আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঘাটে আটকা অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স, রোগীদের কী হবে?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে স্বাভাবিক অবস্থায় ১৬টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে চলাচল করে। লকডাউনে কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। লকডাউনের শুরুতে জরুরি সেবায় ছোট

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ পথে করোনা প্রতিরোধে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া হয় ফেরি চলাচল। আর এতে শনিবার চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। মাদারীপুরে বাংলাবাজার ঘাটে শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী জরুরি সেবার যানবাহনসহ অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স পারের অপেক্ষায় আটক পরে।

রোগীর স্বজনরা এসময় অভিযোগ করে, হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে ফেরি চলাচল। আমরা কিছুই জানি না। ফেরি চলাচল বন্ধ জানরে রোগী নিয়ে বের হতাম না।

তারা জানান, দ্রুত নদী পার হয়ে হাসপাতালে সময়মত রোগীকে নিয়ে যেতে না পারলে রোগীর যেকিছু হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার ঈদ ঘিরে দিনের বেলায় বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে। আর এতে নতুন করে অসংখ্য মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

বিআইডব্লিউটিসি'র ঘাট সূত্র জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে স্বাভাবিক অবস্থায় ১৬টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে চলাচল করে। লকডাউনে কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। লকডাউনের শুরুতে জরুরি সেবায় ছোট সাত ফেরি চলাচল করলেও। শুক্রবার ঘরমুখী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকায় সব কটি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সন্ধ্যার পর জরুরি সেবায় সীমিত পরিসরে ছোট কয়েকটি ফেরি চলবে।


আরও খবর



যান্ত্রিক ঢাকার বাতাস আজ ‘গ্রহণযোগ্য’

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ৮৩ স্কোর নিয়ে ১৭ নম্বরে অবস্থান করছে যান্ত্রিক ঢাকা। রোববার সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ বলে নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা ১৭৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তাও ১৭৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ১৬০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ভারতের দিল্লি আজ ১৫২ স্কোর নিয়ে ৬ নম্বরে অবস্থান করছে।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত ফেব্রুয়ারিতে টাইগারদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডেভিড হেম্প। এরপর থেকেই এইচপির প্রধান কোচের পদটি ফাঁকা ছিলো। সেই পদ পূরণের জন্য কোচের খুঁজে ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে সেই পদে নতুন কোচ নিয়োগ করেছে বিসিবি।

এইচপির হেড কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো বিসিবি। যার প্রেক্ষিতে আগ্রহী প্রার্থীরা দিতে থাকে আবেদনপত্র। সেখান থেকে দুইজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখেন হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুর। এইচপির প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ডিওন ইব্রাহিম এবং অস্ট্রেলিয়ার নাথান মিচেল হরিতজ। দুজনের শেষ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতলেন নাথান।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিয়ে বিসিবি শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার নাথানকেই বেছে নিয়েছে এইচপির প্রধান কোচ হিসেবে। নতুন এই কোচ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির এইচপি চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

৪২ বছর বয়সী নাথান অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৫৮ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬৩ উইকেট। ১৭ টেস্টে তার রয়েছে ৬৩টি উইকেট। এছাড়া ক্যারিয়ারের শেষ দিকে তিন টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন তিনি।


আরও খবর



উপকূলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতি থেকে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ রাখতে হলে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটিও করতে বলা হয়েছে। রোববার (২৬ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরিস্থিতিতে জেলাগুলোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই সব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ব্যবহার এবং শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী তারা এ ব্যবস্থা নেবেন।

এতে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় উল্লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।

অন্যদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল সন্ধ্যার পর দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই সব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ব্যবহার ও শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া ইতোপূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ডিসেম্বর-২০২১ এ জারি করা স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসিডিওরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ রোববার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ সারা দেশের সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া রেমাল আঘাত আনতে পারে এমন এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে, তবে ক্লাস হবে না।


আরও খবর



সংসদে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তিনি বাজেট পেশ শুরু করেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন চলছে। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত আছেন।

প্রস্তাবিত সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকছে।

আজ দুপুরে প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে প্রস্তাবিত বাজেটে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজেট ঘোষণার জন্য রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রওনা দেন তিনি। পরে বেলা পৌনে ১১টায় সংসদে পৌঁছান অর্থমন্ত্রী। বাসভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, যতটুকু সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করছি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে এবারের বাজেট।


আরও খবর



সিলেটে বন্যায় পানিবন্দি সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ আটটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন মানুষ।

প্লাবিত হয়েছে সুরমা নদী তীরবর্তী সিলেট নগরীর নিম্নাঞ্চলও। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৪ হাজার পরিবার।

শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সিলেটে পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠা লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলার ১৩টি উপজেলায় বন্যা প্রস্তুতি হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৫৪৭টি। বন্যা কবলিত আট উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দেয় সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায়।

শুক্রবার নতুন করে প্লাবিত হয় সিলেট সদর উপজেলা। এদিন বিকালে সরেজমিনে সিলেট নগরীর তালতলা, যতরপুর, মাছিমপুর ও উপশহরের রাস্তাঘাটে পানি দেখা গেছে। ময়লা পানি মাড়িয়ে নগরবাসীকে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বেশি প্লাবিত হয়েছে উপশহরের কয়েকটি ব্লক।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দিনভর কর্মতৎপর ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা। শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

পানিবন্দি মানুষের জন্য ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও পাশ্ববর্তী একটি পাঁচ তলা খালি বিল্ডিংয়ে একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনির ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, বিভিন্ন কাউন্সিলরদের দেয়া তথ্যমতে ইতিমধ্যে নগরীতে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার পরিবার। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিসিক।

এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর ১৫, ২২ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের, সুবহানীঘাট, উপশহর, তেররতন এলাকা পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, স্থানীয় কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির সুহিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ নদীর পানির বেড়ে ইতিমধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি শহরের দিকে ধেয়ে আসছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তত্ত্বাবধানে সংকট মোকাবেলা করতে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এর আগে বন্যা পরিস্থিতি মোকবেলায় বৃহস্পতিবার জরুরি সভা করে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা সিলেট শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার, কানাইঘাট পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা জকিগঞ্জ পয়েন্টে বিদৎসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর সিলেটের অন্য নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে বেশি পানিবন্দি হয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়েছে। আর ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ২৪২ জন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছেন ৯৩ হাজার মানুষ। উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৩ জন মানুষ।

কানাইঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে নয়টি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন ৮০ হাজার ৬০০ মানুষ। ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন।

জৈন্তাপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। এ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৪৮টি। সেখানে ৬৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

জকিগঞ্জ উপজেলায় নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ জন। উপজেলার ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ১৯৮ জন।

বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে বন্যা হয়েছে; এখানে পানিবন্দি হয়েছেন ৫ হাজার ৫০০ মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭টি; আশ্রয় নিয়েছেন ৬০ জন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ মানুষ। উপজেলায় ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

নতুন করে প্লাবিত সিলেট সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন ১ হাজার ৬২০ জন। এই উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯টি; এখনও কেউ আশ্রয় নেয়নি।


আরও খবর