আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ন্যাটো কেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গেল সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্র্যান্ট শ্যাপস। বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ব্রিটেনকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এদিকে ডাবলিনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাডকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সাক্ষাৎতে তারা দুদেশের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবন নিয়ে কথা বলেন।    

আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেন উভয়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাহলে, কেন একটি দেশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ও অন্যটি কথিত শত্রুর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে? এ প্রশ্নের একমাত্র সম্ভাব্য উত্তর হলো আইরিশ সরকার মনে করে না যে এই জাতীয় সংঘাত ঘটতে চলেছে। তাহলে কে মনে করে?

ধারণা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাবনা দেখছে সামরিক জোট ন্যাটো। গত সপ্তাহে তারা ঘোষণা দেয়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য মহড়া শুরু করবে। অর্থাৎ একটি বিশ্বব্যাপী সংঘাত হতে পারে, যা সম্ভবত পারমাণবিক যুদ্ধে বাড়বে ও বিশ্বকে ধ্বংস করবে। গভীরভাবে দেখলে এর আরও প্রমাণ পাওয়া যায়।

গ্র্যান্ট শ্যাপসের ওই বক্তব্য অনুযায়ী, সক্রিয় ও রিজার্ভসহ ওই দেশগুলোতে মোট ৮২ লাখ সেনা রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন সেনাবাহিনী বর্তমানে ভয়াবহ নিয়োগ সংকটের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে দেশটির সেনা সদস্যের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। যদি যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্যাপসের কালো তালিকাভুক্ত চারটি দেশকে গ্রহণ করার চেষ্টা করে তবে প্রতিটি ব্রিটিশ বা আমেরিকান সৈন্যের জন্য আটটি শত্রু সেনা থাকবে।   

আরও পড়ুন>> মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে ঘোষণা করা হয়, নাবিকের ঘাটতির কারণে লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের বিমানবাহী রণতরী পাঠানো যাবে না। আমেরিকার মতো, ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী নিয়োগ সংকটের কারণে কর্মীদের চরম ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।

বাস্তবতা হলো ইউক্রেনের অবনতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় এসব ষড়যন্ত্র করা যেতে পারে। জোটটি ভলোদিমির জেলেনস্কির পক্ষে তার সব শক্তি নিক্ষেপ করেছে। একই সঙ্গে এটিও স্পষ্ট যে, যুদ্ধটি তাদের পক্ষে ভালো যাচ্ছে না।

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো দাবি, সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনের ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে তিনি কিয়েভের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এই জোট পশ্চিমা বিশ্বকে সামগ্রিক বৈশ্বিক যুদ্ধ ও সম্ভাব্য পারমাণবিক ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত করায় জড়িত বলে মনে হচ্ছে।

স্লোভাকিয়া ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উভয়েরই সদস্য। ২০২৩ সালে প্রকাশিত ব্রাতিস্লাভা-ভিত্তিক গ্লোবসেক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে স্লোভাকিয়া হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম রাশিয়াপন্থী দেশ। 


আরও খবর



জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে এলআইইউপিসি: আফরোজা কালাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এলআইইউপিসি গত পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ গরীব পরিবারকে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউ হলে এলআইইউপিসি প্রকল্পের উদ্যোগে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম একথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ্ আহমদ চৌধুরী, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী (জয়)। বক্তব্য রাখেন- ডিপিএইচই এর সিনিয়র অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম মোরশেদ, কারিতাস চট্টগ্রামের প্রকল্প সমন্বয়ক অজয় ব্রায়েন এন্থনি, কমিউনিটি ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি কৌহিনুর আক্তার, কমিউনিটি হাউজিং ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার আক্তার ও ক্লাষ্টার লিডার নুর আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলআইইউপিসির টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন খান।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর ২২টি ওয়ার্ডে পাঁচ লক্ষ জনগনের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এলআইইউপিসি। বিশেষ করে দরিদ্র নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৪০ হাজার পরিবারকে বিভিন্ন ধরণের অনুদান প্রদান করা হয়ছে। এর মধ্যদিয়ে গরীব মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে এবং আমি মনে করি প্রকল্পের এ ধরনের কার্যক্রম মানুষকে দরিদ্র অবস্থা থেকে বের করে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে তারা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে দরিদ্র বসতি এলাকায় রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, লেট্রিন, গোলসখানা, ডিপ টিউবওয়েল, সড়কবাতিসহ  অবকাঠামো এবং পরীক্ষামূলকভাবে একটি পানি শোধণ ব্যবস্থা নির্মাণ করেছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডকে প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



নাইজেরিয়ায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত ১৮

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নাইজেরিয়ায় বেশ কয়েকটি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বোর্নো রাজ্যে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্দেহভাজন বোমা হামলায় ছয়জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রদেশের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা গোওজা শহরের একটি বিয়ে, শেষকৃত্য এবং একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।

বোর্নো রাজ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরেই জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম সক্রিয় রয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও ২০ লাখের বেশি মানুষ।

২০১৪ সালে চিবোক শহর এবং বোর্নো রাজ্য থেকে ২৭০ জনের বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে বোকো হারাম।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক মোট ১৮ জন নিহত হয়েছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। নাইজেরিয়ার ভ্যানগার্ড এবং দিস ডে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফারণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।

কয়েকটি স্থানে একসঙ্গে হামলার পর কারফিউ জারি করেছে সামরিক বাহিনী। এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

২০১৪ সালে গোওজা শহরের দখল নেয় বোকো হারাম। পরবর্তীতে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে বোকো হারামের কাছ থেকে শহরটি মুক্ত করে। এরপর থেকেই ওই শহরের আশেপাশে হামলা এবং অপহরণ করে যাচ্ছে জঙ্গিরা।

গত নভেম্বরে প্রতিবেশী ইয়োব রাজ্যে একটি শেষকৃত্যু অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার সময় বোকো হারামের হামলায় ২০ জন নিহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলার একদিন আগেই গুরুকায়েয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। গ্রামবাসীরা তথাকথিত ফসলের কর দিতে অস্বীকার করায় সেখানে অভিযান চালানো হয়।


আরও খবর



ব্যাটারদের রান না পাওয়ার প্রশ্নের উত্তর নেই শান্তর কাছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে দলের বোলাররা যেমন প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করেছেন তেমন একইভাবে প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার।

ব্যাট হাতে দলের টপ অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে। অবশ্য এমন ব্যর্থতার মধ্যে বন্দি তারা বছরের শুরু থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এভাবে শুরু করে যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে এ রকম পারফরম্যান্সি ঠিক সেভাবে নজরে আসেনি। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়েছেন ব্যর্থ। ব্যাটারদের বারবার এমন রান না পাওয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে।

অজিদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। অধিনায়ক শান্তর সাথে তার ৫৮ রানের জুটি হলেও সেটিকে ঠিক টি-টোয়েন্টি গতির বলা যায় না।

বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৫৮টি ডট বল। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন স্বল্প রানে।

শুরুতে এ রকম ঘুম পাড়ানো ব্যাটিং প্রসঙ্গে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, আসলে শুরুর দিকে আমরা একটু সতর্ক খেলারই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি বলে মনে করি। রান আরেকটু ভালো হতে পারত। আমি বাজে সময় আউট হয়েছি, আউট না হলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারতাম।

রানখরাও ভুগতে থাকা লিটন আজও হয়েছেন ব্যর্থ তার ওপর খেলেছেন স্লো একটা ম্যাচ। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় দোষ দেখেন না। তিনি বলেন , শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের বিশ্বকাপে দৈন্যদশার কারণ অবশ্য জানা নেই শান্তর, কেন তারা পারছে না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।


আরও খবর



সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে ৯ জুলাই থেকে ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষে ১২ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।

এবার দেশের ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসবে। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন, ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭২৫টি।

অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে ৯ জুলাই থেকে ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, স্থগিত পরীক্ষাসমূহের রুটিন শিগগির ঘোষণা করা হবে। 

এর আগে ৫ জুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছিলেন দেশের যেসব অঞ্চলে বন্যা হবে, সেখানে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

তিনি বলেছিলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পানিসীমার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে অঞ্চলে বন্যা ছড়াবে, শুধু সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রাশিয়ায় ফের বন্দুকধারীদের হামলা, ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোর কাছে একটি কনসার্ট হলে ইসলামিক স্টেটের দাবি করা হামলায় ১৪৫ জন নিহত হওয়ার তিন মাস পর রাশিয়ার দুই শহরে ফের একযোগে হামলার ঘটনা ঘটল। রাশিয়ার উত্তর ককেশাসের দাগেস্তানে সিরিজ হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। ইহুদিদের উপাসনালয়, দুটি অর্থডোক্স গির্জা ও একটি থানায় চালানো হামলায় অন্তত ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রোববারের (২৩ জুন) এই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দাগেস্তানের রাজধানী মাখাচকালা ও দেরবেন্ত শহরে সিরিজ হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। পাল্টা গুলিতে ছয় হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

রাশিয়ার গণমাধ্যম বলছে, ইহুদিদের একটি উপাসনালয়, দুটি অর্থডোক্স গির্জা ও থানায় হামলা চালানো হয়। গুলির পর উপাসনালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। অনেককে জিম্মি করে রাখে বন্দুকধারীরা। খবর পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় রুশ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

অঞ্চলটির স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদসংস্থা জানায়, হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষ ও ধর্মজাজক রয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, পাল্টা গুলিতে কয়েকজন বন্দুকধারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও, এদের মধ্যে দুইজন স্থানীয় পৌর মেয়রের ছেলে ও একজন ভাতিজা বলে জানা গেছে। হামলায় জড়িত অন্যদের ধরতে চালানো হচ্ছে অভিযান।

এদিকে, জিম্মিদের সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির গোয়েন্দারা।


আরও খবর