আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহার আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ জুন)। বাড়ি ফেরার তাড়ায় লোকজনের ভিড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে লোকজনকে বেশ খানিকটা সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী, কল্যাণপুর, তেজগাঁও, সাতরাস্তা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকে। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দারুস সালাম এলাকায়‌ সরেজমিন দেখা যায়,‌ ঢাকা ঢোকার প্রবেশপথে পবর্তা সিগন্যালে আটকে যাচ্ছি ঈদ যাত্রীকে নামিয়ে আসা ফিরতি বাসসহ সব পরিবহন। পর্বতা সিগন্যাল থেকে দারস সালাম মাজার রোড পর্যন্ত যানজট। দীর্ঘসময় গাড়ি আটকে থাকছে সিগন্যালের কারণে। অন্যদিকে ঈদযাত্রার বাসসহ অন্যান্য পরিবহন একইভাবে টেকনিক্যাল, মাজার রোড ক্রসিং, গাবতলী বাস টার্মিনাল হয়ে পর্বতা সিগন্যাল পার হতে সময় লাগছে অন্তত আধা ঘণ্টা।

ডিএমপি‌র ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুব আলী বলেন, আজ ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। স্বাভাবিকভাবে আজ অন্যদিনের তুলনায় সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। সকাল থেকে দারুস সালাম, মাজার রোড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদযাত্রার গাড়িগুলোর চাপ রয়েছে রাস্তায়। বেলা যত গড়াচ্ছে যানজট ততই বাড়ছে। ঈদযাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট থাকবে।

এদিকে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে একদিক দিয়ে যানজট পৌঁছেছে বনানী পর্যন্ত। অন্যদিক দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে যানজট তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা হয়ে সাতরাস্তা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া রাস্তায়ও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকে।

এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রনি বলেন, আজ ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস, যানজট হবে এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া মহাখালীতে আন্তঃজেলা একটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। সকাল থেকে বাস টার্মিনাল থেকে ঈদযাত্রার দূরপাল্লার গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে মহাখালী থেকে শুরু করে এর আশপাশ এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।


আরও খবর



ঈদুল আজহার চার সুন্নত

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের ধর্মীয় দুই প্রধান উৎসব। এই দুই দিনে রাসূল সা. আমাদের আনন্দ উৎসব পালন করতে বলেছেন। হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, প্রতিটি জাতির আনন্দ-উৎসব আছে। আর আমাদের আনন্দ-উৎসব হলো দুই ঈদ। (বুখারি, হাদিস : ৯৫২)

ঈদের দিনের আনন্দ-উৎসব মানে আল্লাহর বিধানের সামনে নিজেকে সমর্পন করে দেওয়া। কোনো অশ্লীল কাজে লিপ্ত না হওয়া। এখানে ঈদুল ফিতরের চারটি সুন্নত আমল তুলে ধরা হলো

১. পবিত্রতা অর্জন ও সুন্দর পোষাক পরা

ঈদের নামাজের জন্য গোসল করা ও মিসওয়াক করা সুন্নাত। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতর ও আজহার দিন গোসল করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১/১৩০)

একইসঙ্গে ঈদুল আজহার দিন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর ও সাধ্যের ভেতর সবচেয়ে উত্তম পোষাক পরিধান করা সুন্নত।

২. ঈদগাহে যাওয়ার আগে পানাহার না করা

ঈদুল আজহার দিন পানাহার ব্যতীত ঈদগাহে গমন করা ও নামাজের পর নিজের কোরবানির গোশত দিয়ে প্রথম খাবার গ্রহণ করা সুন্নত।

হাদিস শরিফে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন কোনো কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যেতেন না। আর ঈদুল আজহার দিন নামাজ না পড়ে কিছু খেতেন না। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৫৪২)

৩. ঈদগাহে যাওয়ার সময় তাকবির বলা

ঈদগাহে যাওয়ার সময় ঈদুল আজহার দিন উচ্চস্বরে তাকবির পাঠ করা সুন্নত। তাকবির পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি স্মরণ করা সুন্নত। পুরুষেরা এ তাকবির উঁচু আওয়াজে পাঠ করবে, মেয়েরা নীরবে। এ তাকবির জিলহজ মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঠ করবে। (ফাতহুল বারি : ২/৫৮৯)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হেদায়াত দান করার দরুণ আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

৪. ঈদের নামাজের পর কোরবানি

ঈদুল আজহার দিন ঈদের নামাজের পর বাড়িতে এসে কোরবানি করা।

বারা ইবনে আজিব (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। তাতে বললেন, আমাদের এই দিবসে প্রথম কাজ নামাজ আদায় করা, এরপর কোরবানি করা। সুতরাং যে এভাবে করবে তার কাজ আমাদের তরিকা মতো হবে। আর যে আগেই জবেহ করেছে (তার কাজ তরিকা মতো হয়নি অতএব) তা পরিবারের জন্য প্রস্তুতকৃত গোশত, (আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত) কোরবানি নয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৬৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৬১; সহিহ ইবনে হিব্বান : ৫৯০৭)


আরও খবর



শেয়ারবাজারে দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে নতুন বাজেট। ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফার ওপর কর বসাতে যাচ্ছে সরকার এতদিন এ খবর ছিল গুঞ্জন আকারে। এবার তা সত্যি হয়ে আসছে। শেয়ার কেনাবেচায় নির্দিষ্ট অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি যত টাকা মুনাফা হবে, তার ওপর সরকারকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন, তাতে এমন প্রস্তাব থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত থাকলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানো হচ্ছে। এতে করহার ব্যবধান বর্তমানের সাড়ে ৭ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশে নামবে।

টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, দলে দলে সব শেয়ার বেচে বাজার ছাড়ছেন তারা, তখন নীতি-সহায়তার পরিবর্তে করের চাপ বাড়ালে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুধু এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের দরপতনে ৯৪ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। ফলে বাজারের জন্য এখন দরকার সরকারের নীতি-সহায়তা। অথচ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান কমিয়ে তালিকাভুক্ত হতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আইপিও প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির বর্তমান করপোরেট করহার ২০ শতাংশ। এর কম শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হলে, তাদের করহার সাড়ে ২২ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে এ করহার আড়াই শতাংশ হারে বাড়িয়ে যথাক্রমে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে উভয় ধরনের কোম্পানির করপোরেট করহার থেকে আড়াই শতাংশ করে ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তটি হলো ৫ লাখ টাকার বেশি একক যে কোনো লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে এবং বার্ষিক ব্যয়ে নগদ লেনদেন কোনোভাবেই ৩৬ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। অবশ্য এ শর্ত নতুন নয়। চলতি অর্থবছরেও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্থক্য হলো এখনকার নির্ধারিত করহার কম। তবে শর্ত না মানলে তা আড়াই শতাংশ বেশি দিতে হচ্ছে। নতুন কর প্রস্তাবে আগেই করহার বাড়ানো হচ্ছে। শর্ত মানলে করছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে।

এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার না কমালেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন না করলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়েছে। এবার এ শর্ত পূরণ করতে না পারলে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারে নতুন করে কোম্পানি আসা যখন প্রায় বন্ধের পথে, তখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত করহার ব্যবধান কমানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও এ ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। পরে তা সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এখন তা ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে নতুন করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আরও নিরুৎসাহিত হবে। সরকারের এ নীতির ফলে শেয়ারবাজার সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আরও পিছিয়ে পড়বে ও সংকুচিত হবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের প্রতি বিমাতাসুলভমড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারকে স্বাভাবিক করতে তারা সরকারের কাছে নীতি-সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

মূলধনি মুনাফায় করারোপ এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান কমানোর খবরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন খোদ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার ব্যবধান বাড়ানো উচিত। মূলধনি মুনাফায় কর আরোপের খবরেও তিনি একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই কর প্রস্তাব যাতে সরকার প্রত্যাহার করে নেয়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ২১ জুন (শুক্রবার) নয়াদিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট দুপুর ২টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষ্যে ২১-২২ জুন সেখানে অবস্থান করবেন তারা।

বুধবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লীর ফোরকোর্টস্থ রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র সালাম গ্রহণ ও গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ছবিও তোলা হবে এই সংবর্ধনা পর্বে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজ ঘাটে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

একইদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক উপলক্ষ্যে হায়দ্রাবাদ হাউস গমন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ ও চুক্তি বিনিময় এবং দুই নেতার প্রেস বিবৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এখানে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজ আয়োজনের কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন; প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার আয়োজনও থাকছে এই পর্বে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সফরের শুরুর দিন ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর। ২২ জুন বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে তার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করবেন। উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গমন করবেন। এসময় ভারতের রাষ্ট্রপতি মিজ দ্রৌপদী মুর্মুর সাঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, দুই দিনের এ সফর শেষে ২২ জুন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার (১৬ জুন) সকালে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ের আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া রোববার (১৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এই সময়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর



কোরবানির গোশত জমিয়ে রাখা কি জায়েজ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেয়া হয়। কোরবানি ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ইবাদত। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস। নবীজি হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন।

প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী মুকিম ব্যক্তি, যে ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব হবে।

নেসাব হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন  ভরি। আর অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ। 

মদিনার প্রথম যুগে খাদ্যের সংকট ছিল। তখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে কোরবানির গোশত তিন দিনের বেশি জমিয়ে রাখতে নিষেধ করেছিলেন। পরে যখন অভাব কমে গেল তখন আবার সংরক্ষণ করে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন।

হাদিসে আছে, হজরত জাবির (রা.) বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিনের পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর (অবকাশ দিয়ে) বললেন, খাও, পাথেয় হিসেবে সঙ্গে নাও এবং সংরক্ষণ করে রাখ। (মুসলিম ১৯৭২)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তিন দিনের পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম, যেন সচ্ছল ব্যক্তিরা অসমর্থদের তা উদারভাবে দিতে পারে। এখন তোমরা যা ইচ্ছা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখতে পার।  (তিরমিজি ১৫১০)

কোরবানি একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দিতে হয়। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তার কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবির বল যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দিন। (সুরা হজ ৩৫) 

মনে রাখতে হবে, মহান আল্লাহ বলেন, আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তার কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা কারণে আল্লাহর তাকবির বল যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দিন। (সুরা হজ ৩৫)


আরও খবর