আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

অনন্তের ডাকে সাড়া দেননি কোনো তারকা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমা দিন দ্য ডে। তিনি বারবার বলেছেন, এই সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও তার এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৭ জুলাই তিনি ঘোষণা দেন পরদিন (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় যমুনা ব্লকবাস্টারে দেশের শোবিজ অঙ্গনের ৭৪ জন তারকার সঙ্গে নিজের দিন দ্য ডে সিনেমাটি দেখবেন। যা ছিল ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা। কিন্তু অনন্তের এই দাওয়াতে সাড়া দেননি কোনো বড় তারকা!

যথাসময়ে অনন্ত-বর্ষা যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস-এ হাজির হলেও এই নায়কের ডাকে সাড়া দিয়ে আসেননি তেমন কোনো তারকা। আয়োজন-স্থানে দেখা মিলেছে শাহনূর, সাবরিনা সুলতানা কেয়া, ডি এ তায়েব, শিরিন শিলাসহ কয়েকজনের। অনুষ্ঠান শুরুর আগে তারকারা আসছেন বলেও পরবর্তীতে অনন্ত জলিল জানিয়েছেন, ব্যস্ততার অজুহাতে অনেকে আসেননি, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শিডিউল মেলেনি, সে কারণে আসতে পারেননি।

উল্লেখ্য, এবার ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় অনন্ত জলিল প্রযোজিত ও অভিনীত দিন দ্য ডে। এই সিনেমাতেও অনন্তর নায়িকা স্ত্রী বর্ষা। এটি পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তানে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। যৌথ প্রযোজনার এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিলের বন্ধু সুমন ফারুক, খল অভিনেতা মিশা সওদাগরসহ অনেকে।

নিউজ ট্যাগ: অনন্ত জলিল

আরও খবর



প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি

পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে ঢাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আজ সারাদিন জরুরি কাজ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে।

সকাল ১০টা থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মবিরতির সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে মিছিল করেন তারা। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে আসেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা অবস্থান, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এরপরও দাবি না মানা হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ আয়োজন করে।

অবস্থানের সময় কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই, বৈষম্যের প্রজ্ঞাপন বাতিল করো করতে হবে, সর্বজনীন পেনশন, মানি না মানবো না, শেখ হাসিনার বাংলায়, প্রত্যয়ের ঠাঁই নাই, ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। পাশাপাশি তারা একই কথাগুলো উল্লেখ করে স্লোগানও দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সব শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, তা সবকিছুকে বাজে পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। এমন একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে তা কেবল আমাদের যৌক্তিক দাবি তথা প্রত্যয় স্কিম বাতিলের মধ্য দিয়েই নিরসন সম্ভব। এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারী চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল মোত্তালিব, ঢাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, কর্মচারী সমিতির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ সরোয়ার মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন, কারিগরি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম বাদল, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহজাহান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মিয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।


আরও খবর



হজে গিয়ে ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছর হজে গিয়ে সৌদি আরবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশী মোট ১৫ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের মোট ১৫ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী একজন। মক্কায় ১১ জন এবং মদিনায় চারজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া হজ যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, রাজধানীর কদমতলীর মো. শাজাহান (৪৮), কুমিল্লা কোতোয়ালুর মো. আলী ইমাম ভূইয়া (৬৫), কক্সবাজার মহেশখালীর জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজারের রামুর মো. নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজারের চকোরিয়ার মাকসুদ আহমেদ (৬১), ফরিদপুর নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকা রামপুরা বনশ্রীর শেখ আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা সাঘাটার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুর পীরগঞ্জের মো. শাহাজুদ আলী (৫৫) ও রংপুর তারাগঞ্জের মো. গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।

এছাড়া সর্বমোট ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৫ হাজার ২৯৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৭৪ হাজার ২৬২ জন।

এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২০১টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৫টি,

সৌদিয়া এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৬৮টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ২৮টি। সৌদিতে আগামী ১৫ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।


আরও খবর



এবারের ঈদ দেশের মানুষের জন্য একটা কষ্টের দিন: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুদ্রাস্ফীতির কারণে ঈদ উদযাপন সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টের ও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৭ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি তাঁতিপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুরো দেশবাসীকে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। আমি বিশ্ব মুসলিমের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। এই ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত করে। এদিন আমরা পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে যে সমস্ত অশুভবোধ আছে তা ত্যাগ করি। একই সঙ্গে আমাদের জীবনকে যেন সুন্দর, সৎ ও পবিত্রতার বোধে রাখতে পারি সে প্রার্থনা করি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ আজকের সমস্ত দেশেই যেভাবে দুর্নীতি আগ্রাসী হয়ে একটা ব্যাধি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আমরা মনে করি আজ ঈদুল আজহা ত্যাগের মাধ্যমে যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আছেন তারা তা ত্যাগ করবেন। তাদের সমস্ত অশুভ আকাঙ্ক্ষা বাদ দেবেন। একই সঙ্গে জনগণের জন্য মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবার ঈদ বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন। এ জন্যই যে এখন যারা পশু কোরবানি করেন তারা পশুকে যে ক্রয় করতে হয় সেখানেও তারা একটা বড় রকমের মুদ্রাস্ফীতিতে আক্রান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যারা কোরবানি দিতে পারে না তারা বিভিন্নভাবে কোরবানির গোশত সংগ্রহ করে। তাদের পক্ষে তা রান্না করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ রান্নার যে সমস্ত মসলা ও অন্যান্য উপকরণ দরকার হয়, এটা তাদের পক্ষে সংগ্রহ করা খুব জটিল এবং কঠিন।

এ অবস্থার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বেড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এ কারণে ঈদুল আজহা সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসেনি। এসব কারণে মানুষ ঈদ আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে না।

বিএনপি সেন্টমার্টিন নিয়ে যে সমস্ত কথা বলছে তা গুজব ছড়ানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা সবসময় (গণমাধ্যমকর্মী) ওবায়দুল কাদের সাহেবের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেন তো, এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। এজন্য পছন্দ করি না যে ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে। যারা রাজনীতি করছেন ক্ষমতায় আছেন যদি সত্যকে উপলব্ধি না করেন, তারা যদি দেশের সমস্যা, গণমানুষের যে আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা কীভাবে শাসক হবেন? এবং আমরা দেখেছি গত দেড় যুগ ধরে এ দখলদার আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সব আকাঙ্ক্ষাগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে। জনগণের অধিকারগুলোকে ভোটের অধিকারগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে পদলিত করে তারা আজকে জোর করে শাসন ব্যবস্থা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। শুধু তাদের কথার উত্তর দিতে আমাদের ইচ্ছে করে না এ জন্যই জনগণ এখন তাদের পছন্দ করে না। তারা (আওয়ামী লীগ) এটুকু উপলব্ধি করে না যে জনগণ এখন তাদের ঘৃণা করতে শুরু করেছে। কারণ তারা এখন শুধু মিথ্যে কথা বলে, প্রতারণা করে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এজন্যই আওয়ামী লীগ সরকারকে আমরা গুরুত্ব দেই না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিনের বর্তমান ইস্যু আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে যাই বলুক এটাই সত্য যে সেখানে গোলাগুলি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের সমস্ত জাহাজগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এই সত্যকে তারা (আওয়ামী লীগ) অস্বীকার করবে কীভাবে। তাদের বিজিবির প্রধান সেখানে যাচ্ছে বারবার। সেনাবাহিনীর প্রধান বারবার বলছেন যে আমরা সতর্ক আছি। তাহলে আমরা (বিএনপি) গুজব ছড়ালাম কোথায়?। এটাতো বাস্তবতা যে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে মিয়ানমারের ঘটনাবলির একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই সমস্যার কারণে সেন্টমার্টিনে জাহাজ যেতে পারছে না, খাদ্য যেতে পারছে না। সেখানকার যারা অধিবাসী তারা অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে। তারা নিরাপত্তার অভাববোধ করছে। সেই জিনিসটা (আওয়ামী লীগ) স্বীকার না করে। তারা এই সমস্ত কথা বলছে যেসব কথা ভিত্তিহীন বানোয়াট এজন্যই এ সমস্ত কথা আমরা গুরুত্ব দেই না।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা যুবদলের সভাপতি মেহেবুল্লাহ আবু নূর চৌধুরীসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ভান লাল খিয়াং বম। তিনি জুরভারং পাড়ার বাসিন্দা লাল মিন সম বমের ছেলে। বুধবার (১২ জুন) সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারং পাড়ায় অভিযান চালালে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন ঝিরির নিচে পড়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পান।

পরে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক সুরতহালে পুলিশ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রুমার জুরভারং পাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এখনও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতিসহ ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফের সদস্যরা। এরপর থেকে তাদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অভিযানে সংগঠনটির ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশনে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্টের পর সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকার বিষয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিপিএসএ। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন ভূমিকার সমর্থনে কথা বলেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এগুলোকে আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএসএ। আহ্বান জানানো হয় রিপোর্ট প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়ার।

বিপিএসএর বিবৃতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানায় সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্র্যাব। এবার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানালো যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (২৪ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিপিএসএর বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনায় সাংবাদিকদের বাধা দেয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক কাজের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান।

মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ইস্যুতে হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়েও এদিন প্রশ্ন করা হয় ম্যাথিউ মিলারকে। জানতে চাওয়া হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে দুই সরকারপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন স্বার্থের প্রতিফলন ঘটায় কিনা?

জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর