আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

দিল্লিতে রেকর্ড বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু, অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রবল বৃষ্টিতে ভারতের দিল্লির বহু নিচু এলাকা ডুবে গেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া অফিস নগরীটিতে আবারও ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার দিল্লিতে রেকর্ড-ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এদিন নগরীটিতে ২২৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসের একদিনে হওয়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

এই বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দিল্লিবাসীকে আবারও ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর নগরীটিতে রোববার ও সোমবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) রঙ-ভিত্তিক সতর্কতা পদ্ধতি অনুযায়ী অরেঞ্জ অ্যালার্ট লোকজনকে ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানায়।

আইএমডির আবহাওয়া বিজ্ঞানী সোমা সেন এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এগিয়ে আসছে, উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে বেশি কিছু শিশুও রয়েছে, তারা পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন গর্তে পড়ে ডুবে মারা গেছে। নগরীর বসন্ত বিহার এলাকায় একটি দেয়াল ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়। দিল্লি বিমানবন্দরের এক ছাউনির একটি অংশ ধসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত এক ক্যাব চালকের মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ আন্ডারপাস প্রগতি ময়দান টানেল প্লাবিত হওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবারও এ আন্ডারপাসটি বন্ধ ছিল।

ভারতের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব চলাকালে দিল্লিতে গড়ে প্রায় ৬৫০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু এবার প্রথম একদিনেই এর এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে।


আরও খবর



হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৭ শতাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত শতাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে এসব টাকা।

দুদকের এমন অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ফয়সাল, তাঁর স্ত্রী ও স্বজনদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাব ও ১৫টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ এবং ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্য, আয়করদাতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি অবৈধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন।

আদালতে করা আবেদনে বলা হয়, আবু মাহমুদ ফয়সাল সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ঘুষ লেনদেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উৎস গোপনের উদ্দেশ্যে শাহজালাল ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখায় তাঁর নিজ নামে বিভিন্ন এফডিআর হিসাব খোলেন।

মেয়াদ পূর্তির পর এফডিআর ভাঙানো টাকা ও নতুন করে নগদ এনে ফারহানা আক্তার, মমতাজ বেগম, মাহমুদা হাসান, খন্দকার হাফিজুর রহমান, কারিমা খাতুনের নামে বিভিন্ন এফডিআর স্কিম খোলেন। পরে ওই অর্থ এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, হজ ফাইন্যান্স এবং সব শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শাখায় ওই লোকজন ছাড়াও আহম্মেদ আলী, আফতাব আলী, শেখ নাসির উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে সাত শর বেশি হিসাব খুলে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ফয়সালের যত সম্পদ

কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার দুটি সঞ্চয়পত্র, তাঁর স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে চারটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা, আফতাব আলীর নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, কাজী খালিদ হাসানের নামে একটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, খন্দকার হাফিজুর রহমানের নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৪০ লাখ টাকা, আহম্মেদ আলীর নামে তিনটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা ও মাহমুদা হাসানের একটি সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে।

ফয়সাল ছাড়া অন্য যাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হয়েছে তাঁরা হলেনশেখ নাসির উদ্দিন, মমতাজ বেগম, রওশন আরা খাতুন, আহম্মেদ আলী, খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ, আশরাফ আলী মুনির, আফতাব আলী তানির, মাহফুজা আক্তার, মাইনুল হাসান, আফসানা জেসমিন, মাহমুদা হাসান ও কাজী খালিদ হাসান। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে আফসানা জেসমিনের নামে ১০ কাঠা জমি, ২০০ বর্গমিটারের প্লট, আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ভাটারা, খিলগাঁও ও রূপগঞ্জে থাকা স্থাবর সম্পদ, আহমেদ আলীর নামে থাকা ফ্ল্যাট ও কার পার্কিংয়ের তিন হাজার ২২৮ বর্গফুট স্থাবর সম্পদ ও মমতাজ বেগমের নামে থাকা ১০ কাঠা জমি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



হজ চলাকালীন মারা গেছেন কমপক্ষে ১৩০১ জন: সৌদি আরব

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছর হজে গিয়ে তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে এক হাজার ৩০১ জন হজযাত্রীর। মারা যাওয়া এসব মানুষের বেশিরভাগই ছিলেন অননুমোদিত হজযাত্রী। সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে হজের সময় কমপক্ষে ১৩০১ জন মারা গেছেন বলে সৌদি আরব জানিয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগই ছিলেন অননুমোদিত হজযাত্রী যারা তীব্র গরমে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেছিলেন।

মূলত তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এসময় মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে তাপমাত্রা কখনো কখনো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সৌদির সরকারি বার্তাসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যারা মারা গেছে তাদের তিন-চতুর্থাংশেরও সেখানে থাকার আনুষ্ঠানিক অনুমতি ছিল না এবং তারা পর্যাপ্ত আশ্রয় ও উপকরণ ছাড়াই সরাসরি সূর্যের তাপের মধ্যে হেঁটেছেন।

এছাড়া যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্ক বা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ ব্যক্তি ছিলেন বলেও বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে।

সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ আল-জালাজেল বলেছেন, তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদ এবং তাপ সম্পর্কিত চাপ হজযাত্রীরা কীভাবে প্রশমিত করতে পারেন সে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, হজের সময় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোগুলোতে প্রায় ৫ লাখ হজযাত্রীর চিকিৎসা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী রয়েছেন যাদের হজ করার পারমিট ছিল না। এমনকি অসুস্থ হয়ে পড়াদের কেউ কেউ এখনো তাপ ক্লান্তির জন্য হাসপাতালে রয়েছেন।

ফাহাদ আল-জালাজেল বলেন, আল্লাহ ক্ষমা করুন এবং মৃতদের প্রতি রহম করুন। তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

বিবিসি বলছে, সৌদি আরব হজকে নিরাপদ করতে আরও পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে, বিশেষ করে অনিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু এবং অফিসিয়াল হজ পরিবহনের মতো সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ নেই।

সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, হজের সময় মক্কায় তাপমাত্রা ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছিল। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে বহু দেশ তাদের নাগরিকদের মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে আপডেট দিয়েছে, তবে সৌদি আরব রোববারের আগপর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেনি বা মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সংখ্যা প্রদান করেনি।

বার্তাসংস্থা এএফপি একজন আরব কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এবারের হজে ৬৫৮ জন মিসরীয় মারা গেছেন। ইন্দোনেশিয়া বলেছে, তাদেরও ২০০ জনেরও বেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং ভারতও তাদের ৯৮ জন হাজির মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।

এছাড়া পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, জর্ডান, ইরান, সেনেগাল, সুদান এবং ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলও তাদের হাজিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর



জাজিরা উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে ১১ জুন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় ৫ম  ধাপে আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছে ১৩০টি অসহায় ও গৃহহীন পরিবার। আগামী মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের মতো জাজিরার এসব ঘর বরাদ্দের উদ্বোধন করবেন। সেইসঙ্গে জাজিরা উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (১০ জুন) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহাগ মিয়া।

ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা আরও জানান, ২০২০ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্তসহ টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে সারাদেশে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৩১১ টি ঘর উপকারভোগী পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এপর্যন্ত জাজিরা উপজেলায় ৮৩৭ টি পরিবার ভূমিসহ ঘর পেয়েছেন। এছাড়া প্রকল্পটির ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে আগামীকাল (১১ জুন) জাজিরা উপজেলায় ১৩০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমিসহ ঘর প্রদান করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: জাজিরা

আরও খবর



বেনজীরের সাভানা ইকো পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আদালতের নির্দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে নির্মিত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক’র রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (৮ জুন) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে যাবতীয় কার্যক্রম। ফলে, এখন পার্কটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না দর্শনার্থীরা।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুইটি দল পার্কে অবস্থান নেয়।

পরে পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয় তারা।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে আজ থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলবে।

এ অভিযানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির উপর বেনজির গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী হিনা খান। বিষয়টির সত্যতা তিনি তার ইনস্টাগ্রামে নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি তার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে।

চিকিৎসা শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৮ জুন) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিষয়টি সত্য বলে নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী।

হিনা খান ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, চলমান গুঞ্জন আমার নজরে পড়েছে। যারা আমার ভক্ত, যারা আমাকে ভালোবাসেন সবার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর ভাগ করে নিচ্ছি। আমার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, এখন স্টেজ থ্রিতে রয়েছে। চ্যালেঞ্জিং একটি রোগ শনাক্ত হওয়ার পরও বলছি, আমি ভালো আছি। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। এরই মধ্যে আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা করার জন্যও আমি প্রস্তুত।

তার পোস্টের পর অনেকে তাকে সাহস দিয়েছেন। অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তবে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি হিনা খান। ভারতের একজন চিকিৎসক এক টুইটে জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

বেশ কয়েক মাস ধরে তাকে তেমন ভাবে ছোট পর্দা বা বড় পর্দার কোনও কাজে দেখা যাচ্ছে না। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান। ২০০৮ সালে ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলতা হ্যায় ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পান।


আরও খবর