আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

দেশে ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৪১৮ জন হাজি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুলাই 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুলাই 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৪১৮ জন হাজি। তিন এয়ারলাইন্সের ২৩৪টি ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেছেন। শনিবার (২২ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে (১টা ৫৯ মিনিটে) হজযাত্রী বহনকারী এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরবের অফিসের বরাত দিয়ে হজ পোর্টালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়, হজ শেষে তিন এয়ারলাইন্সের মোট ২৩৪ টি ফ্লাইটে করে দেশে ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৪১৮ জন হাজি। ২৩৪ টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৫টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৮৯টি এবং ফ্লাইনাসের ফ্লাইট ৪০টি।


আরও খবর



আইএমএফের বৈঠক আজ, ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদের বৈঠক বসছে আজ সোমবার (২৪ জুন)। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি উত্থাপন হবে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে পরবর্তী এক-দুদিনের মধ্যে অর্থ ছাড় হতে পারে।

প্রস্তাবটি ওই বৈঠকে অনুমোদন হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশন।

ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ-এর দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি মিশন। তারা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায় তারা।

প্রতিনিধিদলটি ঢাকা ত্যাগের আগে এমন বার্তা দিয়ে যায়, শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তারা প্রতিবেদনে সুপারিশ করবেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাহী পরিষদ ঋণের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন করবে।

বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে মঙ্গল বা বুধবার ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে। এবার তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার বড় ধরণের অবমূল্যায়নের কারণে কিস্তির অর্থও বেড়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করার পর্যায়ে রয়েছে।

ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে চলতি বছরের নভম্বরের শেষদিকে আরও একটি মিশন ঢাকায় আসতে পারে। ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে।

এই অর্থ পেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে একাধিকবার নিট রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। পাশাপাশি বাজারে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে।


আরও খবর



বর্ষায় রান্নাঘরের যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরম যদিও কমেনি তেমন, তবে বর্ষাকাল তো শুরু হয়ে গেছেই। মাঝে মাঝে দুই-এক পশলা বৃষ্টি এসে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেকথা। বর্ষাকালে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। তেমনই খেয়াল রাখতে হবে রান্নাঘরের কিছু বিষয়েও। এসময় ফ্লু, অন্ত্রের সমস্যা এবং জ্বর সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রজনন স্থল হয়ে ওঠে। এসময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো রান্নাঘর। ক্রমাগত রান্না এবং পানির প্রবাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও স্যাঁতসেঁতে করে তোলে। যা অনেক সময় খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, আপনার রান্নাঘরকে সতেজ এবং নিরাপদ রাখার কিছু সহজ উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রান্নাঘরের চিমনি এবং এক্সজস্ট ফ্যান পরিষ্কার করুন: উচ্চ তাপে রান্না করলে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, তাই বিশেষজ্ঞরা রান্নাঘরে আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। তবে বর্ষাকালে এমন পরিবেশ বজায় রাখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে এক্সজস্ট ফ্যান এবং চিমনি কাজে আসে। বর্ষাকালের আগে এই যন্ত্রপাতিগুলোকে পরিষ্কার করুন যাতে এটি আরও ভালোভাবে কাজ করে।

এয়ার টাইট বয়াম ব্যবহার করুন: বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার লবণ এবং চিনির বয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে মসলাগুলোকে আর্দ্রতা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে, এবং সেইসঙ্গে আপনার খাবারের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধিকে আরও উন্নত করতে এয়ার টাইট কাঁচের বয়াম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিরাময় মসলা হাতের কাছে রাখুন: বাঙালির রান্নাঘর হলো বিভিন্ন ধরনের মসশলার ভান্ডার। সেগুলো রান্না ছাড়াও অনেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনো আদা ইত্যাদি মসলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার মৌসুমী স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে কাজ করতে পারে। তাই এ ধরনের মসলা হাতের নাগালেই রাখুন।

সিঙ্ক পাইপ পরিষ্কার করুন: আপনার রান্নাঘরের লুকানো জায়গাগুলোতে, বিশেষ করে সিঙ্কের পাইপ এবং ড্রেনে যেন কোনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ এসব স্থান থেকে মশা এবং মাছি এসে রান্নাঘর এবং সেখানে থাকা খাবারকে দূষিত করে। সুতরাং, বর্ষাকাল পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।

পর্যাপ্ত মৌসুমি ফল ও সবজি সংরক্ষণ করুন: মৌসুমি খাবারের গুরুত্ব আমাদের অজানা নয়। মৌসুমি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত বর্ষাকালীন ফল এবং শাক-সবজি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, আপনার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করুন এবং সেই অনুযায়ী খাবার কিনুন।

নিউজ ট্যাগ: রান্নাঘর

আরও খবর



সড়কের ওপর রাখা হচ্ছে বাস, চলাচলে দুর্ভোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

