আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

চীন থেকে কার্যক্রম সরিয়ে নিয়েছে আরো বেশি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে উঠছে বলে মনে করছে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান বিকল্প পথে হাঁটছে। নতুন একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আরো বেশি বিদেশী প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম চীন থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সংস্থাগুলো প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও ভারতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এ তথ্য তুলে ধরছে যে কীভাবে বেইজিংয়ের কঠোর জিরো কভিড নীতি বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় দেশটির সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। ভিয়েতনামের ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) চীনে থাকা ৪১ শতাংশ ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান কিছু কার্যক্রম চীন থেকে ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। এ হার তৃতীয় প্রান্তিকের ১৩ শতাংশ থেকে বেড়েছে।

চেম্বার অব কমার্সের সমীক্ষায় দুই শতাধিক ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত ছিল। জরিপে দেখা গেছে, এ সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে ভিয়েতনামে কোনো কার্যক্রমই সরিয়ে নেয়নি এমন ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের হার ৭৬ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশে নেমে এসেছে। ভিয়েতনামের ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান অ্যালাইন ক্যানি বলেন, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে চীনে ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা আরো স্থিতিশীল ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগের শর্ত চেয়েছিল। সরবরাহ ব্যবস্থাকে বৈচিত্র্যময় করার চলমান প্রচেষ্টা এবং একক কোনো দেশের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হওয়ার মতো বিষয়গুলো ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারী এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।

তিনি আরো বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চীন নিজেকে বিশ্বের উৎপাদন শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই জায়গা থেকে বিশ্বের বহু প্রতিষ্ঠান চীনে বিনিয়োগকে আকর্ষণীয় হিসেবে দেখে এসেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। তাছাড়া ইউরোপীয় ব্যবসায়ের বর্তমান প্রবণতায় ভিয়েতনামে চলে যাওয়া তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ এটি বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ও নীতির একটি সুস্পষ্ট পরিবর্তন নির্দেশ করে।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত পৃথক একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, করোনা মহামারীর পর নতুন বাস্তবতায় চীনে থাকা বিদেশী প্রতিষ্ঠানের বড় একটি অংশ বিকল্প অনুসন্ধান করছে। জার্মান অনলাইনভিত্তিক কনটেইনার লজিস্টিকস প্লাটফর্ম কনটেইনার এক্সচেঞ্জ ২০টিরও বেশি দেশের ২ হাজার ৬০০ প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ চালিয়েছে। এরমধ্যে ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান চীনের কভিডজনিত বিধিনিষেধের পর ম্যানুফ্যাকচারিং ও উৎপাদনের বিকল্প বিবেচনা করছে। এক্ষেত্রে সংস্থাগুলো ভিয়েতনাম ও ভারতকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেখছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠান চীন ছাড়লেও বিশ্বের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চীনের প্রভাব কমার আশঙ্কা নেই। তবে ম্যানুফ্যাকচারিং ও উৎপাদন খাতের সংস্থাগুলো ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বৈচিত্র্য আনবে এবং দেশে দেশে কার্যক্রম ছড়িয়ে দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামালের উৎস দেশ হিসেবেও চীনের বিকল্প খুঁজছে। কনটেইনার পরিবহন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, চলতি বছরও বৈশ্বিক উৎপাদনে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। তবে আমরা উৎপাদনক্ষমতা ও দক্ষ জনশক্তির জন্য কেবল চীনের ওপর নির্ভরশীল শিল্পগুলো থেকে ধীরে ধীরে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরে যেতে দেখব। ভিয়েতনাম ও ভারত ২০২৩ সালে কার্যকরী কনটেইনার শিপিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বৈশ্বিক শিপিং শিল্পের বিদ্যমান বিন্যাস পরিবর্তন হবে বলেও মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সমীক্ষা অনুসারে, জরিপে অংশ নেয়া সামান্য কিংবা মাঝারি আকারে কার্যক্রম স্থানান্তর করা প্রতিষ্ঠানের হার ১৩ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে সরিয়ে নেয়া প্রতিষ্ঠানের হার বেড়েছে ২ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে অন্ধকার দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও ইউরোপীয় ব্যবসাগুলোর চীন থেকে ভিয়েতনামে কার্যক্রম স্থানান্তর করার হার বাড়ছে। ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক আস্থা আরো খারাপ হয়েছে। উত্তরদাতাদের একটি অংশ জানিয়েছে, তারা বিশ্বাস করে যে ভিয়েতনামি অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে।

নিউজ ট্যাগ: চীন

আরও খবর



মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

টানা তৃতীয় বারের মতো বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট বিজয়ী হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।

এ সময় নরেন্দ্র মোদি ভারতের নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনার (নরেন্দ্র মোদি) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণে এনডিএ’র এই বিজয় সম্ভব হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভারত ও তার জনগণ বিশ্ব অঙ্গনে আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যেকার সৌহার্দ্যপূর্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট জয়লাভ করায় বুধবার এক চিঠিতে মোদিকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণ ও তার পক্ষ থেকে এই শুভেচ্ছা জানান তিনি।

মঙ্গলবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হয়। নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে জয়ী হয়েছে ২৪০টি আসনে। তাতে অবশ্য সরকার গঠনে সমস্যা হবে না দলটির। কারণ বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ভুক্ত দলগুলো সম্মিলিতভাবে জয়ী হয়েছে মোট ২৯৩টি আসনে। ফলে অনায়াসেই সরকার গঠন করতে পারবে বিজেপি।


আরও খবর



মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে ২৪৫০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা এবং কারিগরির জন্য ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। সে হিসেবে নতুন অর্থবছরে ২ হাজার ৪৫০ কোটি বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। যা চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৫৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির হার ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ সৃজনের লক্ষ্যে দেশের ১৬০টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান সরঞ্জামাদি এবং ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিগত কয়েক বছরে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ যা ২০২২ সালে ১৮.১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩টি নতুন মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে এবং ৪৯৫টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন করা হয়েছে।


আরও খবর



সিগন্যালে ত্রুটি, বন্ধ মেট্রোরেল চলাচল

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এমআরটি লাইন-৬ এর সিগন্যালিং সিস্টেম ফেল করায় হঠাৎ করে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একটি ট্রেন সচিবালয় স্টেশনে আটকা পড়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ট্রেন কাছাকাছি স্টেশনে আটকে আছে। এতে বহু যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই মুহূর্তে লাইনে ১০টি ট্রেন আটকে আছে। মূলত মেট্রোরেল সিগন্যালিং সিস্টেম ফেল করার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। সিগন্যালিং সিস্টেম ছাড়া ট্রেনগুলো আনা যাবে, তবে সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে সূত্রগুলো জানায়, সিগন্যালিং সিস্টেমের সঙ্গে টেলিকম সিস্টেমেরও ঝামেলা দেখা দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার এই মুহূর্তে লাইনে আছে। সমাধান হওয়া মাত্রই চালু হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাত্রীদের দেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্টেশনে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের তাড়া রয়েছে তারা নিচে নেমে বিকল্প ব্যবস্থায় যেতে পারেন। আর যারা টিকিট সংগ্রহ করেছেন, তারা কাউন্টারে ফেরত দিয়ে টাকা নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আমাদের অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারে যে ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুৎ যায়, সেটির লাইন অফ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কোনো সিগন্যাল পাঠানো যাচ্ছিল না আমাদের স্টেশনগুলোতে। এখন যাত্রীদের সেফটির জন্য সেটা রি-ইন্সটল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যতদূর জানি কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। যদি সিগন্যালের কারণে কন্ট্রোল করা না যায় তাহলে কোনো এক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নিরাপত্তার জন্য মেট্রোরেল বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও খবর
ঈদের পরে নতুন সময়ে চলবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরগুনার পাথরঘাটায় দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসেন ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবিরের সমার্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রার্থীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে উন্নাত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে আহতদের পক্ষে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির সংবাদ সম্মেলনে করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় ও পরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনা ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আল মামুন।

বরিশালের চিকিৎসাধীন হলেন, মোঃ রাকিব (২৮), তানভীর আহম্মেদ (৩৩), সবুজ গাজী (২৭), ফয়সাল আহম্মেদ (২৮), চয়ন (১৮), আহাদ হাওলাদার (১৬), তানভীর (১৭), শাহ আলী (২৯), সোলাইমান (২৮), সানি (১৬), ইউসুফ (২৮), ইফতি (১৯)। এরা সবাই কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবিরের সমার্থক। এছাড়া আরও আহত হয়েছেন দেয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইন ও তার সমর্থক সানি (২০)।

আটককৃতরা হলেন, মোঃ নাইমুল ইসলাম-(২১), মোঃ মনির হোসেন-(৩০), মোঃ হাবিবুর রহমান-(২৫), মোঃ মিজানুর রহমান-(২৫), মোঃ ইব্রাহিম -(২৫), মোঃ শাহাদাত হোসেন-(২৪), মোঃ আবু মুসা-(২৬), মোঃ শান্ত -(২৩), মোঃ খোকন মিয়া-(৩৮)। এরা সকলেই দেয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইনের সমর্থক।

সংবাদ সম্মেলনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির অভিযোগ করেন, কাপ-পিরিচ প্রচারণা চলাকালে দোয়াত-কলম সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ও হতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা সমাধান করে দেয়। এর পরপরই এনামুল তার লোকজন নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত ভাবে সশস্ত্র হামলা চালায়। আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে পুনরায় অতর্কিত হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, এ হামলার পিছনে কলকাঠি নাড়ছে দেয়াত-কলম এর প্রার্থী এনামুলের ভাই এএসপি নাজমুল ও সাবেক এমপি শওকাত হাসানুর রহমান রিমন। অভিযোগের বিষয় দেয়াত-কলম এর প্রার্থী এনামুল হোসাইনকে একাধিক বার ফোন দিলেও সে রিসিভ করেন।

এ বিষয় পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সন্দেহজনক ৯ জনকে আটক করা আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত মামলা না করেনি। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাথরঘাটা

আরও খবর



ডিমের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এক যুগের বেশি সময় ধরে মুরগির ডিম উৎপাদন করছেন ঢাকার ধামরাই এলাকার বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন। তার খামারে মুরগির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে একেকটি মুরগির পেছনে দৈনিক ৭ থেকে সাড়ে ৮ টাকা ব্যয় হয় তার। তবে ডিমপ্রতি ১ টাকা লাভ ধরে খামারি পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯ টাকা দরে। যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকায়।

সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা প্রায় চার কোটি। যার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় সাড়ে চার কোটি ডিম। তবে খামারিরা ১ টাকা লাভে সাড়ে ৯ টাকা দরে ডিম বিক্রি করলেও রাজধানীর বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকা দরে। বাড়তি এই ৩ টাকা যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

সুলতান উদ্দিন বলেন, আমরা যারা উৎপাদন করি, তারা আসলে ন্যায্যমূল্য পাই না। আবার যারা ক্রেতা, সাধারণ মানুষ তারাও কিন্তু চড়া মূল্যেই ডিম কিনে। মাঝখানে যারা ব্যবসায়ী তারাই এতে লাভবান হচ্ছে।

গেলো বছর লাগামহীন পণ্যমূল্যের আলোচনায় বাড়তি অস্বস্তি যোগ হয় মুরগির ডিমের দামের ঊর্ধ্বগতিতে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিম আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বাজারে আসে প্রায় ৬২ হাজার ভারতীয় ডিম। তবুও গেলো কয়েক মাসে ডিমের দামের সূচক উঠানামা করে ঠিকই। এরমধ্যেই সপ্তাহখানেক আগে থেকে নতুন করে ভোক্তাদের মধ্যে দাম নিয়ে অস্বস্তি শুরু হয়েছে। কারণ, খোলাবাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে তো অনেক ফার্ম আছে। তারা যদি ডিম সরবরাহ করে তাহলে তো এমনিতেই ডিমের দাম কম থাকা উচিত। অপরজন বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষক দাম পাচ্ছে না, মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম পাচ্ছে- এমন ঘটনাই ঘটছে। ক্ষুব্ধ আরেক ক্রেতা বলেন, সরকার তো কোনো পদক্ষেপই নেয় না। ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিমের চাহিদার তুলনায় যোগান কম। আবার মধ্যস্বত্বভোগীদের কৃত্রিম কারসাজিও রয়েছে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহ বলেন, খামারি কত পাবে, আমরা আড়তদাররা কততে নিয়ে আসবো, যারা ক্রেতা তারা কততে ডিম নিতে পারবে- এসবের জন্য একটা সিস্টেম করা উচিত। প্রকৃতপক্ষে কিন্তু এরকম কোনো প্রক্রিয়া নেই। দেশের বাজারে চাহিদা নেই, বাজার কমছে, খামারি লোকসান গুনছে।


আরও খবর