আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

১০৯ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৯ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত।

রোববার (৩০ জুন) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক নতুন এদিন ঠিক করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



বেনজীরের ৭ পাসপোর্টের সন্ধান পেল দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদফতরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঐ জিজ্ঞাসাবাদে বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের সন্ধান পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল পাসপোর্ট অধিদফতরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেন। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় নেন। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদফতর।

সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে পুলিশ পরিচয় আড়াল করেছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



কোরবানির ৭ ঘন্টার মধ্য বর্জ্যমুক্ত করার ঘোষণা চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কোরবানির বর্জ্য পরিস্কারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবার ৭ ঘন্টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করা হবে৷ পশুর নাড়ি-ভুড়ি নেয়ার জন্য পলিথিন সরবরাহ করা হবে৷ চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা সভা করেছি৷ আশা করি এবার চামড়া নষ্ট হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হবেনা৷

শনিবার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদ-উল-আযহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধায় পর্যাপ্ত ফ্যান আর সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

চসিক মেয়র বলেন, 'স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে। এছাড়া মুরাদপুরের মুহাম্মদপুরে ঈদের নামাজ পড়তে পারবে এমন একটি ঈদগাহ নির্মাণ করেছি৷'

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

এবারের চসিকের তত্ত্বাবধানে ঈদ-উল-আযহার  প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টা  এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায় জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে৷

মসজিদগুলো হল যথাক্রমে লালদিঘী সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ,  হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।

এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ/ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



দোহারে হাট কাঁপাবে টিসিএল এগ্রো ডেইরী ফার্মের গরু

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার দোহার উপজেলায় কোরবানি যোগ্য দুই শতাধিক পশু প্রস্তুত করেছে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম।

তাই শেষ সময়ে হাটে তুলতে বিভিন্ন জাতের পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরু মোটাতাজা করতে কোন রকম রাসায়নিক জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং অর্গানিক উপায়ে গরুগুলোর খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এসব পশু দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা।

আগে ভাগে অনেকে খামারে গিয়ে কোরবানির পশু পছন্দ করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে বুকিং দিচ্ছেন ক্রেতারা। আবার অনেকে খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের পশু।

ঢাকার দোহার উপজেলার বানাঘাটা এলাকায় অবস্থিত টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। মাত্র ২টি গরু দিয়ে ২০২০ সালে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফাম কর্ণধার তানভীর আহমেদের বাবা ও দাদার কৃষি কাজে জড়িত থাকার অনুপ্রেরণায় শুরু হয় ফার্মটি।

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুত করেছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের প্রায় দুই শতাধিক ষাঁড় গরু। ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই শাহীওয়াল, দেশী, ফিজিয়ান, গির ও হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ানসহ ৫ জাতের ষাড় এখানে লালন পালন করা হচ্ছে। আর এসব ষাঁড় পরিচর্চায় সার্বক্ষনিক ২ জন প্রতিষ্ঠিত পশু চিকিৎসক, একজন প্রাণিসম্পদ অফিসারসহ ২৫জন অধিক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। সকাল থেকে শুরু হয় তাদের পরিচর্চার কাজ।

টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের খামারে ২ শতাধিক কোরবানীর পশু রয়েছে। এরই মধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের খামারে ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু রয়েছে। দামও ক্রেতাদের সামর্থের মধ্যে। সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা দামের গরু আছে। সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা। লাইভ ওয়েট ২৫০ কেজি ৮০০ কেজির অধিক।

তিনি বলেন, আশা করছি এবারের ঈদে বিক্রি ভালো হবে। ইতোমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে এবং আমাদের কিছু গরু বুকিং হয়ে গেছে। বাকিগুলোও আশা করছি ঈদের আগে শেষ হয়ে যাবে। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা খামারের শতভাগ মানসম্পন্ন গরু দেখতে এবং বুকিং দিতে ভিজিট করছে।

টিসিএল এগ্রো ফার্মেও স্বার্বখনিক ডাঃ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এ খামারে বায়োসিকিউরিটি হাইজিন এবং সার্বক্ষণিক পরিচর্চার বিষয়গুলো মনিটরিং করার জন্য আধুনিক সার্ভিলেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে স্মার্ট সিষ্টেম চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা সকল পশুগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করতে পারছি।

দোহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন বলেন, দোহার উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ প্রান্তিক খামারি তাদের গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। চাহিদার তুলনার চেয়েও এবার বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশুর কোন ঘাটতি হবে না।


আরও খবর



ঝিনাইদহে আ.লীগ নেতা মিন্টুর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

এমপি আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার (৩০ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার চন্ডিপুর বাজারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে গান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগের নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

ঘণ্টা ব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- গান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম, আওয়ামী লীগ আব্দুল খালেক প্রমুখ।

বক্তারা এমপি আনার হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করা হচ্ছে দাবি করে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সাইদুল করিম মিন্টুকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তির দাবি জানান। এদিকে একইসময় জেলার মহেশপুর মেইন বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্র হত্যার বিচার চেয়ে রাস্তায় এলাকাবাসী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ছেলে নিবির হত্যার বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন মা-বাবা ও এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৮ জুন) ঠাকুরগাঁও সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)'র সামনে মানববন্ধ করে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন তাঁরা। মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে নিহত নিবির (১২) মা শিল্পী খাতুন, বাবা ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলু, পৌরসভার সংরক্ষিত ১-৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজিরা আক্তার স্বপ্নাসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে নিহত নিবিরের মা বলেন, সাজ্জাত আমার ছেলেকে হত্যা করে প্রকশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাহিম ও সাজ্জাত আমার ছেলেকে কু-প্রস্তাব দিছিলো। এতে সে রাজী না হওয়ায় তাকে ঘরে আটকে রেখে হত্যা করেছে। পুলিশ সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি করেন করেন তিনি।

নিবিরের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে বলৎকার করা হয়েছে। এসিড নিক্ষেপ করে দুই চোখ ও হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সাজ্জাত ও মাহিম যে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাঁর সকল প্রমাণাদি পুলিশের কাছে আছে।পুলিশ মাহিমকে ধরলেও সাজ্জাতকে ধরছে না।

কারণ সাজ্জাত শহরের সিয়াম ফ্যাশন এর মালিকের ছেলে। তাঁরা প্রভাবশালী। এমন একটা অবস্থায় দাড়িয়েছে পুলিশ সাজ্জাতকে জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করতে পারছে না। এই হত্যা ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা খুবই নীরব। মাহিমকে জেলে আটকে রেখে পুলিশ একটা সাজানো নাটক তৈরি করে বলছে মার্বেল খেলেকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড। আসলে নিবির কোন দিন মার্বেল খেলতো না।

তিনি আরো বলেন, আমি ওমান দেশে থাকায় পুলিশ প্রশাসন আমার পরিবারকে যে নির্যাতন করে তা বলা অসম্ভব। যেদিন ছেলের লাশ উদ্ধার হয় সে রাতে আমার স্ত্রী ও বড় ছেলেকে থানায় আটকে রাখে পুলিশ। এবং তাঁরা আমার স্ত্রীকে পরকিয়ার বদনাম দিচ্ছে।

পুলিশের মুখে এমন একথা শুনে আমার স্ত্রী আত্নহত্যা করতে গেছিলো। আমি থানায় গেলে থানার তদন্ত অফিসার জিয়ারুল ইসলাম আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ ও অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলেন। পুলিশ আমার আত্মীয়স্বজনদের বলে বেড়াচ্ছে এটা পরকিয়া মামলা। আদালতের লোকজনও বলছে পুলিশ বলছে আপনার স্ত্রী নাকি পরকিয়া করে। আর তদন্ত অফিসার জিয়ারুল ইসলাম আমায় বলছে আপনার স্ত্রী পরকিয়া করে কিনা সেটা খেয়াল করেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এর আগে গত ১৭ মে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিবির হত্যার সঙ্গে জড়িত কিশোর মাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান।

এসপি সেদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্বেল খেলাকে কেন্দ্র করেই স্কুলছাত্র নিবিরকে হত্যা করে একই এলাকার মো: মানিক এর ছেলে মাহিম। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে এ হত্যাকান্ডের সাথে আর কেউ জড়িত নাই।

তবে পুলিশ সুপারের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতের বাবা ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলু বলেছিলেন ছেলে নিবির কখনই মার্বেল খেলতো না। সে ফুটবল খেলতো। আর ছেলেকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশে একাই ফেলে যাবে যা সন্দিহান। এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে। সঠিক তদন্তের দাবিও করেন তিনি।

এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল সকালে শহরের মাদরাসা পাড়ায় বাড়ির পাশের গলি থেকে শিশু নিবিরের অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ। নিবির সালান্দর কৃস্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছিলো পুলিশ।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর