আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বুধবার থেকে চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের পাইকারি কাপড়ের বৃহৎ আড়ত হিসেবে পরিচিত বঙ্গবাজার আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। ঈদের আগে ভয়াল এই আগুনে নিঃস্ব হয়ে গেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় ঈদের আগে যেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সেখানে কিছুটা হলেও ব্যবসা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

বঙ্গবাজারে আগামী বুধবার নাগাদ ব্যবসা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস

রোববার বিকালে নগর ভবনে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমরা আশা করছি- আগামী মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন তারা (ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা) সেখানে চৌকি বসিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করব। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশন করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

এ সময় তিনি বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সব মহল থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, এরই মাঝে ২ কোটি টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আমাদের করপোরেশন সভা আছে। সেখানে আমরাও সিদ্ধান্ত নেব। আমরাও এই তহবিলে অংশগ্রহণ করব, যাতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসিত হতে পারেন।

গত ৪ এপ্রিল সকাল সোয়া ৬টায় দেশের পাইকারি কাপড়ের বৃহৎ আড়ত হিসেবে পরিচিত বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। এই আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশের এনেক্সকো টাওয়ারসহ অন্তত ৭টি মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে ওইদিন দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় সম্পূর্ণ অগ্নিনির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



কক্সবাজারে খাল থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া এলাকার একটি চিংড়ি ঘের থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতেরা হলেন খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া গ্রামের মো: জামালের ছেলে আব্দুল খালেক এবং আবু তাহেরের ছেলে মো: ইয়াসিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকায় লাশ দুটি দেখতে পেলে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের টিম লাশ দুটি উদ্ধার করে। এ সময় খুরুস্কুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন এসে লাশ শনাক্ত করে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী জানান, তাদের দুজনের শরীরে মারধর ও বৈদ্যুতিক শর্টের দাগ রয়েছে।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন চিংড়ির ঘেরে মাছ শিকার করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। চিংড়ি ঘেরের মালিকের লোকজন মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাকিবুজ্জামান জানান, তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।

রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


আরও খবর



ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ায় সাংবাদিক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি পোষ্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেবাশীষ মন্ডল আশিষ নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মনিন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে দেবাশীষ মন্ডল দৈনিক কালাবেলা পত্রিকার নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।

রবিবার দুপুরে গ্রেফতার দেবাশীষকে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে দেবাশীষকে স্বরূপকাঠি পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার দেবাশীষ শনিবার তার (দেবাশীষ মন্ডল-দৈনিক কালবেলা) নামক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি দিয়ে একটি স্টাটাস পোষ্ট দেয়। মুহুর্তের মধ্যে ওই পোস্টের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকায় ব্যপক নিন্দা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এলাকার আলেম সমাজ ওই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে জাতীয় ইমাম সমিতি নেছারাবাদ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী ফাউন্ডেশন নেছারাবাদ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান, ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গকরে ফেসবুকে এমন কটুক্তি ও উসকানি মূলক স্টাটাসের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আইনের মাধ্যমে দোষীর শাস্তি দাবী করছি।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার দেবাশীষকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।


আরও খবর



ননস্টিক পাত্র কী স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রান্নাঘরেই ননস্টিক পাত্রে রান্না করা হয়। মূলত রান্নার কাজকে সহজ করার জন্যই রাঁধুনিদের পছন্দ এটি। তবে এসব পাত্রের ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এর কারণ মূলত প্রচলিত ননস্টিক পাত্র তৈরি করার সময় এমনকিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেটার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেই বিপদ। তাই প্রচলিত ননস্টিক পাত্র ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইটহেলথলাইনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ননস্টিক পাত্রের বিভিন্ন তথ্য। 

প্রচলিত ননস্টিক পাত্রে পার অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) ব্যবহার করা হয়। কিছু বিশেষ রাসায়নিক উপাদানকে সংক্ষেপে পিএফএএস বলা হয়। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফরএভার কেমিক্যাল

কয়েক বছর আগে ননস্টিক পাত্রে যে ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হতো, তার নাম ছিল পার ফ্লুরো অক্টানয়িক অ্যাসিড। সংক্ষেপে এর নাম পিএফওএ। ২০১৫ সালের আগে ননস্টিক পাত্র তৈরি করা হতো পিএফওএ দিয়ে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)-এর হস্তক্ষেপে সেই উপকরণ বদলে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো ভিন্ন ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হচ্ছে আর তাতেও কাছাকাছি ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়।

পিএফএএস-এর কারণে কিডনির ক্যানসার, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্যসহ কিছু রোগের ঝুঁকি আছে বলে জানা যায়। আগেকার দিনের সেই পিএফওএ ব্যবহারে এসবের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ আর থাইরয়েডের সমস্যার ঝুঁকিও ছিল। অন্যদিকে পরিবেশের নানা জায়গাতেই পিএফএএস ছড়িয়ে আছে তাই যদি কেউ এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরেন তবে কেবল ননস্টিক পাত্রকে সরাসরি দায়ী করতে পারবেন না।

রান্নার পাত্রের কারণে বাড়তি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবারে সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক: 

পাত্রের ননস্টিক স্তরটা ক্ষয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে ওই পাত্র আর ব্যবহার করা যাবে না।

অত্যধিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়, এমন চুলায় ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করবেন না।

ননস্টিক পাত্র খালি থাকা অবস্থায় তা গরম করবেন না।

যদি আপনি রান্নাঘর থেকে ননস্টিক পাত্র বিদায় করতে চান আর রান্নাও সহজে করার পথ খুঁজেন তবে বিকল্প হিসেবে সিরামিক বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এসব পাত্রে  বাড়তি কোনো কোটিং বা স্তর থাকে না তাই যেভাবে ইচ্ছা রান্না করতে পারবেন। 


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর