আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

পরীক্ষায় বসলো এইচএসসি ও সমমানের ১৪ লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্র, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসির (বিএম/বিএমটি) বাংলা-২ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে।

তবে বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। আগামী ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি হবে।

এবার প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার।

শিক্ষাবোর্ডের রুটিন অনুযায়ী, সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে ১১ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৮ জুলাই। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে গত দেড় দশকের ধারাবাহিকতায় নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।

আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫টি।

এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮টি। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপোলিতে দুটি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি এবং ওমানে ২৬টি।


আরও খবর



বেনজীর দম্পতির আরও সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে থাকা ঢাকায় আটটি ফ্ল্যাট, উত্তরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার একটি প্লট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছয় কাঠা করে চারটি প্লট ও বান্দরবানে ২৫ একর জমির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এ সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রিসিভার নিয়োগ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে আদাবর পিসি কালচার হাউজিংয়ে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট, বাড্ডায় ১৪ তলা বিশিষ্ট রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার বিল্ডিংয়ে কার পার্কিংসহ দুটি অফিস স্পেস, উত্তরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার একটি প্লট, রূপগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্টে ছয় কাঠা করে চারটি প্লট এবং বান্দরবান সদরে ২৫ একর জমি। এর আগে ১২ জুন এসব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে দুই দফায় ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার নামে থাকা প্রায় ৬১২ বিঘা সম্পত্তি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক ও বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। ৬ জুন এসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন আদালত। 


আরও খবর



অ্যালকোহল পানে প্রতিবছর প্রাণ হারান ২৬ লাখ মানুষ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বে অ্যালকোহল পানের কারণে প্রতিবছর ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও গত কয়েক বছরে মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। তবে এখনো এটি অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

অ্যালকোহল ও স্বাস্থ্য বিষয়ে ডব্লিউএইচওর সর্বশেষ এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ২০টি মৃত্যুর ঘটনার প্রায় একটির জন্য দায়ী অ্যালকোহল। এসব মৃত্যুর ঘটনার পেছনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, অ্যালকোহলসংশ্লিষ্ট নৃশংসতা, নির্যাতন, নানা রোগ ও অসুস্থতার মতো বিষয় রয়েছে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা বিশ্বে ওই বছর মোট মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। আর মারা যাওয়া এসব ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় তিনচতুর্থাংশই ছিলেন পুরুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। এর ফলে দুঃখজনকভাবে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য।

এদিকে ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বে অ্যালকোহল পান ও অ্যালকোহল পানজনিত ক্ষতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে অ্যালকোহল পানের কারণে স্বাস্থ্য ও সমাজের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা এখনো অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও প্রধান। তিনি বলেন, বিশেষ করে তরুণেরা বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

২০১৯ সালে অ্যালকোহল পান মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি (১৩ শতাংশ) মারা গেছেন ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ। অ্যালকোহল পানের কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানে প্রাণ হারানো মানুষের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি। তাদের মধ্যে চার লাখ ৭৪ হাজার জন হৃদ্‌রোগ, চার লাখ ১০ হাজার ক্যানসার এবং ৭ লাখ ২৪ হাজার জন আঘাতের কারণে মারা গেছেন। এছাড়া অ্যালকোহলের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষের যক্ষ্মা, এইচআইভি ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত  হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলোতে; যা গড়ে ৯ দশমিক ২ লিটার। এরপরই রয়েছে আমেরিকার দেশগুলো। সেখানে মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের গড়ে ৭ দশমিক ৫ লিটার। সবচেয়ে কম অ্যালকোহল পান করা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে।


আরও খবর



ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার নতুন সময় কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়, যা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 এতে বলা হয়, এ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছে। আগে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। আশা করা যাচ্ছে, জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এ ছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ গত ৮ জুন বলেন, প্রচলিত অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয় করে এখন থেকে কর আদায়ের সময় হবে প্রতিবছরের ১ জুলাই খেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। কর আদায় প্রক্রিয়া অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই নতুন পদ্ধতি দেশের ভূমি রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নতুন যাত্রায় সফল হই। বর্তমান পরিবর্তনটি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় প্রক্রিয়াকে অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করবে।

উল্লেখ্য, মোগল বাংলায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সাল থেকে। কালক্রমে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশেও বাংলা সনের হিসাবেই জমির খাজনা তথা ভূমি কর নেয়া হতো। ১৫৮৪ প্রায়োগিক সাল ধরলে সময়ের প্রয়োজনে প্রায় ৪৪০ বছর পর ভূমি কর আদায়ের সময় পরিবর্তন হলো।


আরও খবর



২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার স্লোগান নিয়ে এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। দেশের ৫৩তম এই বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আজ পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত এই বাজেট।

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। পরে তা সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হবে।

৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে এটি।

এর আগে শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে কয়েকটি সংশোধনীসহ অর্থবিল-২০২৪ পাস হয়েছে। বিলটি পাসের আগে বিলের উপর সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বহাল রাখা হয়। এছাড়া ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিলের উপর জনমত বাছাইয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় সংসদে। সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকসুদের হার বাজারভিত্তিক ও নীতি সুদহার প্রবর্তন করা হয়েছে। ডলারের দাম স্বাভাবিক রাখতে ক্রলিংপেগ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সব সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত ১১টি পদক্ষেপ পূরণে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হলে ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। খাদ্য নিরাপত্তায় টিসিবির মাধ্যমে কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা, ওএমস কার্যক্রম চালু রাখা ও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

সংসদে পাস হওয়া বিলে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু অর্থ বছরের জন্য আর্থিক বিধান, বিদ্যমান আইন সংশোধনীসহ কর প্রস্তাবসমূহ অনুমোদন করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য (এমপি) নতুন নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া সম্পদশালীদের কোম্পানির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির পরিবেশ সারচার্জ মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া রিটার্নে আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি আয় দেখানো হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ট্যাক্স ফাইল অডিটে ফেলবে না।


আরও খবর



যারা ৬ দফা মানে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছয় দফা স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট। যারা ছয় দফা মানে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬ দফা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক। ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলনের সূত্রপাত। ১৯৬২ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব বাংলার কোনো নিরাপত্তা ছিল না। এই ৬ দফা আমাদের ইতিহাসের বাক পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ৭ জুন, ৭ মার্চ এই সব দিবস নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। যারা নিষিদ্ধ করে দেয় তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তারা দেশের স্বাধীনতা মানে না।

এর আগে, সকাল ৭টায় ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকার প্রধান।

পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেক দফা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ঐতিহাসিক এ দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ, যুব লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এদিকে দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর