আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

গদি হারানোর জন্য সেনাপ্রধানকে দায়ী করলেন ইমরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ এপ্রিল 20২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ এপ্রিল 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অহংকার পতনের মূল এই আপ্তবাক্যকে খানিক পাল্টে সেনাকেই তাঁর পতনের মূল হিসাবে সেনার দিকেই পরোক্ষ ভাবে আঙুল তুললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াকে পরোক্ষ কটাক্ষ করে ইমরান বলেছেন, ক্ষমতাবান কিছু ব্যক্তির ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই এ ভাবে গদি থেকে সরে যেতে হল তাঁকে। সেই সঙ্গে বিরোধী জোটকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ১০ এপ্রিল ইমরানের গদিচ্যুত হওয়ার পিছনের একাধিক কারণের মধ্যে অন্যতম তাঁর পাশ থেকে সেনার সরে যাওয়া। সেনার সমর্থন না পাওয়ার মূল কারণ, ২০২১ সালে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান হিসাবে লেফটেনান্ট জেনারেল নাদিম আনজুমের নিয়োগে তিনি আপত্তি করেছিলেন। তিন সপ্তাহের টানাপড়েনের পরে শেষে তিনি মতবদল করলেও, ততদিনে পাকিস্তানের সেনা তাঁর পাশ থেকে সরে গিয়েছে।

নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কর্মীদের টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, দেশের শাসনব্যবস্থায় মানুষেরাও রয়েছেন। যদি শাসনব্যবস্থায় নিযুক্ত মানুষদের মধ্যে এক বা দুজন ভুল করেন, তাতে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাকে দোষ দেওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, বুধবার একটি সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই সেনার সঙ্গে ইমরান ও তাঁর রাজনৈতিক দলের সম্পর্কে ভাটা পড়তে শুরু করে। ফওয়াদের কথায়, সেনার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ঠিক করে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর অনেক চেষ্টা করেছি আমরা। কিন্তু কোনও প্রয়াসই সফল হয়নি।

ইমরান খান গদিচ্যুত হওয়ার পরে ঠিক এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন পিমিএল(এন) প্রধান শাহবাজ শরিফ। তার পর থেকেই টানা সমালোচনায় মুখর ইমরানের দল। বৃহস্পতিবার লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম মিছিলের ডাকও দিয়েছেন ইমরান।


আরও খবর



শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উড়োজাহাজে আগুন লাগলে তা কীভাবে নেভানো হয়, সেটির ভেতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা, নিরাপদ জায়গায় নেওয়া এবং যারা আহত হন তাদের কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় তা অনেকেই জানেন না। তাই এসব বিষয়ে ধারণা দিতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে আয়োজন করা হয়েছিল অগ্নিনির্বাপক মহড়া। এতে দেখানো হয় প্লেনে আগুন লাগার পর থেকে আদ্যোপান্ত।

রোববার (২ জুন) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন একটি মহড়ার আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।

শাহজালাল বিমানবন্দরের সকল সংশ্লিষ্ট বিভাগ, বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং জাহানারা ক্লিনিকের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের অগ্নি নির্বাপণ মহড়া ছিল এটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমান বলেন, এ ধরনের প্রত্যেকটি মহড়ায় আমরা আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো ধরার চেষ্টা করি। আমাদের সিস্টেমগুলোকে আমরা রিভিউ করি। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ইকোনমিতে এ ধরনের মহড়া ক্যাটালিস্ট ভূমিকা রাখতে পারে। আর সেই ভূমিকাটা পালন করার জন্য আমাদের দক্ষতার প্রয়োজন আছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা গ্রাউন্ডে আছি, আমাদের এয়ারলাইন্স গুলো আকাশে, যারা সাপোর্ট সংগঠন আছে, প্রত্যেককেই কিন্তু তাদের ক্যাপাসিটির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আমরা যদি এসব না করি তাহলে আমরা ওই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না।

মহড়ার শুরুতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। তিনি এয়ারপোর্ট ইমার্জেন্সী এক্সারসাইজ ফায়ার-২০২৪ এর সাজানো কাল্পনিক চিত্রটি বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, আজকের এ মহড়ার উদ্দেশ্য হলো, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যাচাই করা। সেই সঙ্গে মহড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের কোনো ঘাটতি থাকলে সেটি ঠিক করা। প্রকৃতপক্ষে আসল দুর্ঘটনার দৃশ্যটি মঞ্চায়ন করা খুবই দূরুহ কাজ। তবে, আমরা একটি দৃশ্যপট সাজিয়েছি সকলকে অবহিত করার জন্য।

প্রতি দুই বছর পর পর এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো, বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজের দ্রুততার সাথে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অগ্নিনির্বাপণ এবং যাত্রীদের উদ্ধার কাজের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে কিভাবে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালিত হয় তা নির্ণয় এবং মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এয়ার কমোডর এ এফ এম আতিকুজ্জামান। এছাড়া সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, এয়ারলাইন্স এর প্রতিনিধিরা এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ৫ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ মোট সাত উপজেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন মানুষ।

সিলেটের বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হলো- জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ৬টায় সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে ২০৯ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য দুটি পয়েন্ট গোয়াইনঘাটের জাফলং ডাউকি পয়েন্ট ও সারি গোয়াইন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার এবং শেওলা পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া সারি গোয়াইন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, সিলেট জেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত এলাকার ৪ হাজার ৮০২ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্লাবিত উপজেলাগুলোর মধ্যে কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শুকনো খাবার ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দুর্গত মানুষের খোঁজ নিতে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান উপজেলাগুলোতে পরিদর্শন করেছেন। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন জানান, বন্যাকবলিত উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক হয়েছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।


আরও খবর



কুমিল্লায় কিশোরী ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে, তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ১-এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম মো. আলাউদ্দিন (৪৮)। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার কুণ্ডলি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ জুলাই ওই কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণ করেন আলাউদ্দিন। এ ঘটনা কাউকে জানালে ওই কিশোরীকে মেরে ফেলা হবে বলে ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

পরে কিশোরীর বাবা চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি গ্রেফতার করে। ২০২৩ সালের পাঁচ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে সাতজনের সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের কারণে জন্ম নেয়া সন্তানকে মা কিংবা তার আত্মীয়-স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা যাবে। সন্তানটি তার পিতা বা মাতা কিংবা উভয় পরিচয়ে পরিচিত হতে পারে। ওই সন্তানের বয়স ২১ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত। এ রায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত বাহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: কুমিল্লা

আরও খবর



বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়া আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা, চাঁদপুরের কৃর্তী সন্তান, পুরান ঢাকার হাকিমপুরী জর্দার ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া (৯৪) আর নেই। সোমবার (২৪ জুন) দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন কাউছ মিয়া। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ জোহর ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

খবরটি নিশ্চিত করে কাউছ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, আব্বা বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার পর দেশে আনা হয়। পুরান ঢাকার বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন। শনিবার বিকেলে আব্বার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেন। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চাই।

কাউছ মিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তিনি দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজারে ব্যবসা করেন। পরে হাজিগঞ্জে, সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ব্যবসা করেন।

হাকিমপুরী জর্দার ব্যবসার পাশাপাশি তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছিল। ২২ বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেন এবং টানা ৭১ বছর এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার পর তিনি চিরতরে চলে গেলেন।

কর প্রদানে সততা, আন্তরিকতা ও প্রণোদনার স্বীকৃতিস্বরূপ হাজি মো. কাউছ মিয়াকে সিআইপি মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে। পরে যতবার এনবিআর করদাতার সম্মাননা দিয়েছে ব্যক্তি পর্যায় সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে প্রতিবারই অর্থাৎ টানা ২০বার তিনি শীর্ষ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন।


আরও খবর



সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খাল এবং সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু করা হয় এই উচ্ছেদ অভিযান।

অভিযানের খবর পাওয়ার পর ইতোমধ্যে সাদিক অ্যাগ্রোর বেশ কিছু গরু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনাও সরিয়ে নিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিক থেকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোর সামনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় এবং খালের জায়গায় থাকা বেশ কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে তারা। এ ছাড়া বুধবার রাত থেকেই বেশ কিছু গরু-ছাগল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।


আরও খবর