আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

স্থগিত ১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের স্থগিত ১৯টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে এসব উপজেলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হবে। এর আগে চার ধাপে ভোট সম্পন্ন করেছে ইসি।

এই ১৯টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জনসহ মোট ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

ইসি জানিয়েছে, ১৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন এবং ১ হাজার দুইটি কেন্দ্রে ভোটের দিন অর্থাৎ আজ সকালে ব্যালট গিয়েছে।

যেসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে: নেত্রকোণার খালিয়াজুরী, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া এবং বরগুনার বামনা ও পাঠরঘাটা উপজেলা।


আরও খবর



দাম কমলো এলপি গ্যাসের, ১২ কেজি ১৩৬৩ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জুন মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৯৩ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপিজির নতুন এ দর আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১০৯ টাকা ৭২ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারের মূল্য ৬২ টাকা ৫৩ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে, গত মে মাসে ভোক্তাপর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। সেবার ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে অটোগ্যাসের দামও কমায় বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।


আরও খবর



কাশ্মীরের বনাঞ্চলে দাবানল, বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ল্যান্ডমাইন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজৌরির বনাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ল্যান্ডমাইন বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পাহাড়ি অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে আগুনের সঠিক অবস্থান এবং গতিবিধি অনুমান করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ভারতীয় দমকল কর্মীরা।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গরমের কারণে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন মানকোট জঙ্গলে প্রথমের আগুনের সূত্রপাত হয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই আগুন আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কারণ, এই সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে সেখানে প্রচুর সংখ্যক ল্যান্ডমাইন বিছানো ছিল। আগুনের কারণে সেই ল্যান্ডমাইনগুলোতে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ঘটছে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আগুন দেখা যাচ্ছে।

এদিকে গত তিন দিন ধরে উধমপুর জেলার ঘোর্ডি ব্লকের দয়া ধারের জঙ্গলে আগুন জ্বলছে। ক্রমাগত অগ্নিনির্বাপণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বর্তমানে এই আগুন আরও তীব্র হয়েছে। দয়া ধর বন এলাকায় ময়ূরের আবাসস্থল, যা এই আগুনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা পুড়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র ময়ূরই নয়, অন্যান্য বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করেছে।

ভারতজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যেই এ দাবানল যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের জন্য। আগুন নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা।

মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ভারতে সাধারণত বনাঞ্চলে দাবানল বেড়ে যায়। চলতি মাসে মেনধর উপজেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন বনাঞ্চলে এটি চতুর্থ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত এলাকার বনাঞ্চলের আগুন ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে এসেছে। পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য ল্যান্ডমাইন অকার্যকর করতে এ ধরনের আগুন লাগিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।


আরও খবর



শেষ মুহূর্তে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উদযাপনে শেষ সময়ে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। রোববার (১৬ জুন) ভোর থেকে রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়। কমলাপুর থেকে আগাম টিকিট না পেয়ে ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

এদিকে রাজধানীর বেশির ভাগ বাস টার্মিনালেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। কিছু রুটে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায় যাত্রীর চাপ রয়েছে। ট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষায় যাত্রীরা।

এদিকে বাস টার্মিনালগুলোরও একই অবস্থা। সকাল থেকে সময় মতোই উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি ভাড়া আদায় বা ভোগান্তির অভিযোগ যাত্রীদের। বিকেল নাগাদ ভিড় কমে যাবে বলে ধারণা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।

তবে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে রাজধানীর বাস, রেল ও লঞ্চ টার্মিনালের বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। এতে অনেকে বাস, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে ব্যাগ হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন টার্মিনালের দিকে। টার্মিনালগুলোর সামনে রয়েছে বাসের লম্বা সারি।

এসব সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে দায়িত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও অন্য সময়ের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি। দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের ডেক যাত্রীতে পূর্ণ।


আরও খবর



চবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বুধবার দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান।

চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আকতার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন। সেমিনারের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কিশোয়ার জাহান চৌধুরী।

প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। যা এতদ্অঞ্চল তথা দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে। পরিবেশ সুরক্ষার অন্যতম উপাদান হলো ভুমি, বৃক্ষ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ধরীত্রি সুন্দর ও সুরক্ষিত রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচুর বৃক্ষ রোপনের পাশপাশি পরিবেশ বিধ্বংশী যে কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি এই ধরীত্রি সুরক্ষায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।

ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং চবি ঝুলন্ত সেতুর কাছে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী

এসময় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ সহ উক্ত ইনস্টিটিউটের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কোম্পানীগঞ্জে বাইরং নদীর বালু লুট, ভাঙ্গনের কবলে তীরবর্তী ফসলি জমি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাইরং নদীতে ইজারা ছাড়াই চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তীরবর্তী অনেক ফসলি জমি। বালুখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না।

কোম্পানীগঞ্জের শিমুলতলা ও ছাতকের রাজেন্দ্রপুর এলাকাস্থ বাইরং নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্টিল বডি নৌকায় বালু তোলা হচ্ছে। আর এই বালু কোম্পানীগঞ্জের আমবাড়ি, ইছাকলস এবং ছাতকের বিভিন্ন স্পটে স্তুপ করে রাখা হয়। প্রভাবশালী ও একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অবৈধ এ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।

কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর গ্রামের রশিদ আহমদ, এনাম খান ও জুয়েল আহমদ জানান, কোনো প্রকার ইজারা ছাড়াই এ বছরের ২২ মে থেকে এ নদী হতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

অভিযোগে প্রকাশ ৪০-৫০ জনের একটি বালুখেকো সিন্ডিকেট বাইরং নদী থেকে নির্বিঘ্নে বালু লুট করতে নিয়োগ করেছেন কয়েকজন লাইনম্যান। এই লাইনম্যানদের মাধ্যমে দুই উপজেলা প্রশাসনকে তারা মেইনটেইন করে থাকেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, এই এলাকায় বাইরং নদী থেকে হাইড্রলিক ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক স্টীলবডি নৌকায় বালু তোলা হয়ে থাকে। এতে ভয়াবহ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে নদী তীর ও আশপাশের বহু কৃষি জমি নদীতে বিলীন হতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন জানান, বালু সিন্ডিকেটের এই ধ্বংসাত্মক কাজে এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব প্রপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে নদীতে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। তবে বালু উত্তোলনকারীদের দাবি, জেলা প্রশাসন থেকে লিজ নিয়ে নিয়ম মেনেই তারা বালু তুলছেন।

এ বিষয়ে চাটিবহর গ্রামের সুজন মিয়ার দাবি, তিনি জেলা প্রশাসন থেকে উজানের পিয়াইন নদীর বালু মহাল লিজ নিয়েছেন। নিয়ম মেনে লীজকৃত জায়গা থেকেই তারা বালু তুলছেন। বাইরং নদী থেকে বালু তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

কোম্পানীগন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, উপজেলার বাইরং নদী, বালুমহাল ইজারার বিষয়টি তার জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হলে উপজেলা প্রশাসনসহ অধস্তন ভূ-প্রশাসনকে আদেশক্রমে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। বাইরং নদী নামে বালুমহাল ইজারা দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি।

তিনি বলেন, ইজারা ছাড়া কোনোভাবেই নদী থেকে বালু তোলা যাবে না। এরকম হয়ে থাকলে সরেজমিন গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর