আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

৯৩ বছর বয়সে পঞ্চম বিয়ে করলেন মিডিয়া মোগল

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

৯৩ বছর বয়সে এসে পঞ্চম বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মার্কিন মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডক।

স্থানীয় সময় শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় ৬৭ বছরের এলিনা ঝুকোভার সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। কনে রাশিয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত বায়োলজিস্ট।

মারডকের মালিকানাধীন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এ প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, নবদম্পতি হাসছেন। এসময় মারডকের পরনে ছিল কালো স্যুট ও হলুদ টাই এবং এলেনার পরনে ছিল সাদা গাউন।

মারডক এর আগে চারবার বিয়ে করেছেন। সম্প্রতি মডেল জেরি হলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান মারডক। এই দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান আছে। ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী স্কটিশ সাংবাদিক আনা মারডক মানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। প্রথম স্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুকারের সঙ্গে মারডকের বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৬৬ সালে।


আরও খবর



রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশের হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় সারাদেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম মিটিংয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্পদংশন ও রাসেলস ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে খোজ খবর নেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাসেল'স ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলব আপনারা আতংকিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারের যে এন্টিভেনম সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি কোনো অবস্থাতেই এন্টিভেনমের ঘাটতি থাকা যাবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

তিনি বলেন, সর্পদংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কবি সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। জননী সাহসিকা হিসেবে খ্যাত এই কবি ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।

সুফিয়া কামাল আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান।

কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ ২০ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনের সুফিয়া কামাল ভবনে (১০ বি/১, সেগুনবাগিচা, ঢাকা) কবির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকমণ্ডলী এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।

তিনি বলেন, কবির জীবন ও আদর্শ এবং তাঁর কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।

সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক অনুকরণীয় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন অগ্রদূত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, কালজয়ী কবি বেগম সুফিয়া কামালের জীবন ও দর্শন এবং সাহিত্যকর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পাঠকের হৃদয় আলোকিত করবে।

তিনি বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা ও প্রতিজ্ঞা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সঞ্চারিত হয় ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তাঁর দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রীনিবাসের নাম রোকেয়া হল রাখা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার বেতারে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলেন। শিশু সংগঠন কচি-কাঁচার মেলার তিনি প্রতিষ্ঠাতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের জননী সাহসিকা উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য বেগম সুফিয়া কামাল হল নির্মাণ করে।

বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সুফিয়া কামালের ছিল আপোষহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।

পাকিস্তান সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে তার প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন এবং তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।

সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলো এবং একাত্তরের ডায়েরি তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ।

সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পদক, বেগম রোকেয়া পদক, সোভিয়েত লেনিন পদক ও জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার।


আরও খবর



বাজেট: ট্যাক্স রিটার্ন ছাড়া করা যাবে না বিয়ের অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্যাক্স রিটার্ন ছাড়া কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যাবে না। কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়ে হলুদ, সুন্নতে খাতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না।

বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা যুক্ত হচ্ছে।

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার প্রতিপাদ্যে নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিদেশ যাত্রা বন্ধে নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা: আইজিপি

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নির্দেশনা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সোমবার (২৪ জুন) সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।

সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জের ১১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, পুলিশ চাইলে যে কাউকে যেকোনো সময় স্টপ করতে পারে না। আইনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ঢাকা রেঞ্জ ১১০ বছর ধরে মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। আমি নিজেও এক সময় এই রেঞ্জের ডিআইজি ছিলাম। আমার সময় চেষ্টা করেছি ঢাকা রেঞ্জের ইতিহাসটা বের করার। এটি ছিল অনেক কঠিন একটি কাজ। বর্তমান ডিআইজি অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে ৯৬টি থানা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ঢাকা রেঞ্জ।


আরও খবর



প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালুর প্রস্তুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ এবং এ বছরের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধনের তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে এই মুহূর্তে আরও ১৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু করা যাবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আরও এক হাজার বিদ্যালয়ে তা চালু করা যাবে। তবে এই কাজ পর্যায়ক্রমে এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ২০১০ সালে করা জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি ও মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করার কথা বলা আছে। ছয় বছর পর ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। যদিও সরকার সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

গত ৫ মে আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অবৈতনিক পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।

এ বিষয়ে আজকে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব। তিনি বলেন, এখানে দুটি বিষয়। একটি হলো- প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা। আরেকটি হলো- শতভাগ অবৈতনিক করা।

তিনি আরও বলেন, ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ হাজারের কাছাকাছি বিদ্যালয়ে যদি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা যায় এবং নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ২৩ হাজারের কাছাকাছি বিদ্যালয়ে যদি অবৈতনিক করা যায় তাহলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব।


আরও খবর