চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি’র উদ্যোগে বিএনসিসিতে ভর্তিকৃত নবীন ক্যাডেটদের কাউন্সেলিং ও বৃক্ষরোপন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, “বিএনসিসি একটি আধাসামরিক সেচ্ছাসেবী বাহিনী। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত বিএনসিসি'র মূলমন্ত্র হলো- জ্ঞান ও শৃঙ্খলা। এই সংগঠন জনকল্যাণমূলক কাজ করার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ, স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শৃংখলা আনয়নে যে ভূমিকা রাখে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
রবিবার সকালে বিএসসিসি’র অফিস প্রাঙ্গন প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথক বলেন। রাখেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। এসময় দ্রুত সময়ের মধ্যে বিএনসিসি’র নিজস্ব ভবন নির্মাণকাজ শুরুর ঘোষনা দেন।
তিনি বলেন, সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী, শৃংখলাপূর্ণ, দক্ষ, দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির মহান উদ্দেশ্যে বিএনসিসি যে যাত্রা শুরু করেছে তা সমুন্নত রাখতে সকল ক্যাডেটদের আন্তরিকতার সাথে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি স্বাধীন এ দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবি বিএনসিসি’র সমন্বয় কর্মকর্তা দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট প্রফেসর ড. বায়েজীদ মাহমুদ খান, সেনা শাখার ‘বি কোম্পানী কমান্ডার ও ১ নং প্লাটুনের দায়িত্বে নিয়োজিত দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ‘এ কোম্পানীর ২নং প্লাটুন কমান্ডার এর দায়িত্বে নিয়োজিত পিইউও ড. মোঃ শহীদুল হক, নৌ শাখা প্রধান পিইউও ড. মোঃ আহসানুল কবীর (ভারপ্রাপ্ত), বিমান শাখার ক্লাইট-২ ও বিমান শাখা প্রধান পিইউও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম ও বিএনসিসি অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার বিধান রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘এ কোম্পানীর ৩নং ও ফরেস্ট্রির প্লাটুনের দায়িত্বে নিয়োজিত পিইউও ড. সোহাগ মিয়া (ভারপ্রাপ্ত)।
অনুষ্ঠানে বিএনসিসি’র পক্ষ থেকে চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এর আগের একটি করে ঢাকি জাম ও পলাশ গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।