![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/8aada1ef9ab1deefbf83384a9eb0fd1d.jpeg)
প্রবল বৃষ্টিতে
ভারতের দিল্লির বহু নিচু এলাকা ডুবে গেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া
অফিস নগরীটিতে আবারও ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে। প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, গত শুক্রবার দিল্লিতে রেকর্ড-ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এদিন নগরীটিতে ২২৮ দশমিক
১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসের একদিনে হওয়া
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
এই বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি
কাটিয়ে ওঠার আগেই দিল্লিবাসীকে আবারও ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর নগরীটিতে রোববার ও সোমবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দিয়ে অরেঞ্জ
অ্যালার্ট জারি করেছে।
ভারতের আবহাওয়া
দপ্তরের (আইএমডি) রঙ-ভিত্তিক সতর্কতা পদ্ধতি অনুযায়ী অরেঞ্জ অ্যালার্ট লোকজনকে ভারি
বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানায়।
আইএমডির আবহাওয়া
বিজ্ঞানী সোমা সেন এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এগিয়ে আসছে, উত্তর ভারতের বেশ
কয়েকটি অংশে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, মৃতদের মধ্যে বেশি কিছু শিশুও রয়েছে, তারা পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন গর্তে
পড়ে ডুবে মারা গেছে। নগরীর বসন্ত বিহার এলাকায় একটি দেয়াল ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়। দিল্লি
বিমানবন্দরের এক ছাউনির একটি অংশ ধসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত এক ক্যাব চালকের মৃত্যু
হয়।
এ ছাড়া জলাবদ্ধতার
কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ
আন্ডারপাস প্রগতি ময়দান টানেল প্লাবিত হওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবারও এ আন্ডারপাসটি
বন্ধ ছিল।
ভারতের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব চলাকালে দিল্লিতে গড়ে প্রায় ৬৫০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু এবার প্রথম একদিনেই এর এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে।