আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’র আয় ১৪১৩ কোটি টাকা!

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডিসি কমিকসের নতুন সুপারহিরো ব্ল্যাক অ্যাডাম। গত ২১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে এটি। আর প্রথম তিনদিনেই রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করেছে সিনেমাটি। ডেডলাইনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, তিনদিনে এটির আয় ছাড়িয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৪১৩ কোটি টাকারও বেশি! জুমি কলেট-সেররা পরিচালিত এই সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রেসলিং দুনিয়ার দ্য রক-খ্যাত ডোয়াইন জনসন। শুধু আমেরিকার বক্স অফিসেই সিনেমাটি আয় করেছে ৬৭ মিলিয়ন ডলার; বাকি ৭৩ মিলিয়ন ডলার এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৭৬টি বক্স অফিস থেকে।

যদিও অনেক সিনে সমালোচক ব্ল্যাক অ্যাডাম দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তবে সাধারণ দর্শক সিনেমাটি দারুণভাবে গ্রহণ করছে। বিভিন্ন দেশে মুক্তির দিনের চেয়ে পরের দিনগুলোতে দর্শকের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। রটেন টমেটোস (সিনেমার জনপ্রিয়তা পরিমাপের একটি ওয়েবসাইট) প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটির রেটিং ৯০ শতাংশ। যা ডিসি কমিকসের গত এক দশকে মুক্তি পাওয়া যেকোনও সিনেমার চেয়ে বেশি।  ব্ল্যাক অ্যাডাম সিনেমায় ডোয়াইন জনসন ছাড়াও অভিনয় করেছেন আলদিস হজ, নোয়াহ সেন্টিনিও, সারাহ শাহি, মারওয়ান কেনজারি প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে। তবে যে হারে এর আয় বাড়ছে, তাতে এক সপ্তাহ না যেতেই লাভের ঘরে ঢুকে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ব্ল্যাক অ্যাডাম হলো ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং নিউ লাইন সিনেমার চলচ্চিত্র শাজাম-এর স্পিন-অফ। চরিত্রটি প্রথম ১৯৪০-এর দশকে ডিসি কমিক্সে একজন ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কয়েক বছর পর ২০০০ সালে এটি অ্যান্টি-হিরো হিসেবে আবির্ভূত হয়। মিশরীয় দেবতাদের ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী ব্ল্যাক অ্যাডাম। প্রায় পাঁচ হাজার বছর পর পার্থিব সমাধি থেকে মুক্ত হয়েই আবারও কারাবন্দি হন তিনি। শুরু হয় আধুনিক বিশ্বে ন্যায়বিচার আর প্রতিশোধের এক রোমাঞ্চকর লড়াই। ছবিটি গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও।

নিউজ ট্যাগ: ব্ল্যাক অ্যাডাম

আরও খবর



দুদকের মুখোমুখি ঠাকুরগাঁওয়ের ৩৪টি সরকারি দপ্তর

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

জেলা প্রশাসকের কর্মচারির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, হাসপাতাল, সিভিল সার্জন,পাসপোর্ট, রূপালি ব্যাংক,পল্লী বিদ্যুৎ, পৌরসভা, বিআরটিএ, সাব-রেজিস্ট্রি, ভূমি, শিক্ষা অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশসহ ৩৪টি সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ৬০টি অভিযোগে গণশুনানিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (৩ জুন) সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে অভিযোগগুলো উত্থাপিত হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা পেতে হয়রানি, ঘুষ-দুর্নীতির শিকার সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ এবং সেবা প্রদানকারী সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

দুদক সচিব বলেন, আমাদের গণশুনানিটি একটি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষকে নির্ভয়ে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছি এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিছু কিছু অভিযোগের সমাধানও দেওয়া হয়েছে। আশা করি যে সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়া যায়নি, তা ৭-১০দিনের মধ্যে দেওয়া হবে কিংবা এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, দুদক নৈমিক্তিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অনুসন্ধান ও তদন্তের ব্যাপারে দুদক কখনই কাউকে ছাড় দেবে না। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনা বাংলা গড়তে সরকারি পরিষেবা যে কোনও মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি একদিনে শেষ হওয়ার নয়। এটি দমনে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। গণশুনানিতে শোনা সব অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গণশুনানিতে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার এবং সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ দৃঢতার সঙ্গে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগগুলো উত্থাপন করেন। পরে অভিযোগের সমস্যা সমাধান করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া, অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

গণশুনানিতে জেলার ৩০টি সরকারি দফতরের সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার, ঘুষ দিতে বাধ্য, বঞ্চনার শিকার ইত্যাদি নানা বিষয়ে ৬৯টি অভিযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সমাধান দেয়া হয়।

এসব অভিযোগের পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক হাসপাতাল,সিভিল সার্জন, পাসপোর্ট অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ, পৌরসভা, বিআরটিএ, সাব-রেজিস্ট্রি, ভূমি, শিক্ষা অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বিএডিসি অফিস, আনসার ভিডিপি, থানা, পুলিশ ইত্যাদি সরকারি দপ্তরগুলোতে মানুষ বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও দুদকের মামলার আসামি শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকার ও জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে জেলা পীরগঞ্জ উপজেলার অসহায় দরিদ্র মানুষদের ভয় দেখিয়ে তাদের কৃষি জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয় এবং টিসিবির পণ্য প্যাকেটজাত করণে লাখ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)র এক কর্মকর্তা বিরুদ্ধে কৃষককে সেচ সুবিধা দেয়ার নামে ঘুষ বাণিজ্য ও পাম্প বসানোর জন্য গ্রাহককে হয়রাকি ও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ারও অভিযোগ করেন এক ব্যাক্তি। আনসার ভিডিপির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে যানবাহনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভুয়া বিল ভাউচার করে অর্থ আত্মসাতের বিস্তর অভিযোগ তোলা হয়। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি বিধিবিধান অমান্য ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেন একব্যাক্তি। রূপালি ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখায় মৃত স্বামীর সঞ্চিত টাকা তুলতে ঘুষ ও হয়রানির শিকার হন এক নারী, সাব রেজিস্ট্রার অফিসে টাকা ছাড়া মেনে না সেবা, স্যাটেলম্যান্ট অফিসের হয়রানী ও ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলা হয় এছাড়াও পীরগঞ্জ থানা ও সদর থানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত হয়রানিসহ ৩৪টি সরকারি বেসকারি প্রতিষ্ঠানের ৬০টি অভিযোগের বিষয়ে গনশুনানী করা হয়।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. তালেবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক ও ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক।


আরও খবর



প্রতারণা মামলা: অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৭ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় আলোচিত চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এদিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় অনন্ত জলিল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- জাহানারা বেগম, অনন্ত জলিলের কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসাইন, সাকিবুল ইসলাম, মিলন ও শহিদুল ইসলাম।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতে মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীসময়ে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন।

এ বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর গত ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।

আর্জিতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করেনি, যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলার।

নিউজ ট্যাগ: অনন্ত জলিল

আরও খবর



সঞ্জীভার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো মানুষের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোমবার (১০ জুন) কলকাতার ফরেনসিক বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাংসগুলো এমপি আনারের কি না।

এর আগে, গত ২৮ মে সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তবে সেটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস নাকি কোনো প্রাণীর তা তখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে নিয়ে রোববার (৯ জুন) সকালে কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। তবে সেগুলো আনারের কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত করতে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

অভিযোগ রয়েছে, গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়।


আরও খবর



‘পাকিস্তানের দালালরা ভারতের কাছে দেশ বিক্রির কথা বলে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত, দেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পণ্যবাহী নতুন রেললাইন তৈরির বিষয়ে ওঠা সমালোচনার জবাবে এ উক্তি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।

সমালোচনাকারীদের উদেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই আসলে ভারতের কাছে বিক্রি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এই দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছে।

তিনি বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছি।


আরও খবর



আবারও ক্যাটরিনার মা হওয়ার গুঞ্জন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বহু দিন ধরেই গুঞ্জন চলছে মা হতে চলেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। এর মধ্যে অভিনেত্রী লন্ডনে গিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন সময় কাটিয়েছেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার এ গুঞ্জনের মধ্যেই গত শনিবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন এ অভিনেত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, বিমানবন্দরে ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন ক্যাটরিনা। তার পরনে ছিল কালো শার্ট, কালো প্যান্ট আর লম্বা কালো কোট। চোখে কালো রোদচশমা। এভাবেই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এসে গাড়িতে ওঠেন ক্যাট। কিন্তু কোথায় তার স্ফীতোদর! তা হলে কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর স্রেফ গুঞ্জন?

ছবিশিকারিদের তোলা ভিডিও দেখে নেটাগরিকরা বলছেন, মোটেই অন্তঃসত্ত্বা নন অভিনেত্রী। আর এক দলের অবশ্য দাবি, ক্যাটরিনা এমনভাবে পোশাক পরেছেন যে স্ফীতোদর ঢাকা পড়েছে। সাধারণত কালো পোশাক পরলে শরীরের ভাঁজ বোঝা যায় না। তাই কি ক্যাটরিনা কালো রং বেছে নিয়েছেন? তবে সবটাই এখন জল্পনা। ক্যাটরিনার এই সাজও পছন্দ করেছেন অনেকেই। অভিনেত্রীর এক অনুরাগী ভিডিওতে মন্তব্য করেন, ক্যাটরিনা অন্তঃসত্ত্বা নন বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু সব সময়ের মতোই তাকে সুন্দর লাগছে।

লন্ডন থেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন অভিনেত্রী। বাকি সবটাই জল্পনা। দীপিকা পাড়ুকোন মা হতে চলেছেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই ক্যাটরিনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। এমনও অনেকে বলেন, লন্ডনেই হয়তো সন্তানের জন্ম দেবেন তিনি। বিয়ের সময়েও গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন ক্যাটরিনা। সন্তানধারণের ক্ষেত্রেও অন্যথা হবে বলে মনে করেননি নেটাগরিকরা। কিন্তু সেসব আশায় জল ঢেলে দিলেন ক্যাটরিনা নিজেই।

উল্লেখ্য, শ্রীরাম রাঘবনের মেরি ক্রিসমাস ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। আগামী দিনে তার হাতে রয়েছে জি লে জরা


আরও খবর