আজঃ মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪
শিরোনাম

৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল সোমবার দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কাল সকাল সাড়ে ৭টায়। সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সে লক্ষে এরই মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

ডিএসসিসির আওতাধীন হওয়ায় প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার কাজ করে সংস্থাটি। এ বছরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় জাতীয় ঈদগাহের কাজ চলছে। জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ২৫০ জন অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ৮০ জন গুরুত্বপূর্ণ নারী জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া সাধারণ পুরুষ প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী ৩ হাজার ৫০০ জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নেবেন।

ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদগাহ মাঠে ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা আছে। পাশাপাশি খাবার পানির ব্যবস্থা, ভিআইপি কাতারে জায়নামাজের ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিরোধক সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে ভিআইপি, নারী ও পুরুষের প্রবেশের জন্য আলাদা ৩টি গেট করা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে ভিআইপি (পুরুষ) কাতার হবে ৫টি, ভিআইপি (নারী) ১টি, জনসাধারণের মধ্যে পুরুষ কাতার ৬৫টি ও নারী কাতার ৫০টিসহ ১২১টি কাতার হবে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে অজুখানায় একসঙ্গে ১১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারীসহ ১৪০ জন একসঙ্গে অজু করতে পারবেন।

এদিকে আজ সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় এসবির ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ, ড্রোন পেট্টোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেইসঙ্গে করা হবে মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ইউনিফর্ম পুলিশ ছাড়াও ডিবি, এসবি ও অন্য সংস্থার কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। কোনো দাহ্য বস্তু নিয়ে ঈদের জামাতে আসা যাবে না। জঙ্গি তৎপরতার আশঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও ডিএমপি পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে।


আরও খবর



সেন্টমার্টিনে আমরা আক্রান্ত হলে জবাব দেবো: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সেন্টমার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবেএমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি নাগণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে মানবতার মা বলে অভিহিত করা হয়।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেনকোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উসকানি না দেই। উসকানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।

তিনি বলেন, আজকে দুনিয়ার বিভিন্ন সংস্থা, বড় বড় দেশগুলো আমাদের প্রশংসা করে কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের যে সাহায্যের পরিমাণটা ছিল, সেটা কিন্তু অনেক কমে গেছে। আমাদের এমনি অর্থনৈতিক চলমান সংকটে; আমরা নিজেরাই সংকটে আছি। আমাদের নিজেদেরই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের সন্তান-সন্ততি হয়ে সংখ্যা বাড়ছে। এই বোঝাটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে অভিবাসীরা যায়, তাদের আশ্রয় দেয়।

কাদের বলেন, এখানে দুনিয়ার বড় বড় দেশগুলো, যারা এ সংকট নিয়ে আজকে কথা বলে; আমাদের তো লিপ সার্ভিসের দরকার নেই! দরকার এ বোঝাটা আমাদের কাঁধ থেকে সরিয়ে নেওয়া। সার্বিকভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, তিনি সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেন।


আরও খবর



মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের ওপর বিদ্রোহীদের হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরের সহিংসতা-বিধ্বস্ত জিরিবাম জেলায় মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পরিদর্শনে যাওয়ার আগে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে একটি নিরাপত্তা দল। সোমবার রাজ্য নিরাপত্তা বাহিনীর ওই দল মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে জিরিবাম জেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে বিদ্রোহীদের অতর্কিত হামলার মুখে পড়েছে।

দেশটির পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি চালিয়েছেন। জিরিবাম জেলার জাতীয় মহাসড়ক-৫৩ এর পার্শ্ববর্তী কোটলেন গ্রামের কাছে বিদ্রোহীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় রাজ্য নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্য গত কয়েক বছর ধরে জাতিগত সহিংসতায় উত্তপ্ত রয়েছে। তবে সেখানে সাম্প্রতিক সহিংসতার শুরু হয় গত ৬ জুন। ওই দিন স্থানীয় জাতিগত মেইতে সম্প্রদায়ের ৫৯ বছর বয়সী এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধারের পর উত্তেজনা তৈরি হয়। মরদেহ উদ্ধারের আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

সিংয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে; যা ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী আসাম রাজ্যেও। মনিপুরের সহিংতা থেকে পালিয়ে বাঁচতে প্রায় ৬০০ মানুষ আসামের কাচার জেলার লখিপুর এলাকায় আশ্রয় নেন।

সোমবার নিরাপত্তা বাহিনী যে জিবিরাম জেলায় আক্রান্ত হয়েছে, সেই এলাকাটির অবস্থান মনিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে আসামের সাথে কৌশলগত সীমান্ত এলাকার জাতীয় মহাসড়ক ৩৭-এর পাশে।

নিউজ ট্যাগ: মনিপুর

আরও খবর



শেরপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এর প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলাতে দ্বিতীয় শ্রেণির আদিবাসী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষক ফাহিম এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মুখে আধাঘন্টা ব্যাপী এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

বাগাছাস ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি সৌহার্দ্য চিরানের সভাপতিত্বে এবং রুবেল নকরেক এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান মি. নবেশ খকসী, শ্রীবরদী উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা, বাগাছাস ছাত্র সংগঠনের নেতা আলবা মৃ, অ্যান্টনী রেমা, সুমন্ত বর্মন, স্বতির্থ চিরানসহ আরো অনেকেই।

এর আগে শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা, গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক ফাহিম এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের উত্তর গান্ধিগাঁও গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক আদিবাসী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। একইদিন পুলিশ ধর্ষক কিশোর ফাহিমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।


আরও খবর



ছুটির দিনগুলোকে যেভাবে উপভোগ্য করে তুলবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। ঈদের ছুটির সঙ্গে আরও ২-৩ দিন ক্যাজুয়াল লিভ নিয়ে কিছুদিন বেশ আনন্দে কাটাতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে সময় যাপন করতে পারেন। আবার নিজেকে সময় দিতে পারেন নিজের মতো করে। ইচ্ছেমতো আলসেমিও করতে পারেন। কাজের ব্যস্ততায় যারা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারেন না, ছুটিতে মর্জিমতো ঘুমিয়েও নিতে পারেন। যাই করেন না কেন, দিনগুলোকে আনন্দময় করে তুলুন।

পারিবারিক পরিবেশে আড্ডা: ঈদের ছুটিতে পরিবারকে সময় দিন। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। তাদের দাওয়াত দিন। শহুরে জীবন যাপনে একক পরিবারের সংখ্যাই বেশি। আর একক পরিবারে বাস করতে করতে একাকীত্বতা ভর করে। ছুটিতে গ্রামে যান কিংবা শহরে থাকুন, দিনগুলো পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে কাটান। গল্প-গুজব, অতীত স্মৃতি রোমন্থন, হাসি-ঠাট্টা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতে পারেন। লুডু, দাবা, বালিশ খেলা, ক্যারাম ইত্যাদির মাধ্যমে দিনগুলোকে রঙিন করতে পারেন। সন্তানকেও তার বন্ধু, চাচাতো ভাই বোনদের সঙ্গে খেলতে দিন।

পছন্দের রান্না: ইদ-উল-আজহা মানেই ভরপুর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। গরুর মাংসের বাহারি পদ এসময়ই মানানসই। ঈদের দিন সকালে নিজের পছন্দমতো কোনো পদ রান্না করতে পারেন। যেমন আমের পুডিং, সাবুদানার ডেজার্ট, নবাবী সেমাই, শাহী জর্দা সেমাই ইত্যাদি। দুপুর কিংবা রাতে গরুর মাংসের স্টেক, রেইনবো বিফ কারি, চুই ঝালে গরুর মাংস, আচারি মাংস, কালাভুনা ইত্যাদি কোনো একটি বা দুটি পদ রাঁধতে পারেন। এক্সপেরিমেন্টাল অন্যান্য পদও রান্না করতে পারেন। পরিবারের অন্যদের সাহায্য নিতে পারেন। প্রয়োজনে পরিবারের ছোটদের সাহায্য নিন। এতে তাদের সময়টাও বেশ আনন্দে কাটবে।

ঘুরাঘুরি চাই-ই চাই: ঈদের ছুটিতে ঘুরাঘুরি হবে না, তা কী করে হয়। যদি ছুটিতে ঢাকাতেই থাকেন তাহলে ডে লং ট্যুরে যেতে পারেন। জিন্দা পার্ক, পানাম সিটি, ড্রিম হলিডে পার্ক, বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, মহেরা জমিদার বাড়ি, গোলাপগ্রাম, ফ্যান্টাসি কিংডম ইত্যাদি জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে দেখবেন ভ্রমণস্থানগুলো খোলা আছে কিনা। শিশুদের নিয়ে চিড়িয়াখানা কিংবা জাদুঘরেও চলে যেতে পারেন। পুবাইল-গাজীপুরের দিকে অনেক রিসোর্ট আছে। পরিবার ও আত্মীয়দের নিয়ে কোনো একটি রিসোর্টেও যেতে পারেন। যদি ঈদে গ্রামের বাড়িতে যান, তাহলে নিজ জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোতে বেড়ান।

প্রিয় সিনেমা, ওয়েব সিরিজ: ঈদের আনন্দকে বাড়াতে সিনেমা হল কিংবা সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি একান্তই যেতে না পারেন, তাহলে বাসায়ই সবার সঙ্গে একত্রে প্রিয় সিনেমা দেখুন। দেখতে পারেন প্রিয় ওয়েব সিরিজও। এতে সুন্দর সময় কাটবে। হৈচৈ, নেটফ্লিক্স, চরকি, বায়োস্কোপ, বিঞ্জ, দীপ্ত প্লেসহ অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চোখ রাখতে পারেন। দারুণ কিছু পেয়ে যাবেন।

বই পড়ুন: ব্যস্ততার কারণে যে বই পড়া হয়নি, যে বই অর্ধেক শেষ করে পুরোটার স্বাদ নেওয়া হয়নি, সেগুলো পড়ে ফেলতে পারেন। পড়া শেষ হলে অন্যকে বই পড়তে উৎসাহী করে তুলুন। বইয়ের সঙ্গে সময় বেশ ভালো কাটবে। 

নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না: ঈদের ভারি খাবার খেয়ে নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না। মজাদার খাবার খাওয়ার সাথে সাথে শরীরচর্চা করা, হাঁটার কথা ভুলবেন না। অনেক কাজ করে যদি হাতে-পায়ে ময়লা জমে যায়, তবে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ৮-১০ মিনিট পর তা আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। রান্নাঘর ও রোদে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগান। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করুন।

নিউজ ট্যাগ: ঈদের ছুটি

আরও খবর



জটিল রোগে আক্রান্ত তাহসান, হারাচ্ছেন গান গাওয়ার সক্ষমতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গুরুতর জটিল রোগে আক্রান্ত দেশের জনপ্রিয় গায়ক, সুরকার, অভিনেতা ও মডেল তাহসান খান। তাই ভক্তদের একটি দুঃসংবাদ আগাম জানিয়েছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে কণ্ঠনালির সমস্যায় ভুগছেন তাহসান। তার জটিল রোগটির নাম হেটেরোটোপিয়া। এ জটিল রোগে ২০১৮ সাল থেকে ভুগছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমে বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে অসুস্থতার কথা নিজেই জানিয়েছেন জনপ্রিয় এ সংগীত ব্যক্তিত্ব। রোগটি সম্পর্কে তাহসান বলেন, এ সমস্যায় গলায় কাঠামো পরিবর্তন হতে শুরু করে। শুরু হয় নানা জটিলতা, যা গান গাওয়ার মনোবল ভেঙে দেয়।

তাহসান আরও বলেন, দিন যত পার হচ্ছে, গান গাওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছি। গত ছয় বছরে সেটা একটু একটু করে বুঝেছি। প্রথমে খুব ভয় পেতাম। মনে হতো আর গাইতে পারব না।

জটিল রোগটির চিকিৎসা প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসা চলছে। জীবনযাত্রায় যেমন পরিবর্তন এনেছি, তেমনি এনেছি খাদ্যাভ্যাসেও। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে?

নিজের এ অসুস্থতা নিয়ে আফসোস করে কণ্ঠশিল্পী বলেন, এমন অনেকবারই হয়েছে, সাধারণত আমি যেভাবে কনসার্টে পারফর্ম করি সেভাবে করতে পারিনি অসুস্থতার জন্য। তবে আমি সত্যি সৌভাগ্যবান। এতে শ্রোতাদের ভালোবাসা কখনও কমেনি দেখেছি।

এ সময় ভক্ত আর শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে জীবনের অনিশ্চয়তা থেকে তাহসান বলেন, আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন, রোগটি যেন আরও বেশি আমায় না ভোগায়। গলার সমস্যার কারণে আমি এখন আগের চেয়ে কনসার্ট আর লাইভে গান গাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। এ কনসার্ট আর লাইভে গান গাওয়ার পরিমাণ যদি আরও কমতে থাকে, তবে আপনারা বুঝে নেবেন আমার সমস্যাটা আরও বেড়েছে। গান গাওয়ার মতো অবস্থায় আমি আর নেই।


আরও খবর