আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৫শ রানের বিশ্ব রেকর্ড হলো। রোববার (২৬ মার্চ) দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৫১৭ রান হয়েছে। এমন বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এ ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো প্রোটিয়ারা।

সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে বোলিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ১৩৫ রান যোগ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স ও জনসন চার্লস। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৭ বলে ৫১ রান করে ফিরেন মায়ার্স। ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন চার্লস। ৪৭ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে করা ক্রিস গেইলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙ্গেন চার্লস। শেষ পর্যন্ত ১০টি চার ও ১১টি ছক্কায় ৪৬ বলে ১১৮ রানে আউট হন চার্লস।

চার্লসের পর অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল ১৯ বলে ২৮ এবং রোমারিও শেফার্ড ১৮ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন। ১টি চার ও ৪টি ছয় মারেন শেফার্ড। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা ক্যারিবিয়ানদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো জানসেন ৩টি ও ওয়েন পারনেল ২টি উইকেট নেন।

২৫৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ বলে ১৫২ রান তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিক্স। ৩৩ বলেই ১০০ রান তুলে ফেলেন তারা। যা উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ১০২ রান করে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হয় প্রোটিয়ারা। জুটিতে ৪৩ বল খেলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডি কক। শতরানে পা দিয়ে সেখানেই থামেন তিনি। ৪৪ বল খেলে ৯টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন ডি কক।

দলীয় ১৫২ রানে ডি কক ফেরার পর ২৮ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮তে আউট হন হেনড্রিক্স। পরের দিকে রিলি রুশো ৪ বলে ১৬ ও ডেভিড মিলার ১০ বলে ১০ রান করেন। এরপর ৭ বল বাকী রেখে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অবস্মরণীয় জয়ের স্বাদ দেন অধিনায়ক আইডেন মার্করাম ও হেনরিচ ক্লাসেন। মার্করাম ২১ বলে অপরাজিত ৩৮ এবং ক্লাসেন ৭ বলে অপরাজিত ১৬ রান করেন। ২৫৯ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ম্যাচ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ সেরা হন প্রোটিয়াদের ডি কক। 

ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৯ রান করে। সর্বমোট ৫১৭ রান করে দুদল। এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা। আগেরটি ছিলো ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৬ সালে এক ম্যাচে ৪৮৯ রান করেছিলো ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পাকিস্তান সুপার লিগের এক ম্যাচে ৫১৫ রানের রেকর্ডও ভাঙ্গেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা দল। এ ম্যাচে সর্বমোট বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হয়েছে ৮১টি।

যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ড। ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৫টি ছক্কারও বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এরমধ্যে ২২টি ছক্কা ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে। ইনিংসে এক দলের সর্বোচ্চ ছক্কায় আফগানিস্তানের সাথে যৌথভাবে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক এখন ক্যারিবিয়ানরা। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জোহানেবার্গে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।


আরও খবর



মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় হেনস্তা শিকার তনুশ্রী সাহা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় ট্যাক্সি ড্রাইভারের হেনন্তার শিকার হয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহা। তিনি কালারস বাংলার রামকৃষ্ণ সিরিয়ালের অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি শ্যুটিং শেষে বাইক বুকিং করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ড্রাইভার ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করা শুরু করে।

তিনি বলেন, টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে এখন শ্যুটিং চলছে। তাই দেরি হয়ে গেলে আমি ক্যাব বাইক বুকিং করে নিই। যথারীতি গতকাল রাতেও সেটাই করেছি। ড্রাইভার শুরুতেই ১২০-১৩০ বেশি চাইলেন। নিয়মিত এমন বাড়তি ভাড়ার চাপে পড়তে হয়।

তাই আমি সেইভাবেই রাজি হই। কিন্তু গাড়ি স্টার্ট দিতেই বেপরোয়াভাবে চালাতে শুরু করে ড্রাইভার। আমি দু-তিনবার অ্যাক্সিডেন্ট হতে হতেও বেঁচে গিয়েছি। এক সময় আমি বলতে বাধ্য হই, দাদা প্লিজ এভাবে গাড়ি চালাবেন না। আপনার হয়তো বাড়ি ফেরার ইচ্ছে নেই, আমার কিন্তু বাড়ি ফিরতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, এরপরই ফাঁকা রাস্তায় হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে তাকে নামতে বলা হয়।

তনুশ্রী বলেছিলেন, আমি তো এখানে নামব না, লোকেশন যেখানে দেয়া সেখানেই নামব। এরপর তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করে সে বলে তো যাব না, তুই এখনই গাড়ি থেকে নাম। এরপর গাড়ি থেকে নেমে আমায় মারতে আসে। সেই সময় আমি চিৎকার শুরু করি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি কলকাতা পুলিশকে ফোন করি। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে গোটা টিম ওখানে পৌঁছে যায়। এরপর কলকাতা পুলিশ আমায় গাড়ি বুকিং করে দেয়, আমি সাবধানে বাড়ি ফিরি। তবে আমি একটা কথাই বলব, এটা তো প্রতিদিন কারও না কারও সঙ্গে ঘটছে। তাই আমার মনে হয় ভয় পেয়ে কিছু হবে না। প্রতিবাদ করাটা খুব দরকার। তাহলে আশাকরি বোঝানো যাবে কেউ দুর্বল নয়।

নিউজ ট্যাগ: তনুশ্রী সাহা

আরও খবর



দেশের ১১ অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকায় বেড়েছে ২ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১১টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আবার দুই জেলায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকাসহ বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আজ থেকে আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কাল ও পরশু সিলেট ছাড়া দেশের আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ৩টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে যশোরে ৪২ দশমিক ২। এছাড়া ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকা অঞ্চলগুলো হলোরাজশাহীতে আজ ৪২, যা শনিবার ছিল ৪১ দশমিক ৫, চুয়াডাঙ্গায় আজ কিছুটা কমে ৪১ দশমিক ৮, গতকাল ছিল ৪২ দশমিক ৭, ঈশ্বরদীতেও আজ তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৩, শনিবার ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাতক্ষীরায় রবিবার তাপমাত্রা বেড়ে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি হয়েছে, শনিবার যা ছিল ৩৯ দশমিক ৪, কুমারখালী ও মোংলায় আজ ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি। গোপালগঞ্জে আজ ৪০ দশমিক ৬, শনিবার ছিল ৩৮ দশমিক ২, টাঙ্গাইলে আজ ৪০ দশমিক ৩, শনিবার ছিল ৩৬ দশমিক ৬, ফরিদপুর আজ ৪০ দশমিক ২, শনিবার ছিল ৩৮ দশমিক ৪, খুলনায় আজ রবিবার ৪০, শনিবার ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এছাড়া ঢাকায় আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা শনিবার ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সোমবারের (২৯ এপ্রিল) পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবারের (৩০ এপ্রিল) পূর্বাভাস প্রায় একই কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে এবং থাকবে। আজকে আবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে (২৯ ও ৩০ এপ্রিল) সিলেট ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবার এবং জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

রোববার (৫ মে) সকালে ভবনটি উদ্বোধন শেষে নবনির্মিত প্যাথলজির বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন সরকারপ্রধান। পরে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম-সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের অন্যান্য সেক্টরে উন্নয়নের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে লবণবাহী ট্রলার ডুবে অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ বুঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

উদ্ধার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া যায়, তারা হল কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো: মানিক, নূরুল আমিন, মো আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লার দান ট্রলারের মাঝি মো:জিয়া, মো আলী, মো মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, "বার আউলিয়া ট্রলার'র মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। একই সাথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বারআউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আনার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।


আরও খবর