অত্যন্ত সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের একটি সাব-ভ্যারিয়্যান্ট বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে এটি ওমিক্রন মূল স্টেনের চেয়েও বেশী সংক্রামক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য দিয়েছে। ১০ সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে অতিসংক্রামক এবং ব্যাপকভাবে মিউটেড ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার সাপ্তাহিক
এপিডেমিওলজিক্যাল আপডেটে বলেছে, গত মাসে সংগৃহীত নমুনায় ওমিক্রনের কয়েকটি সাব-ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত হয়েছে, নমুনার ৯৩ শতাংশ গত মাসেই সংগ্রহ করা হয়েছে। এই নমুনায় ওমিক্রনের কয়েকটি
সাব-ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত হয়, এগুলো হলো : বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২ এবংবিএ. ৩।
গ্লোবাল সায়েন্স ইনিশিয়েটিভগিস এইড বলেছে,
বিশ্বব্যাপী সংগৃহীত নমুনায় ওমিক্রনের ভার্সন হিসেবে ৯৬ শতাংশের বেশী বিএ.১ এবং বিএ.১.১
শনাক্ত হয়েছে।
তবে ব্যাপক সংক্রমণের সাথে জড়িত বিএ.২ ভ্যারিয়্যান্ট, এটি মূল ওমিক্রন থেকে ব্যাপক মিউটেশনসহ এই ভেরিয়ান্টের প্রোটিন স্পাইক বদলে
নিয়েছে, এই পরিবর্তিত প্রোটিন স্পাইক মানব কোষে ঢুকে পড়ার মূল চাবিকাঠি।
৫৭টি দেশের পাঠানো নমুনায় এই বিএ.২ স্টেন
শনাক্ত হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, কিছু দেশে সাব ভ্যারিয়্যান্ট এখন সংগৃহীত সমস্ত ওমিক্রন
সিকোয়েন্সের অর্ধেকের বেশী।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভ্যারিয়্যান্ট গুলোর পার্থক্য সম্পর্কে এখনো খুব কমই জানা গেছে। সাব-ভ্যারিয়্যান্ট গুলোর মধ্যে
এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানোর আহবান জানানো হয়েছে, যাতে এই ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমন সক্ষমতা এবং ইমিউন সুরক্ষা ফাঁকি দেয়ার ক্ষেত্রে কতটা শক্তিশালী তা জানা যায়।
বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় ইঙ্গিত
দেয়া হয়েছে যে, মূল ওমিক্রনের চেয়ে বিএ.২ বেশি সংক্রামক। কোভিড নিয়ে ডব্লিউএইচও’র অন্যতম শীর্ষ
বিশেষজ্ঞ মারিয়া কেরখোভ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সাব-ভ্যারিয়্যান্ট সম্পর্কে তথ্য খুবই সীমিত, কিন্তু প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে যে তথ্য নির্দেশ করে এতে দেখা
যায় বিএ.১ এর তুলনায় বিএ.২ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।”