আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বিমানবন্দরে লাগেজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলেই লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী নিজের লাগেজ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে এবং তার লাগেজে থাকা পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য বহন করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

কাস্টমসের নতুন আইন-২০২৩ অনুসারে এমন বিধান রাখা হয়েছে; যা আগামী ৬ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে।

গত ৩০ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাস্টমস আইনের ১৫৪ ধারায় বলা আছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের কাছে তার লাগেজ সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। যাত্রী বা ক্রু লাগেজে রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে লিখিত বা মৌখিক ঘোষণা দিতে পারবেন ও কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। লাগেজ তল্লাশির আগে যাত্রী যদি রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন এবং তল্লাশিকালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে কাস্টমস আইন-২০২৩ পাস হয়। পুরোনো আইনে ২২৩টি ধারা ছিল। নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ ও বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, যেমন- অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও), পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ), ইলেকট্রনিক ঘোষণা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) ইত্যাদি নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী, পণ্যের ক্ষেত্রে অসত্য তথ্য দিলে বা কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার অথবা ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ওই পণ্য-মূল্যের অনধিক তিনগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।


আরও খবর



সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ আচরণ: ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে কিন্তু সরকার এখনো নীরব। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই এমন হচ্ছে। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে সরকার। সীমান্তে হত্যা করলেও পানি না দিলে সরকার কথা বলে না।

ফখরুল বলেন, বেনজীর, আজিজ ও আনারের ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসতে শুরু করেছে। ভাইদের পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠা সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিচার দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধান ডাকাতের মতো সম্পদ অর্জন করেছেন। বর্তমান সরকারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

সরকার পতনের আন্দোলনে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।


আরও খবর



কক্সবাজারের যে সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উদ্বোধন হয়েছে নতুন একটি সমুদ্রসৈকত। যেটির নাম বোরি বিচ। এই বিচ থাকবে প্লাস্টিকমুক্ত ও শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল হবে এই সৈকত। তাই বোরি বিচে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেতে পারবেন না স্থানীয় বাসিন্দারাও।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখালসংলগ্ন উখিয়ার সোনারপাড়ায় এই সমুদ্রসৈকতের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।

মূলত এই সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এজন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়ার ২ দশমিক ৯১ কিলোমিটার সৈকত বোরিকে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এখন থেকে এই সৈকতের দেখভাল করবে বোরি। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা সৈকতেই চালাবেন গবেষণা।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলেন, এই সমুদ্রসৈকত কেবল গবেষণার কাজে আমরা মডেল হিসেবে ব্যবহার করবো। আমাদের পর্যটনের সঙ্গে কোনও কনফ্লিক্ট (দ্বন্দ্ব) নেই। এই সৈকত শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল হবে। এখানে কেউ এসে তাদের বিরক্ত করবে না। সৈকতটি থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং প্লাস্টিকমুক্ত। এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে বোরির।সৈকতের পাশে যে মানুষরা বসবাস করেন, তারাও এতে উপকৃত হবেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও এখানে সম্পৃক্ত করা হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন বলেন, বোরি বিচ সমুদ্রবিষয়ক গবেষণার একটি মডেল হবে। এখানে কীভাবে গবেষণার কাজ চলবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে মহড়ার আয়োজন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিন অ্যাফেয়ারস ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ড. আফতাব আলী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সুন্দরবন প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাছ, বন্যপ্রাণীর বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রম সুরক্ষায় তিন মাসের জন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ঢোকার অনুমতি বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় সুন্দরবনে পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এ সময় মাছ ও কাঁকড়া আহরণও বন্ধ থাকবে।

শনিবার (১ জুন) পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এবং নতুন করে কাউকে প্রবেশ পাস দেয়া হবে না।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, এরআগে সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সুন্দরবনে ঢোকার সব ধরনের পাস। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, জুন থেকে পরবর্তী তিন মাস সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির তাগিদে মন্ত্রী পরিষদ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে তিন মাস সুন্দরবন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে সুন্দরবন তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য নতুন করে কাউকে পাস (অনুমতি পত্র) দেয়া হবে না। একই সঙ্গে বন বিভাগের নিয়মিত স্মার্ট পেট্রোলিং টিম তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে। এবং সুন্দরবনের ভিতরের অফিসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিদিন তাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখবে।’

উল্লেখ্য, সুন্দরবনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম চলছে।


আরও খবর



ফোর্বসের সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় প্রথমে দীপিকা!

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সন্তানের আগমন সব মায়ের জন্য সবসময়ই শুভ। অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের ক্ষেত্রেও তাই। একের পর এক ছবিতে সাফল্যের পর সম্প্রতি ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হিসেবে নাম উঠে এসেছে তার।

কল্কি ২৮৯৮ এডি-এর প্রধান নায়িকা আলিয়া ভাট, কঙ্গনা রানাউত, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে হারিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন দীপিকা। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, তালিকায় কোনো দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রীর নাম নেই।

কে কত টাকা নেন?

IM D b-এর সাহায্যে ফোর্বস দ্বারা সংকলিত একটি তালিকায়, দীপিকা পাড়ুকোন ভারতের ২০২৪ সালের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হিসাবে ঘোষিত হয়েছেন।

জানা গেছে, অভিনেত্রীর বর্তমান পারিশ্রমিক ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা। তালিকায় এরপর রয়েছেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউত৷ এমার্জেন্সি অভিনেত্রী প্রতি সিনেমায় ১৫ কোটি থেকে ২৭ কোটি টাকা নেন। অপর দিকে প্রতি সিনেমায় ১৫ কোটি থেকে ২৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস।

চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ। টাইগার ৩ তারকা প্রতি সিনেমার জন্য ১৫ কোটি থেকে ২৫ কোটি টাকা চার্জ করেন। প্রতি ছবি পিছু ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা ধার্য করে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আলিয়া ভাট।

তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন করিনা কাপুর খান, যিনি প্রতি সিনেমার জন্য ৮ কোটি থেকে ১৮ কোটি টাকা চার্জ করেন। শ্রদ্ধা কাপুর, যিনি ফিল্ম প্রতি ৭ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকা নেন এবং বিদ্যা বালন, যিনি প্রতি ছবিতে ৮ কোটি থেকে ১৪ কোটি পারিশ্রমিক পান বলে জানা গিয়েছে।

২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ সর্বাধিক আয়ের অভিনেত্রীর তালিকায় রয়েছেন অনুষ্কা শর্মা এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রব নে বানা দি জোডি তারকা একটি চলচ্চিত্রের জন্য ৮ কোটি থেকে ১২ কোটি চার্জ করেন, অপরদিকে পোন্নিয়ান সেলভান তারকা প্রতি চলচ্চিত্রের জন্য নেন ১০ কোটি টাকা। দীপিকা ও আলিয়ার হাতে আগামীতে বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের ছবি রয়েছে। দীপিকাকে এই মাসের শেষের দিকে প্রভাস এবং অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে কল্কি ২৮৯৮ এডি-তে দেখা যাবে। এছাড়াও পাইপলাইনে রয়েছে সিংহম ৩ এবং আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র, এমনকি একটি হলিউড চলচ্চিত্রও রয়েছে তালিকায়।

অন্যদিকে, এই বছর আলিয়ার জিগরা মুক্তি পাচ্ছে এবং সঞ্জয় লীলা বনশালীর সঙ্গে আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। রণবীর কাপুর এবং ভিকি কৌশলের সঙ্গে লাভ অ্যান্ড ওয়ার-এও দেখা যাবে তাকে।


আরও খবর



উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-কানাডা

রাত পেরোলেই পর্দা উঠছে কোপা আমেরিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের শুরু থেকেই চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর তার মধ্যে কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের পর ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহরণ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ অথবা ইউরো কাপ। এতে করে ক্রীড়াপ্রেমীরা খুব ব্যস্ত সময়ই পার করছে। এর মধ্যেই আগামীকাল ভোর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো অবকাশ নেই। অনেকের কাছে ফুটবল শুধু একটি খেলাই নয়, এটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ-অনুভূতি। প্রিয় দল জিতলে যেমন উল্লাসে মেতে উঠে তেমনিভাবে প্রিয় দল হারলে চোখ থেকে বেয়ে পড়ে বেদনার অশ্রু। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আসলে ফুটবল নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে কয়েক গুণ। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে, অনেকে বাড়ির আঙিনায় টানান প্রিয় দলের পতাকা। টং দোকানের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, সবখানে হয় ফুটবল কেন্দ্রিক আলোচনা।

চলছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ইউরো। এর মধ্যে আগামীকাল সকালে পর্দা উঠতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা। অনেকের মতো ফিফা বিশ্বকাপের মতো এই টুর্নামেন্টের অবস্থান। তাই তো ফুটবল ভক্তরাও চাতক পাখির মতো মুখিয়ে থাকে এই টুর্নামেন্টের জন্য। কেননা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দেখা যায় ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো এই বঙ্গ দেশে ছড়িয়ে পড়ে সেই রেশ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে তো ইউরোপ-আমেরিকা থেকে প্রিয় দলকে নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাসে মাতেন লাল-সবুজের এই দেশের মানুষরা। গেল কাতার বিশ্বকাপেও নতুন করে যা জেনেছে গোটা বিশ্ব।

এবারের কোপা আমেরিকার আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা এই টুর্নামেন্টের ৪৮তম আসর। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো কোপা আয়োজন করবে দেশটি। প্রথম বারের মতো ২০১৬ সালে কোপা আয়োজন করে দেশটি। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৬টায় মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও কানাডা। ম্যাচটি আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। শক্তি ও অভিজ্ঞতার দিক নিয়ে কানাডার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচে একবারই মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। তাও সেটা এক যুগের বেশি সময় আগে, ২০১০ সালে। সে ম্যাচে কানাডাকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাই বলাই যায় এই ম্যাচের কানাডাকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন স্কালোনির শিষ্যরা।

১৯১৬ সালে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আমেরিকা শ্রেষ্ঠের এই লড়াই। সেবার আসরটি আয়োজন করে আর্জেন্টিনা। ঐ আসরে স্বাগতিকদের ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতে উরুগুয়ে। ১০৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এই দুই দলের শিরোপার সংখ্যা ১৫টি করে। এছাড়াও  কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালে ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছিল আলবিসেলেস্তারা। সেইসঙ্গে এবারের আসরেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার মেসি বাহিনী।

অন্যদিকে গেল আসরে ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও পরিণত হয়ে মার্কিন মুল্লুকে পা রাখেন গেল আসরের রানার আপ ব্রাজিল। তাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের দিকে নজর বোলালে দেখা যায় সেই চিত্র। এছাড়াও চিলি, উরুগুয়ে, পেরু, মেক্সিকোও ছেড়ে কথা বলবে না কাউকে। এছাড়াও এবারের আসরে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়াই করবেন মোট ১৬টি দল। প্রতিটা গ্রুপের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে সেরা আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। এছাড়াও আগামী ১৫ জুলাই ফাইলের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের।

এ-গ্রুপ: আর্জেন্টিনা, কানাডা, চিলি, পেরু

বি-গ্রুপ: ইকুয়েডর, মেক্সিকো, জ্যামাইকা, ভেনিজুয়েলা

সি-গ্রুপ: যুক্তরাষ্ট্র, পানামা, উরুগুয়ে, বলিভিয়া

ডি-গ্রুপ: ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা, কলম্বিয়া


আরও খবর