আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকা তৃতীয়

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ ভারতের দিল্লি। অন্যদিকে তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা দিল্লির স্কোর হচ্ছে ৪২৩ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু দুর্যোগপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি এবং শহরটির স্কোর ১৮৭। এর অর্থ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। শহরটির স্কোর ১৮০ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের লাহোর রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ দিনদিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবন। গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক বায়ুদূষণের হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়া। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত চারটি দেশ এবং দূষণের শীর্ষে থাকা ১০ শহরের মধ্যে নয়টির অবস্থানই এ অঞ্চলে।


আরও খবর
ঈদের পরে নতুন সময়ে চলবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




এমপি আনারের নৃশংস খুনে দুই ‘কসাই’

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কায়দায় এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়– তা গা শিউরে ওঠার মতো কাহিনি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, কিলার ভাড়া করা হয়েছিল। কিলিং মিশনে কসাইয়ের’ ভূমিকা রাখে বাংলাদেশি দুই যুবক। তারা হলো– খুলনার দিঘলিয়ার বারাকপুরের বাসিন্দা জিহাদ হাওলাদার ও ভোলার সিয়াম। জিহাদ এখন ভারতীয় পুলিশের হেফাজতে আর সিয়াম নেপালে পালিয়েছে।

গোয়েন্দারা হত্যা মিশনে জিহাদ ও সায়েমের নানা নৃশংসতার কথা জানতে পেরেছেন। জিহাদ অনেক আগে থেকে পেশায় কসাই। হত্যা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে ভারতে দীর্ঘদিন অবস্থান করা জিহাদকে ভাড়া করা হয়।

জানা গেছে, জিহাদ কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে যায়। কখনও দিল্লি আবার কখনও মুম্বাইয়ে বসবাস করত। সেখানে দক্ষ কসাই’ হিসেবে তার পরিচিতি আছে। হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পর দুই মাস আগে তাকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় আনা হয়।

হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি আখতারুজ্জামান শাহীনই তাকে নিয়ে আসেন। আজীম হত্যার ঘটনায় জড়িত ভাড়াটে সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়ার সহযোগী জিহাদ। হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল শুক্রবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

জিহাদ প্রথমে নিজেকে সিয়াম বলে পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। অবশ্য পরে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

জিহাদ জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে, ১৪ মে কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার পরপরই বাইরে থেকে আসা ক্লান্তির ধকল সারতে বেসিনে হাতমুখ পরিষ্কার করেন আজীম। এ সময় ক্লোরোফর্ম দিয়ে তাকে অচেতন করা হয়। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আজীমকে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সে।

আজীম মারা যাওয়ার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাশ টুকরো টুকরো করে সে। চামড়া থেকে মাংস আলাদা করে জিহাদ। এরপর লাগানো হয় হলুদ। হলুদ মেশানো টুকরো টুকরো অংশ ফ্রিজেও রাখা হয়। সবশেষে লাশের টুকরো ব্যাগে ভরা হয়। এরপর ব্যাগভর্তি লাশের টুকরো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় একটি খালে ফেলা হয়েছে।

জানা গেছে, আজীমকে হত্যার জন্য জিহাদকে নিউ টাউন এলাকায় চিনার পার্কের একটি ফ্ল্যাটে রাখা হয়। এরপর তাকে মূল ঘটনাস্থল সঞ্জিভা গার্ডেনে আনা হয়। আজীম ঢোকার আগে থেকেই সে সেখানে অবস্থান করছিল।

এদিকে পলাতক সিয়ামের ব্যাপারে এখনও খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। সেও অবৈধভাবে ভারতে যাতায়াত এবং অবস্থান করছে। এমনকি তার কাছে ভারতের আধার কার্ডও (নাগরিক পরিচয়পত্র) রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা শাহীনের বাসায় পরিকল্পনা বৈঠকে সেও ছিল বলে একটি সূত্রে তথ্য মিলেছে। হত্যার ঘটনায় সে সরাসরি অংশ নেয়। লাশের টুকরো ব্যাগে ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলার ক্ষেত্রেও সে ছিল বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



যারা বলে বিমান লাভে নাই, আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক: বিমানের এমডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমডি শফিউল আজিম বলেছেন, যারা বলে বিমান লাভে নাই, আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করুক। বিমানে গত ১০ বছরে ৮ বছরই লাভ ছিল। তবে দুই বছর লস হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) এক এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এমডি শফিউল আজিম বলেন, ওই দুই বছরের এক বছর করোনা ভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অঙ্কের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল। তাছাড়া গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দুইটি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি। লাভ না হলে এসব টাকা কোথা থেকে আসছে?

তিনি বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুইটা প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথম প্রস্তাবে দুইটা কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। তবে আমাদের মনে হয়েছে, আপাতত আমাদের কার্গো বিমান কেনার দরকার নাই। পরে আমরা যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের ৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।

এমডি শফিউল আজিম বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনা হবে। আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১ টির মধ্যে ১৬ টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে।

এমডি বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন রিস্কে না পড়ি সে কারণে আমরা ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি।

বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনা-বেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যে এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।

এমডি থাকা অবস্থায় নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য নয়। আমি খুব ভাগ্যবান, বিমানবন্দরে কাজ করার সময় কোনো পর্যায় থেকে চাপ আসেনি। আমি আমার অথরিটিকে শতভাগ ব্যবহার করতে পেরেছি। চেষ্টা করলে বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইন্সের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

বিমানে অল্প সময়ের মধ্যে এমডি ও সিইও পরিবর্তন হয়। বিমানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি এমডির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে এমডি বলেন, বিমানের হিউম্যান রিসোর্স ও টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাড় করানোর গেলে এমনিতেই কাজ হবে। আমি এসব সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাড় করানোর চেষ্টা করেছি। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।

তিনি বলেন, আমার সুপারিশ থাকবে যারা বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগে কাজ করছে সেখানে যেন বয়স বিবেচনা না করা হয়। কারণ টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। বিমানকে সরকারি অফিসের মনমানসিকতা প্র‍্যাক্টিস করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সব কিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।

আপনার কোনো আক্ষেপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দায়িত্বপালনের সময়ের মধ্যে যদি বিমানের বহরে ৪ টা এয়ারক্রাফট অ্যাড হতো, তাহলে খুবই খুশি হতাম। আমি চাইতাম ৫০টা এয়ারলাইন্সের মালিক হোক।

মতবিনিময় সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সহ-সভাপতি রাজীব ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কাউসার ইমনসহ এটিজেএফবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।


আরও খবর



ঘরের চাল সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় ঘরের চালা সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রানা মৃধা (১৭) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার সময় জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানা মৃধা ওই এলাকার দেলোয়ার মৃধার ছেলে।

স্থানী সূত্রে জানা যায়, পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দির বাসিন্দা দেলোয়ার মৃধার বসতঘর নতুন করে মেরামত করার জন্য চালা সরাতে যান তার ছেলে রানা মৃধা ও স্থানীয় আবুল ভূইয়া, জামাল মল্লিকসহ কয়েকজন। হঠাৎ অসাবধানতাবসত টিনের চালা নেওয়ার সময় ঘরের মিটারের সাথে সংস্পর্শে আসে। এতে রানা মৃধা বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল ভূঁইয়া জানান, আমরা কয়েকজন মিলে দেলোয়ার মৃধার ঘরের চাল সরাচ্ছিলাম। টিনের চালা সরানোর এক পর্যায়ে হঠাৎ দেখি রানা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে আছে পরে দেখলাম যে টিনের চালার সাথে বিদ্যুতের তাঁর লাগানো ছিলো। এরপর আমরা তাকে জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘরের টিনের চালার সাথেই বিদ্যুৎ মিটারের তাঁর সংযোগ ছিল। অসাবধানতাবসত বিদুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি সহকারী কৌশলী আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল ওরফে হেলু, আলম, ইদ্রিস ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা, আলমের স্ত্রী ফারজানা, হেলালের স্ত্রী লিলিফা, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে দুইজনকে খালাশ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের কাছ থেকে প্রায় ৪০ শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম। পরে সেই জমি নিয়ে আসামীরা তার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে সামছুল ও তার বাবা সেই জমিতে আলুর বীজ বপণ করছিলেন। সেই সময় আসামীরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে এসে সামছুল ও তার বাবাকে মারপিট করে আহত করেন।

এসময় সামছুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জয়পুরহাট সদর, পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বাড়িতে আনা হলে সেখানে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



সিলেটে বন্যায় মৎস্য খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার মৎস্য চাষী ও খামারিরা। টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ উপজেলায় ঢলের পানিতে ভেসে গেছে ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর মাছের ঘের। সৃষ্ট বন্যায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশেষ করে জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় শত-শত পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে যায়। কোন কোন পুকুরের চিহ্ন ও দেখা যায়নি। আর বেশিরভাগ পুকুর বিশাল জলারাশির নিচে ঢাকা পড়ে যায়। খামারীরা শেষ চেষ্টা হিসেবে জাল ও নেট দিয়ে মাছগুলো আগলের রাখার শেষ চেষ্টা করলেও পানির তোড়ের কাছে তারা হার মানে না।

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৭ হাজার ৩৮২ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৮ হাজার ২৫৮টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৮ শত ৪৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৫৬ দশমিক ৮৫ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১৬ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর।

জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় ৯০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৭৫০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৬০ মেট্রিক টন মাছ ও ১৪ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৫ কোটি ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ৪২ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৫১০ হেক্টর।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৯ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২৯টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১০৫ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৭ লাখ ২৫ হাজার মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ৩৫ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ২০ দশমিক ৪৫ হেক্টর।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ হাজার ৭০০ মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ১০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৩৫০ মেট্রিক টন মাছ ও ২২ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৬ কোটি ৯৮ লাখ, পোনার মূল্য ৬০ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩১০ হেক্টর।

জৈন্তাপুর উপজেলার ১ হাজার ৯৫৩ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ৭৫টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ২১ দশমিক ৬০ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩৩৬ দশমিক ০৩ হেক্টর।

কানাইঘাট উপজেলার ২ হাজার ৮০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৩ হাজার ৩০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১১০ মেট্রিক টন মাছ ও ৬ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ, পোনার মূল্য ১৮ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৪০৭ হেক্টর।

জৈন্তাপুর এলাকার এক মাছ চাষী বলেন, পুকুরে মাছ চাষের জন্য ঋণ নিয়েছি। বন্যার শুরুতে পুকুরের চারদিকে ঘের দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বন্যার তোড়ে সব মাছ ভেসে গেছে। একই উপজেলার আরেক মাছ চাষী বলেন, নির্ঘম রাত কাটিয়েও রক্ষা করতে পারিনি স্বপ্নের খামারটি। চোখের সামনেই ভেসে গেছে মাছ।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে তেলাপিয়া, পাঙাশ, কাতল, রুই ও অন্যান্য জাতের মাছ ছিল। আকস্মিক সৃষ্ট বন্যায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মাছের পাশাপাশি পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি ভেসেও সকল পোনা চলে গেছে। এ অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। মৎস্য চাষীদের অনেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন। এখন মাছ ভেসে যাওয়ায় একদিকে সংসার চালানোর চিন্তা, অন্যদিকে ঋণ শোধের চিন্তা। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে মৎস্য ঋণ মওকুফ ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে আগামী দিনে নতুনভাবে মৎস্য চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান মৎস্য চাষীরা।

সিলেট জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সীমা রাণী বিশ্বাস আলাপকালে জানান, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে দেশি মাছের সংখ্যা ছিল বেশি। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে খামারিদের সহায়তা করা হবে।


আরও খবর