আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সই হবে ৭ চুক্তি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ৭ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন জানান, ভারত সফরে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব চুক্তি-সমঝোতা স্মারক পানি ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত। অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করবেন।

তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, এর বাইরে আরও কয়েকটি সমঝোতা হতে পারে।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করবেন। ৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে তাঁর আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা অর্পণ করবেন। এরপর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউজে। বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বৈঠকে দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যেমন- দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ জ্বালানী খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ প্রভৃতি অধিক গুরুত্ব পাবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ বা বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের সফরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনাসদস্য শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ দেওয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর এ দুটি পর্যায়ে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে শহীদ ও আহত ভারতীয় সেনাসদস্যদের পরিবারের মাঝে এ স্কলারশিপ নিজ হাতে তুলে দেবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনাসদস্যদের মহান আত্মত্যাগকে যথাযথ সম্মানের সাথে স্মরণ করা হবে।

ড. মোমেন বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি বিজনেস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ভারত সফর করবে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারত ও বাংলাদেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই ইভেন্টে উপস্থিত থাকবেন। বিজনেস ইভেন্টের মাধ্যমে যেমন বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের চিত্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরা যাবে, তেমনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সুসম্পর্ক বর্তমানে বিশেষ উচ্চতায় অবস্থান করছে। বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমানা নির্ধারণ সারাবিশ্বের সামনে সহযোগিতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় যেমন নিরাপত্তা ইস্যু, আন্তঃসংযোগ, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জনযোগাযোগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক, আন্তঃদেশীয় বাস চলাচল, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে সর্বশেষ ভারত সফর করেন। পরবর্তীতে কোভিড মহামারির ফলে বিগত ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক ভার্চ্যুয়াল সামিটে অংশগ্রহণ করেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ডিসেম্বর মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করেন। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনিষ্পন্ন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা অর্জন করা যাবে বলে প্রতীয়মান হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক গভীরতর হওয়াসহ সার্বিকভাবে এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ গৃহীত হবে।

এই সফর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ও বিদ্যমান গতিশীল সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যায়। পরিশেষে, চলমান কোভিড মহামারি, ইউক্রেন সংকট এবং বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে উক্ত সফর দু’দেশের পারস্পরিক সমঝোতা ও সাহায্যের মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম/নীতি নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে প্রতীয়মান হয়।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে আমি সহ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ ও ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে এ সফরে যোগদান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি সফর করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।


আরও খবর



নেত্রকোণায় পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে শিশুসহ নিহত ৪

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোণা পৃথক ঘটনায় পুকুর ও নদীর পানিতে ডুবে শিশু ও গৃহবধূসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার জেলার পূর্বধলা ও দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাঁচমারকেন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ৮ বছরের শিশু মো. নোমান মিয়া, সদর উপজেলার সাতপাই উল্লাবাড়ি এলাকার মো. আল মামুনের সাত বছরের ছেলে মো. তাসকিন মিয়া। নোমান আর তাসকিন একে অপরের খালাত ভাই।

গৃহবধূ সালমা আক্তার (২১) পূর্বধলার আগিয়া ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের নওয়াব আলীর মেয়ে ও বিশকাকুনী গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী। এ ছাড়া ৫ বছরের শিশু জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কুল্লাতলী গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, তাসকিন গতকাল শনিবার বিকেলে মা-বাবার সঙ্গে পাঁচমারগেন্ডা গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে যায়। পরে তাসকিন তার খালাত ভাই নোমানকে নিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেলেও তারা বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাড়ির পাশে কংস নদের শাখা দেইড়াগাঙয়ে  তাদের ভাসমান মরদেহ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। পরে তাসকিন ও নোমানের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।

দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া সালমা আক্তার বাড়ির সামনে পুকুরে হাতমুখ ধোয়ার সময় পানিতে পড়ে তলিয়ে যান। বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করে পৌনে ১১টার দিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুই শিশু ও গৃহবধূর পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলায় দাদির বাড়িতে বেড়াতে এসে সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে বের হয়। দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরী বাজার এলাকার সোমেশ্বরী নদীতে গোসল করার সময় জাহাঙ্গীর পানির নিচে তলিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা অন্য দুই শিশু বাড়ি ফিরে জাহাঙ্গীর নদীতে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন নদী থেকে জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



আমতলীতে মুগডালের ফলন ভালো না হলেও দামে খুশি কৃষকরা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর উপজেলার আমতলীতে মুগডালের ফলন ভালো হয়নি। ফসল ভালো না হওয়ায় দুচিন্তায় থাকলেও বাজারে দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা। ভালো দামে বিক্রি করে লোকসান কাটিয়ে উঠার আশা করছেন তারা।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ হয়েছে। কৃষক বিগত বছরের মত এ বছর ভালো লাভের স্বপ্ন দেখলেও সেই স্বপ্ন অনাবৃষ্টিতে ফিকে হয়ে গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে মুগ ডালের তেমন ভালো ফলন হয়নি। লাভতো দুরের কথা লোকসান কাটিয়ে উঠার চিন্তায় বিভোর কৃষকরা। কিন্তু বাজারে ডালের দাম ভালো থাকায় লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে দাবি করেন কৃষকরা। মৌসুম শুরুতে ডালের দাম অনেক ভালো। প্রকার ভেদে এক মণ মুগডাল বাজারে তিন হাজার ৮০০শ থেকে এবং চার হাজার ৫০০শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রবিবার আমতলী শাখারিয়া বাজার ও আমতলী বাঁধঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ফরিয়ারা চল্লিশ কেজি তিন হাজার ৮শ এবং সাড়ে ছে-চল্লিশ কেজি মুগডাল ৪ হাজার ৫০০ বিক্রি হচ্ছে।

চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা, আউয়াল সিকদার, মোহাম্মদ হাওলাদার, জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন তেমন হয়নি। তারা আরো বলেন, বাজারে দাম ভালো থাকায় মনে হয় লোকসান গুনতে হবে না।

চন্দ্র পাতাকাটা গ্রামের  দুলাল মোল্লা বলেন, মুগডাল ভালো হয়নি। বাজারে দাম বেশি তাতে যদি লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।

আমতলী ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, বাজারে মুগডালের দাম অনেক বেশি। কৃষকরা এতে ভালোই লাভবান হবে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ ঈশা ইকবাল বলেন, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় মুগডালের ফলন খারাপ। কিন্তু বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে না।


আরও খবর



বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ভান লাল খিয়াং বম। তিনি জুরভারং পাড়ার বাসিন্দা লাল মিন সম বমের ছেলে। বুধবার (১২ জুন) সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারং পাড়ায় অভিযান চালালে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন ঝিরির নিচে পড়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পান।

পরে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক সুরতহালে পুলিশ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রুমার জুরভারং পাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এখনও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতিসহ ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফের সদস্যরা। এরপর থেকে তাদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অভিযানে সংগঠনটির ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই: সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভাইস চ্যালেন্সর ৮০ টি এবং ৩৫ টি ট্রেজারার পদ শূন্য আছে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১১৪ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমিত দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।

স্বতন্ত্র এমপি মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সারা দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। তবে, কওমী মাদ্রাসাসমূহ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের কারিকুলামে চলছে না। এ লক্ষ্যে সমন্বিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং কওমী মাদ্রাসা সংক্রান্ত বর্তমানে পৃথক পৃথকভাবে পরিচালিত ৬টি বোর্ডকে সমন্বিত করে একটি কওমী শিক্ষা বোর্ড গঠনের বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনাধীন আছে।

ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, দেশে ৭৩ টি কৃষি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে বিভাগে সর্বোচ্চ ১৯ টি এবং সিলেটে বিভাগে সর্বনিম্ন ২টি কৃষি কলেজ রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে ৩টি, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ৬টি করে, রাজশাহী বিভাগে ১১টি ঢাকা ও খুলনা বিভাগে ১৩টি করে কৃষি কলেজ রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে আধুনিক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। যাতে কৃষি, মৎস্য, প্রাণি সম্পদ বিষয়ে আধুনিক ট্রেড অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে করে পৃথকভাবে কৃষি কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই দেশের জেলা সমূহে নতুন করে কৃষি কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নেই।

নাটোর-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণ ভাতায় পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সমস্যার উত্তরণে কমিটি গঠন করেছে। কমিটি এখন তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬১৩ টি।

এম লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। সে জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যায় যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নকল সার্টিফিকেট যারা চাকরি করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে কি না বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড জাল সার্টিফিকেট শনাক্তের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (IICT) বিভাগের সঙ্গে গত ১২ মে চুক্তি করা হয়েছে। উক্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যে জাল সার্টিফিকেট শনাক্তের কার্যক্রম শুরু করেছেন। শনাক্তের পর প্রাপ্ত সকল জাল সার্টিফিকেট বাতিল এবং জাল সার্টিফিকেটধারীদের তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৬৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চালু

চট্টগ্রাম ১১ আসনের সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ৬৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ নাথের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ৫০ জনেরও কম শিক্ষার্থী আছে এমন স্কুলের সংখ্যা ৯৪৪ টি।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামীকাল বুধবার (২৬ জুন) এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পাবে। তবে কী ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই লক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষে এই হীন চক্রান্ত করছে অবৈধ সরকার। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং সংবিধানবিরোধী। এই মামলায় জামিন পাওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কি পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তাঁর বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছেন। তিনি ভারতের সঙ্গে ২টি চুক্তি ৫টি নতুন সমঝোতা স্বারক ও ৩টি চুক্তি নবায়নসহ ১০টি চুক্তি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করছি। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের কোনো চুক্তি না করা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না করা, একতরফাভাবে ভারতকে সকল সুবিধা প্রদান করে বাংলাদেশের স্বার্থ ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত রেল যোগাযোগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগের সমঝোতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতা, ওষুধ সংক্রান্ত সমঝোতা, বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতের অবাধ বিচরণ এবং ভারতের ইনস্পেস ও বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, রেলমন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা, সমুদ্রবিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের সমঝোতা ইত্যাদি সমঝোতাগুলোতে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভারতকে সব সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে ভারতের কাছে থেকে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ আদায় করতে শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন এবং এটা ম্যান্ডেট বিহীন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বহিঃপ্রকাশ।

এই অবৈধ সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করে ফেলেছে। এই চুক্তিগুলোকে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী হওয়ায় বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন আগামী ২৮ জুন (শুক্রবার) বিকেল ৩টা অনুষ্ঠিত হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিশোরগঞ্জে হাওরের মাঝখানে সড়ক নির্মাণ এবং বেশ কিছু এলাকায় মাটি ভরাট করে কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত নিষ্কাশিত না হওয়ায় এ ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহরসহ বিভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির তলে যাওয়ায় অসংখ্য মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারের কোনো ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের জন্য সভায় দাবি জানাচ্ছি।’

বিএনপির একটি ত্রাণ টিম অতিদ্রুত সিলেট সফর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।


আরও খবর