আজঃ শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মাঠের চ্যালেঞ্জ জানতে ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বসবে ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্বাচন পরিচালনা করতে মাঠপর্যায়ে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা জানতে ও সেগুলো থেকে উত্তরণের পথ বের করতে সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগামী ৮ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকটি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল রোববার বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের কাছে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সামনে জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন আছে। তাই, সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশন মাঠের রিপোর্ট বুঝতে চায়।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, জেলা পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চাই। এ কারণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন দক্ষতার সঙ্গে, সম্মিলিতভাবে, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সাথে মতবিনিময়, সমন্বয় সাধন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করাই হবে এই আলোচনার উদ্দেশ্য।

মো. আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করতে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো থেকে উত্তরণের পথ বের করতে মতবিনিময় করবে কমিশন। আমি মনে করি, শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে অনেক সমস্যার সমাধান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আমরা চাই নির্বাচনে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে এবং আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে। তাই আমরা যদি সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটু আগে থেকে সব স্তরে কাজ শুরু করি এবং নজরদারি রাখতে পারি তাহলে নির্বাচন পরিচালনায় সাফল্য নিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



ভারতীয় মশলায় ক্ষতিকর জীবাণু, বিভিন্ন দেশে ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক ভারতীয় অভিনেতা এবং বর্তমানে খাদ্য সংক্রান্ত লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত মাধুর জাফরি তার এক প্রবন্ধে বলেছেন, ভারতীয়দের কাছে মশলা হলো রঙের বাক্সের রঙের মতো। বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে যেমন রঙের ঔজ্জল্য বাড়ানো যায়, ভারতীয়রাও সেভাবে যে কোনো মশলার স্বাদের তারতম্য ঘটানোর কৌশল জানে।’

ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মশলার প্রধান কাজ খাবারের স্বাদ বাড়ানো এবং ভারতীয় ডিশগুলোতে নানাভাবে মশলা ব্যবহার হয়, ফলে স্বাদেরও তারতম্য ঘটে। আপনি যদি একই খাবারের দু’টি ডিশের একটি ভাজা মশলা এবং অপরটি গুঁড়া মশলায় রান্না করেন— সে দু’টির স্বাদ ভিন্ন হবে।’

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রায় সব ডিশে মশলার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং গত বেশ কয়েক বছর ধরে বহির্বিশ্বে তা রপ্তানির কারণে ইতোমধ্যে মশলা উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র’ তকমা পেয়েছে ভারত। বিশ্বজুড়ে মোট উৎপাদিত মশলার ১২ শতাংশের উৎপাদন করে ভারত এবং প্রায় ১৮০টি দেশে রপ্তানি হয় বিভিন্ন ভারতীয় মশলা।

ভারতের অভ্যন্তরীণ মশলার বাজারের আকার ১ হাজার কোটি ডলার। এছাড়া বাইরের বিভিন্ন দেশে মশলা রপ্তানি করে প্রতি বছর ৪০০ কোটি ডলার আয় করে দেশটি। ভারতীয় মশলার সবচেয়ে বড় তিন ক্রেতা চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়েও মশলা রপ্তানি করেন ভারতীয় উদ্যোক্তারা।

বৈশ্বিক বাজারে ভারতীয় যেসব মশলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেগুলো হলো— মরিচ-ধনে-হলুদের গুঁড়া, এলাচ এবং মিক্সড মশলা। এসবের বাইরে  হিং, জাফরান, জায়ফল, মৌরি, লবঙ্গ এবং দারুচিনিরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। আর বিশ্বে ভারতীয় মশলা রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে দেশটির দুই কোম্পানি— এমডিএইচ এবং এভারেস্ট।

তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে এ দু’কোম্পানির পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মশলায় ভেজাল ও ক্ষতিকর উপাদান মেশানোর অভিযোগে অনেক দেশ সরকারিভাবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভারতীয় মশলা ক্রয়-বিক্রিয়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে।

গত মাসে সিঙ্গাপুর এবং হংকয়ের সরকারি প্রশাসন নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের তৈরি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসন বলেছে, এ দুই কোম্পানির পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড’ নামের একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। মানবদেহে দীর্ঘদিন ধরে এই উপাদানটি প্রবেশ করলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি থাকে।

এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুডস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) পরীক্ষাতেও এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্যে এথিলিন অক্সাইডের অতিমাত্রায় উপস্থিতি দেখা গেছে। এফডিএ’র একজন মুখপাত্র এ ইস্যুতে বিবিসিকে বলেন, ভারতীয় মশলায় ভেজালের অভিযোগ নতুন নয়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যত মশলা রপ্তানি করেছিল ভারত, সেসবের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্যাকেটের মশলায় ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছিল। এমডিএইচ এবং এভারেস্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানোও হয়েছিল— কিন্তু তারা অস্বীকার করেছে।

একই অভিযোগ করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউ’র নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচের গুঁড়া এবং গোলমরিচে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ, মালদ্বীপ এবং অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাও আমদানিকৃত ভারতীয় মশলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের মশলার ওপর যে এবারই প্রথম ভেজালের অভিযোগ উঠল— এমন নয়। ২০১৪ সালে কলকাতার জৈবরসায়নবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ইপ্সিতা মজুমদার গবেষণাগারে পরীক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মরিচ, হলুদ, ধনে, গরম মশলার গুঁড়া এবং কারি পাওডারে সীসা শনাক্ত করেছিলেন। পরে তিনি বলেছিলেন, মশলার গুঁড়ার ঔজ্জল্য বাড়াতে যে কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করছে; সেসব রঙই সীসার উৎস।

এমডিএইচ গত ১০৫ বছর ধরে গুঁড়া মশলার ব্যবসা করে আসছে। এই কোম্পানির উৎপাদিত ৬০টি ব্র্যান্ডের গুঁড়া মশলা বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়। অন্যদিকে এই ব্যবসার সঙ্গে এভারেস্ট যুক্ত আছে ৫৭ বছর ধরে। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের মতো সুপারস্টাররা এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদিও বারবার দাবি করে আসছে যে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার পরই মশলার গুঁড়া রপ্তানির ছাড়পত্র দেওয়া হয়, কিন্তু এফডিএ’র অভিযোগ— তারা যেসব নমুনা পরীক্ষা করেছে, সেগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে মান যাচাই পরীক্ষা করেনি ভারতীয় কৃর্তৃপক্ষ।

নয়াদিল্লি-ভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনশিয়েটিভস সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে—চীন, ইইউ যদি মশলার দূষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়— তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চীন এবং ইইউ যদি এ ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং আইনী পথ অবলম্বন করে, তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে যাবে।


আরও খবর



সাকিব টি-টোয়েন্টির জন্য আর যোগ্য নয়: বিরেন্দ্র শেবাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের হতাশজনক পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের সমর্থকরা। এতে আরও ঘি ঢাললেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার বিরেন্দ্র শেবাগ।

বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার বাজে শট সিলেকশনের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন শেবাগ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের দেওয়া ১১৪ রানের টার্গেট পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরেছে ৪ রানে।

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যক্তিগত ৩ রানে বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট হন সাকিব। এতে সাকিবকে তিরস্কার করেছেন শেবাগ।

ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েব সাইট ক্রিকবাজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেন, একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে সাকিবের রান তাড়া করার ক্ষেত্রে আরও বড় ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। কিন্তু, উইকেট স্থায়ী হওয়ার আগেই, নর্কিয়ার দ্রুতগতির বাউন্সারে এমন শট খেলা উচিত হয়নি তার।

সাকিবের উদ্দ্যেশে কিছু পরামর্শ দিয়ে ভারতের সাবেক ওপেনার বলেন, তাকে অভিজ্ঞতার জন্য দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা তা (অভিজ্ঞা) দেখতে পারতাম না। অন্তত এই উইকেটে আপনাকে কিছু সময় ব্যয় করতে হতো। এমন নয়, আপনি হেইডেন বা গিলক্রিস্ট, যিনি শর্ট বলের পুল শট খেলতে পারেন, আপনি কেবল বাংলাদেশের একজন খেলোয়াড়। আপনি নিজের মান অনুযায়ী খেলুন। যখন আপনি হুক বা পুল খেলতে পারবেন না, তখন আপনি যে শটগুলো জানেন কেবল সেগুলোই খেলুন।

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডের পরতি ফর্মের দিকে ইঙ্গিত করে শেবাগ বলেন, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের জন্য তার লজ্জা পাওয়া উচিত। এ সময় তিনি চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪ বলে ৪ রানের ইনিংসেও সমালোচনা করেন।

শেবাগ বলেন, আমি অনুভব করেছি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের সময় অনেক আগে শেষ হয়েছিল, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। সে অধিনায়ক এবং দলের একজন সিনিয়র খেলোয়াড়। তার পরেও যদি আপনার স্কোর এরকম হয়, তাহলে আপনাকে লজ্জা পাওয়া উচিত। এমনকি তারও উপলব্ধি করা উচিত, সে আর টি-টোয়েন্টির জন্য যোগ্য নয় এবং তার অবসর ঘোষণা করা উচিত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে টাইগারা।

বিশ্বকাপে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। ১৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হওয়ার পর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ দল।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরগুনার পাথরঘাটায় দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসেন ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবিরের সমার্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রার্থীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে উন্নাত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে আহতদের পক্ষে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির সংবাদ সম্মেলনে করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় ও পরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনা ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আল মামুন।

বরিশালের চিকিৎসাধীন হলেন, মোঃ রাকিব (২৮), তানভীর আহম্মেদ (৩৩), সবুজ গাজী (২৭), ফয়সাল আহম্মেদ (২৮), চয়ন (১৮), আহাদ হাওলাদার (১৬), তানভীর (১৭), শাহ আলী (২৯), সোলাইমান (২৮), সানি (১৬), ইউসুফ (২৮), ইফতি (১৯)। এরা সবাই কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবিরের সমার্থক। এছাড়া আরও আহত হয়েছেন দেয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইন ও তার সমর্থক সানি (২০)।

আটককৃতরা হলেন, মোঃ নাইমুল ইসলাম-(২১), মোঃ মনির হোসেন-(৩০), মোঃ হাবিবুর রহমান-(২৫), মোঃ মিজানুর রহমান-(২৫), মোঃ ইব্রাহিম -(২৫), মোঃ শাহাদাত হোসেন-(২৪), মোঃ আবু মুসা-(২৬), মোঃ শান্ত -(২৩), মোঃ খোকন মিয়া-(৩৮)। এরা সকলেই দেয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইনের সমর্থক।

সংবাদ সম্মেলনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির অভিযোগ করেন, কাপ-পিরিচ প্রচারণা চলাকালে দোয়াত-কলম সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ও হতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা সমাধান করে দেয়। এর পরপরই এনামুল তার লোকজন নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত ভাবে সশস্ত্র হামলা চালায়। আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে পুনরায় অতর্কিত হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, এ হামলার পিছনে কলকাঠি নাড়ছে দেয়াত-কলম এর প্রার্থী এনামুলের ভাই এএসপি নাজমুল ও সাবেক এমপি শওকাত হাসানুর রহমান রিমন। অভিযোগের বিষয় দেয়াত-কলম এর প্রার্থী এনামুল হোসাইনকে একাধিক বার ফোন দিলেও সে রিসিভ করেন।

এ বিষয় পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সন্দেহজনক ৯ জনকে আটক করা আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত মামলা না করেনি। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাথরঘাটা

আরও খবর



হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সই করা পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি-৮১ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে বহুমুখী হর্ন অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ন বা যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অননুমোদিত হর্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানো ছাড়াও চালকদের বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে মোটরযান চালাতে উৎসাহিত করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিছু কিছু মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন সংযোজন করে ব্যবহার করার ফলে গণউদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে এ ধরনের হর্ন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়।


আরও খবর



নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ২৩ জুন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ জুন অপরাহ্ন থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস)-কে জেনারেল পদবিতে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক ওই তারিখ অপরাহ্ন থেকে ৩ বছসরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর