চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় এক
হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সোয়া তিন
লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র,
জার্মানি, ইতালি, ব্রাজিল ও থাইল্যান্ড। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৭৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ লাখ ৭৭ হাজার।
মঙ্গলবার (১০
মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৯৯৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে তিন শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৫ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮৭৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২০ হাজারেরও বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৭৬ লাখ ৭ হাজার ৩০৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৪৪১ জন এবং মারা গেছেন ১০২ জন। করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৯ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৫৪ জন এবং মারা গেছেন ১৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে
এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার
৮৫৬ জন মারা গেছেন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৫ হাজার ৩০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায়
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬০১ জন এবং মারা গেছেন
৪০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ
৬৪ হাজার ৯৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ হাজার ৪০০ জন মারা গেছেন। গত একদিনে
অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৪
জন।
জার্মানিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৫০ জন এবং মারা গেছেন ৯৫ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৫৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭০৭ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার ২০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮৮ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৮৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৪১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪২ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন।
করোনায় আক্রান্তের
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের
সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত
হয়েছেন ১ হাজার ৯২১ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন
৪ কোটি ৩১ লাখ ৭ হাজার ৩২২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৭৫ জন এবং মারা গেছেন
৩ জন। একই সময়ে কানাডায় নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৩ জন এবং মারা
গেছেন ৩৭ জন। গ্রিসে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮১৯ জন এবং মারা গেছেন
২৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।