সড়কে নৈরাজ্য ও দুর্ঘটনার কারণে চালকদের বদনামের শেষ নেই। ইচ্ছেমতো চালানো, গাড়ির ছাল বাকল না থাকা, বাড়তি ভাড়া আদায়, চালকের লাইসেন্স না থাকা, রেষারেষিসহ চালকদের বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ। আছে আলোচনা, সমালোচনা। তবুও বদনাম একটুও কমেনি, বরং বাড়ছে। নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে দিনের পর দিন। এসবকিছুর সঙ্গে যোগ হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়  বিভিন্ন এলাকার সড়কে ইচ্ছেমতো বাস পার্কিং করে রাখার ঘটনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ছত্তারহাট-মুরালী সড়কের ওপর সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বাস। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে পড়ে অনেক সময়। গত ৫ বছর পূর্বে মাহাতা নাথ পাড়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তবে সড়কে এলোপাতাড়ি গাড়ী রাখায় ফায়ার সার্ভিস আসতে পারেনি। এসব স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী, পথচারী ও সচেতন মহল।

পথচারী আব্দুল্লাহ আল মুহামিন বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়। নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্র বাস, ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা বাস-অটোরিকশার কারণে দুটি যানবাহনের পাশাপাশি চলাচলের জায়গা থাকে না। যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। আমরা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

জানতে চাইলে পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুল বলেন,আপনারা লিখেন এগুলি আমাদের কাজ না।আমি ঐদেরকে সড়কে পার্কিং না করার জন্য বললে ওরা গাড়ি কোথায় রাখবে? ঐ জবাবটা কে দিবে আপনি বলেন? পূর্বে সড়কে বাস, সিএনজি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে না রাখার জন্য চালকদের অনেকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বাস চালকরা আমাকে বলেন,আমাদের একটা বাসস্ট্যান্ড ঠিক করে দিন আমারা ঐখানে চলে যাবো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখছি।

নিউজ ট্যাগ: আনোয়ারা

আরও খবর



ঈদের তৃতীয় দিনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদের তৃতীয় দিনে এসে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। বুধবার (১৯ জুন) পর্যটকের আনাগোনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত। গতকাল বিকেল নাগাদ থেকেই সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটে।

গতকাল থেকেই বৃষ্টির দেখা মেলে কলাপাড়ায়। আজ সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। আগতরা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সৈকতের বালিয়াড়িতে ছোট বড় আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

এ ছাড়া তিন নদীর মোহনা লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকতসহ সব পর্যটন স্পটে রয়েছে এখন পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং বেড়েছে আবাসিক হোটেল মোটেলগুলোতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি, থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জোরদার করা হয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম।

ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। ঈদের দিন থেকে পর্যটক না আসলেও আজ থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে।

তবে তারা মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল এবং অতিরিক্ত দাবদাহের প্রভাবে এ বছর আশানুরূপ পর্যটক আসেনি কুয়াকাটায়। বর্ষার আগে ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটক আসবে কুয়াকাটায় এটাই ছিল তাদের আকাঙ্ক্ষা।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, সাগরকন্যার সৌন্দর্য দেখতে এবারের ঈদ মৌসুমে পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে। শুরুতে তেমন আনাগোনা না থাকলেও এখন থেকে টানা পর্যটক আসবে কুয়াকাটায়। আমাদের ট্যুর অপারেটররা প্রস্তুত আছেন সেবা প্রদানের জন্য।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, প্রতি বছর এ সময় আমাদের অধিকাংশ হোটেল এবং রিসোর্টগুলোর রুম বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ বুকিং আছে অন এভারেজে। সামনের শুক্রবার ও শনিবার হয়ত শতভাগ রিজার্ভড হয়ে যাবে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো।

কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত আছে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সেবা দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


আরও খবর



নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে এখন থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। তাছাড়া দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি) হবে, তাতেও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনসিসিসির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এতে কিছু সংশোধনী আনার পরামর্শ দিয়েছে কমিটির সদস্যরা। সংশোধনীগুলো যুক্ত হলেই তাতে সই করবেন এনসিসিসির সদস্যরা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এনসিটিবি খসড়া একটি মূল্যায়ন কাঠামো প্রস্তুত করে এনসিসিসির সভায় উপস্থাপন করেছিলে। খসড়া কাঠামোটা মোটামুটি সবই ঠিক আছে। কিছু জায়গায় ছোট ছোট সংশোধনী আছে। সেগুলো খুব দ্রুত আমরা সংশোধন করে এনসিসিসির আরেকটি সভায় অবগত করবো।

অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আজকের সভায় প্রস্তাবিত মূল্যায়ন কাঠামো, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক থাকছে। এসএসসি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরের শ্রেণিতে উত্তরণের বিষয়টিও থাকছে।

জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ অনুযায়ী- ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ প্রক্রিয়া চালু হবে।

২০২২ সাল থেকে নতুন এ শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে এনসিটিবি। প্রচলিত নম্বর ও গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিল করে প্রথমে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ দিয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা মূল্যায়ন শুরু হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে তা থেকে পিছু হটে সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গঠন করেন উচ্চপর্যায়ের কমিটিও।

সেই কমিটির মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্নপর্যায়ে মূল্যায়নের খসড়া চূড়ান্ত করে এনসিটিবি। পরে সেটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন মন্ত্রণালয় মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় উপস্থাপন করবে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন হলে সেটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। তবে দুইমাস ধরে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া মন্ত্রণালয়ে আটকা ছিল। অবশেষে তাতে অনুমোদন দিলো এনসিসিসি।


আরও খবর