আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

আদালতে লোহার খাঁচায় থাকা অত্যন্ত অপমানজনক: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আদালতে শুনানি চলাকালে একজন নিরপরাধ নাগরিকের লোহার খাঁচার ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সবাই মিলে একটু আওয়াজ তুলুন, যাতে বিষয়টা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। একটা সভ্য দেশে কেন এ রকম হতে যাবে!  আদালতে শুনানিকালে কেন একজন নাগরিককে খাঁচার ভেতরে পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। যেখানে এখনও বিচার শুরুই হয়নি, যেখানে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার কোনো সুযোগই হয়নি। নিরপরাধ নাগরিককে কেন খাঁচার ভেতরে থাকতে হবে এ প্রশ্নটা তুললাম।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমি আগেও প্রশ্নটা তুলেছি, আবারও সবার জন্য তুলছি। আমার বিষয় না, যেকোনো আসামি; যার বিরুদ্ধে একটা করতে যাচ্ছে, তাকে খাঁচায় নিয়ে যাওয়া। আমি যতটুকু জানি, যত দিন আসামি অপরাধী প্রমাণিত না হচ্ছে, তত দিন তিনি নির্দোষ-নিরপরাধ। একজন নিরপরাধ নাগরিককে একটা লোহার খাঁচার ভেতরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আদালতে শুনানি চলাকালে, এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে মনে হয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, অনেক হয়রানির মধ্যে আছি। সেটারই অংশ, এটা চলতে থাকবে।

আজকে সারাক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম, আমরা সবাই মিলে ছিলাম। যদিও আমাকে বলা হয়েছিল যে, আপনি থাকেন। আমি বললাম, সবাই যাচ্ছে, আমিও সঙ্গে থাকি। সারাক্ষণই খাঁচার ভেতরে ছিলাম। যোগ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


আরও খবর



মনটা একটা ট্র্যাপ, কোথায় আটকে যায় জানি না : শোলাঙ্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পরনে বেনারসি শাড়ি, গলায় ভারী গয়না, লম্বা একঢাল চুল, চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। ঠিক এমনভাবেই ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দিয়েছেন শোলাঙ্কি রায়। সম্প্রতি এমন লুকেই দেখা গিয়েছে তাকে।

দেবালয় ভট্টাচার্যের নতুন সিরিজ বোকাবাক্সতে বন্দি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। সেখানেই নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে শোলাঙ্কি। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে শুটিং করতে গিয়ে তেমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি।

এক সাক্ষাৎকারে শোলাঙ্কি বলেন,আমার সমস্যা একটাই, খুব একটা ভয় পাই না, টেনশন করি বেশি। তবে আমাদের মনটাই একটা ট্র্যাপ, আমরা কোথায় কখন আটকা পড়ে যাই জানি না। তাই আমি চাইব না কখনও আটকা পড়ে যেতে।

টেলিভিশনে একটানা কাজ করতে করতে অনেক সময় আটকা পড়ার বিষরে এ অভিনেত্রী বলেন, আসলে আমি বন্দিদশা বলব না, তবে ছোট পর্দায় কাজের ধরনটা এমন যে অনেকটা সময় দিতে হয়। একটা কাজ মানে এক থেকে দেড় বছর সময় দিতে হয়। অন্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় না। একঘেয়েমি চলে আসে। গত ১০ বছর ধরে এই মাধ্যমটাতে কাজ করছি আমি। তাই এখন অনেক বেশি সিনেমা, ওয়েব শো করতে চাইছি। খুব শীঘ্রই টিভির পর্দায় ফেরার পরিকল্পনাও নেই আপাতত।

মুম্বাইয়ে কাজ করার বিষয়ে বলেন, নতুন জায়গা। এই শহরটা ছোটবেলা থেকেই আমার ভাল লাগত। এখানে ছোট থেকেই থাকতে চাইতাম। কলকাতায় আমাকে লোকে চেনে, বহু বছর কাজ করেছি, এখানে তুলনামূলক নতুন। অডিশন দিচ্ছি । কলকাতায় সে ভাবে অডিশন দিতেই হয়নি। এই অডিশন দেওয়াটাও একটা শিল্প, সেটা আমি মুম্বাইয়ে শিখছি। আমার তো ভাল লাগে অডিশন শুট করতে। জায়গাটা বড়, প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। সিরিয়ালের প্রস্তাব এসেছিল, তবে রাজি হইনি।

২০২২ সালে শোলাঙ্কির বাবা বেবি ও মুক্তি পাওয়া ছবির বিষয়ে বলেন,এই ছবিটা দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছিল। যদিও বাবা বেবি ও ছবির পর প্রস্তাব পাইনি, তার পর শহরের উষ্ণতম দিনে ছবিটা হল। আসলে টেলিভিশন করছিলাম বলে প্রস্তাব আসেনি। ধারাবাহিক করলে অনেক পরিচালকই ছবিতে নেওয়ার কথা ভাবেন না।

উল্লেখ্য, শোলাঙ্কি রায় কালারস বাংলার ধারাবাহিক নাটক কথা দিলাম -এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে টেলিভিশনে অভিষেক করেন। এছাড়াও তিনি স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ইচ্ছে নদী -এ বিক্রম চ্যাটার্জির বিপরীতে মেঘলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।


আরও খবর



সোনা-হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকা পাচার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সোনা ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতি বছর দেশ থেকে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে বলে জানায় সংগঠনটি। সোমবার (৩ জুন) সকালে বাজুসের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কামিটির সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান বলেন, প্রতিদিন দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনো জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসেবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলংকার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। বছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্য অনুযায়ী, যদি বৈধ পথে এসব সোনা আমদানি করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ জমা পড়তো। এ থেকে সরকার রাজস্ব পেতো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি এবং বেপরোয়া চোরাচালানের কারণে বহুমুখী সংকটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। এ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের পাশাপাশি ৭ দফা সুপারিশ করে বাজুস।

ঢাকা কাস্টমসের তথ্যমতে, শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ২০২০ সালে ২ দশমিক ৭৭৫ টন, ২০২১ সালে ২৫ দশমিক ৬৮৯ টন, ২০২২ সালে ৩৫ দশমিক ৭৩৩ টন এবং ২০২৩ সালে ৩১ দশমিক ৪৬৮ টন সোনার বার ব্যাগেজ রুলের আওতায় আমদানি হয়েছে।

এছাড়া, ২০২০ থেকে ২০২২ সালে শিল্পে ব্যবহারের জন্য ৪টি চালানে ২ কেজি ১৬০ গ্রাম হীরা আমদানি করা হয়েছে। তবে কোনো হীরার অলঙ্কার আমদানি হয়নি। গত ১৯ বছরে যত হীরা আমদানি হয়েছে, তার ৮৭ শতাংশই আনা হয়েছে ভারত থেকে। ভারতের গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের ৬৫ শতাংশের বেশি হীরা কাটিং ও পলিশিং করা হয়। খুব সহজে বহন করা যায় বলে দেশটি থেকে অবৈধভাবে হীরা আসছে বলে ধারণা অনেকেরই।


আরও খবর



বাঁশখালীর বৈলছড়ীতে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ, দুর্ভোগে মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বৈলছড়ী কে.বি বাজার তথা কাঁচা বাজার হয়ে পূর্বদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিনের বাড়ী হয়ে যাওয়া শহীদ ফরহাদ সড়ক (ধলা সড়ক) সংস্কার কাজ দীর্ঘ ৪-৫ মাস যাবৎ বন্ধ করে রাখার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বৈলছড়ী ইউপির ২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের অন্তত ১০/১২ হাজার পরিবারের মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কটি নতুন ভাবে সংস্কার করার জন্যে পুরানো ইট গুলো খোলে নেওয়ার পর প্রায় ৪/৫ মাস পার হলেও আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের সংস্কার কাজ শুরু না করায় পুরো সড়কটি এখন যেনো জলাশয়।

এতে গাড়ী চলাচল করাতো দূরের কথা, এমনকি মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও কষ্টসাধ্য হচ্ছে।এছাড়াও ওই এলাকার খাঁনবাহাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্রাসরুটস স্কুল, নুইন্না পুকুর পাড় মোহাম্মদীয়া রউফিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা, পূর্ব বৈলছড়ী দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার অন্তত ১০/১২ হাজার পরিবারের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি সংস্কারের নামে সড়কটির পুরানো ইট গুলো ৪/৫ মাস আগেই খোলে ফেলা হয়েছে, কিন্তু অদ্যবদি পর্যন্ত কোনো ধরনের সংস্কার কাজ শুরুও করা হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো সড়ক জলাশয়ে পরিণত হয়েছে, যার ফলে আমাদের ছেলে -মেয়েরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পর্যন্ত যেতে পারছেনা। একমাত্র এই ব্যস্ততম সড়কটি ছাড়া যাতায়াতের বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় বাজারেও যেতে পারছেনা মানুষ।এই ব্যস্ততম জনপদের ভোগান্তি দর করতে সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যে জনপ্রতিনিধি ও উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় মোঃ মনসুর আলম বলেন, শহীদ ফরহাদ সড়কটি ছাড়া এই এলাকার মানুষের যাতায়াতের বিকল্প কোন সড়ক নেই, সরকারি বরাদ্দ আসার পর সড়কটির সংস্কারের জন্যে পুরানো ইট গুলো  খোলার প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত সড়কটিতে কোনো ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়নি। ইঞ্জিনিয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে, সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো সড়কটি এখন জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে মানুষকে ভোগান্তিমুক্ত করতে কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান মনসুর আলম।

এ বিষয়ে সাব-ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমানের এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই সড়কে আমি দায়িত্বে নেই, তবে আমি যতোটুকু জানি সড়কটির জায়গা নিয়ে জটিলতা আছে, তাই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও টিকাদারসহ বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিনের সাথে বসছিলাম,জায়গা সংক্রান্ত বিষয়টি সমাধান করার কথা হয়েছিল, কিন্তু এরপর কি হয়েছে না হয়েছে সেটা আমি জানিনা।

উপজেলা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ এর সাথে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করলেও মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ কর্মী-সমর্থকের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর দুমকিতে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা, উত্তেজনা ও গোলযোগ সৃষ্টির অভিযোগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ সমর্থকের প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হাসান রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের এ কারাদণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, সাতানী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (২০), বাহেরচর গ্রামের বজলুর রহমান মাঝির ছেলে সোহাগ (২৪), একই গ্রামের ইউসুব সিকদারের ছেলে রাকিব শিকদার (২২), আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে রিয়াজ মোল্লা (২২), দুমকি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাইদুল হক (২৫), সাতানী গ্রামের হাবিব হাং-এর ছেলে ইমরান হাওলাদার (২৫), দুমকি গ্রামের আ. লতিফ মৃধার ছেলে হাবিবুর রহমান খোকন (৪৩) ও ঝাটরা গ্রামের মান্নান খানের ছেলে সায়েম খান (৩৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাশিয়া গ্রামের তালুকদার পাড়ায় জনৈক এসএম ফজলুল হকের অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যান কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়াম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার। খবর পেয়ে মোটরসাইকেল মার্কার শতাধিক কর্মী-সমর্থক ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এতে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।

অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুপক্ষের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের সাথে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপক্ষের অন্তত ১১ জনকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে ১১টায় ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বসিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা প্রদান, গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ৮ জনের প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ৩ কিশোর নয়ন গাজী (১৪), শাহাদত মৃধা (১৫) ও জায়েদ মৃধাকে (১৪) মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের তিনজন কাপ-পিরিচ ও পাঁচজন মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে রাজঘাটে ভারত বর্ষের স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এর আগে শনিবার (২২ জুন) দিল্লির স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

নয়াদিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সশস্ত্র সালাম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।

এরপর তিনি হায়দ্রাবাদ হাউসে যাবেন। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেবেন। পরে হায়দ্রাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

বিকালে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। সেখানে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করবেন।

নয়াদিল্লি সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ঢাকা পৌঁছাবেন।


আরও খবর