আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ছাত্রদলের ঢাকা মহানগরের ৮টি ইউনিটে নতুন কমিটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সংগঠনের সুপার ইউনিট খ্যাত আটটি ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মঙ্গলবার (১০ মে) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ জুয়েল নতুন কমিটিগুলো ঘোষণা করেন।

এই ৮ টি ইউনিট হলো- ঢাকা মহানগর উত্তর ও পশ্চিম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।

* ঢাকা মহানগর উত্তর: সভাপতি মো. মেহেদী হাসান রুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রাজিব হোসেন, সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল বাবু, যুগ্মসম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম (মনির), রবিউল ইসলাম রবি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর আহমেদ বাবু।

* ঢাকা মহানগর পশ্চিম: সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নাসির, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম রানা, সহ-সভাপতি গোলাম মাওলা গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, যুগ্মসম্পাদক মো. মঞ্জুরুল হাসান ইফাত ও আতিক মোহাম্মদ হাবীব চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিন খান।

* শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: সভাপতি আহমেদুল কবীর তাপস, সিনিয়র সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারিক, সাধারণ সম্পাদক বি.এম. আলমগীর কবীর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন।

* ঢাকা কলেজ: সভাপতি শাহিনুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন রাসেল, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেল, ইব্রাহিম কার্দি, পিয়াল হাসান, সিরাজউদ্দিন বাবু, মেসকাত হোসেন তয়ন, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মৃধা, সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, যুগ্মসম্পাদক শাহাবউদ্দিন ইমন, আবু রাসেল ভূঁইয়া, মাহফুজুর রহমান খান, মাহিবুর রহমান টিপু ও মামুনুর রহমান মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ইসরাক, প্রচার সম্পাদক ইমরান হোসেন রাজ এবং দপ্তর সম্পাদক তানভীর আহমদ মাদবর।

* সরকারি তিতুমীর কলেজ: সভাপতি আরিফুর রহমান এমদাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান লিপকন, সহ-সভাপতি‌ আরিফুল ইসলাম মোল্যা, সেলিম রেজা, জসিম উদ্দিন মুন্সি রানা, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মিরাজ আল ওয়াসী, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও শাহিন আল মাহমুদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হামদে রাব্বি আকরাম।

* কবি নজরুল সরকারি কলেজ: সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, সিনিয়র সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম, সহ-সভাপতি রোমান আহমেদ, মুজিবুল হক রিপন, মো. শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন, সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক কে এম সিরাজুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক লিখিল চন্দ্র শ্রাবণ, কামরুল ইসলাম কানন, শওকত হোসেন সৈকত ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান।

* তেজগাঁও কলেজ: সভাপতি মো. ফয়সাল দেওয়ান, সিনিয়র সহ-সভাপতি শামীম পালোয়ান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল সোহাগ, তরুন মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন খান, সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক এইচ এম মুনকির হোসেন সাগর, যুগ্মসম্পাদক মো. সেলিম হোসেন, সাদ্দাম হোসেন অনিক, হাসান মাহমুদ, এস আই জুয়েল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী ও দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান নাঈম।

* সরকারি বাঙলা কলেজ: সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বিপ্লব, সিনিয়র সভাপতি মোকলেছুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রদিপ কুমার হাওলাদার, তারিকুল ইসলাম তারেক, তানভীর মাহমুদ পাপ্পু, হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন সোহাগ, সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক মেহেদী হাসান মিলন, যুগ্মসম্পাদক মেহেদী হাসান সালাম, সোহাগ মাহমুদ, রিয়ান জোয়াদার, মো. শরীফুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রেজা।

নতুন কমিটিগুলোকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



মিয়ানমার আগ্রাসনে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন, দ্বীপে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে তিনদিন ধরে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের ওপার থেকে বারবার গুলি ছোড়া হচ্ছে এ রুটের ট্রলার ও স্পিড বোট লক্ষ্য করে। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির। রবিবার (৯ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তিন দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিড-বোট চলাচলও বন্ধ। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সংকট হয়নি। যাতায়াত নিয়ে সমস্যা হচ্ছে অনেক। অনেকেই সেন্টমার্টিনে আসতে পারছে না। আবার সেন্টমার্টিন থেকে যেতেও পারছে না। কিছুটা খাবার নিয়ে কষ্টে আছে। তবে এখনো খাবার সংকট তৈরি হয়নি। সংকট হতে পারে সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে খাবার সংকটও তৈরি হতে পারে।’

এদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সেন্টমার্টিনে দেখা দিচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য সংকট। দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজারের অধিক বাসিন্দার মধ্যে যারা দিন এনে দিনে খায় আপাতত কষ্টে বেশি পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে যেমন মজুদ কৃত খাদ্য পণ্য শেষ হতে চলেছে তেমনি এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সামাধান না হলে দ্বীপবাসীর খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দু রশিদ জানান, বোটে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখে মানুষ ভয়ে যাচ্ছে না। তা ছাড়া ওই পথ ছাড়া সেন্টমার্টিনে আসার বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা রুটও নাই। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ৬/৭ টি বোটের মাধ্যমে শতাধিক মানুষ আসাযাওয়া করার পাশাপাশি খাদ্য ও নিত্য পণ্য বহন করতেন।

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আদনান চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছি।

এদিকে বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে নাফ নদীর মোহনায় সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেয়া এপার থেকে করতে হয়। যেহেতু মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি করা হচ্ছে এ কারণে আমরা সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প নিয়ে ভাবছি। নাফ নদীর মোহনায় যেহেতু এ ঘটনা ঘটছে তাই নাফকে এভয়েড করে আমরা বিকল্প কিভাবে তাদের খাদ্যসামগ্রী এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায় এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

গুলি করা করছে সেটি বুঝা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গুলি ছোড়া হচ্ছে; কিন্তু কারা গুলি করছে আমরা বুঝতে পারছি না। যেহেতু ওপারে যুদ্ধ চলছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে জানিয়েছি। স্থানীয়ভাবেও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ঝুটের গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সিটি গেট এলাকার ওই গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, বেলা ১১টার দিকে নগরীর সিটি গেট এলাকার ওই ঝুটের গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।


আরও খবর



২০৫০ সালের মধ্যে ৫ বছর বাড়বে গড় আয়ু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০৫০ সালের মধ্যে মানুষের গড় আয়ু ৫ বছর বাড়বে। এর সঙ্গে মোটা হওয়া ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগও বাড়বে।

সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়, একদিকে যেমন গড় আয়ু বাড়ার বিষয়ে ভালো খবর দেওয়া হয়েছে, তেমনি কয়েকটি রোগ বাড়বে ও মানুষকে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই রোগের মধ্যে অন্যতম হলো মোটা হওয়া ও উচ্চ রক্তচাপ।

প্রতিবেদনটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে ভবিষ্যতের জীবনযাপনের অনেকটাই পরিবর্তন হবে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড অ্যাডিকশনের প্রধান গবেষক ও বৈজ্ঞানিক লিয়ানে ওং জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে আসক্তি ও মোটা হওয়ার প্রবণতা দুইই বাড়বে।

গবেষকদলের মতে, বিশ্বজুড়েই মানুষের আয়ু বাড়বে। পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ দশমিক এক থেকে ৭৬ দশমিক দুই হবে ও নারীদের গড় আয়ু ৭৬ দশমিক দুই থেকে ৮০ দশমিক পাঁচ হবে। গবেষক সংস্থার ডিরেক্টর ক্রিস মারে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আয়ের দেশ ও কম আয়ের দেশের মধ্যে বৈষম্য থাকবে, তবে ব্যবধান কমবে। সাব সাহারান-আফ্রিকায় মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

গবেষকরা বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার ফলেই আয়ু বাড়বে। কোভিড ১৯, সংক্রামক রোগ, মাতৃত্বকালীন রোগ, বাচ্চাদের রোগ, অপুষ্টিজনিত সমস্যা কাটানোর জন্য নেওয়া উদ্য়োগের ফলে আগামী তিন দশকে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।

গবেষকরা এটাও দেখেছেন, ২০০০ সাল থেকে উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, মোটা হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বায়ুদূষণ, ধূমপানের প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে।


আরও খবর



ঈদে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ১৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। ঈদের ছুটির সময় গ্রাহকের নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসসহ (এমএফএস) সব ডিজিটাল সেবায় নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এসব লেনদেনে কোনোভাবেই গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা চালু রাখা, বুথের কারিগরি ত্রুটি দ্রুততম সময়ে সমাধান করা এবং বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করা, জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহককে সচেতন করতেও ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিত্তিক কার্ড নট প্রেজেন্ট এবং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সব ব্যাংক এবং তাদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে কোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে।


আরও খবর



দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা, আর প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। এর আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।

এদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী র আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাস হলে এটি হবে দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

বড় অঙ্কের এ বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের যোগান দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্গেট, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।

বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার। আর চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে অনুদান ছাড়া সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে করা এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪.৬ শতাংশ; আগের দুবছর অবশ্য বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ করে। সংকোচনমুখী এ বাজেট উত্থাপনে ঘোষণা আসতে পারে আগামী এক বছর আরও বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। কারণ এবার সরকারি লক্ষ্যমাত্রাই ৬ থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে সাড়ে ৬ শতাংশ। যদিও বর্তমানে মূল্যস্ফীতি চড়ে আছে প্রায় ১০ শতাংশে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ থেকে কমিয়ে আনা হতে পারে ৬.৭৫ শতাংশে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে দেশের সরাসরি উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণসহ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় সংকোচনের নামে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩২৬টি প্রকল্প কমানো হলেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে ফের সুযোগ দেয়া হতে পারে কালো টাকা সাদা করার। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগ দেয়া হতে পারে এক বছরের জন্য।

জনগণের উন্নয়নে এ ব্যয় বরাদ্দের বিপরীতে সুদ পরিশোধ বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি, ভর্তুকি প্রণোদনায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার মতো অনুন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হতে পারে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ উন্নয়নের চেয়ে অনুন্নয়ন খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে যাচ্ছে সরকার।

এদিকে, রাজস্ব আদায় বাড়াতে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়িয়ে ব্যক্তির শ্রেণির করকাঠামোত পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে এনবিআর। এতে কর আদায়ের স্তর বাড়ানো হতে পারে বেশি আয় করাদের কাছে। বাড়তে পারে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্কের পরিমাণ।

ধনী-গরিবের আয় বৈষম্যে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থায় যেন ভেসে না যায় নিম্ন আয়ের মানুষ, সেজন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মা ও শিশু সহায়তা ভাতা ২০০ টাকা, ৮০ বছরের বেশি বয়ষ্ক নাগরিকের ভাতা ৩০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে উত্থাপিত বাজেটে।

এবারের বাজেটে নতুন করে যোগ হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নানা রকমের পরামর্শ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, গতবছর বাজেট প্রণয়নের সময় সরকার আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেনি; এজন্য সরকারের ওপর তেমন চাপও ছিল না। সরকার তার ইচ্ছেমতোই বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে এবার কিন্তু আইএমএফের পরামর্শ ও বিভিন্ন শর্ত মেনেই বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।

সরকারের আগের বছরগুলোতে নেয়া ঋণের প্রভাব আসন্ন বাজেটে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারকে ১ লাখ কোটি টাকার ওপর শুধু সুদই পরিশোধ করতে হবে এ বছর। ঋণ পরিশোধ করে নানাভাবে সরকার রাজস্ব আদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করবে বলে মত তাদের।


আরও খবর