আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এমপি আনারের মরদেহ গুম করা সিয়াম কলকাতায় গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কলকাতার নিউটাউনে বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এদের মধ্যে সিআইডির হাতে গ্রেফতার একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তার নাম সিয়াম। ১৩ মে হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন বলে জানা গেছে। এমপির মরদেহের খণ্ডিত অংশ গুমের দায়িত্ব ছিল সিয়ামের ওপর।

ওই একই ঘটনায় জুবের নামে এক ক্যাবচালককেও আটক করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাকে। এরই মধ্যে তার গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জব্দ করা হয় সাদা রঙের মারুতি গাড়িটিকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন আততায়ীরা। গত ১২ মে ভারতে আসেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তিনি ওঠেন বরানগরের পূর্ব পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। পরদিন, ১৩ মে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন এমপি আনার।

ওইদিন রাতেই নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ১৪ মে প্রথম পর্যায়ে এমপির মরদেহের খণ্ডিত অংশ একটি ট্রলিব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে বের করা হয়। এরপর তোলা হয় ওই সাদা রঙের ক্যাবে।

সূত্র জানিয়েছে, সিআইডির হাতে গ্রেফতার সিয়ামের দায়িত্ব ছিল ওই মরদেহের টুকরোগুলোকে সরিয়ে দেওয়া।

সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু প্লাস্টিক ব্যাগ পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, এমপি আনারের মরদেহের টুকরোগুলো সরানোর উদ্দেশ্যে ব্যাগগুলো আনা হয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাবচালক জানিয়েছেন, গত ১৪ মে এক নারী ও দুই পুরুষকে ট্রলিব্যাগসহ অ্যাকসিস শপিং মলের সামনে নামিয়ে দেন তিনি।

সিসিভিটি ফুটেজ দেখে সিআইডি জানতে পেরেছে, অ্যাক্সিস শপিং মলে নামানোর আগে নজরুল তীর্থের কাছে গাড়িটি প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল।

সেই সময় দেহাংশ কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় গাড়ির মধ্যেই। সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্যাবচালক সেই আলোচনা শুনতে পারেন। এরপর অভিযুক্তদের অ্যাক্সিস শপিং মলের সামনে নামিয়ে দেন তিনি। ফলে ক্যাবচালক অনেক কিছুই জানেন, যা তিনি বলছেন না বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

বাংলাদেশি এমপি খুনের ঘটনায় এরই মধ্যে নিউটাউন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনায় আরও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ওই গাড়িতে চড়ে এমপি আনার কলকাতা নিউমার্কেট ও সঞ্জীবা গার্ডেনসে গিয়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় নিউটাউন থানার সামনে এনে গাড়িটির ভেতর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। জানা গেছে, মালিক গাড়িটিকে ভাড়ায় ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিউটাউন থানার পুলিশ।


আরও খবর



জয়ের হাসি হাসলেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করেছিল বিজেপির। কিন্তু এ আসনে হেরে গেলেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী জুন মালিয়ার কাছে হারলেন অগ্নিমিত্রা পাল।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোটের গণনা শুরু হতেই দেখা যায় অগ্নিমিত্রা পাল কিছুটা এগিয়ে। অনেকে মনে করেছিল, হয়ত এ যাত্রায় মেদিনীপুর থেকে গেল বিজেপির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুন মালিয়ার কাছে হারতে হয় অগ্নিমিত্রাকে। বিজেপি হারতে হয় তৃণমূলের কাছে। ৩২ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেখানে হেরে যান দিলীপ। কীর্তি আজাদের কাছে হারতে হয় তাকে। ফলে একদিকে সাংসদ পদ খুইয়ে দিলীপ এই মুহূর্তে একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী।

জুন মালিয়া একা নন। তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক তারকারা কর্মীরাই এদিন জয়ী হয়েছেন। রচনা ব্যানার্জি (হুগলি), ইউসুফ পাঠান (বহরমপুর), দীপক অধিকারী দেব (ঘাটাল), সায়নী ঘোষও (যাদবপুর) বিজয়ের হাসি হেসেছেন।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১৩৫ স্কোর নিয়ে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। বুধবার (০৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ পাকিস্তানের লাহোর ১৬৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা ১৫৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ভারতের দিল্লি আজ ১৫৮ স্কোর নিয়ে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



বাঁশখালীতে পুকুরে বিষ দিয়ে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়ায় পশ্চিম হিন্দুপাড়ায় রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ ঢেলে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। সকালে পুকুরে মরা মাছ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পান। চেচুরিয়া জলদাশ পাড়ার মৃত অপুন্দ্র জলদাশের পুত্র তমাল জলদাশ এই পুকুরটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্ত তমাল জলদাশ জানান, বিভিন্ন জন থেকে লোন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সে পশ্চিম হিন্দু পাড়ার এই পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আসছিলেন।গত বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা আমার পুকুরটিতে বিষ ঢেলে দেয়। বিষক্রিয়ায় পুকুরের ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে যায়। মরে যাওয়া মাছের মধ্যে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, গলদা চিংড়ি, মৃগল, কার্পুসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। তিলে তিলে গড়ে তোলা পুকুরের মাছ নিধনের ফলে সর্বস্ব হারিয়ে তমাল জলদাশ এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন। ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের ফলে তার আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মানুষের দায় দেনা কিভাবে পরিশোধ করবেন তানিয়ে বেকায়দায় তমাল।

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ব্রিটেন থেকে ১০০ টন সোনা ফিরিয়ে আনল ভারত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে এখন স্বর্ণকে ঘিরে চলছে যত আলোচনা। তবে গোটা দেশের আলোচনায় এখন হঠাৎই চলে এসেছে টন টন স্বর্ণ। ইংল্যান্ড থেকে ১০০ টনের বেশি স্বর্ণ এল ভারতে!

ইংরেজদের শাসনকালে রাশি রাশি স্বর্ণ নিয়ে ভারত থেকে ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছিল। ১৯০ বছরের পরাধীনতায় ভারত ঠিক কত পরিমাণ স্বর্ণ হারিয়েছে, খাতায়-কলমে তার হিসাব নেই। সেই ইংরেজদের দেশ থেকে স্বর্ণ ফিরিয়ে আনার খবর সাধারণ মানুষের মনেও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইংরেজদের নিয়ে যাওয়া স্বর্ণই ভারত ফিরিয়ে আনছে? উত্তর হল, না। ভারতের জমা রাখা স্বর্ণই ভারত ফিরিয়ে আনছে। থাকবে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ভল্টে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০০ মেট্রিক টন স্বর্ণ বিদেশ থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

ব্রিটেনের কোথায় জমা ছিল ভারতের স্বর্ণ? ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মাটির নীচে থাকা ন’টি বড় বড় ভল্টে থাক থাক করে সাজানো থাকে স্বর্ণর বার।

শুধু ভারতের নয়, বিভিন্ন দেশের স্বর্ণও ওই ভল্টে জমা রয়েছে। কেউ চাইলেই ওই ভল্টে যেতে পারেন না। একমাত্র ইংল্যান্ডের রাজা বা রানিই ওই ভল্টে যেতে পারেন এবং জমা স্বর্ণ দেখতে পারেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন ভারত স্বর্ণ রাখল ইংল্যান্ডের কাছে? যে ইংরেজরা প্রায় ২০০ বছর শোষণ করেছে, তাদের কাছেই স্বর্ণ রাখার কী প্রয়োজন পড়ল ভারতের? সেই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে ঘাঁটতে হবে ইতিহাস।

স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের মধ্যে এক ভীতি জন্ম নিয়েছিল। ধারণা হয়েছিল, ভারতের বাজারে যদি কোনও বিদেশি কোম্পনিকে ব্যবসা করতে দেওয়া হয়, তবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই অবস্থা ঘটতে পারে। তাই ভারতের বাজার সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল। যা ধীরে ধীরে ভারতকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিতে থাকে।

এক দিকে ভারতীয় বাজারে বিদেশি সংস্থার নো এন্ট্রি’, অন্য দিকে বিদেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস আমদানির কারণে ভারতের আর্থিক ভান্ডারে টান পড়তে শুরু করে। রপ্তানির থেকে আমদানির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পায়।

ভারত বিদেশ থেকে মূলত তেল আমদানি করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গেই এই কারবার চালায় ভারত। ১৯৯১ সালের আগে ভারতে প্রয়োজনীয় তেলের বেশির ভাগ জোগান আসত ইরাক থেকে।

কিন্তু নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে ছিল আমেরিকার চোখ রাঙানি। সব মিলিয়ে তেলের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ভারতে তেলের সংকট দেখা দেয়। তেল কিনতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ডলারের। বিদেশে ভারতের টাকা চলে না। কী ভাবে ডলার পাওয়া যাবে তার পথ খুঁজতে থাকে তৎকালীন সরকার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ) এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ডলার নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না ভারতের। কিন্তু সেখান থেকে ডলার নিতে গেলে মেনে চলতে হত তাদের দেওয়া শর্ত। অনেকের মতে, আইএমএফ হোক বা বিশ্ব ব্যাংক, নামে সতন্ত্র হলেও তাদের উপর আমেরিকাই ছড়ি ঘোরায়।

ভারত সে সময় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকে। তখনই স্বর্ণ বিদেশি ব্যাংকে রাখার পরিকল্পনা মাথায় আসে সরকারের। তবে আমেরিকার দৃষ্টি এড়িয়ে স্বর্ণ অন্য কোনও বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।

শোনা যায়, গোপনে স্বর্ণ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অফ জাপানের কাছে জমা রাখে ভারত। তার বিনিময়ে ডলার নেয়। এই পুরো অপারেশনটা ভারত সরকার গোপনে করার চেষ্টা করলেও কয়েকটি সংবাদপত্রে তা ফাঁস হয়ে যায়। বিদেশে জমা রাখা স্বর্ণই ভারতে ফেরানো শুরু হয়েছে।

ভারতের কাছে এখন স্বর্ণ রয়েছে ৮২২ মেট্রিক টন। গত পাঁচ বছরে ভারত ২০৩.৯ মেট্রিক টন স্বর্ণ কিনেছে। তার মধ্যে কিছু মজুত রয়েছে আরবিআইয়ের কাছে। কিছু বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছ।

শুধু ডলারের বিনিময়ে স্বর্ণ বিদেশি ব্যাংকে জমা পড়ত তা-ই নয়। ভারত এমনি সময়েও স্বর্ণ বিদেশে রাখে। কেন ভারত সরকার বিদেশি ব্যাংক স্বর্ণ গচ্ছিত রাখে? দেশের মধ্যে বিভিন্ন অস্থিরতার কথা চিন্তা করেই সরকার দেশ থেকে স্বর্ণ সরিয়ে রাখে।

তা হলে ভারত কেন স্বর্ণ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হল? রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশই ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার ফলে বিদেশি ব্যাংকে রাশিয়ার জমা রাখা রাশি ক্লোজ়ড’ করা দেওয়া হয়েছে। ভারতও তা-ই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


আরও খবর



রেমালে উত্তাল সাগর, গোসল করছেন পর্যটকেরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উত্তাল সাগর। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে কূলে আঘাত হানছে। সোমবার (২৭ মে) সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এমন বৈরী পরিবেশের মধ্যেও পর্যটকেরা ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফগার্ড কর্মীরা নানাভাবে চেষ্টা করেও পর্যটকদের সমুদ্র থেকে তুলে আনতে পারছে না বলে জানা গেছে।

লাবনী পয়েন্টে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টে ৪০-৫০ জন পর্যটক উত্তাল সাগরে গোসল করছেন। তাদের সাগরে নামতে বাধা দিয়েও লাভ হয়নি।

জিয়াসমিন নামের এক পর্যটক বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। তারা গোসল করছে তাই আমিও নামলাম।

সি সেফ লাইফগার্ডের কর্মকর্তা জয়নাল আবদিন ভুট্টু বলেন, এই মুহূর্তে সাগর খুবই উত্তাল। বাতাসের গতি বেড়েছে ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ সময় সাগরে রিপ কারেন্ট সৃষ্টি হয়। তাই গোসল করা বিপদজনক। আমরা বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট স্যারকে জানিয়েছি।

কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, যারা গোসল করছিল তাদের সাগর থেকে উঠানো হয়েছে। এরপর যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আরও খবর