আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা, সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আর্থিক সংকটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্য থেকে জ্বালানি সবই ফুরিয়েছে। প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। জারি হয়েছে জরুরি ব্যবস্থা। এরমধ্যেই শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। রবিবার (৩ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্য তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

যদিও এখনও পর্যন্ত ইস্তফা দেননি ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিকেলে তাঁর পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে রাতেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় -র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ওই বিষয়টি সত্য নয়।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, "প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষর পদত্যাগের খবর ভুয়ো। এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। ইস্তফা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনাও করেননি প্রধানমন্ত্রী।"

মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব এবং মুহুর্মুহু পাওয়ার কাটের দরুন রাজপথে নেমে আসে গোটা শ্রীলঙ্কা। গণ আন্দোলনের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে প্রশাসন। ঘিরে ফেলা হয় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষর বাসভবন। এরপরেই প্রেসিডেন্ট এমার্জেন্সির ঘোষণা করেন। যদিও এরপরেও থামেনি আন্দোলন।

ওই দেশের চরম আর্থিক সংকটের জন্য রাজাপক্ষর প্রশাসনকে দায়ী করছে জনসাধারণ। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব তাঁরা। পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও সামিল হয়েছে ওই আন্দোলনে।

রবিবারও সেই প্রতিবাদ জারি ছিল। এমনকী আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উপর এদিন জলকামান ছোড়া হয়। ফলত উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা মানুষের সরকারের প্রতি রাগ আরও বেড়ে যায় এদিন। আর এরই মাঝে মন্ত্রিসভার প্রতিটি সদস্য পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

এই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা ঢোকার চেষ্টা করেছেন। রাজাপাকসে ও ক্ষমতায় থাকা তার পরিবারের সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করেছেন। সামরিক যানে অগ্নিসংযোগ করেছেন। বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আর কঠোর নিয়মকানুন জারি করে এই বিক্ষোভ দমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন রাজাপাকসে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর



অনুমোদনহীন স্টিকার: ৩৬৩ গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অপরাধ করতে না পারে এজন্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গত ১২ এপ্রিল শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩৬৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৬১টি এবং ১ হাজার ৩৫০টি অবৈধ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, মামলা দেওয়ার পাশাপাশি অনুমোদনহীন গাড়িকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে, কোন কর্মকর্তার আত্মীয়দের গাড়িতে স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে অবগত করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদনহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে সড়ক আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানে ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগ ৪০টি অনুমোদনহীন, ৭৪টি ফিটনেসবিহীন ও ১৮৮ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ১৬৪টি অনুমোদনহীন, ৪৬টি ফিটনেসবিহীন ও ৩টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; লালবাগ বিভাগ ৯টি অনুমোদনহীন, ২০টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৭টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ৪৪টি অনুমোদনহীন, ৪২ ফিটনেসবিহীন ও ২১৫ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; তেজগাঁও বিভাগ ৩৪টি অনুমোদনহীন, ৫৩টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; গুলশান বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৬১ ফিটনেসবিহীন ও ১২৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; উত্তরা বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৯৪ ফিটনেসবিহীন ও ৭৬ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; মিরপুর বিভাগ ৪২টি অনুমোদনহীন, ৭১ ফিটনেসবিহীন ও ১৩৩৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

সব মিলিয়ে এই সময়ে ৩ হাজার ১৭৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।


আরও খবর



মোটরসাইকেলের গতিসীমার বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গাড়ির চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালাবেন। ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হলেও ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে  বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গতিসীমা ভঙ্গ করলে মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে, সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।

তিনি বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



গরমে তালের শাঁসের যত উপকারিতা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখে তালের শাঁস। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও সমাধান করে এই ফল।

জানেন কি, তালের শাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন এই ফল কোন কোন রোগ সারায়-

১. এই ফল শরীরে শক্তি জোগায় ও দৈহিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলেই শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।

২. শরীরকে আর্দ্র রাখতেও তালের শাঁস বিশেষ উপকারী। তবে গরমে এই ফল বেশি খেলে আবার পেট গরম হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।

৩. পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, পেট গরমভাব ও জ্বালাপোড়া কমায় এই ফল। এই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দূর করে।

৪. বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই ভুগছেন লিভারের সমস্যায়। জানেন কি তালের শাঁস লিভারের সুরক্ষায় কাজ করে। লিভারের উপর এটি পাতলা আস্তরণের মতো কাজ করে।

৫. গরমে হাত পায়ে চুলকানি কিংবা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এমনটি ঘটে। এ সমস্যারও সমাধান করে তালের শাঁস। তাই গরমে দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখুন তালের শাঁস।

নিউজ ট্যাগ: তালের শাঁস

আরও খবর



চবির অধিভুক্ত হলো আরও চারটি কলেজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের আরও চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে চবি অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯টি। রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নয়টি (পুরাতন পাঁচটিসহ) কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য এ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায়, উক্ত অনুশাসন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নতুন চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  হলো- সরকারি সিটি কলেজ, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ও পটিয়া সরকারি কলেজ।

এর আগে চট্টগ্রামের ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কলেজগুলো হলো- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর