আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; এটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেকের কষ্ট। এখন দেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে। এটি দূর করেছেন আলোর দিশারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে।

সংগঠনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য উন্মে কুলসুম স্মৃতি, সদস্য শামসুল হক দুররানী, আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান, নর্থ বেঙ্গল ফোরামের সভাপতি নজমুল হক সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়সার ইমন।

প্রধানমন্ত্রী অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন এ কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা একজন দক্ষ কূটনীতিক। তার দক্ষ কূটনৈতির ফলে তিনবিঘা করিডোর, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন, বঙ্গোপসাগরে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ যত বড়, তার চেয়ে বড়, আমাদের মেরিটাইম সেক্টর। উত্তরাঞ্চল দেশের পানি প্রবাহের ক্ষেত্রে মূল রিপ্রেজেন্ট এর ভূমিকা পালন করে থাকে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলো দিয়ে ৭২ ভাগ পানি প্রবেশ করে।

চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে রেল ও সড়কপথের উন্নয়ন করা হচ্ছে। রংপুর বিভাগে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। আশা করি, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার সদস্যবৃন্দ এসব উন্নয়নমূলক তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরবেন।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




নাটোর চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

৫৪ কর্মদিবসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নাটোর চিনিকলের ২০২৩-২৪ মৌসুমের ৪০তম আখ মাড়াই কার্যক্রম উদ্ধোধন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নাটোর চিনিকলের কেইনে ক্রেরিয়ার ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) শেখ শোয়েবুল আলমের সভাপতিত্বে নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা ওসি নাছিম আহমেদ, নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়াসহ মিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নাটোর চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৫৪ কার্যদিবসে ৭৮ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে পাঁচ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫০ ভাগ। নাটোর চিনিকলের আটটি সাবজোন এলাকায় মোট ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হয়েছে। প্রতি একর জমিতে আখে ফলন হয়েছে ২০ মেট্রিক টন। নাটোর চিনিকলের আটটি সাবজোনের ৪৮ কেন্দ্রের অধীনে আখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত আখ চিনিকলে সরবারহ জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।

গত ২০২২-২৩ মৌসুমে ৫৪ দিনের কর্মদিবস নিয়ে আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ৩৭ দিনের মাথায় মাত্র ৫০ হাজার ৭৩৮মে.টন আখ মাড়াই করে নাটোর চিনিকল।

নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজ নাটোর চিনিকলের ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে নাটোর চিনিকলের আটটি সাবজোনের থেকে  হাজার ৭৮ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৫৭০০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। সরকার ২০২১-২২ মৌসুমে প্রতিমণ আখ ১৪০ টাকা, ২০২২-২৩ মৌসুমে ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা এবং ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে ২২০ টাকা নির্ধারণ করে। ফলে চাষিরা আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। দিনে দিনে নাটোর চিনিকল এলাকায় আখ চাষ বাড়ছে বলে তিনি জানান।

নিউজ ট্যাগ: চিনিকল নাটোর

আরও খবর



আমরা ৩০০ আস‌নেই নির্বাচন কর‌ব: কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা ৩০০ আস‌নেই নির্বাচন কর‌বো। আমরা হয়তো ৩০০ আস‌নে পু‌রোপু‌রি প্রার্থী নাও দি‌তে পা‌রি। আমা‌দের এতো প্রস্তু‌তি ‌নেই, এতো বড় দল‌ও আমরা না। ত‌বে অসংখ‌্য আস‌নে প্রার্থী দেওয়া হ‌বে এবং অন‌্য দ‌লের লোকজন‌কেও আমা‌দের গামছা মার্কা উপহার দেব।

শুক্রবার (১৭ ন‌ভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সন্তোষ গ্রামে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজা‌রে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ভাসানীর মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত শে‌ষে তি‌নি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী ব‌লেন, নির্বাচন হয় প্রতিদ্ব‌ন্দ্বিতামূলক। আওয়ামী লী‌গের সা‌থে জোট কর‌লে নির্বাচন কর‌বো কার সা‌থে। বিএন‌পি নির্বাচ‌নে নাই, জাতীয় পা‌র্টিও টানাটা‌নি কর‌ছে। আমরা আওয়ামী লী‌গের সা‌থে য‌দি জোট ক‌রি মানুষ ভোট দে‌বে কা‌কে। মানু‌ষের ভোট দেওয়ার জায়গা থাক‌বে না।

তি‌নি ব‌লেন, আমরা আমে‌রিকায় বসবাস ক‌রি না। আমরা বাংলা‌দে‌শে বাস ক‌রি। আমে‌রিকা স‌্যাংশন দে‌বে এই ভ‌য়ে আমরা বি‌য়ে করব, না বউ তালাক দেব, মে‌য়ের বি‌য়ে হ‌বে, না ছে‌লের বি‌য়ে করাব- এটা চিন্তা করা উচিত না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাংলাদেশের ইলেকশন নিয়ে এতা দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশ না, এটা আমা‌দের দেশ। তিনি মাত্র তিনটি দলকে চিঠি দিয়েছেন, দেশে কি আর কোনো দল নাই? আর কি কোনো মানুষ নাই? তিনি তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে ভাগ করে দিয়েছেন। এটি তিনি গর্হিত কাজ করেছেন, তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী জঘন্য অপরাধ করেছেন। এজন্য তাকে স্যাংশান দেওয়া যেতে পারে এবং আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।

তি‌নি আরও ব‌লেন, বিএনপিতে মুসলমান আছে কিনা জানি না। বিএন‌পি ভো‌টে দাঁড়া‌লেও আমে‌রিকার সমর্থন নেওয়ায় বি‌এন‌পি‌কে মুসলমানরা ভোট দেওয়া উচিত না।

কাদের সিদ্দিকী ব‌লেন, দেশে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে এতে অনেকেই খুশি না, আমিও না। কিন্তু তারপরও বলবো একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৫ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন দরকার। এখন সরকার হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাদেরও যেন বোধোদয় হয়, তারা যেন প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করে। যদি গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন হয় তাহলে আওয়ামী লীগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৬৮৪টি আবাসিক ফ্ল্যাট উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামে আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনির মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন গর্ণপূর্ত বিভাগ।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৮২৯৩.৫৭ লক্ষ টাকা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। সুউচ্চ ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করায় আবাসন সমস্যা অনেকটাই পূরণ হবে। এতে শহরের শহরাঞ্চলের জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ৬৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট ২টি ২০ তলা ভবনে ১৫২টি ফ্ল্যাট, ৮৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৪টি ২০ তলা ভবনে ৩০৪টি ফ্ল্যাট, ১০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৩টি ২০ তলা ভবনে ২২৮টি ফ্ল্যাট সহ মোট ৬৮৪টি ফ্ল্যাট এবং ১টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ ফাঁকা জায়গায় সবুজ আচ্ছাদিত স্থান, মাত্র ২৫ শতাংশ স্থানে ভবনসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পে মোট ৯৪৬০টি ফলজ, ঔষধি, বনজ এবং সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছসহ অসংখ্য ফুল গাছ রোপণ করা হয়। প্রকল্পের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে খেলার মাঠ, হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে, ১টি মনোরম জলাধার ও এর চারপাশে বসা ও হাঁটার স্থান, ৩ তলা বিশিষ্ট কমিউনিটি ভবনে কমিউনিটি হল, গণপূর্ত সিভিল ও ই/এম এর রক্ষণাবেক্ষণ অফিস, নিজস্ব গভীর নলকূপ দ্বারা সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, সিসিটিভি দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা, সাব-স্টেশন এর ব্যবস্থা, ১টি ৫০০ কেভিএ ও ১টি ৪০০ কেভিএ ডিজেল জেনারেটরের ব্যবস্থা, ডিজেল জেনারেটরের ব্যবস্থা, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, প্রতিটি ফ্ল্যাটে পিএবিএক্স, ইন্টারকম এবং এলইডি বাতি ব্যবহার করা হয়েছে, সেন্ট্রাল ডাষ্টবিন ও ওয়েস্ট কালেকশন পয়েন্ট, প্রতিটি ভবনে সোলার প্যানেলের সংস্থান করা হয়েছে, প্রতিটি ভবনে তিনটি করে ৯টি ভবনে মোট ২৭টি এবং কমিউনিটি ভবনে একটি সহ মোট ২৮টি লিফট, স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, জলাধার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার, পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, জ্বালানী গ্যাস সাশ্রয়ের জন্য রেটিকুলেটেড প্রি-পেইড এলপিজি গ্যাস সিস্টেমের ব্যবস্থা প্রভৃতি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭৬৬০.৯৫ লক্ষ টাকা। সরকারি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত হওয়ায় সেবার মান বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও বেদখল হওয়া থেকে সরকারী জমি রক্ষা করা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত অনুশাসন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা উন্নীতকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানান গর্ণপূত বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

প্রকল্পের আওতায় ১৫০০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ১০টি ভবনে ৪১৪টি ফ্ল্যাট, ১২৫০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ৪টি ভবনে ১৬২টি ফ্ল্যাটসহ ৫৭৬টি ফ্ল্যাট এবং ১টি ভবনে ৬৪টি ডরমিটরি রুম (প্রতি ইউনিট ২৫০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট) নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির সর্বমোট ৪টি ভবনে ১৬০টি ফ্ল্যাট ও ৬৪টি ডরমিটরি রুম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে সাব-ষ্টেশন, ভূগর্ভস্থ জলাধার, গভীর নলকূপ, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি), পাম্প হাউজ, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, কম্পাউন্ড ড্রেন, ভূমি উন্নয়ন, আরবরিকালচার/ ল্যান্ডস্ক্যাপিং, এলপিজি গ্যাস সংযোগ, সিকিউরিটি লাইট ও লাইটেনিং এরেস্টর, সিসিটিভি, জেনারেটর, অত্যাধুনিক ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ও সৌরবিদ্যুৎ, কমিউনিটি স্পেস, প্রতিটি ভবনে ২টি করে লিফট, প্রতিটি ভবনে টেলিফোন সংযোগ, ইন্টারকম, পিএবিএক্স, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, ইন্টারনেট সংযোগ, ওয়াকওয়ে, বসার স্থান, সুপরিসর সবুজ ব্যবস্থাসহ প্রভৃতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-২ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ আশিফ ইমরোজ, চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-১ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম খান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোক্তার হোসেন দেওয়ান, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম সার্কেল  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ২৭ নং ওয়ার্ড এলাকার কাউন্সিলর মো: শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, আবাসন পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম আইইবির সাধারণ সম্পাদকসহ চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের সকল নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার, সিজিএস কলোনী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।


আরও খবর



টানা তিন দিন বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা তিন দিন ধরেই বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। আজ ছুটির দিনেও ঢাকার বায়ু মানের উন্নতি ঘটেনি। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবারও ২৮৫ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল ঢাকা। বুধবার শীর্ষে থাকা ঢাকার বায়ু ছিল দুর্যোগপূর্ণ।

এদিকে আজও ঢাকার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ৩০২ অর্থাৎ এখানকার বায়ু দুর্যোগপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। শহরটির স্কোর হচ্ছে ২৮৫ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর।

আরও পড়ুন>> ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল বিশ্ব

সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ২৪৩। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ দিনদিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবন। গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক বায়ুদূষণের হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়া। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত চারটি দেশ এবং দূষণের শীর্ষে থাকা ১০ শহরের মধ্যে নয়টির অবস্থানই এ অঞ্চলে।


আরও খবর



`জনগণ ভোট দিলে কে নির্বাচনে এলো কে এলো না সেটা ব্যাপার না'

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি নির্বাচনে ভোট দেয় তাহলে কে নির্বাচনে এলো আর কে এলো না সেটা বড় কথা থাকে না। জনগণের যে উচ্ছ্বাস, যে আনন্দ, যে ইচ্ছা এবং প্রত্যাশা এই নির্বাচন নিয়ে, সে কারণে আমি মনে করি নির্বাচন সফল হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়ন পত্র জমা শেষে বিএনপি নির্বাচনে না এলে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমি দশ বছর কসবা-আখাউড়ার জনগণের সেবা করেছি। আমার কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, তা আমি রাখতে পেরেছি। আমি আমার জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছি এবং তারা আমাকে দোয়া করেছে। তাদের দোয়া নিয়েই আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি।

এর আগে তিনি কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে দোয়া নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ ও সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিকসহ দলীয় সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর