আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে হেলে পড়া ভবন খালি করতে চসিকের চিঠি দিয়েছে সিডিএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকার নবরত্ন নামের একটি পাঁচ তলা ভবন হেলে পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন ওই ভবনের বাসিন্দারা। সেজন্য বড় ধরেনের ঝুঁকি এড়াতে ভবন খালি করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

বৃহস্পতিবার বিকালে চসিকের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিডিএ অথরাইজড কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি জানার পর সিডিএ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাশের আরেকটি ভবনের পাইলিং করার জন্য নিচের মাটি দুর্বল হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নবরত্ন ভবন থেকে পাশের ভবনের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি থাকলেও বর্তমানে ওপরের অংশের সাথে দূরত্ব ৬ ইঞ্চি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন খালি করতে বলার এখতিয়ার চসিকের। তাই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে; এতে হেলে পড়া ভবনে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বলা হয়।

তিনি বলেন, দুই ভবন মালিককে অনুমোদিত নকশা নিয়ে সিডিএতে আসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পর ভবনের অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় বাহির সিগন্যালের বড়ুয়াপাড়ায় বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে পাঁচতলা নবরত্ন ভবন হেলে পড়ার ছবি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নবরত্ন ভবন ও পাশের ভবনে থাকা বাসিন্দারা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



মনটা একটা ট্র্যাপ, কোথায় আটকে যায় জানি না : শোলাঙ্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পরনে বেনারসি শাড়ি, গলায় ভারী গয়না, লম্বা একঢাল চুল, চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। ঠিক এমনভাবেই ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দিয়েছেন শোলাঙ্কি রায়। সম্প্রতি এমন লুকেই দেখা গিয়েছে তাকে।

দেবালয় ভট্টাচার্যের নতুন সিরিজ বোকাবাক্সতে বন্দি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। সেখানেই নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে শোলাঙ্কি। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে শুটিং করতে গিয়ে তেমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি।

এক সাক্ষাৎকারে শোলাঙ্কি বলেন,আমার সমস্যা একটাই, খুব একটা ভয় পাই না, টেনশন করি বেশি। তবে আমাদের মনটাই একটা ট্র্যাপ, আমরা কোথায় কখন আটকা পড়ে যাই জানি না। তাই আমি চাইব না কখনও আটকা পড়ে যেতে।

টেলিভিশনে একটানা কাজ করতে করতে অনেক সময় আটকা পড়ার বিষরে এ অভিনেত্রী বলেন, আসলে আমি বন্দিদশা বলব না, তবে ছোট পর্দায় কাজের ধরনটা এমন যে অনেকটা সময় দিতে হয়। একটা কাজ মানে এক থেকে দেড় বছর সময় দিতে হয়। অন্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় না। একঘেয়েমি চলে আসে। গত ১০ বছর ধরে এই মাধ্যমটাতে কাজ করছি আমি। তাই এখন অনেক বেশি সিনেমা, ওয়েব শো করতে চাইছি। খুব শীঘ্রই টিভির পর্দায় ফেরার পরিকল্পনাও নেই আপাতত।

মুম্বাইয়ে কাজ করার বিষয়ে বলেন, নতুন জায়গা। এই শহরটা ছোটবেলা থেকেই আমার ভাল লাগত। এখানে ছোট থেকেই থাকতে চাইতাম। কলকাতায় আমাকে লোকে চেনে, বহু বছর কাজ করেছি, এখানে তুলনামূলক নতুন। অডিশন দিচ্ছি । কলকাতায় সে ভাবে অডিশন দিতেই হয়নি। এই অডিশন দেওয়াটাও একটা শিল্প, সেটা আমি মুম্বাইয়ে শিখছি। আমার তো ভাল লাগে অডিশন শুট করতে। জায়গাটা বড়, প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। সিরিয়ালের প্রস্তাব এসেছিল, তবে রাজি হইনি।

২০২২ সালে শোলাঙ্কির বাবা বেবি ও মুক্তি পাওয়া ছবির বিষয়ে বলেন,এই ছবিটা দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছিল। যদিও বাবা বেবি ও ছবির পর প্রস্তাব পাইনি, তার পর শহরের উষ্ণতম দিনে ছবিটা হল। আসলে টেলিভিশন করছিলাম বলে প্রস্তাব আসেনি। ধারাবাহিক করলে অনেক পরিচালকই ছবিতে নেওয়ার কথা ভাবেন না।

উল্লেখ্য, শোলাঙ্কি রায় কালারস বাংলার ধারাবাহিক নাটক কথা দিলাম -এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে টেলিভিশনে অভিষেক করেন। এছাড়াও তিনি স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ইচ্ছে নদী -এ বিক্রম চ্যাটার্জির বিপরীতে মেঘলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।


আরও খবর



প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের চেয়ে ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এটি পেশ করেন।

এবারের বাজেট হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার। যাতে থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অর্জনের কঠিন চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আয় করতে হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতির এই বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য সাড়ে ৬ শতাংশ।

এছাড়া আয়, মুনাফা ও মূলধনের ওপর কর ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজনের করের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, আমদানি শুল্ক ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক ৭০ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

কর ব্যতীত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত করের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক বরাদ্দের মধ্যে জনপ্রশাসন খাতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, কৃষিতে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগে ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।

এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৩৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা এবং শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতের জন্য ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে।

বাজেট বক্তৃতায় চলমান অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।


আরও খবর



সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের বিশ্ব রেকর্ড গড়লো ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সদ্য শেষ হওয়া ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে মোট ভোট দিয়েছেন ৬৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ, যার মধ্যে ৩১ কোটি ২০ লাখই নারী। পুরো বিশ্বে কোনো ধরনের নির্বাচনে এত মানুষের ভোট দেওয়ার নজির নেই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রেকর্ডের পাশাপাশি ইউরোপের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যাকেও টপকে গেছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়া নারীদের সংখ্যা। তাই নারীদের ভোটদানের নিরিখেও বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এখন ভারত।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজিব কুমার বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং টিম এবং দেড় কোটি পোলিং ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।

এদিকে, এবার ভোট্রগহণ চলাকালীন নির্বাচনে কমিশনারদের লাপাত্তা জেন্টলম্যান আখ্যা দিয়ে মিম ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাধারণ ভোটারদের অনেকের দাবি, নির্বাচনের মাঠে কমিশনাররা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন না করায় এই আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মিমের বিষয়ে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। এখন মিমস শেয়ারকারীরা বলতে পারেন যে লাপাত্তা জেন্টলম্যানরা ফিরে এসেছেন।

রাজিব কুমার আরও বলেন, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রায় চার লাখ যানবাহন, ১৩৫টি বিশেষ ট্রেন ও ১ হাজার ৬৯২টি প্লেন ব্যবহার করা হয়েছিল। বয়স্ক ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিতেও নেওয়া হয়েছিল যথাযথ ব্যবস্থা।

এদিকে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫৪০টি আসনে পুনঃভোট হয়েছিল। সেখানে ২০২৪ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩৯টি আসনে পুনঃভোট হয়েছে। তাছাড়া এবার জম্মু ও কাশ্মিরে চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আর ২০১৯ সালে নির্বাচন চলাকালে নগদ অর্থ, বিনামূল্যে দেওয়া ‍কোনো জিনিস, মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব মিলিয়ে ৩ হাজার ৫০০ কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছি। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে এই অর্থ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। এবার সবমিলিয়ে ১০ হাজার কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



ছাগলকাণ্ডে আলোচিত পদহারা মতিউর আত্মগোপনে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বহুল আলোচিত মতিউর রহমানকে। সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিগগিরই মতিউর ও তার পরিবারের অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল বিত্তবৈভবের অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইতোমধ্যেই আত্মগোপনে চলে গেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এই সদস্য। এদিকে যে সন্তানের কারণে সংবাদের খোরাক হয়েছেন মতিউর, সেই সন্তানও তার মা (মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী) ও ভাইকে নিয়ে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। গতকাল মতিউরের অফিসে খোঁজ নিয়ে এবং বিভিন্ন সূত্রে এসব খবর পাওয়া গেছে।

মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক গত ঈদুল আজহার আগে কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর ভাইরাল হয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় নানারকম সমালোচনা। প্রশ্ন ওঠে, কে এই ইফাত? তার পরিচয় খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে তার বাবা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর। পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে ইফাত তার ছেলে নন বলে জানান মতিউর। এতে করে আরও বেশি বেকায়দায় পড়েন তিনি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যসূত্রের বরাতে উল্লেখ করা হয়, মতিউরই ইফাতের বাবা। শুধু তাই নয়, তার সম্পদের খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক কেউটে সাপ। উঠে আসতে থাকে তার নানারকম অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যও। সর্বশেষ, পরিস্থিতি বেসামাল দেখে আত্মগোপনে চলে গেছেন মতিউর; গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে না; গণমাধ্যমকর্মীদের ফোনে সাড়াও দিচ্ছেন না।

গতকাল রবিবার সকালে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে গিয়ে দেখা যায়, মতিউর সেখানে যাননি। ট্রাইব্যুনালের গতকালের কার্যতালিকায় বেশ কিছু মামলা থাকলেও প্রেসিডেন্ট মতিউরের অনুপস্থিতির কারণে কোনো শুনানি হয়নি।

এর মধ্যেই দুপুরে জানা যায়, মতিউর রহমানকে ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার বর্তমান পদ থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। কেন এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি।

গতকালই খবর আসে যে, মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোদ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। তিনি এ দিন সাংবাদিকদের জানান, মতিউর রহমান আর কখনো সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় আসবেন না। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার মতিউরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দুদক। কমিশনের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়েছে। এর অন্য দুজন সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ও উপ-সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার।

সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত ৪ জুন কমিশন একটি টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। টিমের সদস্যরা তাদের কাজও শুরু করেছেন।

এর আগেও মতিউরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে চারবার অভিযোগ উঠেছিল বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা। ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে সেগুলোর পরিসমাপ্তি টানা হয় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণের অভাবে। এ বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, এর আগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে চারবার করা অনুসন্ধানগুলো এখন আবার পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

মতিউর রহমান দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লায়লা কানিজ লাকি। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এই সংসারে তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও ফারজানা রহমান ইপসিতা নামে দুই সন্তান রয়েছে। লাকি সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। কথিত আছে, তিনি স্বামীর পদ-পদবির প্রভাব খাটিয়ে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। লাকির নামে নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে বিশাল এলাকাজুড়ে ওয়ান্ডার পার্ক নামে একটি রিসোর্ট রয়েছে। এ ছাড়াও নরসিংদীর নাগরিয়াকান্দির গোল্ডেন স্টার পার্কে রয়েছে অংশীদারত্ব। তার নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বহুতল ভবন রয়েছে।

এই পরিবারের সদস্যদের নামে টঙ্গীতে এসকে ড্রিম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডসহ অন্তত এক ডজন কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়। পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউসের অংশীদারত্ব রয়েছে এই পরিবারের। রয়েছে রিসোর্ট, আলিশান বাড়ি, বহুমূল্য গাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ। এ ছাড়াও গাজীপুরের পূবাইলে রিসোর্ট, শুটিংস্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পদ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও গ্রামের বাড়ি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মতিউর। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ি রয়েছে তার। তার ছেলের রয়েছে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ির কালেকশন। যে ছেলের কারণে সংবাদের খোরাক মতিউর, সেই ইফাত তার মা শাম্মি আক্তার ও ভাই ইরফানকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে গেছেন, বলছে গণমাধ্যম।


আরও খবর



নোবেল পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা আমার কখনো ছিল না, এখনও নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাস্তির পেছনে সরকারের কোনো হাত নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার দোষটা কোথায়? তার (মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই।

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কখনও ছিল না, এখনও নেই। আমি জানি এসব পুরস্কার যারা পান, তার পেছনে একটি রাজনীতি থাকে। আমি এগুলো চাই না। অথচ পার্বত্য অঞ্চলে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা। শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে জেলাসি (হিংসা) করে না।

প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দুদিনের ভারত সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যর্থ হলেন কেন? তখন আমার নামে খুনের মামলাও হয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে দারিদ্র বিমোচনে প্রকল্প নিলেন, অথচ যারা ঋণ নিয়েছিল তাদের অনেকে সুদের চাপে আত্মহত্যাও করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, তিনি (ইউনূস) দারিদ্র বিমোচন করতে পারলেন না কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র বিমোচন করছি আমি। অথচ সবাই ক্রেডিট দেয় তাকে (ইউনূস)। সে তো একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার পক্ষে সাংবাদিকরা লিখে কীভাবে? এটাও আমার প্রশ্ন।

ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত রেল যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চুক্তির সমালোচনা হবে কেন? এ চুক্তির ফলে আমি দেশটাকে কীভাবে বিক্রি করে দিলাম? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেই আমরা দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো করেছি। আমরা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করিনি। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করে না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২২ জুন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।


আরও খবর