আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

চার বিভাগে আওয়ামী লীগের ১৫১ প্রার্থী চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী নির্বাচনের জন্য আরও চারটি বিভাগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ১৫১টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। এদিনও বর্তমান এমপিদের কয়েকজন মনোনয়নবঞ্চিত হন। তাদের জায়গায় নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে দুদিনে ছয় বিভাগের ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করল ক্ষমতাসীন দলটি। আগের দিন বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হয়েছিল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২টি আসনের প্রার্থী। তবে প্রথম দিনের মতো গতকালও দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি কৌশলগত কারণে এদিন কোন কোন বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে, সেটাও জানানো হয়নি। বলা হয়েছে, ৩০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এদিকে, আগামীকাল রোববার গণভবনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ।

গতকাল শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। এদিন দুদফা বৈঠক হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি চলা প্রথম বৈঠকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৫৭টি এবং সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত আরেক দফা বৈঠকে বসে ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ৯৪টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের তৃতীয় দিনের বৈঠক বসবে। সেখানে সিলেট ও চট্টগ্রামের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। এ দুই বিভাগের আসন সংখ্যা ৭৭।

প্রথম দফার বৈঠক শেষে বিকেলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কৌশলগত কারণে আজ কোন কোন বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে, তা আর প্রকাশ করা হচ্ছে না। একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। শনিবার সম্ভব না হলে রোববার এ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা যখন বিভাগের নাম ঘোষণা করি, তখন ভিড় বেড়ে যায়। নির্দিষ্ট বিভাগ শুনলে পীড়াপীড়ি শুরু হয়ে যায় কীভাবে নাম বের করা যায়। সে কারণে বিভাগের নাম ঘোষণা করছি না। আমরা দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারটাও সুনির্দিষ্ট করে এখনই বলছি না। কারণ এর মধ্যে আমরা যেসব প্রার্থী দিয়েছি, সেসব মনোনয়নে ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। সেটাও সংশোধনের একটা সুযোগ রেখেছি। এ কারণে আমরা ঠিক করেছি, ভিন্নভাবে জেলাওয়ারি বা বিভাগওয়ারি প্রার্থিতা ঘোষণা করব না। একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে চাই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজকের সভায়ও কিছু পুরোনো এমপি বাদ গেছেন; নতুনরাও মনোনয়ন পেয়েছেন। সম্ভাব্য জয়ী প্রার্থী আমরা বাদ দিইনি।

দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান এমপিদের বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা সম্ভাব্য জয়ী কিংবা জয়ের সম্ভাবনা নেই এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন, তারাই বাদ পড়ছেন। নারী-পুরুষ সব প্রার্থীর মনোনয়নের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফরউল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, রশিদুল আলম এবং ডা. দীপু মনি। দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বৈঠকে যোগ দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল চূড়ান্ত হওয়া চার বিভাগের আসনগুলোর বেশির ভাগ আসনেই বর্তমান এমপিদের ফের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন বাদ পড়েছেন। জনপ্রিয়তা হারানোসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ায় এসব এমপি এবার দলীয় মনোনয়নের জন্য বিবেচনায় আসেননি। তাদের জায়গায় কয়েকজন তরুণ নেতাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে রাখছে আওয়ামী লীগ। এমনকি ১৪ দলীয় জোট শরিক এবং মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির এমপিদের আসনেও দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। পরে জোটগত আসন সমঝোতা হলে শরিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়া আসন থেকে দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি এখন পর্যন্ত একরকম অনিশ্চিত থাকায় একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দলের এমপিদের আসন বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনও পরিষ্কার হয়নি। জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদাভাবে প্রার্থী বাছাই শুরু করেছে।  

গতকাল চূড়ান্ত হওয়া আসনগুলোর প্রার্থী নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, এমন প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরাও নানা দোলাচলে ভুগছেন। এখন মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে বাদ পড়েন কিনা এমন দুশ্চিন্তাও দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যে। আবার বিভিন্ন মাধ্যমে একই আসনে একাধিক ব্যক্তির পক্ষে মনোনয়ন পাওয়ার দাবি করায় এ নিয়ে বিভ্রান্তিও দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীর মধ্যে। অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার দাবি করে বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থক মিষ্টি বিতরণ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দনের বন্যা বয়ে গেছে।

তবে এখন অনেক প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেও দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা চূড়ান্ত পর্যায়ে এই প্রার্থী তালিকায় রদবদল আনতে পারেন বলেও জানিয়েছে দলীয় সূত্রগুলো।

শুক্রবার সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যশোর-২ আসনে দলের বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন, বরিশাল-২ আসনে তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস এবং বরিশাল-৪ আসনে ড. শাম্মী আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন। এসব আসনের পুরোনো এমপিরা বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ঢাকা-৬ আসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৮ আসনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং ঢাকা-৭ আসনের বর্তমান এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের জায়গায় তাঁর ছেলে ইরফান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মাহবুবউল-আলম হানিফ, মাগুরা-২ আসনে ড. বীরেন শিকদার, বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আলী আজগার টগর, মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনে সাহিদুজ্জামান খোকন, ভোলা-১ আসনে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা-৪ আসনে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-৩ আসনে সরদার খালেদ হোসেন স্বপন, বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল-৬ আসনে মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ মল্লিক, পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-৩ আসনে আশরাফুল ইসলাম, পটুয়াখালী-১ আসনে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-২ আসনে আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে মহিবুর রহমান মহিব দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজে জানার পাশাপাশি অপরকেও এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানো জরুরি। কারও হিট স্ট্রোক হয়েছে মনে হলে তাকে দ্রুত কিছু সেবা দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস এবং সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর কড়া নজর রাখুন। যদি তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তবে অবিলম্বে সিপিআর শুরু করুন এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান। সেজন্য আপনাকে সিপিআর জেনে রাখতে হবে। এটি অনেক জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানীয় পান : হিট স্ট্রোকের প্রভাব এড়াতে ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খেলে তা কাঁপুনির কারণ হতে পারে, যা শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকির দিকে এটি বেশি ব্যবহার করুন। কারণ এসব স্থান শরীরের প্রধান তাপ-বিনিময় অঞ্চল।

শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে রাখুন : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত রোদ থেকে সরিয়ে শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে। এমন পরিবেশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

পোশাক ঢিলে করে দিন : এই গরমে ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদেরও একই পরামর্শ দিন। যতটা সম্ভব হালকা ও প্রশান্তিদায়ক রং বেছে নিন। এই গরমে কালো রঙের পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। আবার কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তার পরনের পোশাক ঢিলে করে দিন।


আরও খবর



সিগারেট বাকি না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে কাগজীপাড়া এলাকায় গভীর রাতে চিপস-সিগারেট বাকি না দেওয়ায় মোশারফ হোসেন (৫৫) নামের এক মুদি দোকানিকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলরের ছোট ভাই মো. রুবেলের (৩৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার অভিযুক্ত রুবেলকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাড়ির পাশে দোকান থাকায় সে প্রতিদিন রাতে দোকানেই ঘুমাতেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেলের ছোট ভাই রুবেল তাকে ডাক দিয়ে চিপস-সিগারেট বাকি চায়।

সে বাকি দেবে না বলে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোশারফকে দোকান থেকে টেনে বের করে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরে স্থানীয়রা মোশারফকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান জানান, চিপস সিগারেট বাকি না দেয়াকে কেন্দ্র করে মোশারফকে কুপিয়ে হত্যা করে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সোহেল মিয়ার ছোট ভাই রুবেল মিয়া (৩৫)।

তিনি জানান, এ ঘটনায় তাকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইতোমধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মুনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলার ৩ টি উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি না মানলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অবশেষে ভারতীয় ফুটবলে ঘটতে চলেছে একটি যুগের অবসান। দেশটির ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা সুনীল ছেত্রী শেষমেশ অবসর নিতে চলেছেন।

জানা গেছে, আগামী ৬ জুন যুবভারতী স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা নিজেই জানিয়েছেন সুনীল।

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর। ৩৯ বছর বয়সী ভারতীয় এই কিংবদন্তি অধিনায়ক দীর্ঘ সময় ভারতের আক্রমণভাগকে একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসংখ্য ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। অনেক হৃদয়-বিদারক ম্যাচের সাক্ষীও তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তার রয়েছে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সুনীল বলেন, একটা দিন জীবনে কোনও দিন ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য অনুভূতি। গত ১৯ বছরে অসহ্য চাপ এবং দেশের হয়ে খেলার আনন্দ, দুটোই আমার সঙ্গে সব সময় ছিল। ব্যক্তিগত ভাবে আমি কোনও দিন ভাবতে পারিনি দেশের হয়ে এত গুলো ম্যাচ খেলব, ভাল হোক বা খারাপ, এত কিছু করতে পারব। এখন আমি সেটা পেরেছি। গত এক-দেড় মাসে আমি সেটা পেরেছি এবং খুব অদ্ভুত লেগেছে। হয়তো করতে পেরেছি কারণ, আমি বুঝতে পেরেছিলাম পরের ম্যাচটা আমার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।

জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলে এখনও সুনীলের দিকে তাকিয়ে থাকেন ভারতের সমর্থকেরা। কত বার তিনি ভারতকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বা দেশকে গর্বিত করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে পায়নি ভারত। সম্ভাব্য হিসাবে অনেকের নাম উঠে আসলেও কেউই তার মানের হতে পারেনি।


আরও খবর



অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল কি না দেখতে হবে: সামন্ত লাল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।

ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় যেন কোনো সরঞ্জাম সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা ইতোমধ্যে করেছি। ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সারাবিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় টিকা প্রত্যাহার করেছে বলে আমরা শুনেছি। তবে,আমাদের দেশে এ রকম কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি এটা জানার পরে ইতোমধ্যেই ডিজি হেল্থকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তারা এটা জরিপ করছে। মানে যাদের এই টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ওপর জরিপ করে আমাকে রিপোর্ট দেবে।

বাংলাদেশেও প্রচুর মানুষকে আ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানবো আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা (আ্যাট্রাজেনিকা) বলছে টিকা তুলে নিতে কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলবো?

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে যেহেতু এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ বা ক্ষতিকর কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাই বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কার্যক্রম চলবে। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর রয়েছে।


আরও খবর