আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়েও একজন গর্বিত কৃষক ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান তিনি। তার রয়েছে আরও একটি পরিচয়, কৃষক। সাত একর জায়গায় তার একটি খামারও রয়েছে। বাগানটিতে রয়েছে দেশি বিদেশি ৩৬ জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গাছ। এছাড়াও রয়েছে, গরুর খামার, মাছের খামার এবং জৈব সারের প্লান্ট।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুলের বাজারে নিজের বাগানে চাষ করা ১৬ কেজি কচুর লতি বিক্রি করছিলেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বাজারে একটি প্লাস্টিকের টুলের ওপর বসে কচুর লতি বিক্রি করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ছবিসহ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। বিষয়টি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। এই সুবাধে গত ৯ বছর ধরে তিনি কৃষিকে ভালোবেসে এই গ্রামেই বাণিজ্যিকভাবে ৭ একর জমিতে কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার।

জানা যায় খামারে রয়েছে, ড্রাগন ফল, মাহালিশা, কিউজাই, ব্রুনাই কিং, বাউ-৪, কাঁচামিঠা, তাইওয়া গ্রিন, কাটিমন, পালমার, মল্লিকাসহ ১০ প্রজাতির আম, চায়না থ্রি, মঙ্গলবারিসহ তিন প্রজাতের লিচু, মিসরীয় শরিফা, স্ট্রবেরি, চেরি, থাই পেয়ারা, আম, লেবু, জাম্বুরা, লটকন, মাল্টা, সফেদা, আতাফল, কদবেল, আমলকী, ডেউয়া, ডুমুর, কাঠবাদাম, জামরুল, থাই জাম্বুরা, লটকন, মল্টা ও কলা ইত্যাদি ফলগাছ।

এছাড়াও মাছের খামারও রয়েছে। পুকুরে দেশি প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়। পুকুর পাড়ে রাজহাঁস আর চীনা হাঁসের ছোট্ট একটি খামারও আছে। মাছের জন্য বাজার থেকে আলাদা খাদ্য কিনতে হয় না। পুকুরপারে একটি শেডে কিছু গবাদি পশুও লালন-পালন করছেন।

দেশের তরুণদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে তাঁর এ প্রচেষ্টা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে দাবি সুশীল সমাজের।

উল্লেখ্য যে, ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলে। বাবার সেনাবাহীতে চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় সেনা নিবাসে বসবাস করতেন তিনি। ২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন। এরপর ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেন তিনি।

বর্তমানে তিনি বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



ভিকারুননিসার ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিলের রায় প্রকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও  প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে অভিভাবকদের করা আবেদনের ওপর নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে। এ বিষয়ে আপিল আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী লিটন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রায়ের ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়, ১৫ দিনের মধ্যে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ভালো ভর্তি প্রক্রিয়া চালু ও জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে একটি অনুসন্ধান কমিটি করতে বলা হয়েছে।

এরও আগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে অভিভাবকদের করা আবেদনে নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে। ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় চেম্বারে বহাল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান।

১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৬ মে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত নো অর্ডার দেন। আদালতে ওইদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মুস্তাফিজুর রহমান খান ও সিনিয়র আইনজীবী এম. সাইদ আহমেদ রাজা।

এর আগে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার (২৬ মে) এ আবেদন করা হয়। ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রিটকারী আইনজীবী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ২১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান। ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ ও আইনজীবী মো. লিটন।

এর আগে ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু দুই শিক্ষার্থীর মা ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এক পর্যায়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে। যেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি উল্লেখ করা হয়।

বলা হয়, ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসময় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগির মাউশিকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে ৬ মার্চ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে ভর্তি বাতিল হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

ওই আবেদনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল হাইকোর্টকে দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল ও অপেক্ষমাণদের ভর্তির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় রুল শুনানি শেষ হয়।


আরও খবর



বিএসএমএমইউয়ে মরণোত্তর দেহদান ও অঙ্গীকারকারীদের সম্মাননা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানবজীবন সত্যিই মহান। এ জীবন হতে পারে কত সুন্দর। মৃত্যুর পরেও এ জীবন আলো ছড়াতে পারে অন্যের জীবনে। হতে পারে অন্যের জীবনী শক্তি, প্রাণের হৃৎস্পন্দন। মরেও অমর হয়ে যায় এই মানবজীবন। এমনই সুন্দর, আলোকিত, অমৃতময় জীবনের অধিকারী গুণী ও মহৎ ব্যক্তিদের মিলন মেলা বসেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের আয়োজনে মরণোত্তর দেহদানকারী ও দেহদানের অঙ্গীকারকারী প্রায় অর্ধশত মহৎ ব্যক্তিদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে আলোকিত মানুষকে নিজ হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও সম্মাননা প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, আজকের দিনে আমি সত্যিই অভিভূত ও আবেগাপ্লুত। এটা আমার জন্য একটি সুন্দর ও মহৎ দিন। আজ আমি এখানে কিছু মহামানবকে দেখছি। আপনারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত আপনারা স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষার কার্যে আপনারা মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক কর্নিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান করেছেন। তাই আজ আমার মনে পড়ছে স্বামী বিবেকানন্দের সেই অমর বাণী জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। মানুষ হিসেবে আপনাদের স্থান অনেক ঊর্ধ্বে। আপনারা সাদা মনের মানুষ। আপনাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা অসীম। মানুষের জন্য শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যারা কাজ করে যায় আপনারা সেই সুন্দর শ্রেণির মানুষ। আপনাদেরকে পেয়ে আমরা সম্মানিত ও গৌরব বোধ করছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, মারা যাওয়ার পরে অনেক মহৎ ব্যক্তি মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এনাটমি বিভাগে দান করে গেছেন। এই দেহটি পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা শিক্ষা এবং গবেষণার কার্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার কর্নিয়া দান করে গেছেন, যেই কর্নিয়াগুলো আবার পরে অন্য মানুষের চোখে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। সেই সব মহৎ ব্যক্তির স্মরণেই আজকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে এমনও অনেক মহৎ ব্যক্তি আছেন যারা দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন। সেই সব ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদক প্রাপ্ত  মনোরঞ্জন ঘোষাল, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিব কৃষ্ণ দাস গুপ্ত (মনু গুপ্ত), রয়েছেন জাতীয় পতাকার অন্যতম মূল নকশাকার প্রয়াত স্বর্গীয় শিবনারায়ণ দাস, রয়েছেন সাংবাদিক ও আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি। তাদেরকে ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আজকের এই আয়োজন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানুর সভাপতিত্বে ও  সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আক্তার সুমির সঞ্চালনায় মহতী এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্যাহ, এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিন, ডা. লতিফা নিশাত, ডা. শাফিনাজ গাজী, ডা. মহিউদ্দিন মাসুমসহ এনাটমি বিভাগের রেসিডেন্টবৃন্দ।


আরও খবর



ঈদে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ১৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। ঈদের ছুটির সময় গ্রাহকের নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসসহ (এমএফএস) সব ডিজিটাল সেবায় নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এসব লেনদেনে কোনোভাবেই গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা চালু রাখা, বুথের কারিগরি ত্রুটি দ্রুততম সময়ে সমাধান করা এবং বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করা, জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহককে সচেতন করতেও ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিত্তিক কার্ড নট প্রেজেন্ট এবং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সব ব্যাংক এবং তাদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে কোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে।


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষা পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।

এবারের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা

২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পদক নীতিমালায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কয়েকটি নতুন পদক সংযোজন করে মোট ১৮ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়ন, আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জন এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি উন্মোচন করা।


আরও খবর



তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে যে আশ্বাস দিলেন মোদি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

নতুন সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিদেশি অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ৭টি নতুন এবং পুরানো ৩টি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ সময় কথা হয় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও।

মোদি আশ্বস্ত করে জানান, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে দ্রুতই ভারতের একটি কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে।

এর আগে স্থানীয় সময় বেলা ১২টার কিছু আগে হায়দরাবাদ হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানান ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ফটোসেশনের পর হায়দরাবাদ হাউজের নিলগিরি বৈঠক কক্ষে একান্ত বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে একান্তে কথা বলেন দুই সরকারপ্রধান।

এরপর হায়দরাবাদ হাউজের গার্নার হলে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। যেখান থেকে দুই দেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। যেগুলোর মধ্যে ৭টি নতুন আর পুরানো তিনটি সমঝোতা স্মারক নতুন করে নবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর কৈলাস হলে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেন। ২০২২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শেখ হাসিনার একাধিকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও দুই দেশেই নতুন সরকার গঠনের পর আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এটিই প্রথম।


আরও খবর