আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

৫ ভুল ধারণা: হাঁপানি রোগীদের কী কী করা মানা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা অনেকেরই থাকে। বয়স নির্বিশেষে ফুসফুসে এই দীর্ঘ রোগে ভোগেন বহু মানুষ। ধোঁয়া, দূষণ, ধুলো বা ভ্যাপসা জায়গায় গেলে হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে টান ধরা, কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায় হাঁপানি রোগীদের মধ্যে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষে এই রোগে আক্রান্ত। অথচ এখনও এই রোগ নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণা ঘোরে মানুষের মনে। সবচেয়ে বড় ভ্রান্ত ধারণাগুলি জেনে রাখা ভাল।

১। শরীরচর্চা: হাঁপানির রোগ থাকলেই যে কোনও রকম খেলাধুলো করা যাবে না বা কঠিন শরীরচর্চা করা যাবে না এমন নয়। চিকিৎসা করালেই হাঁপানির বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।

২। শৈশবের অসুখ: একমাত্র ছোটদেরই অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা নয়। এটা যেমন ঠিক যে অনেকেরই শৈশব থেকে এই রোগ ধরা পড়ে, আবার এটিও ঠিক যে বয়স নির্বিশেষে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনও ব্যক্তি।

৩। শ্বাসের সমস্যা: অ্যাজমা থাকলেই শ্বাস নিতে অসুবিধা হবে, তেমন নয়। অনেক হাঁপানির রোগীই টানা কাশির সমস্যা হয়, কিন্তু শ্বাস নিতে তেমন কোনও সমস্যা হয় না।

৪। অকেজো ওষুধ: অনেকে মনে করেন, সময়ের সঙ্গে হাঁপানির ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়। কারণ রোগীরা ওষুধের উপরই সারা ক্ষণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল। বাড়তি নির্ভরশীলতা তৈরি করার মতো কোনও উপাদান থাকে না এই রোগের ওষুধে।

৫। তেমন গুরুতর নয়: অ্যাজমার সমস্যা খুব বেশি দেখা যায় বলে অনেকেই মনে করেন, তেমন গুরুতর নয় এই রোগ। কিন্তু দীর্ঘদিন ফুসফুসের সমস্যা থাকলে এবং ঠিক চিকিৎসা না হলে, পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতেই পারে।

নিউজ ট্যাগ: হাঁপানির রোগী

আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর



নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন নায়িকা রত্না

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নতুন মেয়াদের সভাপতি পদে মিশা সওদাগর (২৬৫) ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন আলেকজান্ডার বো। মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে তিনি ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আলেকজান্ডারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ ভোট পেয়েছেন সভাপতি পদে জয়ী মিশা সওদাগর।

সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছেন ইতিহাস খ্যাত নায়িকা রত্না কবির। তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। নারী প্রার্থীদের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব আমি।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চিত্রনায়িকা রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম কেন ভালোবাসলাম ছবির মধ্য দিয়ে এ জগতে নাম লেখান এ নায়িকা। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন অভিনয়। প্রায় অর্ধশত ছবির এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম ছবিতে অভিনয় করেন। তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সেই শুরু।

দশম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ইতিহাস ছবির কাজ। এ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। রাতারাতি খ্যাতি এনে দেওয়া এ ছবির কল্যাণে এ ঢালিউড নায়িকার হাতে একাধিক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে। এরপর একে একে কাজ করেছেন ধোঁকা, মরণ নিয়ে খেলা, নষ্ট, পড়ে না চোখের পলক, সন্তান আমার অহংকার, মন যেখানে হৃদয় সেখানে, সন্তানের মতো সন্তানসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবিতে।

অভিনয়ের পাশাপাশি তামান্না ফিল্মস নামে প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন রত্না। তবে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকতে হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। তখন থেকে অনিয়মিত দেখা যায় তাকে।

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছেন রত্না। তার ভাষ্য, শিল্পীরা আমাকে ভালোবাসেন। সেই প্রমাণ ব্যালট বক্সে তারা দিয়েছেন। এবার আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্রে নিয়মিত থাকতে চাই।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও তার মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ জন শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজে শ্রীপুর থেকে মাওনার আনসার রোডে যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে পিকআপটিকে শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কে একটি ডাম্পট্রাক পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত ও ১২ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করা গেলে চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা, মে মাসে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান এ তাপপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপপ্রবাহ। ১৯৯২ সালেও মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তবে তার বিস্তৃতি এবারের মতো ছিল না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে।

সোমবারের আবাওহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




চার মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা জল্পনা কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ফলে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বাড়বে। যা আগামী চার মে থেকে কার্যকর হবে। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করেনি রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। যা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ট্রেনের ভাড়া কী হারে বাড়ছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০১-১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ১৫১-৪০০ কিলোমিটার ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা পান যাত্রীরা। এই সুবিধাটি এখন বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাব সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন। যা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঠিকই যাত্রীদের কাঁধে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোনো যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ছাড় (রেয়াত) দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সূত্রটি জানিয়েছে, ৪ মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ কারণে, তাহলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর