আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আসলাম, সম্পাদক সুজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আসাদুজ্জামান আসলামকে সভাপতি এবং সুজন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির তথ্য জানানো হয়।

কমিটির বাকি তিনটি পদে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে ইব্রাহিম কবির (মিঠু), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মেহেদী হাসান হিমেল এবং শামসুল আরেফিনকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ জবি শাখা ছাত্রদলের কমিটি হয় ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। এতে রফিকুল ইসলাম রফিককে সভাপতি ও আসিফ রহমান বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গত বছরের ১৫ অক্টোবর জবি ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



ঈদে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ১৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। ঈদের ছুটির সময় গ্রাহকের নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসসহ (এমএফএস) সব ডিজিটাল সেবায় নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এসব লেনদেনে কোনোভাবেই গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা চালু রাখা, বুথের কারিগরি ত্রুটি দ্রুততম সময়ে সমাধান করা এবং বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করা, জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহককে সচেতন করতেও ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিত্তিক কার্ড নট প্রেজেন্ট এবং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সব ব্যাংক এবং তাদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে কোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে।


আরও খবর



ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এনবিআর মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে, এটা হতে পারে না, ভুল সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, ভারতে মেট্রোরেলে কি ভ্যাট আছে? ভারতে ভ্যাট নেই আমরা কেন করবো? আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

রবিবার (১৯ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা মেট্রোরেলের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে। আমি মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ঢাকা সিটি, যেটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। বাংলাদেশের রাজধানী এখন ইকোনমিস্টের পর্যবেক্ষণে মোস্ট আন বিলিভ্যাবল সিটি অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

বহির্বিশ্বের পরিবহনের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, এই শহরে যে বাসগুলো চলে, এখানে এত গরিব বাস। টিভিতে দেখি আফ্রিকান ছোট ছোট গাড়ি চলে, সেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। অথচ এই শহরের বাসগুলো জরাজীর্ণ।

কাদের বলেন, এই জরাজীর্ণ বাস নিয়ে আমরা মিটিং করে বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলেও সমাধান করতে পারিনি। ঢাকার সঙ্গে এসব যায় না। আজ আমাদের বুড়িগঙ্গা শেষ, কর্ণফুলীও শেষ।

তিনি বলেন, আমাদের মেট্রোরেল অনেক সুন্দর, শব্দদূষণ নেই। অথচ পিলারগুলো পোস্টার দিয়ে ভরা। অপরিচ্ছন্ন নোংরা। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ৬টি এমআরটি লাইনের যে কাজ শেষ হবে। ১ ও ৫ এর গ্রাউন্ড ম্যাপিং হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্রেইনে আজ মেট্রোরেল, এলিভ্যাটেড এক্সপ্রেস। এই বাংলাদেশ নিয়ে তার যে বহুমুখী পরিকল্পনা। এই ঢাকা তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি মেয়রের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাকে সহযোগিতা করুন। যে বাসগুলো চলে, ভীষণ খারাপ লাগে। এত আধুনিক মেট্রোরেল থেকে নেমে যখন গরিব, জীর্ণশীর্ণ বাস দেখতে কেমন লাগে। আমাদের মালিকরা কি লজ্জা পায় না। তারা কি বিদেশে যান না, দেখেন না।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশে প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহোদি।


আরও খবর



ধ্যানে বসেছেন মোদি, বিরোধীরা বলছেন ভেলকিবাজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট শনিবার। তার আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল ৫ টায় শেষ পর্বের প্রচারণা শেষ হয়েছে। প্রচারণা শেষ করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গিয়েছেন কন্যাকুমারী। সেখানে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানেই থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রক মেমোরিয়ালের চারপাশে দুই হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীও নজরদারি রাখবে।

মোদি এমন এক জায়গায় ধ্যানে বসেছেন যা ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের মিলনস্থল। ১৮৯২ সালে এই স্থলেই ভারতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তামগ্ন হয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেখানেই সমুদ্রের বুকে পাথরের টিলার ওপর ১৯৭০ সালে গড়ে তোলা হয় এক ধ্যানগৃহ।

তবে মোদির এই ধ্যান নিয়েও রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও লোকসভা ভোটের প্রচারণা শেষ হওয়ার পরদিনই তিনি হিমালয়ের তুষারতীর্থ কেদারনাথের গুহায় ধ্যানে বসেছিলেন। আর সেই ছবি টেলিভিশনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতের ঘরে ঘরে। এবারও তাই করতে চাইছেন তিনি।

মোদির এই প্রচারণা ঠেকাতে তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছে বিভিন্ন দল। বুধবার কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা, অভিষেক সিংভি ও সৈয়দ নাসির হুসেন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সেখানে বলা হয়েছে, মোদি ধ্যানে বসলে দেশের সব টেলিভিশন, রেডিও ও প্রচারমাধ্যমে তা নিয়ে হৈচৈ করবে। প্রত্যক্ষ না হলেও সেটা হবে পরোক্ষ প্রচার। আর তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হবেন। চিন্তা করার কোনো অবকাশই পাবেন না।

পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের ৫৭ আসনে ভোট হবে শেষ দফায়। তার মধ্যে বারাণসীও আছে। আর এই বারাণসীতেই এবারও প্রার্থী হয়েছেন মোদি।

সিপিএমের তামিলনাড়ু ইউনিট প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির ধ্যানের দৃশ্য সম্প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে।

এভাবে ভোটের আগে পরোক্ষ প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার একটি রোডশোতে তিনি বলেন, ধ্যান করতে চাইলে করুন। কিন্তু টিভিতে তা যাতে দেখানো না হয়, পত্রিকায় যাতে প্রচার না হয়। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি দেখতে হবে। মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কেউ কি ক্যামেরা নিয়ে ধ্যান করতে যান?


আরও খবর



‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ মাথাপিছু আয় হবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন ২০৪১ সাল। সেই স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি এ কথা বলেন।

বাজেট পেশের সময় মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে বিশাল প্রত্যাশা দেখিয়েছেন মন্ত্রী। তার আশা অনুযায়ী, ২০৪১ সাল থেকে একজন বাংলাদেশি বছরে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৫০ টাকা আয় করবেন। যদিও বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৪ ডলার, গত অর্থবছর যা ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। ফলে বছরের ব্যবধানে ৩৫ ডলার বেড়েছে। বর্তমানে টাকার হিসাবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।

বিবিএস জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৯১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম। চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে। বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে, রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপর। বিনিয়োগ উন্নীত হবে জিডিপির ৪০ শতাংশে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে সুদারুদের চাপে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে সুদারুদের চাপ ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিক্ষকসহ সাতজনের নাম চিরকুটে লিখে আত্মহত্যার করেছে এক যুবক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত শফিকুল ইসলাম (৪৫) ওই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ। তবে সুদখোরদের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্ভবত রাত তিন থেকে চারটার দিকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সকালে তার লাশটি ঘরের বারান্দায় দেখতে পায় তারা। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওই চিরকুটে ৭ জনের নাম রয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেটা জানি না। আমরা টাঙ্গাইল থেকে এসেছি। আমাদের এখানে আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই বলে জানান নিহতের পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত শফিকুল ইসলাম পাঁচ মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মাদ্রাসা পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি ফেরি করে কাপড় ব্যবসা করতেন। পুলিশ লাইনের সামনে একটি পানের দোকান রয়েছেও তাঁর। এই বড় পরিবার তিনি চালাতে গিয়ে প্রায় হিমশিম খেতে ছিলেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েকজনের কাছে ঋণ মাহাজন করেছিলান। আর ঋণ মাহাজনের টাকার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন সুদখোররা। চাপ সহ্য করতে না পেরে ভোররাতে ঘরের বারান্দায় চালার বাশের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে মৃত্যুর আগে এক চিরকুটে শিক্ষকসহ সাতজনের নাম লিখে যান তিনি।

চিরকুটে যে সাতজনের নাম লিখে গেছেন তারা হলেন, মো. জুয়েল ইসলাম, মো. হুমায়ুন কবীর, মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. হাবু ও পৌর শহরের কলোনির একজন।

চিরকুটে যাদের নাম রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা তাঁরা কেউ কথা বলতে রাজী হননি।

সুদের ভয়াল ছোবলে নি:শ্ব হওয়া নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন জানান, আমি বিপদে পরে এক বোর্ড অফিস এলাকার জাহাঙ্গীর সুদারুর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে ছিলাম। সে আমার ব্যাংক চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। সেই টাকার ৫ গুন লাভ দিয়েও  ঋণের হাত থেকে রেহাই পাইনি। পরে সুদ পরিশোধ করতে সমিতি থেকে কিস্তি তুলি। এভাবে দেনা বাড়তে বাড়তে বাড়ির জায়গা পর্যন্ত বিক্রি করে এখন আমি নিঃস্ব।

সুদের টাকা দিতে দেরি হলে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করে সুদখোররা। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করা যায় না। সুদারুদের কাছে সর্বস্ব দিয়েও এর হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেন না ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, বর্তমানে সুদখোরেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইন না থাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ-প্রশাসন। সুদ গ্রহিতার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও ফাঁকা চেক নিয়ে জিম্মি করছে তাদের। অনেক ক্ষেত্রে আসল ও কিছু সুদের টাকা পরিশোধ করলেও সুদের সুদ দিতে না পারলে ঐ দুই কাগজের বলে আইনের মারপ্যাচে জেলে যেতে হচ্ছে অসহায় সুদ গ্রহিতাকে।

তিনি আরো বলেন, এখানে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। গরিব আরো গরিব হচ্ছে। যার ন্যূনতম একটা সম্মানবোধ আছে, তিনি হয়ত আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়ে অনেকেই আয়েসে জীবন যাপন করছেন। তাদের ঐ সম্মানবোধটাই নেই। ফলে অনেকে জীবন বাঁচাতে ঋণ নিয়ে সেটারই ফাঁদে পড়ছে। যার ফলে এই ধরনের ঘটনায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানা ওসি এবি এম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ বলেন, পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। তিনি চিরকুটে কয়েকজনের নাম লিখে আত্মহত্যা করেছেন এটি কি তিনি লিখেছেন নাকি কাউকে ফাঁসানোর জন্য অন্য কেউ লিখে রেখেছেন সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ মুহূর্তে অন্য কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর