আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

ভারতের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান (সিওএএস) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী। খবর এনডিটিভির।

১৫ ফেব্রুয়ারি ভাইস চিফ অফ আর্মি স্টাফ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। মাত্র চার মাসের মধ্যে পদোন্নতি পেলেন। হলেন ভারতের ৩০তম সেনাপ্রধান।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সেনার উপপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন উপেন্দ্র। তার আগে তিনি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নর্দার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ছিলেন।

জেনারেল উপেন্দ্র মধ্যপ্রদেশের অধিবাসী। সৈনিক স্কুল রেওয়াতে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে (এনডিএ) যোগদান করেন। ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের ১৮তম ব্যাটালিয়নে কমিশন লাভ করেন। পরে কাশ্মীর উপত্যকায় এই ব্যাটালিয়েনের নেতৃত্ব দেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর দীর্ঘ ৪০ বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। নর্দার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার হিসাবে দীর্ঘদিন অধিকৃত কাশ্মীরে কাজ করেছেন উপেন্দ্র। সাবেক সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডের মেয়াদ ছিল গত ৩১ মে পর্যন্ত। কিন্তু এক মাস তার কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ৩০ জুন পর্যন্ত তাকে এই দায়িত্বে থাকতে বলা হয়। এর অর্থ লোকসভা নির্বাচনের পরে নতুন সরকার নতুন সেনাপ্রধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নতুন সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে উপেন্দ্রের পাশাপাশি ছিলেন সাদার্ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় কুমার সিংহও। তিনি ১৯৮৪ সালে ৭/১১ গোর্খা রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেলেন উপেন্দ্রই।


আরও খবর



মন্ত্রীর বিদায়ের পর চাপের মুখে নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় চলমান সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তার সরকারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিরোধী নেতা বেনি গ্যান্টজ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অবস্থান অনেকটা জোরালো করেছিলেন। কিন্তু রোববার তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যগ করেছেন।

উগ্র দক্ষিণপন্থি জোট সরকারের একমাত্র মধ্যপন্থি দলের প্রস্থান একাধিক সংকটের সময়ে ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনই সরকার পতনের আশঙ্কা না থাকলেও নেতানিয়াহুকে এবার জোটের কট্টরপন্থি সদস্যদের ওপর আরও বেশি নির্ভর করতে হবে।

ফলে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ আমেরিকার সঙ্গে মনোমালিন্য আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু নিজের সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মার্কিন প্রশাসনের অনেক চাপ উপেক্ষা করার চেষ্টা করে চলেছেন।

গাজায় বিতর্কিত সামরিক অভিযানের পাশাপাশি উত্তরে লেবানন সীমান্তের অপর প্রান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে আরও তীব্র সংঘাতের আশঙ্কা ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। গাজায় এক সেনা অভিযানে হামাসের কবল থেকে চার জন বন্দিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও হামাসের কবলে এখনও অনেক বন্দি থেকে যাওয়ায় ইসরায়েলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।

দেশের এমন সংকটের সময় মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। ইসরায়েলের একাধিক সামরিক কর্মকর্তার মতে, তিনিও গাজায় সামরিক অভিযানের সমাপ্তির পর কোনও রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের পরিকল্পনার অভাবের সমালোচনা করে আসছিলেন।

৮ জুনের মধ্যে তিনি নেতানিয়াহুর কাছে এক রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের খসড়া দাবি করেছিলেন। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে গ্যান্টজ বলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত জয়ের দিকে এগোনোর পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাই ভারাক্রান্ত মনে আমাদের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, নেতানিয়াহু সরকারের পতন ঘটলে গ্যান্টজই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ইসরায়েলের রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে। তিনি নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যে চলতি বছরেই ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচনের জন্য রাজি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসরায়েলে এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই সোমবার দেশটিতে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি গাজায় অস্ত্রবিরতির পরিকল্পনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চলেছেন। অবশ্য নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক সংকট ও হামাসের নীরবতার কারণে সেই পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।


আরও খবর



যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৫ বিভাগসহ বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে দুপুর ১টার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (১৯ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং দিনাজপুর, নোয়াখালী ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, অতিবৃষ্টির প্রভাবে দেশের উত্তর এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এসব অঞ্চলে অতিভারি বর্ষণের কথা বলা হয়েছে। এতে করে নদ-নদীর পানি বেড়ে নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।


আরও খবর



পৃথিবীতে এলিয়েন বসবাস নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন তথ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কি না, এ নিয়ে বছরের পর বছর গবেষণা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এলিয়েনের বাস্তব অস্তিত্ব কোনো গবেষণায় স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। এবার নতুন করে এলিয়েনের অস্তিত্বের বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীতে মানুষের মাঝেই এলিয়েনের বসবাস। তবে তারা লুকিয়ে বসবাস করে। খবর এনডিটিভি 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েল হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রামের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, অপরিচিত অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা (ইউএপি), যা সাধারণত ইউএফও এবং বহির্জাগতিক প্রাণী হিসেবে পরিচিত। তারা ভূগর্ভস্থ, চাঁদে কিংবা মানুষের মাঝে চলাফেরা করতে পারে। এছাড়া গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে- এলিয়েনের ব্যবহৃত স্পেশশিপের মাধ্যমে তারা পৃথিবীতে বসবাসকারী তাদের গোত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

গবেষণাটি তথাকথিত ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস এর ধারণা নিয়ে আরও গবেষণা করছে। তবে তাদের ধারণা, এলিয়েনরা হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মধ্যে বসবাস করছে। এরা পৃথিবীর ভবিষ্যৎ থেকে উদ্ভূত হতে পারে। কিংবা বুদ্ধিমান ডাইনোসর থেকেও আসতে পারে।

ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল ধারণা দিয়ে সেই সব ভিনগ্রহী প্রাণীকে বোঝানো হচ্ছে যেগুলো হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে বসবাস করছে। এই ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল চারটি রূপে আবির্ভূত হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

১.  হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা। এরা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু অবশিষ্ট আকারে বিদ্যমান আছে।

২.  হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা, যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত। এরা পৃথিবীতে গোপনে বসবাসের জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এগুলো একটি বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা অজানা বুদ্ধিমান ডাইনোসর এর বংশধরও হতে পারে।

৩.  এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এই প্রাণীরা মহাজাগতিক বা মানব ভবিষ্যত থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে পারে এবং চাঁদের মতো লুকিয়ে থাকতে পারে।

৪.  ম্যাজিকাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এমন সত্তা, যাদের মাঝে স্বদেশী এলিয়েনদের মতো বৈশিষ্ট কম রয়েছে। এই প্রাণীগুলো মানব জগতের সাথে সম্পর্কিত, তবে কম প্রযুক্তিগত। আর এরা বেশ যাদুকর, যেমন পরী।

গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই গবেষণা অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে। তবে তারা বিজ্ঞানীদেরকে জ্ঞান, নম্রতা ও খোলামেলা মনোভাব নিয়ে তাদের দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



সিভাসুর গবেষকরা তৈরি করলো প্রোটিনসমৃদ্ধ কাঁঠালের চিপস

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাজারের হরেক রকম মুখরোচক চিপসের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে মানুষ যখন দুশ্চিন্তায়, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা জাতীয় ফল কাঁঠাল থেকে তৈরি করলেন প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস।

সিভাসুর ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপস ১০০ গ্রামের প্যাকে পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে স্থাপিত সিভাসু ফুড আউটলেট

সিভাসুর এপ্লাইড ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ও কাঁঠালের চিপসের প্রধান প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুল হক জুয়েল বলেন, 'আমাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। কিন্তু বাজারে প্রচলিত যেসব চিপস পাওয়া যায় তা মূলত কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ। কাঁঠাল যেহেতু প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল, তাই চিপসের মাধ্যমে মানুষের প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করার প্রয়াসে আমাদের এ উদ্যোগ।

তিনি আরও বলেন, কাঁঠাল একটি দ্রুত পচনশীল মৌসুমি ফল। কিন্তু এই চিপস তৈরির ফলে কাঁঠালের অপচয় যেমন রোধ হবে, তেমনি সারাবছরব্যাপী কাঁঠালের পুষ্টিও পাওয়া যাবে। এছাড়াও অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ চিপসে যেখানে অ্যাক্রিলামাইড (কারসেনোজেনিক পদার্থ-যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়) থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, সেখানে এই কাঁঠালের চিপসে অ্যাক্রিলামাইড থাকার চান্স একেবারেই নগন্য।

চিপসটি সম্পর্কে সিভাসুর কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল বলেন, কাঁঠাল একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মাঝে কাঁঠাল খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা যাচ্ছে। আশাকরি, কাঁঠালের চিপসের মতো এমন আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে এই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফলটি মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতার বলেন, 'খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা চেষ্টা করে আসছি। আর কাঁঠাল থেকে প্রোটিনসমৃ্দ্ধ চিপস তৈরি আমাদের সেই প্রচেষ্টারই অংশ। আশাকরি, ভবিষ্যতেও আমরা উদ্ভাবনী ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষের পুষ্টির নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখতে পারবো।

সম্প্রতি সিভাসু ফুড আউটলেট-এ প্রোটিনসমৃদ্ধ এই চিপসের যাত্রা শুরু উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল। ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটি অ্যান্ড নিউট্রিশন) প্রফেসর ড. শিরীন আক্তার, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস এবং পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম।


আরও খবর



বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, বিস্ফোরণে নিহত ১

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী জাহাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী জাহাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী একটি জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে তেলের ড্রামগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের মসজিদ, বাসাবাড়ি সংলগ্ন থানা এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান জানান, জাহাজে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিলেন। জাহাজের ভেতরে চারজন ছিল। তারা ভেতরে রান্না করছিলেন। সেখান থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব ড্রাম বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মুহম্মদ ফখর উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আমরা ডাম্পিংয়ের কাজ করছি।


আরও খবর