আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা: কী আছে ‘৭০৩১ (সি)’ ধারায়

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

'৭০৩১ (সি)' ধারায় মূলত 'উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি' বা 'মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন'-এর সঙ্গে জড়িত বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা কর্তৃপক্ষ। বিদেশি সরকারি কর্মকর্তা বা তাদের মনোনীত ব্যক্তি এবং তাদের নিকটতম পরিবারের সদস্যদের এই বিধিনিষেধের আওতায় আনা হতে পারে। তারা ভিসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন না করলেও এই আইনের আওতায় থাকবেন।

২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০টি দেশের ৪৯৬ জনকে এই ধারার আওতায় প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২ জনকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং ১৭৭ জনকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আইনের আওতায় আনা হয়। এছাড়া উভয় কাজেই জড়িত অনেকেই এই তালিকায় থাকলেও সেটির সংখ্যা প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক এই আইনের মানদণ্ড :

মানবাধিকার লঙ্ঘন : এই মানদণ্ডে কোনো বিদেশি সরকারের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে 'মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের' সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি তাদের নিকটতম পরিবারের লোক জড়িত থাকলেও এই মানদণ্ডের আওতায় আসতে পারে।

এই মানদণ্ডের আওতায় আছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানবিক, অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি প্রদান'; জোরপূর্বক গুম এবং জীবন, স্বাধীনতার অধিকারের অন্যান্য সুস্পষ্ট অস্বীকার, ব্যক্তির নিরাপত্তা।

দুর্নীতি : নিষেধাজ্ঞার এই মানদণ্ডের আওতায় বলা আছে, বিদেশি সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর এটি আরোপ করা যেতে পারে, যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে 'উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে' জড়িত, পাশাপাশি তাদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও। বিশেষ করে ঘুষ গ্রহণ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

দায়বদ্ধতার পদ্ধতি : কোনো সরকারি কর্মকর্তা কেবল তখনই এই আইনের আওতায় আসবেন, যখন তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে।

আইনি প্রক্রিয়া ও বাস্তবায়ন : এই নিষেধাজ্ঞাগুলো কেবল ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে। যেমন মনোনীত ব্যক্তিরা সাধারণত ভিসা সংগ্রহ বা আবেদন করতে পারে না। অথবা ভিসা থাকলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য হবেন। ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় ব্যক্তি মার্কিনকেন্দ্রিক নানা জটিলতায় পড়লেও সম্পদ জব্দ বা অন্যান্য আর্থিক জরিমানা এর অন্তর্ভুক্ত না।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা: স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই ভিসা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করে। আইন অনুসারে, এই ব্যবস্থা বিবেচনামূলক নয়। তবে সেক্রেটারি অফ স্টেট চাইলে বিধিনিষেধ মওকুফ করতে পারেন জাতীয় স্বার্থে বা নিষেধাজ্ঞার কারণে পরিস্থিতি 'যথেষ্ট পরিবর্তিত' হলে এটি শিথিল হতে পারে।

এক ঘোষণায় ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে সাবেক জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। তার কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করতে ভূমিকা রেখেছে। আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সহায়তার সময় জনসাধারণের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। আজিজ তার ভাইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন, যাতে সামরিক চুক্তির 'অনুপযুক্ত পুরষ্কার' নিশ্চিত করা যায়। তার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য সরকারী নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করা হয়।

ঘোষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘোষণা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারি সেবাগুলোকে আরও স্বচ্ছ ও সাশ্রয়ী করা, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রক পরিবেশের উন্নতি এবং মানি লন্ডারিং ও অন্যান্য আর্থিক অপরাধের তদন্ত ও বিচারের সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দিয়ে থাকে।


আরও খবর



অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধীকে আমরা অপরাধী হিসেবে দেখি। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। সরকার কাউকে প্রটেকশন দেয় না। শুক্রবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যক্তি যত প্রভাবশালী হোক অপরাধ করতে পারে, প্রশ্ন থেকে যায় সরকার অপরাধের শাস্তির ব্যাপারে সৎ সাহস দেখিয়েছে কি না। শেখ হাসিনা সরকারের সেই সৎ সাহস আছে। কেউ পার পাবে না। বিচার বিভাগ, দুদক স্বাধীন। সেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে প্রটেক্ট করতে যাব না।

তিনি বলেন, ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। কথা হচ্ছে সরকার প্রটেকশন দিচ্ছে কি না। শেখ হাসিনা সরকার এখানে জিরো টলারেন্স। অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও নির্মল চ্যার্টাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



এসএসসিতে দুই বিষয়ে ফেল করলেও কলেজে ভর্তির সুযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে প্রতিবেদনটি পাস হয়েছে। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির সভায় এটি চূড়ান্ত হবে।

গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম, চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ২০২৬ সালে হবে এসএসসি পরীক্ষা। এরপর শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একাদশে ভর্তি হয়েও মান উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক অথবা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক– এই ৭টি সূচকের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হবে শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ড। এতে সব বিষয়ে পারদর্শিতা বা সর্বোচ্চ সূচক অনন্য, আর সর্বনিম্ন সূচক হলো প্রারম্ভিক।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে তার শুধু ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না।


আরও খবর



সড়কে পড়া গাছ সরাতে কাজ করছে ডিএনসিসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ে রাজধানীর মিরপুরের একটি সড়কের উপর গাছ পড়ে যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এ অবস্থায় গাছ সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কুইক রেসপন্স টিম।

সোমবার (২৭ মে) মিরপুরের সেকশন-১৩ নম্বর এলাকায় স্কলাস্টিকা স্কুল সংলগ্ন প্রধান সড়কের একটি গাছ ভেঙে পড়ে যায়। এরপর থেকে গাছ সরানোর কাজে নামে ডিএনসিসি। প্রথমে সড়কের উপরের অংশে পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম। পরে গাছের বাকি অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন। তিনি বলেন, ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকেই কাজ করেছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম। পাশাপাশি কোথাও গাছ পড়ে থাকলে এবং পানি জমে থাকলে ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬-এ ফোন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীতেও ঝরছে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির কারণে যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সে কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কুইক রেসপন্স টিম। সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে ডিএনসিসির আওতাধীন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই টিম কাজ করছে।

গতকাল মেয়র আতিকুল ইসলাম সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সব ধরনের ছুটি বাতিল, দ্রুত পানি নিষ্কাশনে কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত, ঝড়ে কোথাও কোনো গাছ পড়ে রাস্তা ব্লক হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণসহ নগরবাসীর সব ধরনের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে নগরবাসীকে ডিএনসিসির হটলাইন নাম্বার ১৬১০৬ নাম্বারে ফোন করার জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত থেকে যাতে শহরের কোথাও কোনো জলাবদ্ধতা না দেখা দেয় সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রাস্তাঘাট ব্লক হলে সেটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিষ্কারের জন্য কাজ করতে হবে। কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে। পাশাপাশি ডিএনসিসি মেয়র সকল কাউন্সিলরদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে সরেজমিনে থেকে তদারকি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



তমার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করছেন মিষ্টি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা ও দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত আরেক নায়িকা তমা মির্জার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তমা মির্জার পাঠানো আইনি নোটিশে মিষ্টির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার খবরের পর মিষ্টি জান্নাত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জানা গেছে, মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশটি মিষ্টির বিরুদ্ধে দিয়েছেন তমা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তবে এখনও নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা। এই প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, সাক্ষাৎকারে আমি তার নাম উল্লেখ করে কিছুই বলিনি। উনি কেন গায়ে মাখলেন জানি না। এখন আমি পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেব। এরকম মিথ্যা নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার মানে কি? এখন আমাকেও আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানি করায় উল্টো ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শেষ হলেই ব্যবস্থা নেব।

মূলত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিষ্টি জান্নাতের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার মোটেও ভালোভাবে নেননি তমা মির্জা। সম্প্রতি তমা মির্জা নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এতে তমা কারো নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট তিনি মিষ্টি জান্নাতকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। এরপর সবকিছু ছিল নীরব ভূমিকায়। হঠাৎ করে তমার আইনি নোটিশের খবরে ফের উত্তাল ঢালিউড।

মিষ্টি জান্নাত বলেন, বিষয়টি ছিল জয় ভাই ও আমার মধ্যে। মাঝখানে তিনি এসে ঢুকে গেলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে শুরুটা কিন্তু তিনিই করেছেন। তারপরও আমি চুপচাপ ছিলাম। ঘটনা যখন শেষের দিকে তখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। কোনো ইউটিউবার যদি আমার সাক্ষাৎকারের সঙ্গে নিজের মন মতো থাম্বনেল এবং ক্যাপশন জুড়ে দেয় সেই দায়ভার তো আমি নেব না। কারণ, আমি তো তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। সে বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে পারত। তা না করে আদালতে গিয়েছে। এখন আমিও আইনি ভাবেই বিষয়টি দেখব।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন শিলাস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় জবানবন্দি দিচ্ছেন আসামি শিলাস্তি রহমান। সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ঢাকার একটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড চলছে।

এর আগে, স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় শিলাস্তিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় গত ২২ মে মামলাটি দায়ের করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলার অভিযোগে ডরিন উল্লেখ করেছেন, আমরা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেলে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার ফোন বন্ধ পাই।

এরপর গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

বিভিন্ন জায়গায় বাবাকে খুঁজে না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।


আরও খবর