আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

যে চরিত্রে হার মানতে হয়েছে তৃপ্তি দিমরির

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অ্যানিম্যাল ছবিতে অভিনয় করে চর্চায় অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। এর আগে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করলেও অ্যানিম্যাল থেকেই আলাদা পরিচয় তার। যদিও অভিনেত্রী মনে করেন, নির্মাতা বাঙ্গার এ ছবির থেকেও অভিনেত্রীর কাছে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল বুলবুল ছবিতে অভিনয় করা।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃপ্তি জানান, বুলবুল ছবির ধর্ষণের দৃশ্যে নিজেকে ফুটিয়ে তোলা অভিনেত্রীর পক্ষে কঠিন ছিল। তৃপ্তির কথায়, অভিনেতা হিসেবে নয়। মানুষ হিসেবে এই চরিত্রটি করতে বেগ পেতে হয়েছিল। ছবিতে ওই দৃশ্যে দেখা যায় শেষ পর্যন্ত চরিত্রটি হার মানতে বাধ্য হয়। এটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল আমার কাছে। এই চরিত্রের কাছে অ্যানিম্যাল-এর চরিত্রটি কিছুই নয়।

এর আগে অ্যানিম্যাল ছবিতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে তৃপ্তির একটি শয্যাদৃশ্যের কাজ প্রসঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর পরিবার এই দৃশ্য কীভাবে গ্রহণ করেছিলো সেই প্রশ্নে তৃপ্তি বলেছিলেন, আমার বাবা-মা একটু অবাক হয়েছিলেন। আমরা আসলে এমন কিছু ছবির পর্দায় দেখিনি। আর সেটাই আমি করেছি। যদিও আমার সঙ্গে তারা কোনো খারাপ ব্যবহার করেননি।

উল্লেখ্য, আগামী দিনে বেশ কয়েকটি ছবি রয়েছে তৃপ্তির ঝুলিতে। করণ জোহরের পরিচালনায় ব্যাড নিউজ ছবিতে ভিকি কৌশল ও অ্যামি বির্কের সঙ্গে দেখা মিলবে অভিনেত্রীর। এছাড়াও ভিকি বিদ্যা কা ও ওয়ালা ভিডিয়ো ছবিতে রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি। তৃপ্তিকে নিয়ে কার্তিক আরিয়ান ও বিদ্যা বালানের সঙ্গে ভুল ভুলাইয়া ৩ ছবির শ্যুটিংও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। এখানেই শেষ নয়, ধড়ক ২ ছবিতে সিদ্ধার্থ চতুর্বেদীর সঙ্গে অভিনয় করবেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: তৃপ্তি দিমরি

আরও খবর



শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত করা হয় ম্যাচটি। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সুসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সুপার এইটে যেতে এখন সহজ সসমীকরণের সামনে টিম টাইগার।

বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে জয় পেলে সেরা আটের পথে এক পা দিয়ে রাখবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় টানা তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বুধবার (১২ জুন) ফ্লোরিডার লডারহিলে বাচা-মরার ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। টানা দুই ম্যাচে জয়হীন লঙ্কানরা মাঠে নামার সুযোগ পেলো না। পুরো সময়টাই বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে। আর তাই এই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩ ম্যাচ ১ পয়েন্ট নিয়ে কার্যত বিদায় হয়ে গিয়েছে তাদের।

টানা বৃষ্টির কারণে খেলা হওয়া তো দূরের কথা, টসও গড়ায়নি মাঠে। ম্যাচ বাতিল করার জন্য অবশ্য আরেকটু অপেক্ষা করার সুযোগ ছিল দায়িত্বরত আম্পায়ারদের। তবে লডারহিলের মাঠে ড্রেনেজ সিস্টেম তেমন ভালো না হওয়ায় বেশিক্ষণ আর অপেক্ষা করেননি তারা। এমনকি ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত আসায় লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউডকে বেশ অনেকটা সময় নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায় আম্পায়ারদের সঙ্গে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৪ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিয়মমাফিক অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সর্বদা দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র যে কোনো নীতিতে তার প্রধান বিবেচ্য দেশের জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি ও অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যেখানে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা কখনো বর্তমান সরকারের কোনো প্রকার সফলতা দেখে না। ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে জোরদার করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বিএনপির শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ হাসিনা এই আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ভারতের ই-মেডিকেল ভিসা চালুর সিদ্ধান্তে দুই দেশ ঐক্যমত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জনগণের ভোগান্তি কমবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন রুটে বাস-ট্রেন চালু এবং নতুন উপ-হাইকমিশন খোলার ঘোষণা দুই দেশের মানুষের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। তিস্তায় পানি বণ্টন ছিল এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতদ্বৈততা রয়েছে। এই সমস্যা থাকার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্টভাবে তিস্তার পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুখে দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বড্ড বেমানান। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিল। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করেন। এবারের সফরে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা জটিলতা নিরসনে সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সময় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালনের ঘটনা ঘটেছিল এবং ভারতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে অনাস্থা দেখা দিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি তো সেই দল যারা ভারতের নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভের পর ভারতীয় দূতাবাসের দরজা খোলার আগেই অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল। পরিতাপের বিষয় যে, তারাই আজ বাংলাদেশে ভারতবর্জন ও ভারতবিদ্বেষী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এটা তাদের চিরাচরিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান যিনি যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষি করে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাপূর্ণ স্বার্থ সুরক্ষিত করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বিরাজমান অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



বাজেট : দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর হ্রাস-বৃদ্ধির প্রস্তাবনা আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেটের মূল স্লোগান হতে যাচ্ছে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার।

রাজস্ব আহরণ ত্বরান্বিত করতে এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকতে পারে বাজেটে। যার প্রভাবে অনেক পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে

সিগারেট: প্রতিবারের মতো আগামী বাজেটেও সিগারেট উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য স্তর বাড়ানো হচ্ছে। তাই সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে।

মোবাইল ফোন সিমকার্ড: মোবাইল অপারেটরদের সিমকার্ড বিক্রির ওপর কর ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা হতে পারে। ফলে বাড়তি দামে সিমকার্ড কেনা লাগতে পারে ক্রেতাদের।

মোবাইলে কথা হবে বাড়তি খরচে: রাজস্ব আদায়ের আওতা বৃদ্ধি করলে মোবাইলে কথা বলতে আরো বাড়তি অর্থ গুনতে হবে ভোক্তাকে। বর্তমানে একজন ভোক্তা মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে কেটে নেয় মোবাইল অপারেটরগুলো। প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তা ৬৯.৩৫ টাকার কথা বলতে পারবেন।

গাড়ি: বর্তমানে সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করতে পারেন। বৈষম্য হ্রাসে বাজেটে এই সুবিধা বাতিল করে প্রস্তাবিত বাজেটে গাড়ি আমদানি করতে হলে সংসদ সদস্যদের ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবনা আসতে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিলাসবহুল গাড়িতে শুল্ক ফাঁকি রোধে হাইব্রিড ও নন হাইব্রিড টাইপের গাড়ি ছাড় করতে কিছু সুনির্দিষ্ট শর্ত যোগ করা হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেটে। ফলে বিলাসবহুল গাড়ির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস: কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকস, আমসত্ত্বের ওপর ভ্যাট পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ন্যূনতম কর আরও দুই শতাংশ বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ হতে পারে। ফলে বেশি দামে কিনতে হবে এসব পণ্য।

কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম চাষকে সুরক্ষা দেওয়ার অংশ হিসাবে খোসা ছাড়ানো কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে।

এসি: গরমে স্বস্তি পেতে অনেকে এয়ারকন্ডিশন বা এসি কিনছেন। আগামী বাজেটে এসিকে বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে দেশে এসি উৎপাদনে ব্যবহৃত কম্প্রেসার ও সব ধরনের উপকরণের শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। তাই এসির দাম বাড়তে পারে।

ফ্রিজ উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে: বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য খাতকে সরকার ভ্যাট অব্যাহতি দিয়ে আসছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। যা আর বৃদ্ধি করা হবে না বলে জানা গেছে। ফলে নতুন অর্থবছরে পাঁচ শতাংশ ভ্যাটের হার বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।

পানির ফিল্টার: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। দেশে উৎপাদন হওয়ায় পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টারের দাম বাড়তে পারে।

এলইডি বাল্ব: বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে অনেকে এলইডি বাল্ব ব্যবহার করেন। নিকট-ভবিষ্যতে এলইডি বাল্বের দাম বাড়তে পারে। কারণ এলইডি বাল্ব এবং এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে।

সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সন খরচ: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সন বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আদায় বাড়াতে মনোযোগ দিয়েছে এনবিআর। গাড়ি সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সনে ব্যবহৃত কীট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে গাড়ি কনভার্সন খরচ বাড়তে পারে।

জেনারেটর: লোডশেডিং মোকাবিলায় বাসাবাড়ি বা শিল্পে জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ছে। সেখানেও নজর দিয়েছে এনবিআর। জেনারেটর সংযোজন ও উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তাই দেশের বাজারে জেনারেটরের দাম বাড়তে পারে।

নিরাপত্তা সেবা: রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে বাসাবাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তাসেবা প্রায় অপরিহার্য। এ ধরনের নিরাপত্তাসেবায় ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বিদ্যমান। প্রস্তাবিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

হাটবাজারের ইজারা: কর ব্যতীত প্রাপ্তি (নন-ট্যাক্স রেভিনিউ) বাড়াতে আগামী বাজেটে জেলা, উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারের ইজারামূল্য কিছুটা বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জমির নামজারির মাশুলও (ফি)।

হাসপাতালের সরঞ্জাম আমদানিতে ব্যয় বাড়বে: কিছু শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে রেফারেল বা বিশেষায়িত হাসপাতালের শুল্কছাড় সুবিধায় এক শতাংশ শুল্কে মেডিকেল যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ রয়েছে। আগামী বাজেটে ২০০টিরও বেশি মেডিকেল যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে, যা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়কে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।


আরও খবর



রাঙামাটিতে বজ্রপাতে নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে এসব ঘটনা ঘটে।

লংগদু থানা পুলিশের ওসি হারুনুর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি চেয়ারম্যান টিলার মো. ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৬) নিজ বাড়িতে বজ্রপাতে মারা যান। এ ছাড়া কাপ্তাই হ্রদে বোট চলমান অবস্থায় বজ্রপাতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লংগদু সার্কেল) মো. আবদুল আউয়াল জানান, লংগদু উপজেলার দুই স্থানে বজ্রপাতে মোট চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সেখানে পৌঁছানোর পর বিস্তারিত জানা যাবে।


আরও খবর



চা শ্রমিকরা আর ভাসমান থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা শ্রমিকরা আর ভাসমান থাকবে না। তাদের যা প্রয়োজন সবই করবে সরকার।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজ করেছিলেন। চা শিল্পের গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। চা শ্রমিকরা ভাসমান অবস্থায় আছে। তাদের আর ভাসমান থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আলাদা ফান্ড আছে, সেখান থেকে তাদের জন্য ফান্ড দেওয়া হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, পঞ্চগড়ে আঙ্গিনায়ও চা হচ্ছে, তারা তরকারিও ফলায়, চায়ের গাছও লাগায়। চা আমাদের অর্থকরী ফসল হচ্ছে। যেটা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চায়ের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটেগরিতে জাতীয় চা পুরস্কার পেয়েছে ৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর