আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বন্যার্তদের সহায়তায় অনন্ত জলিলের বড় ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সিলেট-সুনামগঞ্জে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। পানি ঢুকে গেছে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। এমনকি কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রেও পানি প্রবেশ করেছে। দুই জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। অনেকের ঘরে খাবার নেই। বিশুদ্ধ পানি নেই। দুদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন।

ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র অভিনেতা-প্রযোজক অনন্ত জলিল।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় সবাইকে সাহায্যের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, এবার ঈদুল আজহায় বেশিসংখ্যক গরু কুরবানি দেবেন না তিনি।  মাত্র একটি গরু কুরবানির জন্য রেখে এ জন্য বরাদ্দ বাকি সব টাকা সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেবেন। এ ছাড়া তার নতুন সিনেমা 'দিন: দ্য ডে' -এর আয়ের বড় একটি অংশও বন্যার্তদের পেছনে খরচ করবেন। সিলেটের বন্যার ভয়াবহতার কারণে এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১০-১২টা গরু কুরবানি না দিয়ে শুধু ১টা বা দুটি গরু কুরবানি দেব। এই কুরবানির যত টাকা আছে তা দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াব। শুধু কুরবানির টাকাই নয়, আমার ব্যবসার টাকা এবং আমি যে মুভি (দিন: দ্য ডে) মুক্তি দিচ্ছি, সেটি থেকেও টাকা আসবে সব কিছু দিয়েই সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ।

এর পর এ তারকা বলেন, যখন যেখানে দুর্যোগ হয়, আমি পাশে দাঁড়াই। আমাদের যাদের অর্থ-কড়ি আছে, আমরা কেউ টাকা কবরে নিয়ে যেতে পারব না। আমরা যেটি আয় করি, সেটি মানুষের কাজে খরচ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ আপনি-আমি একদিন পৃথিবীতে থাকব না। আমরা নিজেরা ভোগ না করে, যদি মানুষের কল্যাণে টাকা খরচ করতে পারি, তা হলে আল্লাহ আমাদের এই দান কবুল করবেন। মরার পর আমাদের পাশে মানুষের দোয়া ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। যে যতটুকু পারেন মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলে একটু একটু করলেও তাদের অনেক সহায়তা হবে।

নিউজ ট্যাগ: অনন্ত জলিল

আরও খবর



নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হলো নেদারল্যান্ডস। এতে ২৫ রানের জয় পেলো বাংলাদেশ। সেই সুবাদে সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা জোরালো করলো টাইগাররা।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তাসকিন আহমেদের শিকার হন মাইকেল লিভিট। পরের ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে ফেরেন ম্যাক্স ও'ডাইউ। তাতে ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।

এই অবস্থায় হাল ধরেন সাইব্রান্ড এনগেলব্রখট ও  ডি লিড। চতুর্থ উইকেটে ৪২ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা। ফলে ১৪ ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৪ রান। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ।

সেই পরিস্থিতিতে দলকে স্বস্তি এনে দেন রিশাদ হোসেন। ১৫তম ওভারে দুটি উইকেট তুলে নিলেন তিনি। ২২ বলে ৩২ রান করা সাইব্রান্ডকে তানজিমের ক্যাচ বানান। আর স্টাম্পড আউট করেন ডি লিডকে।

১৭তম ওভারে ১ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্কট এডওয়ার্ডসকে (২৩ বলে ২৫) জাকির আলির ক্যাচ বানান তিনি। দলের জয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ব্যাক-টু-ব্যাক বোলিংয়ে এসে আবারও উইকেট লাভ করেন রিশাদ। লোগান ফন বিককে নিজের ক্যাচ বানান। সর্বশেষ টিম প্রিংলেকে ফেরান তাসকিন। এতে ২০ ওভারে ডাচরা তুলতে পারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান।

এর আগে সেন্ট ভিনসেন্টে টস হেরে ব্যাট করে নেমে সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশ। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি। সূচনাতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওভারেই আরিয়ান দত্তকে রিভার্স সুইপ খেলে ক্যাচ দেন তিনি।

সেই রেশ না কাটতেই আরিয়ানের দ্বিতীয় শিকার হন লিটন দাস। সুইপ খেলে স্কয়ার লেগে এনগেলব্রেখটের দুর্দান্ত ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে সাকিবকে নিয়ে ৩২ বলে ৪৮ রানের দারুণ জুটি গড়েন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ২৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে। পল ফন ম্যাকেরেনের বলে ডি লিডের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি ব্যাটার।

এদিন ভালো করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। ১৫ বল খেলে করেন মাত্র ৯ রান। টিম প্রিংলের বলে স্টাম্প ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটার।

পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঝলক দেখান। ২ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ২১ বলে ২৫ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ফন ম্যাকেরেনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। তবে দুর্দান্ত ব্যাট করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ৪৬ বলে ৬৪ রানের চোখজুড়ানো ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডার। তার সঙ্গে ৭ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জাকের আলি।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আরিয়ান ও ম্যাকেরেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ২ উইকেট নেন তাসকিন। ম্যাচসেরা হন সাকিব।


আরও খবর



এনবিআর সচিব ফয়সালের শ্বশুর-শাশুড়ির নামে ১৮ ব্যাংক হিসাব

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা জমা এবং পরে তার বড় অংশ উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

আদালতে জমা দেওয়া দুদকের নথি থেকে জানা যায়, ফয়সালের শ্বশুরের নাম আহম্মেদ আলী। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তার শাশুড়ি মমতাজ বেগম পেশায় গৃহিণী।

দুদক বলছে, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামের ব্যাংক হিসাবে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা ফয়সালেরই অপরাধলব্ধ আয়। ফয়সাল ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নিজের ও স্ত্রীর নামে রাখার পাশাপাশি স্বজনদের নামেও রেখেছেন।

দুদক আরও বলছে, ফয়সাল ও তার ১১ স্বজনের নামে ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তার শ্বশুর-শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে।

দুদক আদালতে জানিয়েছে, ফয়সাল তার অপরাধলব্ধ আয় লুকানোর জন্য স্বজনদের নামে ৭০০টির মতো ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন। এর মধ্যে ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে দুদক।

জানা গেছে, ফয়সাল ২০০৫ সালে বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে এনবিআরের আয়কর বিভাগের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে সংস্থাটি।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠার প্লট জব্দ এবং ৮৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।

দুদকের নথিতে ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন, ফয়সালের ভাই কাজী খালিদ হাসান, শ্বশুর আহম্মেদ আলী, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, শ্যালক আফতাব আলী, খালাশাশুড়ি মাহমুদা হাসান, মামাশ্বশুর শেখ নাসির উদ্দিন, আত্মীয় খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ ও রওশন আরা খাতুনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আদালতে জমা দেওয়া দুদকের তথ্য বলছে, ফয়সালের নামে ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা জমা হয়। ফয়সালের স্ত্রী আফসানা জেসমিনের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ফয়সালের শ্বশুর আহম্মেদ আলীর আটটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তার নামের আটটি ব্যাংক হিসাবের দুটি ২০০৭ ও ২০১০ সালে খোলা। বাকিগুলো খোলা হয় ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি টাকা জমা হয়। তার নামের ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে একটি ২০০৯ সালে খোলা হয়। বাকিগুলো খোলা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শ্যালক আফতাব আলীর ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জমার তথ্য পেয়েছে দুদক।

বিভিন্ন সময়ে এসব টাকা জমা হয়েছে। পরে তার বড় অংশ তুলে নেওয়া হয়েছে। জমা ও উত্তোলনের পর ফয়সাল, তার স্ত্রী, শ্বশুর ও তার স্বজনদের ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে রয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। তাদের নামে রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।


আরও খবর



২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূর করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, যক্ষ্মা এমন একটা ব্যাধি যা শুধু আমাদের দেশ নয়, বৃহত্তরভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করছে। বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটির বেশি মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। যক্ষ্মা দূরীকরণে মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আজ রবিবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল ফোরামের যক্ষ্মা রোগের অবসান ঘটাতে মাল্টিসেক্টরাল ও মাল্টিস্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিতার অগ্রগতি শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল ফোরামের উদ্বোধনীতে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। আমাদের জ্ঞান, কৌশল এবং সম্মিলিত ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এই লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. সায়মা ওয়াজেদ ভিডিও বার্তায় যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে তার মূল্যবান বক্তব্য ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টি. কাসিভা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা প্রমুখ।


