আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার জুড়ি নেই: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার জুড়ি নাই। ভালো কাজের সঙ্গে শেখ হাসিনা আছেন। তিনি অসহায় দুস্থ মহিলাদের কষ্ট বোঝেন। এ জন্য তিনি নামকাওয়াস্তে কাজ, রাস্তায় ছোট ছোট ভাঙন, অন্যান্য কাজ করার বিনিময় আপনাদের টাকা দিচ্ছেন। এক দিকে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, অন্য দিকে আপনারা কাজের বিনিময় টাকা পাচ্ছেন, ভিক্ষা করতে হলোনা। কাজের বিনিময়ে টাকা নিলে গর্ব থাকে। এ পলিসিটা শেখ হাসিনা করেছেন, যাতে আপনার সম্মান থাকে।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে, সড়ক রক্ষনাবেক্ষনে নিয়োজিত মহিলা শ্রমিকদের চুক্তির মেয়াদ শেষে তাদের সঞ্চয়ী আমানতের টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গরীব অসহায় মহিলারা কখনো কল্পনা করেননি, তারা জনপ্রতি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে পাবেন। আপনাদের এই সঞ্চয়ের টাকা খেয়ে ফেলবেন না, নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য যে কোন ভালো কাজে ব্যবহার করবেন। সব সময় মাথায় রাখবেন শেখ হাসিনা আপনাকে ভালোবাসে, আপনারও দায়িত্ব তাকে ভালোবাসা।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী ও সুলতান মাহমুদ খান প্রমুখ।

এ সময় সড়ক রক্ষনাবেক্ষণ কাজের ৪ বছর শেষ হওয়ায় তাদের পারিশ্রমিক থেকে সঞ্চয় টাকার মোট ৯৫ জন নারীকে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার চেক ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কের পার্শ্ব রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিপাটি রাখা এবং সড়কের গাছের পরিচর্যার বিনিময়ে দৈনিক ২৫০ টাকা ও মাসিক ৫ হাজার ২৭০ টাকা প্রাপ্ত হন।

এর আগে শ ম রেজাউল করিম নাজিরপুর আরএইচডি রোড থেকে উপজেলা বাইপাস সড়ক কার্পেটিং কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।


আরও খবর



পবিত্র হজ আজ: লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাতের ময়দান

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

আজ শনিবার পবিত্র হজ। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে আজ মুখর হবে আরাফাতের ময়দান। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানে অবস্থান করবেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ থেকে জড়ো হওয়া লাখ লাখ মুসলমান। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

শুক্রবার (১৪ জুন) মিনায় অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে তারা মক্কা থেকে মিনায় আসেন। মিনায় নিজ নিজ তাঁবুর মধ্যে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করেছেন। আজ শনিবার ফজরের নামাজ আদায় করেই তারা যাবেন আরাফাতের ময়দানে।

আজ তারা ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে গুনাহ মাফের আকুল আবেদন করবেন। তাদের মুখে উচ্চারিত হবে ‘‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক। অর্থাৎ আমি উপস্থিত হয়েছি হে আল্লাহ। আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে। তোমার কোনো শরিক নেই। পুনরায় আমি উপস্থিত হয়েছি। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও সকল নিয়ামত শুধু তোমারই জন্য। সব সাম্রাজ্যও তোমার এবং তোমার কোনো শরিক নেই।

পবিত্র হজ মহান আল্লাহর একটি বিশেষ বিধান। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান সব মুসলমান পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। আরাফাতের ময়দান মক্কা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এটি দৈর্ঘ্যে দুই কিলোমিটার, প্রস্থেও দুই কিলোমিটার। এই ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত।

আরাফাতে রয়েছে জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড়। এই ময়দানে উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশে খুতবা দেওয়া সুন্নত। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এখানকার মসজিদে নামিরা থেকে বিখ্যাত বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।

আরাফাতে অবস্থান হজের শ্রেষ্ঠ রুকন। কারণ আরাফাতের ময়দান যেন বিশ্বসম্মিলন। লাখ লাখ হাজির এ ময়দানে মুসলিমদের একতার ইঙ্গিত বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই নামাজ আদায় করেছে আর এর আগে আরাফায় অবস্থান করেছে দিনে বা রাতে, তার হজ পূর্ণ হয়েছে এবং সে তার ইহরাম শেষ করেছে। (সুনানে নাসায়ি)

আরাফাতের ময়দান থেকে মুসলিমদের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও শান্তির বার্তা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ আরাফাতের দিন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা দেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দ্বিন মনোনীত করলাম। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৩)

আজ মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানারাতুল হারামাইন (manaratal haramain) ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

এদিকে কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় এ খুতবার অনুবাদ সম্প্র্রচার করা হচ্ছে। টানা পাঁচ বছরের মতো এবারও বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় আরাফাতের খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে। এ বছর এর বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করবেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ড. খলীলুর রহমান।

হজের অংশ হিসেবে জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখএই পাঁচ দিনে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করে হজযাত্রীরা হজের কার্যক্রম পালন করবেন। এর মধ্যে আজ শনিবার (৯ জিলহজ) আরাফাতের ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে পড়বেন। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া-মোনাজাতে মগ্ন থাকবেন। সূর্যাস্তের পর সবাই আরাফাত থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে রাত্রিযাপন করবেন। মুজদালিফা থেকে তিন জামারার জন্য তাঁরা পাথর সংগ্রহ করবেন।

পরদিন রবিবার (১০ জিলহজ) মিনায় বড় জামারায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর কোরবানি করে মাথা ন্যাড়া করবেন। তখন ইহরামের কাপড় বদলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাঈ (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তাঁরা দুই দিন বা তিন দিন (১১ থেকে ১২ বা ১৩ জিলহজ) (বড়, মধ্যম, ছোট) জামারায় সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর মক্কায় বিদায়ি তাওয়াফ করে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

সৌদি আরবের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এবার হজে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫ লাখের বেশি হজযাত্রী দেশটিতে গেছেন। প্রতিবছরের মতো এবারও সৌদি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশসহ ৮৮টি দেশের এক হাজার ৩২২ জন হজ করছেন। তা ছাড়া এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বা আহত ফিলিস্তিনি পরিবারের আরো এক হাজার জন হজ করছেন। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের চার হাজার দুই শ জন ফিলিস্তিনি এবার হজ করছেন। এদিকে দীর্ঘ এক যুগ পর সিরিয়া থেকে সৌদি আরবের হজ ফ্লাইট চালু হয়। এবার দেশটি থেকে ১৭ হাজারের বেশি মুসল্লি হজে অংশ নিচ্ছেন।


আরও খবর



ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলতে পারে যতদিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে সৌদি আরবে এই মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে মুসলিমদের দ্বিতীয় বড় উৎসবের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুন রোববার দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এদিকে শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কুরবানির ঈদ পালন করা হয়। এই হিসেবে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে দেশে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের বিষয়টি নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর।

অপরদিকে ঈদ কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিজীবীদের প্রায় সবাই ছুটি কবে থেকে শুরু, সেই হিসাব-নিকাশও করতে থাকেন। চলতি বছরের ঈদুল আজহায় টানা পাঁচ দিনের ছুটি মিলতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের। এর মধ্যে ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি আর ৩ দিন ঈদের ছুটি। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে- এ হিসাব করে সরকারি ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, কুরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১৬ জুন (রোববার) থেকে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। দিনের হিসাবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে। তবে এর মধ্যে আরবি মাস জিলকদ বা জিলহজের কোনো একটি বা দুটিই যদি ২৯ দিনের হয়, তাহলে ৭০ দিনের কম সময়ের মধ্যেও (৬৯/৬৮ দিন) কুরবানির ঈদ হতে পারে।


আরও খবর



মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হল হিজাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাজিকিস্তানে হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করে আইন পাস হয়েছে। দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষে আইনটি পাস হয়। এ ছাড়া আইনটির মাধ্যমে ঈদ উদ্‌যাপনেও বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।

এশিয়া প্লাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ জুন) মজলিসি মিলির ১৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিলটি উত্থাপন করা হলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়।

আইনে হিজাবকে এলিয়েন পোশাক বলে উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে ঈদ উদ্‌যাপনকে বিদেশি সংস্কৃতি বলা হয়। আর দেশটি তা সমর্থন করতে পারে না বলেও যুক্তি তুলে ধরা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়, শিশুরা ঈদ উদ্‌যাপনে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবে না। দেশটিতে তা ইদগারদাক নামে পরিচিত। মূলত শিশুরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সড়ক ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে অভিবাদন জানায়।

এর আগে তাজিকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ মজলিসি নমোয়ানদাগন ৮ জুন হিজাব ও ইদগারদাক নিষিদ্ধ করার বিলটি অনুমোদন করে।

মজলিসি মিলি প্রেস সেন্টার বলছে, অধিবেশনে ছুটির দিন, ঐতিহ্য ও আচার-অনুষ্ঠান, সন্তান লালনপালনে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, পিতামাতার দায়িত্ব সংক্রান্ত দেশের আইনের সংশোধনীকে সমর্থন করা হয়েছে।

আইনটি মূলত হিজাব, ইসলামিক হেড স্কার্ফ ও ইসলামিক পোশাকের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী ধরনকে লক্ষ করে প্রণীত। বলা হচ্ছে, এসব পোশাক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাজিকিস্তানে আসতে শুরু করে এবং দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের কর্মকর্তারা এ পোশাক ধারণকারীদের ইসলামিক চরমপন্থিদের সঙ্গে তুলনা করছেন।

তাজিকিস্তান মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। এর উত্তরে কিরগিজস্তান, উত্তরে ও পশ্চিমে উজবেকিস্তান, পূর্বে গণচীন এবং দক্ষিণে আফগানিস্তান। দুশান্‌বে দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

দেশটির ৯৬.৪ শতাংশ অধিবাসী মুসলমান। তাজিকিস্তানে ২০০৯ সালে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়টি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর মধ্যে তাজিকিস্তানকে আলাদা করে তুলেছে। তবে তাজিকিস্তানে অন্য যেকোনো ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

বাকিদের মধ্যে অর্থোডক্স, প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও ইহুদি রয়েছে। তাজিকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোকে নিবন্ধন করতে হয়। এই নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল উপাসনার জন্য একত্রিত হতে পারে না। এর ব্যতিক্রম করলে বড় অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি তাদের উপাসনাস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়।


আরও খবর



সেনাপ্রধানের সঙ্গে সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিটার কেকৌ লেভাউন।

বুধবার (৫ জুন) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সেনা সদরে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃ বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সেনাবাহিনী প্রধান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফকে ধন্যবাদ জানান।

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

আইএসপিআর জানায়, সিয়েরা লিওন সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ আগামীকাল (৬ জুন) বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য ৮৬তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ দেখার জন্য সরকারি সফরে বাংলাদেশে আগমন করেন। তার এই সফর বাংলাদেশ ও সিয়েরা লিওনের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।


আরও খবর



বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ভান লাল খিয়াং বম। তিনি জুরভারং পাড়ার বাসিন্দা লাল মিন সম বমের ছেলে। বুধবার (১২ জুন) সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারং পাড়ায় অভিযান চালালে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন ঝিরির নিচে পড়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পান।

পরে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক সুরতহালে পুলিশ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রুমার জুরভারং পাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এখনও অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতিসহ ম্যানেজারকে অপহরণ করে কেএনএফের সদস্যরা। এরপর থেকে তাদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অভিযানে সংগঠনটির ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর