আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বিয়ে করতে ভয় পাওয়া একটি মানসিক রোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিয়ে নামক শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকেই আমাদের পরিচিতি রয়েছে বেশ। ছোট থেকে বড় হতে হতে আমরা পরিবারের বন্ধন দেখতে পাই বিয়ের মাধ্যমেই। কিন্তু বড় হতে হতে অনেকেরই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে বিয়ে নামক বস্তুটায় আপত্তি চলে আসে।

বিয়ে একটি সামাজিক চুক্তি, যার দ্বারা একটি পরিবারের সৃষ্টি হয়। আর সেখানে তৈরি হয় প্রেম, ভালবাসা, মায়া-মমতা, স্নেহ। তবে একই ছাদের নীচে থাকতে গেলে একটু তো মন কষাকষি হবেই। আর সেখান থেকেই চলে আসে ঝগড়া-বিবাদ। আর এসব থেকেই অনেকেরই বিয়ের প্রতি অনীহা চলে আসে।

আমাদের সমাজের এরকম অনেক মানুষ আছে যাদের বিয়ের নামেই অ্যালার্জি রয়েছে। তারা মনে করেন বিয়ে মানেই একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া, আর সেখান থেকে বের না হতে পারার একটি ভয়ও কাজ করে। তবে এই বিয়ে ভীতি বা অনীহা এক ধরনের মানসিক রোগ- যাকে আমরা গ্যামোফোবিয়া নামে চিনে থাকি।

গ্যামোফোবিয়া হলো, বিয়ে কিংবা কোনও ধরনের স্থায়ী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ভয়। যারা মানসিকভাবে এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত তারা আসলে নতুন সম্পর্ক নিয়ে আতঙ্কে থাকেন, বিবাহিত জীবন নিয়ে একটা ভয় কাজ করে, নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতার জায়গাটুকু খর্ব হতে পারে কিংবা মানিয়ে চলা যাবে কি না এধরনের একটা চিন্তায় থাকেন এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষরা।

অনেকেই সম্পর্ক জড়ান ঠিকই তবে বিয়ের বিষয় আসলেই তারা ভড়কে যান। তাদের এরকম ফোবিয়া থাকলে বুঝতে হবে তিনি গ্যামোফোবিয়ায় ভুগছেন।

গ্যামোফোবিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ বা সত্যিকারের প্রেম ভেঙ্গে যাওয়ার পর অনেকেই মানসিকভাবে এতোটাই ভেঙ্গে পড়েন যে, কাউকে আর তার আপন মনে হয় না। এরকম যাদের পরিবারে রয়েছে তারাই বেশিরভাগ এই রোগে ভোগেন।

এই রোগ থেকে উত্তরণের জন্য অবশ্যই সাইকোলজিস্টদের কাউন্সেলিং এর প্রয়োজন। এরকম লক্ষণ যাদের মাঝে থাকবে তাদের সঙ্গে অবশ্যই ধীরস্থিরভাবে চলতে হবে। কোন কিছু নিয়ে প্রেশার না দিয়ে সম্পর্কের মহত্ব ও গভীরতাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই এক সময় সে মানুষটাও বিয়ের মত সুন্দর সম্পর্কের বিষয়টা বুঝতে পারবে।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় ট্রলারডুবি, জেলের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে হারুন মাঝি (৫০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১০ মে) ভোরে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কাঠিরমাথা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুন মাঝি একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কালিকা নগরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই ট্রলারে থাকা বাকি দুই জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হারুন মাঝিসহ তার তিন ছেলে ধনিয়া কাঠিরমাথা মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। শুক্রবার ভোরের দিকে একটি কার্গো জাহাজ এসে তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কায় দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় জেলেদের চিৎকারে স্থানীয় জেলেরা ছুটে এসে দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও হারুন মাঝি নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। দু’ঘণ্টা পর অপর এক জেলের জালের সঙ্গে হারুন মাঝির মরদেহ নদীর পানিতে ভেসে ওঠে।

ভোলা নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। নিখোঁজ জেলের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



বিএনপি ফের নৈরাজ্য করলে ডাবল শিক্ষা পেয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নৈরাজ্য করলে বিএনপি নেতারা আগে একটা শিক্ষা পেতেন, এবার থেকে ডাবল শিক্ষা পাবেন বলে জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সেটা সম্ভব হচ্ছে। তবে, বিএনপি আবার নৈরাজ্য করলে আগে তো একটা শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস বা অরাজকতা করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়ব।

প্রতিবেশী দেশকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে, ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতকে খুশি করার আমাদের দরকার নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়। তবে, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময় যে ভূমিকা নিয়েছিল, তখন কিন্তু ভারত কোনো কথা বলেনি, কোনো ভূমিকা রাখেনি। নিজের দেশকে এভাবে ছোট করা গয়েশ্বরের ক্ষেত্রেই মানায়।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কিছুই আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে বড় কথা বললেও নেতাদের ভেতরে হতাশা ভর করেছে। যতদিন ফিরে না আসবে, আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ চলছে, আমরা কয়েকবার বলেছি, দুষ্টু ছেলে ইসরায়েল এখন আমেরিকাকেও মানে না। হিটলার যে গণহত্যা চালিয়েছে, আজ নেতানিয়াহু গাজায় সেটিই করছেন। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র না দিলেও এখন একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি সারাবিশ্বের জন্য আতংকের বিষয়। সারাবিশ্ব এ নিয়ে সোচ্চার। আমেরিকা-ইউরোপে গাজার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে কর্মসূচি করছে। আমাদের ছাত্রলীগও বড় সমাবেশ করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই।

দলীয় কর্মসূচি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ সব শাখা ও সহযোগী সব সংগঠন কেন্দ্রীয় কার্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি নেবে। সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম হবে ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সারাদেশে আমরা ব্যাপকভাবে পালন করব।

যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।


আরও খবর



পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে এক পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খুশাবের কাছে ট্রাক খাদে পড়ে নয় শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) মর্মান্তিক এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ট্রাকে যারা ছিলেন তারা সবাই মূলত শ্রমিক। কাজের উদ্দেশে তারা খুশাবে যাচ্ছিলেন।

২৩ জন যাত্রী নিয়ে ট্রাকটি খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। আর খুশাবের দিকে যাচ্ছিল। খুশাব শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সুন ভ্যালির শহরতলী দরবার পাঞ্জ পীর মানাওয়ান সড়কের কাছে এসে ট্রাকটি উল্টে যায়।

ডিসট্রিক্ট রেসকিউ অফিসার হাফিজ আব্দুল রাশেদ ধারণা করছেন, ব্রেক ফেইল হয়ে যাওয়ায় ট্রাকটি চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রাশেদ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুশাবের রেসকিউ কন্ট্রোল রুম একটি জরুরি ফোন পায়। তারপর উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।

একই পরিবারের ১৪ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আহতদের খুশাবের নওশেহরা তেহসিলের টিএইচকিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর সাতজনকে ডিএইচকিউ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ এ দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বেলুচিস্তানের হাব জেলায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।


আরও খবর