আজঃ শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

অতিরিক্ত ভাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক পিকআপে ছুটছে মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অতিরিক্ত ভাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা, পল্লী বিদ্যুৎ, কোনাবাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, ভবানীপুর, পল্লী বিদ্যুৎ মোড় ও মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে যাত্রীদের ট্রাক, পিকআপে যেতে দেখা যায়।

ভবানীপুর এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মাহমুদুল হাসান। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া এড়াতে তিনি পিকআপে করে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাইনি। বাস পেলেও তিনগুণ চারগুণ ভাড়া দাবি করছে। যা বোনাস পেয়েছি তা বাস ভাড়াতেই খরচ হয়ে যাবে। তাই যাতায়াত খরচ কমাতে পিকআপে উঠেছি।

চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কিন্তু ঈদ যাত্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দাবি করছে জানিয়ে আরেক যাত্রী নাইমুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে যেসব বাস চলাচল করছে তার অধিকাংশই ফেরার পথে গাড়িভর্তি যাত্রী নিয়ে আসছে। কোনো বাস পাওয়া গেলেও দেখা যাচ্ছে সিট ছাড়াই ৪০০/৫০০ টাকা দাবি করছে। লোকাল বাসের চিত্রও একই। তাই পরিবার নিয়ে পিকআপেই রওনা দিয়েছি।

সালনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোথাও কোনো সমস্যা নেই। গাড়িগুলো সুন্দরভাবে চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি, বাঘেরবাজার এলাকায় গাড়ির কিছুটা চাপ রয়েছে। যেসব ট্রাক, পিকআপ যাত্রী পরিবহন করছে আমাদের সামনে পড়া মাত্রই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হাব তৈরি হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হাব তৈরি হতে পারে। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগে থেকে করা আশঙ্কার কিছু কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যারা যুদ্ধ করছে তাদের কয়েকজনের আনাগোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ভয়ের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশ কোনো মাদক উৎপাদন করে না। কিন্তু মিয়ানমার থেকে মাদক আসছে অনেক আগে থেকে। এখন ক্যাম্পের কিছু সংখ্যক লোক মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে অস্ত্র ও খুনে জড়িতদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়াই আমাদের মূল কাজ।

তিনি বলেন, আজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জেনেছি। জেনেছি তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো। তাদের বলেছি বাংলাদেশ একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনের মধ্য দিয়ে। এপিবিএন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ায় সহযোগিতা করছে। এপিবিএন তাদের দায়িত্ব পালন করছে বলেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রিত।

মিয়ানমারের কথা ও কাজে মিল নেই উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো নিয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার একটি অস্থিতিশীল দেশ। ওখানে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা। বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ফেরত নিয়ে নানা চুক্তি বা সমঝোতায় স্বাক্ষর হলেও তা মিয়ানমারের কারণে অগ্রগতি হয়নি। আশা করি মিয়ানমার দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে।

এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, এপিবিএন প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর, ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. ইকবাল, ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক হাসান বারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাবেক ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে (ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেড) ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (১১জুন) সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।

এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।


আরও খবর



জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের বিষয়ে কাউন্সিলরদের সতর্কতা দিল চসিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে বুধবার (১৯ জুন) থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রয়েছে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রয়েছে পাহাড়ধস বা ভূমিধসের শঙ্কাও।

তাই পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকি নিয়ে বাস করা বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনাও।

বুধবার (১৯ জুন) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানান চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন।

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুসারে, আগামী তিন দিন সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া ওই সতর্ক বার্তায় চট্টগ্রাম বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা অনুযায়ী জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিধসের বিষয়ে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাউন্সিলরদের জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা প্রদান করেছে চসিক।

নিউজ ট্যাগ: চসিক

আরও খবর



যে কারণে বাজেটে নজর থাকবে সাধারণ মানুষের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতির তোয়াক্কা না করে প্রতি বছরই বাড়ছে হুড়হুড় করে বাড়ছে বাজেটের আকার। যার প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঘোষণা হবে বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাজেটের প্রভাব পড়ে।

সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের চলতি বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়লেও মানুষের বেতন সে অনুপাতে বাড়ছে না। কিন্তু হিসাবনিকাশ বলছে নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের উপর আবারও বাড়তে পারে করের বোঝা। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির ফলে নতুন করে দারিদ্র্যতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস বলেছেন, যারা গরীব তাদের জন্য এটা কষ্টদায়ক। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে হতদরিদ্রদের ওপর।

মূল্যস্ফীতি বাড়লেও বিপরীতে কমছে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। এর প্রভাব নতুন বাজেটে পড়তে পারে বলে ধারণা দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

আব্দুল বায়েস বলেন, অর্থনীতির এই জটিল হিসাবনিকাশ সাধারণ মানুষরা বোঝেন না। তারা বোঝেন প্রতি বার বাজেট মানেই ব্যয়ের নতুন নতুন খাত তৈরি হওয়া।

বাজেটের আগে বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী বলেন, আমাদের কাছে বাজেট মানেই এক দফায় দাম বৃদ্ধি। বাজেট আসলেই আমাদের চিন্তা করতে হয় কোন খরচ বাদ দিয়ে কোন খরচ মেটাবো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতি বছর বাজেটের পরই জিনিসপত্রের দাম বাড়লে বেশি চাপে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আসছে বাজেটের পর নতুন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।

অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। যে কারণে তাদের চাহিদার তেমন কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বাজেটে। তবে কর আরোপ, কর্মসংস্থান, করমুক্ত আয়সীমা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মতো বিষয়গুলোর কারণে বাজেটে নজর থাকে সাধারণ মানুষের।

বিবিসি বাংলাকে ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমলে বাজারে এই ধরনের পণ্যের দাম কমতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, করের শুল্ক সরকার কমালেও অনেক সময় খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব দেখা যায় না নানা কারণে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের সঠিক তদারকি না থাকার কারণে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যে কারণে বাজেটে কম আয়ের মানুষের আয় ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজ ট্যাগ: বাজেট

আরও খবর



চট্টগ্রামে কর্মরত নারী সাংবাদিকের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

নারীদের সুরক্ষার জন্য নারী সাংবাদিকদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। তখন থেকেই সদস্যরা দেশের নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিধি বাড়ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিকূলতার মধ্যেও সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন।

গতকাল শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে নগরীর কাজীর দেওড়িতে অবস্থিত রেড সিলি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক চট্টগ্রাম কেন্দ্রের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

চট্টগ্রাম নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভানেত্রী ও দৈনিক বাংলার ব্যুরো চিফ ডেইজি মওদুদ ও চট্টগ্রাম নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সেক্রেটারি ও চট্টগ্রামের দীপ্ত টিভির ব্যুরো প্রধান লতিফা আনসারী রুনা, দৈনিক আজাদী পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক ইয়াসমিন ইউসুফ ও শামীম আরা লুসি, সময় টিভির জিন্নাত-উল-ফেরদৌস, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শারমিন মুনমুন সুমি ও দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার মনীষা আচার্য চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এতে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করণসহ সমস্যা থেকে উত্তরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, নারীর সাংবাদিকরা নতুন প্রযুক্তি আয়ত্ত করার মধ্য দিয়ে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলছে। বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো কাজে নারীরা মাঠে ময়দানে থেকে রিপোর্টিং করছে। নারী সাংবাদিকদের এগিয়ে নিতে এ সংগঠন। চট্টগ্রামর নারী সাংবাদিকতায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নারী সাংবাদিকদের নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর