আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস কীভাবে কাজ করে?

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস নিয়ে কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা আর আয়োজন নিয়ে আলোচনা চলছিল। বেইজিংয়ে ১৬ অক্টোবর দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির পাঁচ বছর পর কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি ২০তম কংগ্রেস। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল এই রাজনৈতিক দলটি। কয়েক দশক ধরে চীন যে অসাধারণ পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা সত্ত্বেও, কংগ্রেসের কোরিওগ্রাফি অনেকটাই একই রকম রয়ে গেছে। সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে সবার কথা শুনতে ২ হাজার ৩০০ প্রতিনিধি দেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে গ্রেট হল অব পিপলে জড়ো হয়েছেন।

সর্তকতার সঙ্গে চলছে এই আয়োজন। কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনকে ঘিরে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পার্টির ক্ষমতাধর নেতা শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে তার আসন ধরে রাখবেন। আগামী বছরের বার্ষিক অধিবেশনে, সম্ভবত মার্চ মাসে, জাতীয় আইনসভা শি জিনপিংকে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে থাকার জন্য আরও পাঁচ বছর সময় দেবে। কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে, তবে কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাহলে পার্টির কংগ্রেস আসলে কী করে? খুব বেশি না, সংক্ষিপ্ত উত্তর। তারা কী প্রকাশ করে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনাগুলো এত ঘনিষ্ঠভাবে দেখার একটি কারণ হলো তারা পার্টির নেতৃত্বের বিশাল টার্নওভারকে চিহ্নিত করে।

প্রতিনিধিরা একটি নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করতে ব্যালটে ভোট দেবেন। প্রায় ৩৭০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সামরিক কমান্ডার, বৃহৎ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কর্তা এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংস্থা হবে এটি। শি জিনপিংয়ের সমর্থকরা এই পদগুলোর অনেকগুলো পূরণ করবে এবং কমিটিতে আধিপত্য বিস্তার করবে। কংগ্রেস শেষ হওয়ার পরের দিন রদবদল করা কমিটি-এর অর্ধেকেরও বেশি সদস্য নতুন হবেন। তারা একটি নতুন পলিটব্যুরো এবং পার্টি মিলিটারি কমিশন নির্বাচিত করবে, যা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নীতি নির্ধারণ করে।

বাস্তবে এসব সংস্থায় কারা আসন পাবে তা আগেই ঠিক হয়ে গেছে। শি জিনপিংকে উভয়ের প্রধান হিসাবে নতুন পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ দেওয়া হবে। পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটিতে কে যোগ দেবেন, শীর্ষ নেতৃত্বের সংস্থা, যার এখন সাত সদস্য রয়েছে তাও তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। পলিটব্যুরোর ২৫ জন তাকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ৭ জন উপদেষ্টা বাছাই করবেন। যাকে বলা হয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ২০৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিশনও থাকে। এই কমিশন, পলিটব্যুরো ও স্ট্যান্ডিং কমিটি ১৪১ কোটি মানুষের দেশ পরিচালনা করবে আগামী পাঁচ বছর। ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন চলবে।

কংগ্রেস অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র বিষয়ে দলের দীর্ঘমেয়াদী অগ্রাধিকারের সূত্রও দিতে পারে। সমাবেশের প্রথম দিনে শি জিনপিং একটি প্রতিবেদন উচ্চস্বরে পড়বেন। ২০১৭ সালে এই ভাষণে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে তার এক দশকের ক্ষমতায় থাকা পার্টির সাফল্যের প্রশংসা করা এবং অর্থনীতি ও সম্পত্তির সংকটসহ সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়। বেশিরভাগই মতাদর্শের ওপর ফোকাস করা হবে এবার। অর্থনৈতিক নীতি বা জিরো-কোভিড কৌশল সম্পর্কে কিছু বিবরণ থাকবে। চীনের পর্যবেক্ষকরা শি কীসে জোর দেন তা জানার জন্য তাকিয়ে আছেন।

অতীতে শি জিনপিং দুর্নীতি ও বৈষম্যের দিকে নজর দিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে কংগ্রেসে তিনি বৈশ্বিক বিষয়ে চীনকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে পশ্চিমা দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এবার তিনি উদারনৈতিক বিশ্বব্যবস্থার প্রতি চীনের চ্যালেঞ্জকে আবারও জোরালো করতে পারেন এবং আমেরিকার তাইওয়ানকে সমর্থন করার বিরুদ্ধে আরও সতর্ক করতে পারেন। এই কংগ্রেসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো যে এটি একজন ব্যক্তির ক্ষমতা ও কৃতিত্ব কতটা তা প্রদর্শন করে। দলটি এরই মধ্যে শির কর্তৃত্ব বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন তাকে নেতৃত্বের মূল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং তার রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে পথপ্রদর্শক আদর্শে নিয়ে যাওয়া।

প্রতিনিধিরা পার্টির চার্টারে পরিবর্তনগুলোকেও সমর্থন করতে পারেন। যেমন, শির দর্শনের নাম শি জিনপিং থট অন সোশ্যালিজম উইথ চায়নিজ ক্যারেক্টারিস্টিকস ফর এ নিউ এরা থেকে শি জিনপিং থট এ সংক্ষিপ্ত করা। এটি পার্টির প্রতিষ্ঠাতার দর্শন জাগিয়ে তুলবে, যেটি ছিল মাও সেতুং চিন্তাধারা। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় শির জন্য প্রশংসার ঝড় তোলার উদ্দেশ্য হলো ক্ষেত্র তৈরি করা যে শুধু তিনিই চীনকে একটি পুনর্জীবনের দিকে নিয়ে যেতে পারেন এবং তাই তাকে অবশ্যই পার্টির নেতা থাকতে হবে।


আরও খবর



আজিজের ভাইদের এনআইডি তদন্তে ইসির কমিটি

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ইসির একজন যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি তাদের এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসলে ইসি বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা যায়, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন আজিজ আহমেদ। এর আগে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) প্রধান ছিলেন তিনি। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ মে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



মিয়ানমার আগ্রাসন: উৎকণ্ঠা ও খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিনবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমার আগ্রাসনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টেকনাফ থেকে কোনো নৌযান সেন্টমার্টিনে যেতে পারছে না। সেখান থেকে আসতেও পারছে না। নৌযান দেখলেই মিয়ানমার থেকে ছুটে আসে গুলি। সাত দিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি। পরপর তিন দফা গুলির ঘটনার পর এমন অবস্থায় সেন্টমার্টিনের ১০ হাজারের মতো অধিবাসী খাদ্য ও নিত্যপণ্য নিয়ে সংকটে পড়েছেন। তাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠাও বিরাজ করছে।

আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা। এদিকে, টেকনাফে আটকা পড়েছেন প্রায় চার শতাধিক বাসিন্দা। এটি দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের অভাব দেখা দিতে পারে দ্বীপে। শুধু তাই নয়, যদি কোনো রোগব্যাধি হয়, তাহলে বিনা চিকিৎসায় দ্বীপেই মৃত্যুবরণ করতে হবে বাসিন্দাদের।

এদিকে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সেন্টমার্টিনে দেখা দিচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সংকট। দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে যারা দিনে এনে দিনে খায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে যেমন মজুত করা খাদ্যপণ্য শেষ হতে চলেছে, তেমনি সেই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সমাধান না হলে দ্বীপবাসী খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যায় বাড়তে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।

গত ১১ জুন টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে সাগরের ঘোলচর এলাকায় একটি স্পিডবোটকে নৌযান নিয়ে ধাওয়া করে গুলি করা হয়। মিয়ানমারের সৈন্যরাই গুলি চালিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির বলেছেন, প্রথম যেদিন এই ঘটনা ঘটে, সেদিনই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ১১ জুনের ঘটনার পর কূটনৈতিক চ্যানেলে আবারও প্রতিবাদ জানাবো। তবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, সেটা তো আমরা বুঝতেই পারছি। ওই এলাকা এখন কাদের নিয়ন্ত্রণে সেটিও পরিষ্কার নয়। তবে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে।’

সেন্টমার্টিন স্পিড বোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, আগের গুলির ঘটনার পর আমরা নদীতে যাইনি। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরত আসা অসুস্থ এক রোগীকে নিয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছিল আমাদের একটি স্পিডবোট।সাগরের ঘোলচর এলাকায় পৌঁছালে মিয়ানমার সীমান্তের একটি ট্রলার থেকে ওই স্পিডবোট লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে স্পিডবোটটি কোনোরকমে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আগে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না, কারা এটি করছে। কিন্তু আজকে যখন ছোট ছোট নৌযান নিয়ে আমাদের স্পিডবোটে গুলি করা হয় তখন সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাহাজ ছিল। ফলে আমরা ধারণা করছি, জান্তার সৈন্যরাই এটা করছে।’

তিনি বলেন, ‌টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীর মোহনার শেষে নাইক্ষ্যংডিয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় মিয়ানমারের প্রান্ত থেকে বোটগুলো লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। আমরা এখন সেন্টমার্টিনে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। কারণ, ওই এলাকায় আমাদের বিজিবি বা কোস্টগার্ডের কোনো টহল নেই। তারা উপকূলে চলে এসেছে। ফলে জান্তা সৈন্যরা চাইলে যেকোনো সময় আমাদের সেন্টমার্টিনেও চলে আসতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। এ কারণে সাত দিন ধরে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছেন।’

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত খাদ্য রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিনই টেকনাফ থেকে ট্রলারে করে নানা ধরনের নিত্যপণ্য আসে। কিন্তু সাত দিন হলো কিছুই আসছে না। এখন সেন্টমার্টিনে কাঁচামাল কিছুই নেই। চাল-ডাল দিয়ে কোনোভাবে দিন চলছে। আবার যা আছে, তার দামও ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে আমরা অনেক কষ্টে আছি। এভাবে আর দুই-একদিন হয়ত চলা যাবে। এরপর আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। আমরা প্রশাসনকে বারবার ব্যবস্থা নিতে বলছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। গত ৫ জুন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৮ জুন সেন্টমার্টিনে ইট-বালু ও খাদ্যসামগ্রী বহনের ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার আবারও গুলি চালানো হয়।’

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, আমাদের বিকল্প রুট ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। কেউ কেউ ইনানী থেকে যাওয়ার কথাও বলছেন। কিন্তু এভাবে তো সেখানে পৌঁছানো কঠিন। সাগরের ঢেউ এবং পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই রুটটি ঝুঁকিপূর্ণ। খবরচও অনেক বেশি হবে। আর আমরা তো মিয়ানমারে যাচ্ছি না। তাহলে আমাদের দেশের সীমান্তের মধ্যে ঢুকে তারা কেন গুলি করবে? সরকারের পক্ষ থেকে তো এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা নাহলে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা সংকটে পড়বেন।’

দ্বীপের মুদির দোকানি আমিনুল ইসলাম বলেন, ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকার কারণে টেকনাফ থেকে কোনো ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আনতে পারেনি। এর ফলে দোকানে থাকা সবকিছু শেষের পথে। শুধু চাল ছাড়া কোনো মালামাল নেই। এভাবে চলতে থাকলে দ্বীপের মানুষদের না খেয়ে থাকতে হবে।’

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি এখনও সুরাহা না হওয়ায় দ্বীপে খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এটি দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের অভাব দেখা দিতে পারে দ্বীপে। শুধু তাই নয়, আমাদের যদি কোনো রোগব্যাধি হয়, তাহলে বিনাচিকিৎসায় আমাদের এখানে মৃত্যুবরণ করতে হবে। এই পরিস্থিতি তো দিনের পর দিন চলতে পারে না। আমি নিজে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বিকালে হেলিকপ্টার যোগে বিজিবি মহাপরিচালক সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসেছিলেন। কিন্ত এ ব্যাপারে কী ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে পারিনি।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে স্পিডবোট ও ট্রলারে গুলির ঘটনায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আপৎকালীন রুট হিসেবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে জেটি ঘাট চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে নৌযান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ৯ জুন কক্সবাজারের ডিসি অফিসেও বৈঠক হয়েছে। আমরা নৌযান মালিকদের ডেকে বলেছি, বিকল্প রুট দিয়ে আপাতত খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে।’


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শনে চুয়েট ভিসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ আগত বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এসময় পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন তিনি।

বুধবার চুয়েট টিএসসি সম্মুখে অবস্থানরত ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আদর্শ, ত্যাগ তিতিক্ষা, দেশপ্রেমিক চিন্তা ভাবনা ও বলিষ্ট নেতৃত্ব ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পবিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) নিজস্ব কারিগরি দক্ষতায় বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি বাসটি প্রস্তুত করেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল করিম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানসহ অন্যান্য অফিসিয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সকাল থেকে চুয়েট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



বাজেট: ট্যাক্স রিটার্ন ছাড়া করা যাবে না বিয়ের অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্যাক্স রিটার্ন ছাড়া কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যাবে না। কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়ে হলুদ, সুন্নতে খাতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না।

বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা যুক্ত হচ্ছে।

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার প্রতিপাদ্যে নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



গোয়েন্দা নজরদারিতে টিকিট কালোবাজারিরা: র‍্যাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন, টিকিট কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। এ বছরের পর কালোবাজারি আর থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, এ বছর দূরপাল্লার (আন্তঃনগর) ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া যাত্রার দিন ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি চলছে।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রতিটি স্টেশনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিং চালু রাখা হয়েছে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে কাজ করছে র‍্যাব।

র‍্যাব জনগণের পাশে আছে জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, প্রতিটি বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশনে আমাদের ওয়াচ টাওয়ার, কন্ট্রোল রুম রয়েছে, মোবাইল টিম রয়েছে। যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনাদের যেকোনো অভিযোগ থাকলে জানান, র‌্যাব আপনার পাশেই আছে।

এ র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে আছেন। যাত্রীদের হয়রানি বিশেষ করে নারী হয়রানি যেন না হয় সে বিষয়ে র‌্যাব কাজ করে যাবে। বিভিন্ন অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। যাত্রাকালে আপনারা অপরিচিত কারও সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলবেন না।


আরও খবর