আজঃ শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে ডিবির অভিযানে মদের বোতল জব্দসহ শতাধিক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর উত্তরায় কিংফিশার বারে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার অবৈধ দেশি-বিদেশি মদ ও বেয়ারের বোতল জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ। এ সময় কাস্টমার ও বারের কর্মচারীসহ প্রায় শতাধিক আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের অবস্থিত বারটিতে অভিযান চলায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আকরামুল হোসেন। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বারটিতে অভিযান পরিচালনা করেছি।

প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপি চলা এ অভিযানে দুই শতাধিক বিদেশি মদ এবং সাড়ে ৫ হাজার বোতল বিয়ার জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও বারের কর্মচারীসহ শতাধিক ব্যাক্তিকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। তবে আটককৃতদের দাবি মদ পানের সনদ থাকা সত্বেও তাদের আটক করা হয়েছে।

এ দিকে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বার কর্তৃপক্ষ কোনো নির্ভরযোগ্য অনুমোদন দেখাতে পারেনি এবং বারটিতে মদ ছাড়াও নারীদেরকে দিয়ে অসামাজিক কার্যক্রম করানো হতো। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি গোয়েন্দা পুলিশ।


আরও খবর
ঈদের পরে নতুন সময়ে চলবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন কারাবন্দী ৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের জেলে বন্দী থাকা ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। রোববার (৯ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তারা। এর আগে শনিবার (৮ জুন) সকালে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে শহরের জেলে বন্দী এসব নাগরিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসা মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ওই ৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সর্বশেষ ও বৃহত্তম প্রত্যাবর্তনে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতওয়ের কর্মকর্তাগণ রাখাইনের সিতওয়েতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এসব নাগরিকদের পরিচয় যাচাই ছাড়াও তাদের জন্য ভ্রমণের অনুমতি প্রদান (ট্রাভেল পারমিট) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করেন।

প্রসঙ্গত, এই দফায় ৪৫ জনসহ গত এক বছরে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস মোট ২৪৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ ছুটি শুরু হবে, যা শেষ হবে ২৯ জুন।

রাজধানী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে এ ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আগামী ১৩ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ১৭ দিন ক্লাস ছুটি থাকবে। ৩০ জুন থেকে যথারীতি অর্ধদিবস ক্লাস চলবে। তবে ১ জুলাই থেকে পূর্ণ দিবস ক্লাস চলবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, গ্রীষ্মকালীন ছুটি সাধারণ জুন মাসে হয়ে থাকে। যেহেতু ঈদুল আজহার ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া হয়েছে। এই ছুটি সাধারণ এক মাস হওয়া কথা থাকলেও চলতি বছর শীত ও তীব্র গরমের কারণে বেশ কিছুদিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই গ্রীষ্মকালীন ছুটি কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে ঈদের ছুটি এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি আলাদা করেও দিতে পারেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে আমাদের ভিন্ন ভাবনা রয়েছে। তবে যেহেতু ঈদের ছুটি আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে যাবে তাই আপাতত ঈদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রীষ্মকালীন ছুটি দিতে পারে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে কোনো পরিবর্তন হলে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমান হোসাইন বলেন, আমরা শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে সরকার যদি ছুটির কোন পরিবর্তন হয় তবে সেটি সংশোধন করা হবে।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে দেশের ৬ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ছয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বুধবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। দিন ও রাতে প্রায় এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় রেকর্ড করা হয় ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে ৭ ডিগ্রির বেশি।


আরও খবর
সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




ঘূর্ণিঝড় রেমালে বাগেরহাটে যত ক্ষতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মানুষ প্রবল ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ও আম্পানের পর আরো একবার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দেখল। প্রতিবার ঘূর্ণিঝড় এসে লণ্ডভণ্ড করে দেয় উপকূলবাসীর ঘরবাড়ি, জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নেয় মাছের ঘের ও ফসলের ক্ষেত। রক্ষা পায় না বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। এবারও তার ব্যতিক্রম । ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অতিক্রম করার পর যতই সময় গড়াচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে  ধ্বংসলীলার ক্ষত চিহ্ন।

রবিবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত তান্ডব চালিয়ে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মোংলা, শরণখোলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া ও বাগেরহাট সদরসহ প্রায় সব কটি উপজেলায় ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের একদিন পেরিয়ে গেলেও বহু মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে এখনো। গাছ পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে এ জেলায়।

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ধানসাগর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে গাছ চাপায় ফজিলা বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়।

শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, প্রতিবছর আমাদের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হই আমরা। রবিবার বিকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হয়ে সোমবার পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। ফলে আমাদের এলাকায় বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই গাছপালা ভেঙে পড়েছে। গাছ চাপায় এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে আমরা। শুধু আমার ইউনিয়ন নয় আশপাশের প্রায় সব এলাকাতেই কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েছে।

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাইজোড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রতিটা বাড়িতে প্রায় তিন থেকে চার ফিট পানি জমে আছে। পার্শ্ববর্তী পানগুছি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বিউটি বেগম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময়ও আমাদের এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবারও ঘূর্ণিঝড় হয়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কদিন আগে ধান কেটে ঘরে রেখেছিলাম। সোমবার রাতে হঠাৎ পানগুছি নদীর পানি এসে আমাদের এলাকা ডুবে যায়। আমার ঘরের ভেতরেও কোমর সমান পানি উঠে গিয়েছিল। ঘরে রাখা চার-পাঁচ বস্তা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। চুলার ভেতরে পানি উঠে গেছে। এলাকা থেকে পানি নামার সুব্যবস্থা না থাকায় এখনো উঠানে হাঁটু সমান পানি। কি খাব কে আমাদের সাহায্য করবে, কিছুই বুঝতে পারছি না।

বাগেরহাট সদর উপজেলার কুলিয়াধাইড় গ্রামের এস এম জাহাঙ্গির কবির জানান, হঠাৎ করেই বলেশ্বর নদীর পানি বেড়ে ঘরের ভিতর কোমর পানি হয়ে যায়। সব কিছু ভিজে একাকার হয়ে গেছে। ঘরের ভিতর যা কিছু ছিল সব শেষ। এখন চলাই কষ্টকর হবে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাগেরহাটের বেশ কিছু বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলার মোট ১২ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। অন্য ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন বলেন, এই ঝড়ে ৫ লক্ষ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৪৫ হাজার ঘর বাড়ি। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ৭৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৯ লক্ষ টাকা ১১ হাজার কেজি চিড়া, ৭শ কেজি গুড় ও ২০ হাজার প্যাকেট বিস্কুট দিয়েছি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার ২দিন পরও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বাগেরহাট উপকূলের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার প্রায় ২ লক্ষ গ্রাহক।

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত কুমার মজুমদার বুধবার দুপুরে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর ফলে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা পুরো এলাকা পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে যেসব এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি সেসব এলাকায় মোট ১৫১ টি পোল ভেঙে গেছে, হেলে পড়েছে ২১৭২ টি পোল, ১৫৮৩ টি তার ছিঁড়ে গেছে, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ৩৭ টি, মিটার ভেঙেছে ৫২৭ টি, ক্রস আর্ম ভেঙেছে ৭৩ টি, সার্ভিস ড্রপ তার ছিঁড়েছে ৪৭২ টি এবং ইন্সুলেটর ভেঙেছে ১১৩ টি।

সকল লাইনম্যান, ঠিকাদারের লোকবল এবং স্থানীয় লেবার একযোগে লাইন পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। ঝড়ে লাইনে পতিত শত শত গাছ কেটে অপসারণ করার পাশাপাশি ছেড়া তার মেরামত করে অনেক স্থানে সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এখনো প্রায় ২ লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে এবং  মাঠ পর্যায় থেকে এই বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। সম্পূর্ণ লাইন মেরামত করতে আরো ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে।

এদিকে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে বাগেরহাটের প্রায় ৪০ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে প্রায় একশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামপাল উপজেলার মাছ চাষীরা।

রামপাল উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের চিংড়ি চাষী শেখ আব্দুল্লাহ বলেন,  প্রতিবার ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আমাদের মাছের ঘের গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের রাতে অতিরিক্ত জোয়ারের পানির চাপে আমার ঘেরের বাঁধ ভেঙে যায় এতে প্রায় প্রায় এক লক্ষ টাকার চিংড়ি মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া আশপাশের অনেকের ঘের তলিয়ে গেছে।

একই এলাকার চিয়ড়ি চাষী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনি মাছের ঘেরে করেছিলেন। মাছ ধরার মাত্র এক সপ্তাহ আগে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমলের প্রভাবে বাগেরহাটের প্রায় ৪০ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষীদের প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখনো বিভিন্ন স্থানে ঘেরগুলো পানিতে প্লাবিত রয়েছে, যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। পুনরায় মাছ চাষের জন্য আমরা চাষীদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিচ্ছি।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড়গুলোর হাত থেকে স্থলভাগকে রক্ষা করতে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় সুন্দরবন। প্রতিবারের মতো এবারও ঢাল হয়েছিল বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী এ ম্যানগ্রোভ বনটি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানিয়েছে বন বিভাগ। ঘূর্ণিঝড়ের পরদিন সকাল থেকে বনের অভ্যন্তরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করে বন কর্মীরা। একদিনে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৩৯ টি মৃত হরিণ, একটি বন্য শুকর এবং অর্ধশতাধিক আহত হরি হরিণ উদ্ধার করেছে তারা। এছাড়া বন বিভাগের বিভিন্ন অফিস, নৌযান ও গাছগাছালির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগের খুলনার বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো।

তিনি বলেন, সুন্দরবনে এ পর্যন্ত ৩৯ টি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর ১৭টি হরিণ জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বন বিভাগের টহল অফিসগুলোতে টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল, ওয়ারলেস সিস্টেম ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব বন বিভাগের কটকা অভয়ারণ্যের অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কচিখালি, বগিসহ বিভিন্ন বন অফিসসহ ২৫টি টহল ফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অবকাঠামোর টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সুন্দরবনের ৮০টি মিঠাপানির উৎস পুকুরে ৮-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বনকর্মীদের পাশাপাশি প্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।


আরও খবর
গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




এনডিএ জোটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (৫ জুন) দুপুরে ঢাকায় সফররত ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ অভিনন্দন জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্ডিয়া জোটকেও অভিনন্দন জানাই। তারাও ভালো ফলাফল করেছে। নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সামনের দিনে আমরা সম্পর্ক আরও উন্নত করব।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিরোধীদলের উচিত ছিল ভূমিকা রাখার কিন্তু সেটা রাখে না। ভারতে যে কোনো সংকটে সরকারি ও বিরোধী দল একসঙ্গে ভূমিকা রাখে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যেসব বিতর্ক আছে সেগুলো সামনের দিনে কেটে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে আমার ভারত সফরে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারতের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন ছিল। আসন্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। এর সঙ্গে অন্য কোনো দেশের সম্পর্কের তুলনা হয় না বলেও জানান তিনি।


আরও খবর