আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৭ শতাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত শতাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে এসব টাকা।

দুদকের এমন অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ফয়সাল, তাঁর স্ত্রী ও স্বজনদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাব ও ১৫টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ এবং ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্য, আয়করদাতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি অবৈধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন।

আদালতে করা আবেদনে বলা হয়, আবু মাহমুদ ফয়সাল সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ঘুষ লেনদেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপনের উদ্দেশ্যে শাহজালাল ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখায় তাঁর নিজ নামে বিভিন্ন এফডিআর হিসাব খোলেন।

মেয়াদ পূর্তির পর এফডিআর ভাঙানো টাকা ও নতুন করে নগদ এনে ফারহানা আক্তার, মমতাজ বেগম, মাহমুদা হাসান, খন্দকার হাফিজুর রহমান, কারিমা খাতুনের নামে বিভিন্ন এফডিআর স্কিম খোলেন। পরে ওই অর্থ এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, হজ ফাইন্যান্স এবং সব শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শাখায় ওই লোকজন ছাড়াও আহম্মেদ আলী, আফতাব আলী, শেখ নাসির উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে সাত শর বেশি হিসাব খুলে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ফয়সালের যত সম্পদ

কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার দুটি সঞ্চয়পত্র, তাঁর স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে চারটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা, আফতাব আলীর নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, কাজী খালিদ হাসানের নামে একটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, খন্দকার হাফিজুর রহমানের নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৪০ লাখ টাকা, আহম্মেদ আলীর নামে তিনটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা ও মাহমুদা হাসানের একটি সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে।

ফয়সাল ছাড়া অন্য যাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হয়েছে তাঁরা হলেনশেখ নাসির উদ্দিন, মমতাজ বেগম, রওশন আরা খাতুন, আহম্মেদ আলী, খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ, আশরাফ আলী মুনির, আফতাব আলী তানির, মাহফুজা আক্তার, মাইনুল হাসান, আফসানা জেসমিন, মাহমুদা হাসান ও কাজী খালিদ হাসান। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে আফসানা জেসমিনের নামে ১০ কাঠা জমি, ২০০ বর্গমিটারের প্লট, আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ভাটারা, খিলগাঁও ও রূপগঞ্জে থাকা স্থাবর সম্পদ, আহমেদ আলীর নামে থাকা ফ্ল্যাট ও কার পার্কিংয়ের তিন হাজার ২২৮ বর্গফুট স্থাবর সম্পদ ও মমতাজ বেগমের নামে থাকা ১০ কাঠা জমি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



মোদিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) এক চিঠির মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার (প্রধানমন্ত্রী) পক্ষ থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারকে ১৮তম ভারতীয় লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।

মোদিকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে লেখা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে, আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আপনার বিজয় ভারতের জনগণের আপনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং দেশের জন্য আত্মোত্সর্গের প্রতি আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।

ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশ দুই দেশের জনগণের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করা হয় চিঠিতে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হবে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর তিনটি এবং শেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টার প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। এরপর সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো.জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন মিরপুরের মহতামিম জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন। বেলা পৌনে ১১টার সর্বশেষ জামাতের ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো, আক্তার মিয়া।

পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম। আগামী সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।


আরও খবর



সানভীস বাই তনির শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শোরুম খুলে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (১০ মে) তনির রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন তনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন ও রবিউল আলম বুদু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও অন্যরা।

এর আগে গত ২১ মে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। তখন তনির শোরুম বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করেছিলেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সানভীস বাই তনির পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত প্রধান শাখায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরের দিন অধিদপ্তরের দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানভীস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। ফলে তার অভিযোগটি আমলযোগ্য নয় বলে মনে করেন তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।

অন্যদিকে, রাজু নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে রাজু নামে আসলে কেউ অভিযোগ করেননি বলে দাবি করেছেন তনি। রাজু নামের কারও অভিযোগের জন্য তনিকে কোনো নোটিশ বা শুনানি করা হয়নি বলেও জানান তনি।

এ ছাড়া লুবানার অভিযোগের শুনানি হয় ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক ইন্দ্রানী রায়ের অধীনে।

অন্যদিকে জব্বার মণ্ডল ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক। ইন্দ্রানীর কাছে শুনানি থাকলেও একই সময় জব্বার মণ্ডল সেখানে গিয়ে ভুয়া অভিযোগে দুই লাখ জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা না দিলে অন্যান্য শোরুম বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন বলে রিট পিটিশনে উল্লেখ করেছেন তনি।

এ বিষয়ে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার শোরুম অবৈধভাবে বন্ধ করেছিল। জরিমানা করার পরও শোরুম বন্ধ করে আমার ক্ষতি করা হয়েছে। এজন্য আদালতে এসেছিলাম।

এ বিষয়ে জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, আইন মেনেই সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সে বিষয়ে অধিদপ্তরের আইনজীবীরা কথা বলবেন।


আরও খবর



জাতীয় চা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় চা দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প।’ মঙ্গলবার (৪ জুন) দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস’-এর মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সারা দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সোমবার (৪ জুন) মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৮টি ক্যাটাগরিতে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন চা কোম্পানি বা ব্যক্তিকে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় চা দিবস

আরও খবর



সাংবাদিকরা রাষ্ট্র ও সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করে: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে রয়েছে সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা। তারা সমাজের অগ্রসর অংশ। রাষ্ট্র ও সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচিত করে। সমাজ, রাষ্ট্রসমাজপতি যেদিকে তাকান সেদিকে তাদের দৃষ্টি আবদ্ধ করেন। এমন অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো রাষ্ট্র দেখে না। রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে যারা যুক্ত, তারাও দেখে না। কিংবা সমাজ যারা চালায়, তারাও দেখে না, দেখার প্রয়োজনও মনে করে না। এমন অনেক বিষয় সাংবাদিকরা উন্মোচিত করে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২ বছর পূর্তি উৎসব এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধভাবে করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমন ভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক। ড. হাছান বলেন, আসলে বাংলাদেশে বিএনপি জামাতসহ কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল আছে, আর কিছু গোষ্ঠি আছে, পদ্মাসেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপারে গিয়ে বলে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বলে এসব শুধু বড় লোকের জন্য। এলিভেটেড এক্সপ্রেস দিয়ে কিন্তু পাবলিক বাসও চলে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। আজকে সংসদে প্রায় আট লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠি আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেন না। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না, এই বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য নয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাজেটের আকার গত ১৫বছরে সাড়ে ১১গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠি ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮.৭ শতাংশে নেমেছে। অতিদারিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫শতাংশে নেমেছে।

তিনি বলেন, বাজেট যদি গরীবের উপকারে না আসত, তাহলে দারিদ্রতা ও অতিদারিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অংকে, টাকার অংকে আরো বেশি। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

সভাপতির বক্তব্যে সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্বার্থে এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে আরো নানা উদ্যোগ গ্রহণে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

স্বাগত বক্তব্যে দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ আয়োজন সবার মধ্যে আরো বিশাল উৎসাহউদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। যা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করবে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্টানের বর্তমান অবস্থান। তাদের সন্মাননা জানাতে পেরে আজকের উদ্যোগ স্বার্থক মনে করছি।

সন্মাননা প্রাপ্ত সভাপতিরা হলেন- মতিউর রহমান (সিএসপি), কাজী জালালউদ্দিন আহমদ (সিএসপি), এম. নুরুল ইসলাম, বি.এ. আজাদ ইসলামাবাদী, এম. এ. মালেক, আব্দুল্লাহ আল ছগীর, আতাউল হাকিম, এম. ওবায়দুল হক, মুহাম্মদ ইদ্রিস, আবু সুফিয়ান, আখতার উন নবী, আলহাজ্ব আলী আব্বাস, কলিম সরওয়ার।

সন্মাননা প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- এম. আই. করিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, সৈয়দ শফিকউদ্দিন আহমদ, বি.এ. আজাদ ইসলামাবাদী, নূর সাঈদ চৌধুরী, ওসমান গণি মনসুর, নিজাম উদ্দিন আহমদ, আবু সুফিয়ান, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ফারুক ইকবাল, কলিম সরওয়ার, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, মহসিন চৌধুরী, শুকলাল দাশ, ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।

সন্মাননা প্রাপ্তদের উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে সন্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাদের মধ্যে অভিমত ব্যক্ত করেন- সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, কলিম সরওয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, শুকলাল দাশ ও চৌধুরী ফরিদ। বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শদিউল আলম ও দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জেড এম এনায়েতউল্লাহ।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, লায়ন আলহাজ্ব রফিক আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, হাজী সাহাব উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সহ সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুসহ প্রেস ক্লাবের সদস্যবর্গ।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এরপর শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার রাতে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা ও সন্মাননা প্রদানসহ অনুষ্ঠানমালা শুরু করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার।


আরও খবর