আরও খবর



ঈদের পর মন্ত্রিসভায় রদবদলের আভাস, বাড়তে পারে আকারও

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে। একই সঙ্গে জোর গুঞ্জন রয়েছে বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার বৃদ্ধির। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে চলছে আলোচনা।

মন্ত্রিসভার কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতা এবং ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, মন্ত্রিসভার আরেক দফা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। ঈদুল আজহার পর এ প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েকজন নতুন মুখ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কয়েক নেতার নামও রয়েছে। এর বাইরে অর্থ, পরিকল্পনাসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে রদবদল হতে পারে। তাতে বর্তমান মন্ত্রিসভার কারও কারও পদোন্নতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পায় আওয়ামী লীগ।

১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরপর ১ মার্চ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাতজন। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ বর্তমান মন্ত্রিসভা দাঁড়ায় ৪৪ জনে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ মন্ত্রী ও ১৮ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী আছেন দু’জন।

অবশ্য সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাচ্ছেন, তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। জানতে চাইলে দায়িত্বশীল নেতাদের প্রায় সবাই একবাক্যে বলেছেন, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ কিংবা রদবদলের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঈদুল আজহার পর মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীই এটি গঠন করবেন। অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন, জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের পরে মন্ত্রিসভায় অদল-বদল হতে পারে।

সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বর্ষীয়ান এই দুই নেতা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় সামলাতে দক্ষতার পরিচয় দিলেও, বয়সজনিত কারণে তাদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। ওই দুই মন্ত্রণালয় থেকেই দায়িত্বশীলরা অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আসবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। বিশেষ করে দলের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষপদে থাকা ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’জনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে কেউ বাদ পড়ছেন না। তারপরও মন্ত্রিসভার কারও কারও মধ্যে এক ধরনের দুশ্চিন্তা কাজ করছে। আবার প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ পেতে পারেন পদোন্নতি। অন্তত একজন প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি সম্ভাব্য সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নাম শোনা গেলেও, উড়িয়ে দিচ্ছে না নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ ছাড়া নতুন কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নীতিনির্ধারক নেতারা জানিয়েছেন, বর্ধিত মন্ত্রিসভায় ক্লিন ইমেজ ও অভিজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। দলের ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রাধান্য পেতে পারেন। তবে প্রবীণ ও তারুণ্যের সমন্বয় রাখা হলেও এগিয়ে থাকবেন একাধিকবার নির্বাচিত এমপিরা।

২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম সংসদের মতো ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বার সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। দ্বাদশ সংসদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের রেকর্ড গড়েছেন।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলবে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার নিশ্চিত করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের আগে ও পরে মোট ৬ দিন জরুরি ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ছোট-বড় ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস, নৌপথে লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানসমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকল্পে ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

সমন্বয় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, পশুবাহী ট্রাক, জরুরি সেবা ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সকল পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান নিয়ে ঈদের আগে ১৪ জুন থেকে ঈদের পরে ২০ জুন পর্যন্ত মোট ৬ দিন ফেরি পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতে সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ১২ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়াগামী লঞ্চে কোনো প্রকার মালামাল বহন করা যাবে না এবং ১৮ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়াগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে মালামাল বহন করা যাবে না। ঈদযাত্রায় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। ঘাট এলাকায় বাসের ভাড়ার মূল্য তালিকার চার্ট টানিয়ে দিতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার বলেন, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম থাকবে না। পশুবাহী ট্রাক যাতে নির্বিঘ্নে পার হতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা বলেন, আসন্ন ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ১৮টি ফেরি এবং ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। দৌলতদিয়া প্রান্তের ঘাট সচল থাকবে ৩টি।

সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্দু চন্দ্র বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহউদ্দিন, রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন, লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি জুয়েল রানা, রাজবাড়ী জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান হাসান, রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ফরিদ উদ্দিন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার ডা. মো. নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ অন্যান্যরা।

এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সভাপতিত্বে এ সময় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ হোসেন, সদর থানার ওসি (তদন্ত) এসরাকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, বিআইডব্লিউটিসির প্রতিনিধি, সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রতিনিধি, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর