেকশন। যে ছেলের কারণে সংবাদের খোরাক মতিউর, সেই ইফাত তার মা শাম্মি আক্তার ও ভাই ইরফানকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে গেছেন, বলছে গণমাধ্যম।


আরও খবর



মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্ট ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হয় নগ্ন ছবি। এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। শুধু তাই নয়, ফাঁদে পড়া মেয়েদের ভিডিও কলে নগ্ন হওয়া এবং যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে চালানো হয় যৌন ব্যবসা।

এসব অসামাজিক কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২৫) ও তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬)।

দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শতশত তরুণীকে ফাঁদে ফেলে আধুনিক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যেমন টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করা হয়। সেখানে থাকা থাকা লাখ লাখ দেশি-বিদেশি সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকেও নেওয়া হয় টাকা। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে শনাক্ত করে এর প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- চক্রের প্রধান ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (২৫), তার প্রধান সহযোগী খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), অন্য সহযোগী মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিভিন্ন সময়ে রাজধানী ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করায় ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয়। এরপর ব্ল‍্যাকমেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদের দেহব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর কার্যক্রম চালায়।

চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যেসব তরুণীরা পারিবারিক ভাঙনের শিকার এবং আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করে। কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে প্রথমে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। এরপর বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নেয়। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদা মতো টাকা ও প্রয়োজন মেটায় তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে। 

এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান। তিনি টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তার তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তোলে। শেখ জাহিদ কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা চিকিৎসাবিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেঞ্জারে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে।

এসব অনৈতিক কাজের মাধ্যমে গত ৭ বছরে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে দাবি করে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় করেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি। তাদের আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।

প্রতারণার ফাঁদ ও নগ্ন ভিডিও তৈরি সম্পর্কে তিনি বলেন, শুরুতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, মডেল তৈরি ও ট্যালেন্ট হান্ট শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করত চক্রটি। যারা সাড়া দিত তাদের নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলত। তারপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে আপত্তিকর ছবি তুলত। সেই সব ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগ্ন হয়ে ভিডিও কল বা সরাসরি অসামাজিক কাজে বাধ্য করত।

মোহাম্মদ আলী জানান, চক্রটির নিয়ন্ত্রণে ১০টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। এসব টেলিগ্রাম গ্রুপে দেশি-বিদেশি গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গ্রাহকেরা ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকত। চক্রটি ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। এরপর মেয়েদের বাধ্য করা হতো যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌন দাসিতে পরিণত হয় শত শত তরুণী।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গোপনে ধারণ করা ভিডিও বিক্রি করে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। অর্থ লেনদেনের জন্য তারা ব্যবহার করে এমএফএস বা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেদের আড়াল করতে তারা বেনামি কয়েকশ মোবাইল সিম ব্যবহার করছিল। যেগুলোর কোনোটিই প্রকৃত ন্যাশনাল আইডি দিয়ে নিবন্ধন করা নয়। নিম্নআয়ের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে সামান্য অর্থ দিয়ে তাদের নামে তোলা হতো সিম কার্ড। কন্টেন্ট আদান-প্রদান ও সাবস্ক্রিপশনের জন্য ছিল টেলিগ্রাম প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন পেইড ক্লাউড সার্ভিস। অল্প বয়সী ভয়ানক চতুর এই দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর কাছে এখনও জিম্মি কয়েক হাজার নারী। এর মধ্যে আছে টিকটক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সেলিব্রিটিও।

অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ নগ্ন ছবি ও ২০ হাজার অ্যাডাল্ট ভিডিওর সন্ধান পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিঅইডি।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অব্যাহতি চেয়েছেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস মামলার দায় হতে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

রবিবার (২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

আদালতে ড. ইউনূস হাজিরা দেন। এরপর মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মামলায় হাজিরা দিয়েছেন।

এ মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আমরা ড.ইউনূসের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছি।

এর আগে গত ২ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ ২ জুন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। চার্জশিটে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে হেলে পড়া ভবন খালি করতে চসিকের চিঠি দিয়েছে সিডিএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকার নবরত্ন নামের একটি পাঁচ তলা ভবন হেলে পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন ওই ভবনের বাসিন্দারা। সেজন্য বড় ধরেনের ঝুঁকি এড়াতে ভবন খালি করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

বৃহস্পতিবার বিকালে চসিকের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিডিএ অথরাইজড কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি জানার পর সিডিএ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাশের আরেকটি ভবনের পাইলিং করার জন্য নিচের মাটি দুর্বল হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নবরত্ন ভবন থেকে পাশের ভবনের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি থাকলেও বর্তমানে ওপরের অংশের সাথে দূরত্ব ৬ ইঞ্চি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন খালি করতে বলার এখতিয়ার চসিকের। তাই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে; এতে হেলে পড়া ভবনে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বলা হয়।

তিনি বলেন, দুই ভবন মালিককে অনুমোদিত নকশা নিয়ে সিডিএতে আসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পর ভবনের অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় বাহির সিগন্যালের বড়ুয়াপাড়ায় বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে পাঁচতলা নবরত্ন ভবন হেলে পড়ার ছবি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নবরত্ন ভবন ও পাশের ভবনে থাকা বাসিন্দারা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর