আজঃ শনিবার ২২ জুন ২০২৪
শিরোনাম

জিহাদকে নিয়ে আনারের দেহাংশের খোঁজ চলছে ভাঙ্গরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের অংশ খুঁজতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামের বাগজোলা খালে অভিযান চালায় সিআইডি টিম। 

এ হত্যার ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দেহাংশ পোলেরহাট থানার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে ফেলা হয়েছে। সিআইডি কর্মকর্তারা এ কারণে ঘটনাস্থলে গেছেন। সেখানে চলছে তল্লাশি। জিহাদ হওলাদারকেও নিয়ে আসা হয়েছে ভাঙ্গরে। দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছে তা চিহ্নিত করা হচ্ছে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, পেশায় কসাই জিহাদ বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। আজিমকে খুনের প্রায় দুমাস আগে অভিযুক্তরা তাকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে‌।

সিআইডি বলছে, জেরায় আনওয়ারুলকে খুনের কথা স্বীকার করেছে জিহাদ। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই জিহাদ সব কাজ করেছে। জিহাদ ছাড়াও আরও চারজন বাংলাদেশি নাগরিক এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল। আনোয়ারুল আজীমকে তারা প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নিহতের পরিচয় যাতে বোঝা না যায় তাই শরীরের হাড় এবং মাংস আলাদা করে ফেলে। এরপর হাড় ও মাংস টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে সব কিছু পলিথিন ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাটের বাইরে গিয়ে ফেলে দেয়। বিভিন্ন গাড়িতে চড়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় তারা।

কলকাতার একাধিক এলাকায় ফেলা হয় দেহাংশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভাঙড়ে ফেলা হয়েছে দেহাংশ। আটক অ্যাপ ক্যাব চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার দাবি অনুযায়ী, খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। দেহাংশ পোলেরহাট থানার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে ফেলা হয়েছে। সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। সেখানে চলছে তল্লাশি। 

সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, আজিম কলকাতায় আসার অনেক আগেই সেখানে চলে যায় অভিযুক্তরা। শহরে বসেই তারা খুনের ছক কষেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। দুই অভিযুক্ত কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে ছিল ২ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। ১২ মে কলকাতায় যান আজিম। অর্থাৎ, তার আসার অন্তত ১০ দিন আগে কলকাতায় আসে ওই দুই অভিযুক্ত।

আরও খবর



তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রসহ বনের অভ্যন্তরে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বন এলাকা।

রোববার (২৬ মে) দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটনকেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যায়। সাথে বড় বড় ঢেউ লক্ষ করা গেছে। তবে করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের প্রাণিগুলি নিরাপদে রয়েছে।

এদিকে, সুন্দরবনের কটকা ও কচিকালী এলাকা প্রায় চার ফুট পানিতে তলিয়েছে। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চরও। জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন উপকূলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের।

করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে জোয়ারে করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই ভাবে সুন্দরবনের অন্য স্থানেও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে বনের অভ্যন্তরে পানি বেশি হলেও বন্যপ্রাণির তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বন্যপ্রাণির আশ্রয়ের জন্য বনের ভেতরের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করে রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে বন্যপ্রাণিরা সেসব টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে।

মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই ও খালাসসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। জরুরী দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা করে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মাকরুজ্জামান এই তথ্য জানান।


আরও খবর



ঢাকাসহ ২০ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২০ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সোমবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল উত্তর দিকের স্থলভাগে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে। এটি যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।


আরও খবর



প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সুন্দরবন প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাছ, বন্যপ্রাণীর বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রম সুরক্ষায় তিন মাসের জন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ঢোকার অনুমতি বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় সুন্দরবনে পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এ সময় মাছ ও কাঁকড়া আহরণও বন্ধ থাকবে।

শনিবার (১ জুন) পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এবং নতুন করে কাউকে প্রবেশ পাস দেয়া হবে না।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, এরআগে সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সুন্দরবনে ঢোকার সব ধরনের পাস। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, জুন থেকে পরবর্তী তিন মাস সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির তাগিদে মন্ত্রী পরিষদ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে তিন মাস সুন্দরবন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে সুন্দরবন তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য নতুন করে কাউকে পাস (অনুমতি পত্র) দেয়া হবে না। একই সঙ্গে বন বিভাগের নিয়মিত স্মার্ট পেট্রোলিং টিম তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে। এবং সুন্দরবনের ভিতরের অফিসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিদিন তাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখবে।’

উল্লেখ্য, সুন্দরবনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম চলছে।


আরও খবর



মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ভোগান্তির ঘটনায় মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি কর্মীদের ভোগান্তি সৃষ্টির ঘটনায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ জুন বঞ্চনায় শেষ মালয়েশিয়ার স্বপ্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।

স্বপ্রণোদিত অভিযোগটিতে মানবাধিকার কমিশন উল্লেখ করে, ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও উড়োজাহাজের টিকিট সঙ্কটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো উড়োজাহাজে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা এর জন্য দায়ী করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে। তারা বলছেন, গত মার্চেই মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী প্রবেশের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় ১৬ মে। ফলে শেষ মুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের তীব্র সংকট তৈরি হয়।

অন্যদিকে ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের ডেটলাইনকে ঘিরে মে মাসের শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সময়সীমার শেষ দিনে গত শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার শেষ চেষ্টা করতে টিকিট ছাড়াই ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় জমান হাজারো মানুষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে না পেরে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানা যায়, মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে থেকে দেশটিতে আর নতুন বিদেশি শ্রমিক ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে আবারও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। ফলে শেষ দিনে সকাল থেকে রিক্রুটিং এজেন্সির আশ্বাসে উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই বিমানবন্দরে ছিলেন হাজারও মালয়েশিয়াগামী। তাদের কেউ কেউ দুই-তিন দিন ধরে বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন। এসব কর্মীর মধ্যে বেশির ভাগই জমি বা শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ও ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জোগাড় করেন। নির্দিষ্ট সময় শেষে টিকিট না পেয়ে নিদারুণ স্বপ্নভঙ্গের মাধ্যমে তাদের সে আশা শূন্যে মিলিয়ে গেছে। মালয়েশিয়া গিয়েও সিন্ডিকেটের প্রতারণার কারণে কাজ না পেয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বেকার জীবনযাপন করছেন অনেকেই।

মানবাধিকার কমিশন সুয়োমটোতে আরও উল্লেখ করে, মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন তারা মালয়েশিয়ার ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না। জমি বিক্রি করে ও চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জোগাড় করেও শেষ পর্যন্ত যেতে না পেরে তারা এখন নিঃস্ব। শেষ দশ দিনে বিমানের টিকিটের অজুহাতে ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর থেকে অর্থ আদায়ের বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সক্রিয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের হয়রানি ও তাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং সেই দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা যায়।

এতে চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে তাদের মানবাধিকার। কমিশন মনে করে, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে অনতিবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ অভিযোগে উল্লিখিত শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন।

সুয়োমটোতে তিন বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের আদেশ

১. মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শেষ সময়সীমাকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মে মাসের শেষ দশ দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে বিমানের টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।

২. সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লিখিত ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও যথাসময়ে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ। ভিসা প্রাপ্ত শ্রমিকদের মালয়েশিয়া প্রেরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।

৩. প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায়পূর্বক নাম-সর্বস্ব কোম্পানিতে শ্রমিকদের প্রেরণ এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার পর কাজ না পাওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বলা হলো। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।

আরও খবর



গাড়ি তল্লাশি করে মিলল ২৭৮ বোতল ফেনসিডিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে ২৭৮ বোতল ফেনসিডিলসহ একজনকে আটক করেছে র‍্যাব। সদর উপজেলার পরানপুর এলাকায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় একজনকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-১০ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক কে. এম. শাইখ আকতার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম (৫২)। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার হাটকালুগঞ্জ গ্রামের কালু শেখের ছেলে।

র‍্যাব কর্মকর্তা কে. এম. শাইখ আকতার বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে কিছু মাদক কারবারি নানা কৌশলে ফরিদপুর এলাকায় মাদক চালান করে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে জেলার সদর উপজেলার পরানপুর এলাকায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা একটি তিনচাকার যান নসিমন গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এতে অভিনব কৌশলে নসিমন গাড়ির বডির ভেতরে বাক্সের মতো তৈরি করে ফেনসিডিলগুলো বহন করে আসছিল। পরে গাড়ির বডির ওপরের কাঠের পাটাতনগুলো খুলে ২৭৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এর আনুমানিক বাজার ‍মূল্য ৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ সময় গাড়ির চালককে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি মাদককারবারি বলে স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার সকালে আটক আমিনুলকে মাদক মামলায় কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর