আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ তরুণী রোকসানা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি এখন এলে কোথায় থেকে?

বুধবার (২৬ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর গ্রামে। রোকসানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। অপরদিকে ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনের মধ্যে একজন নারীর লাশ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতে এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একই রকম কিনা জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান।

পরে এবায়দুল হকসহ আত্মীয়-স্বজন ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসের সঙ্গে দেখা করে বোন রোকসানার ছবি দেখান। উপস্থিত পারস্পরিক আলোচনায় উপপরিদর্শক প্রতুল দাসকে তারা রোকসানার লাশ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের লাশ হস্তান্তর করে। ওইদিন বাদ আসর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণ পাড়ে তার লাশ দাফন করা হয়।

লাশ দাফনের ৯ দিন পর গত ২৬ জুন বুধবার বিকেলে ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ দাফন করা রোকসানা সশরীরে বাড়িতে হাজির হলে আৎকে উঠেন সবাই। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ির উঠানে আশেপাশের উৎসুক মানুষ তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় নারী-পুরুষ তাকে একবাক্যে জিজ্ঞেস করে, রোকসান তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথায় থেকে আসলে? তখন সে বলতে থাকে, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উল্টো এখন রোকসানাই ভাই এবায়দুল হক ও সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছে, আমাকে ভেবে তোমরা কোন নারীকে দাফন করেছ, কি তার পরিচয়?

ফিরে আসা রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রামে ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। ২৬ জুন বুধবার বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমিতো জীবিত ফিরে আসলাম।

ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, উদ্ধার করা লাশটি বিকৃত ছিল। এবায়দুল হক ও তার স্বজনরা উদ্ধারকৃত লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু তাদের বোন সশরীরে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করব।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, তরুণী নিখোঁজ, উদ্ধার, দাফন ও আবার ফিরে আসার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। খবর নিয়ে দেখব-আসলে কি ঘটেছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আর্মেনিয়ার ওপর চটল ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে আর্মেনিয়া। আজ শুক্রবার (২১ জুন) এই স্বীকৃতি দেয় দেশটি। এতে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। খবর এএফপি।

আর্মেনিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের সামরিকবাহিনীর আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস সদস্যদের বন্দি বানানোর নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে দেশশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে, আর্মেনিয়ার ঘোষণার পরপরই এক বিবৃতিতে ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আর্মেনিয়ার স্বীকৃতিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর তিরস্কারের জন্য রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।


আরও খবর



হিতকরীর অনন্য উদ্যোগ ‘ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

মায়ানী গ্রামের আফিয়া খাতুন। ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বহু কষ্ট করে গত সপ্তাহে খুজে নিলেন উপজেলার আবুতোরাবস্থ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েলকে। তাকে জড়িয়ে ধরে জানালেন নিজের অসুবিধার কথা। বললেন ছেলেরা কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। একজন আরেকজনের কাছে চলে যেতে বলেন। আজকে ৮ মাস প্রেসার বাত ব্যথায় নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি, হাঁটার শক্তিও নেই যে সরকারি ডাক্তারখানায় যাব, চিকিৎসা নেব, কেউ টাকা দেয় না যে ওষুধ কিনে খাবো!

তার শারীরিক অবস্থা দেখে হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল ইসলাম রয়েল সিদ্ধান্ত নেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে যাবেন তাঁর বাড়িতে। পরামর্শ নিলেন ওই সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদের। তাঁর শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও রাজি হলেন সেবা দিতে। তারা এই ক্যাম্পেইনের নাম দিলেন ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি

এবার তাঁরা চান আরেকটু বড় পরিসরে। প্রস্তুতি নিলেন ১০ জন দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসাপত্র, চেকাপ ও ওষুধ প্রদান করার। এর মাঝে বাঁচাই করতে গিয়ে দুইটি ইউনিয়নে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জন। মায়ানী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে এতগুলো রোগীকে ভালো করে ফলোআপ করা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় হিতকরীর স্থায়ী কমিটির সমন্বয়ক আলতাফ হোসেন জানালেন ডা. জয়নাল আবেদিনের কথা। বিষয়টা জানালে তিনি সদিচ্ছা প্রকাশ করেন।

তাঁরা দুইটি টিমে ভাগ হয়ে দুই ইউনিয়নে দিনব্যাপী রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন। ডা. জয়নাল আবেদিন মঘাদিয়া ইউনিয়নে ১০ জন চলাচলে অক্ষম বৃদ্ধ বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন। এবং মায়ানি ইউনিয়নে ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদ ১৪ জন ও সাহেরখালী ইউনিয়নের ১ জনসহ মোট ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন কথাগুলো বললেন হিতকরী-র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কমিটির পরিচালক শহিদুল ইসলাম রয়েল।

জানতে চাইলে হিতকরীর সভাপতি জহির উদ্দিন রনি বলেন, আমরা চাই দানবীরদের প্রতিটি টাকা মানুষের কাজে লাগুক। যেসব পদক্ষেপ নিলে আর্ত পীড়িত মানুষ দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হয়, আয়োজনে তা সীমিত হলেও হিতকরী নীতিগতভাবে সেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। রোগিদের প্রাথমিকভাবে এক মাসের ঔষধ দেয়া হয়। ইনশাআল্লাহ স্লিপের বাকি ঔষধগুলোও পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা হবে। আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মায়ানী মঘাদিয়া ইউনিয়নের আমাদের দুই গর্ব ডা. জয়নাল আবেদিন ও ডা. নুর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদকে।

হিতকরীর নির্বাহী পরিচালক নুরুচ্ছালাম ভূঁইয়া ফোরকান বলেন, স্বয়ং ডাক্তার নিজেই রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দেবে- এটি অনেক রোগীর জন্য সারপ্রাইজ ছিল। একজন বৃদ্ধা মাকে আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের পানি ফেলতে দেখে আমরাও আবেগাপ্লুত হয়েছি। অনেক রোগী হাত তুলে দোয়া করেছেন ডাক্তারের জন্য, সংগঠকদের জন্য, যারা নাম গোপনে অর্থায়ন করেছেন তাঁদের জন্য। এই আয়োজনে সম্পৃক্ত সবাইকে আল্লাহ যেন এর সর্বোত্তম বিনিময় দেন সেই দোয়া করি।

নিউজ ট্যাগ: ডাক্তার

আরও খবর



৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ এ আবেদন করে চেম্বার আদালতে আজই এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ৫ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে বলে রায় দেন। সেদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করা হবে বলেও সেদিন জানিয়েছিলেন তিনি।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করা হলো।

পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।


আরও খবর



বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, বন্ধু আছে: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত বিরোধিতার নামে আজকে যারা আন্দোলনের ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছে তারা আবারও ভুল পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাইকেল র‍্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের ৭১ এর পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা করে বাংলাদেশের স্বার্থে করে। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা কোনো বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের বছরব্যাপীকর্মসূচি আগেই ঘোষণা করা আছে। কেন্দ্রের পর মহানগর এবং আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।

তিনি বলেন, এই দেশের উন্নয়ন অর্জন আওয়ামী লীগের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তি পেয়েছে। তরুণ সমাজ বেকার, তরুণদের কর্মসংস্থান এর যে অঙ্গীকার তা আমরা পূরণ করবো। আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে মুক্তি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এই সাইকেল র‍্যালীতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।


আরও খবর



দোহারে হাট কাঁপাবে টিসিএল এগ্রো ডেইরী ফার্মের গরু

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার দোহার উপজেলায় কোরবানি যোগ্য দুই শতাধিক পশু প্রস্তুত করেছে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম।

তাই শেষ সময়ে হাটে তুলতে বিভিন্ন জাতের পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরু মোটাতাজা করতে কোন রকম রাসায়নিক জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং অর্গানিক উপায়ে গরুগুলোর খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এসব পশু দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা।

আগে ভাগে অনেকে খামারে গিয়ে কোরবানির পশু পছন্দ করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে বুকিং দিচ্ছেন ক্রেতারা। আবার অনেকে খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের পশু।

ঢাকার দোহার উপজেলার বানাঘাটা এলাকায় অবস্থিত টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। মাত্র ২টি গরু দিয়ে ২০২০ সালে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফাম কর্ণধার তানভীর আহমেদের বাবা ও দাদার কৃষি কাজে জড়িত থাকার অনুপ্রেরণায় শুরু হয় ফার্মটি।

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুত করেছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের প্রায় দুই শতাধিক ষাঁড় গরু। ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই শাহীওয়াল, দেশী, ফিজিয়ান, গির ও হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ানসহ ৫ জাতের ষাড় এখানে লালন পালন করা হচ্ছে। আর এসব ষাঁড় পরিচর্চায় সার্বক্ষনিক ২ জন প্রতিষ্ঠিত পশু চিকিৎসক, একজন প্রাণিসম্পদ অফিসারসহ ২৫জন অধিক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। সকাল থেকে শুরু হয় তাদের পরিচর্চার কাজ।

টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের খামারে ২ শতাধিক কোরবানীর পশু রয়েছে। এরই মধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের খামারে ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু রয়েছে। দামও ক্রেতাদের সামর্থের মধ্যে। সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা দামের গরু আছে। সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা। লাইভ ওয়েট ২৫০ কেজি ৮০০ কেজির অধিক।

তিনি বলেন, আশা করছি এবারের ঈদে বিক্রি ভালো হবে। ইতোমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে এবং আমাদের কিছু গরু বুকিং হয়ে গেছে। বাকিগুলোও আশা করছি ঈদের আগে শেষ হয়ে যাবে। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা খামারের শতভাগ মানসম্পন্ন গরু দেখতে এবং বুকিং দিতে ভিজিট করছে।

টিসিএল এগ্রো ফার্মেও স্বার্বখনিক ডাঃ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এ খামারে বায়োসিকিউরিটি হাইজিন এবং সার্বক্ষণিক পরিচর্চার বিষয়গুলো মনিটরিং করার জন্য আধুনিক সার্ভিলেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে স্মার্ট সিষ্টেম চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা সকল পশুগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করতে পারছি।

দোহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন বলেন, দোহার উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ প্রান্তিক খামারি তাদের গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। চাহিদার তুলনার চেয়েও এবার বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশুর কোন ঘাটতি হবে না।


আরও খবর